বিগত পোস্টগুলোতে বলছিলাম HPV vaccine নিয়ে আর পোস্ট দিব না। কিন্তু দেখেন আর পারলাম না পোস্ট না দিয়ে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০০+ এরও বেশি কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি আছে। যন্ত্রনায় ছটফট করছে। তারপর কি হবে হয়তো শীঘ্রই জানতে পারবেন।
টিকা নেওয়া থেকে দূরে থাকার জন্য কয়বার বলেছি আমার নিজের কাছেও হিসাব নেই। এমনো হয়েছে যে, বিগত পোস্টগুলোতে কিছু ভাড়াটে ডাক্তার টিকার পক্ষ নিয়েছিল, এক ডাক্তার তো মামলার হুমকিও দিয়ে ফেলছে। এই হচ্ছে বর্তমানে কিছু ডাক্তারদের অবস্থা। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে কোনো টিকা আসলে এসব ডাক্তাররা গবেষণা করবে না,ক্ষতির দিকগুলো বলবে না। কারণ নারীর জরায়ুতে সমস্যা না হলে সিজার করাতে পারবে না, তাদের ব্যবসায় ধ্বস নামবে।
যাইহোক, এখন পর্যন্ত সব জেলায় টিকা দেওয়া হয় নাই। আপনারা এখনি সতর্ক হয়ে যান,সময় এখনো আছে। টিকা না দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে চাপ দেন। স্কুলের স্যারেরা এই পদক্ষেপটা নিতে পারেন। আপনারা অবশ্যই আপনাদের ছাত্রীদের ভালো চান? যদি চান তো এসব টিকা থেকে দূরে রাখুন প্লিজ।
এখনো সময় আছে যারা অভিভাবক আছেন আপনাদের মেয়েদের এসব HPV টিকা থেকে দূরে রাখুন। আপনারা অবশ্যই চাইবেন না আপনার মেয়ে বন্ধ্যা হোক কিংবা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত একটা ক্রুটি বহন করে কষ্ট পেয়ে যাক, সন্তানের মুখ না দেখে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ুক? যদি চান আপনার মেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করুক তাহলে এসব টিকা থেকে দূরে রাখুন।
____
এবার আপনাদের HPV টিকার লুকায়িত রহস্য বলি,
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, জরায়ু ক্যান্সারের মূল এবং প্রধান কারণ হচ্ছে একাধিক যৌনসম্পর্ক। অর্থাৎ যেসব নারী একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে তাদের জরায়ুতেই হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) আক্রমন করে বেশি।
আমেরিকা কিংবা ইউরোপে জরায়ুমুখ টিকা দেওয়া হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের মত গরীব ও তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোকে এসব টিকা দেওয়ার মানে কী আপনি হয়তো জানেন না?
কারণ পশ্চিমারা তাদের কিশোরীদের যৌন পঙ্গুত্ব (বন্ধ্যাত্ব) করতে চায় না, যেটা তারা বাংলাদেশে করতে চাচ্ছে।
এসব টিকা আবিষ্কার করার পর দেখতে হয় ঠিকঠাক কাজ করে কিনা, কতটুকু কার্যকর। আর সেজন্যই গরিব দেশ এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে বেছে নেয়।
বিভিন্ন এনজিও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও বাংলাদেশের জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এখন তারা জরায়ুমুখ ক্যান্সারের নাম করে কিশোরীদের বন্ধ্যাত্ব করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার নিয়ে অনেক ব্যবসা, অনেক কাহিনী রয়েছে।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা তুলনামূলক সহজ। প্রাক-ক্যান্সার স্টেজ থেকে ক্যান্সার হতে প্রায় ১০ বছর সময় লাগে। তাই ৩০ বছরের পর থেকে জরায়ুর খুব সহজ একটা স্ক্রিনিং টেস্ট করা হলে প্রতিরোধ করা যায়।
তাহলে মনে কি কখনো প্রশ্ন জাগে নি? যেখানে ৩০ বছর পর জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেখানে কেন ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এইচপিভি টিকা দেওয়া হচ্ছে তাও কোনো ধরনের স্ক্রিনিং টেস্ট না করিয়ে?
জরায়ুমুখ ক্যান্সার কাদের হতে পারে? জেনে নেয়া যাক,
১। যেসব নারীরা একাধিক পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে।
২। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা ইনজেকশন দেওয়ার কারণে।
৩। দেরিতে বিয়ে করলে অর্থাৎ যারা ৩০ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে করে নাই।
৪। ৩০ বছর বয়সের আগে যদি নারী বাচ্চা না নেয় তখন জরায়ুতে সমস্যা হয়।
৫। বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু বাচ্চা নিচ্ছে না অর্থাৎ নারীর বয়স ৩০ এর কাছাকাছি চলে গেছে তখন তার জরায়ুতে সমস্যা হয়।
৬। বংশের মধ্যে কেউর জরায়ু ক্যান্সার থাকলে।
৭। পবিত্রতার বিধান মেনে না চললে। অর্থাৎ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে।
৮। স্যানেটারি প্যাড ব্যবহার করলে।
৯। স্বাস্থ্য, খাদ্যাভাস ও বসবাসের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন না হলে।
উপরে উল্লেখিত কারণগুলোর জন্য জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে জরায়ুমুখ ক্যান্সার ৩০+ বয়সীদের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে ১০-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
তাই এখনি সতর্ক হোন, সতর্ক করুন, আপনারা আশেপাশের সকলকে সতর্ক করুন। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ আপনারা মেয়ে/ছাত্রীদের এই ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করুন। আগামীর প্রজন্মকে রক্ষা করুন।
_______
এইচপিভি টিকা ষড়যন্ত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা -
https://last-era-analysis.blogspot.com/2024/10/hpv.html?m=1
নিউজ লিংক গুলো
ঝিনাইদহে টিকা নেওয়ার সময় অসুস্থ ৪০ মাদরাসা ছাত্রী
https://www.jagonews24.com/m/country/news/977928
ভোলায় “জ্ঞানদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের” ২০০-৩০০ ছাত্রী টিকা দেওয়ার পর অসুস্থ
https://www.facebook.com/share/v/tv2mq45VdgJHwZn9/
তামিরুল মিল্লাত মহিলা মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে দিয়ে এইচপিভি টিকা নেওয়ার জন্য কুফ*ফার ইউনিসেফের ব্রেইন ওয়াশ!
https://www.facebook.com/unicef.bd/videos/8468201233216879/?app=fbl
জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নিয়ে অর্ধশতাধিক ছাত্রী হাসপাতালে
https://www.somoynews.tv/news/2024-10-29/X7BGZsEF
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন