আমেরিকা কিংবা ইউরোপে জরায়ুমুখ টিকা দেওয়া হয় না, অথচ বাংলাদেশের মত গরীব ও তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোকে এসব টিকা দেওয়ার মানে কী??
কারণ পশ্চিমারা তাদের কিশোরীদের যৌন পঙ্গুত্ব (বন্ধ্যাত্ব) করতে চায় না, যেটা তারা বাংলাদেশে করতে চাচ্ছে।
এসব টিকা আবিষ্কার করার পর দেখতে হয় ঠিকঠাক কাজ করে কিনা, কতটুকু কার্যকর। আর সেজন্যই গরিব দেশ এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে বেছে নেয়।
বিভিন্ন এনজিও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও বাংলাদেশের জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এখন তারা জরায়ুমুখ ক্যান্সারের নাম করে কিশোরীদের বন্ধ্যাত্ব করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এর পেছনে কিছু সংস্থা কাজ করছে-
১. দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি /GAVI)
২. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)
৩. ইউনিসেফ (UNICEF)
৪. ব্র্যাকসহ ব্র্যাকের মতো বড় বড় এনজিও (NGO) গুলো আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, জরায়ু ক্যান্সারের মূল এবং প্রধান কারণ হচ্ছে একাধিক যৌনসম্পর্ক। অর্থাৎ যেসব নারী একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ কাজ করে তাদের জরায়ুতেই হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) আক্রমন করে বেশি। আরেকটি কারণ জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি খাওয়া বা ইনজেকশন এবং স্যানেটারি প্যাড।
কথা হলোঃ একাধিক যৌনসম্পর্ক ইউরোপ আমেরিকায় ব্যাপক হারে ঘটছে, আমোদের দেশে নয়। অথচ এসব কথিত সভ্য ও উন্নত দেশগুলোতে কিশোরীদের জরায়ুর টিকা দেওয়া হয় না।, দেওয়া হয় বাংলাদেশের মত দেশসমূহের কিশোরীদের। অথচ, আমাদের এখানে একাধিক যৌনসম্পর্ক ওদের থেকে বহুগুণে কম।
এর পরেও আমাদের কিশোরীদের টিকা দেয়া হচ্ছে, কারণ- কিশোরীদের যৌন পঙ্গুত্ব (বন্ধ্যাত্ব) করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা।
এদিকে, প্রথমআলু ২৪ সালে এক আর্টিকেলে বলতেছে, এই টিকার এক ডোজ নিতে হবে!
দেখুনঃ https://www.prothomalo.com/bangladesh/6xvy23zss2
অন্যদিকে আবার ২৩ সালে একটি আর্টিকেল বলতেছে তিন ডোজই নিতে হবে!
দেখুনঃ https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/4p8o5l96ci
এদিকে আবার ইউনিসেফ ও বলতেছে এক ডোজের কথা!
কী যে একটা অবস্থা! পুরাই হযবরল লাগতেছে?
এক জায়গায় বলে ৩ ডোজ, আরেক জায়গায় ১ ডোজ! আসলে ওরা নিজেরাই নিজেদের জালে ফেঁসে গেছে এটাও কিন্তু স্পষ্ট। আপনি বুঝতে চাচ্ছেন না কেন ষড়যন্ত্রটা?
এই যে, টিকা'কে কেন্দ্র করে প্রথমআলু দাবি, অল্প বয়সে বিয়ের কারণে নাকি জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে! আবার বলতেছে অধিক বাচ্চা নেওয়ার কারণেও!
তারা অল্প বয়সে বিয়েকে কোনো রেফারেন্স ছাড়াই, কোনো প্রমাণ ছাড়াই ক্যান্সারের জন্য দায়ী করতেছে! তাও এক নম্বরে! আর যদি মেনেও নেন এটা সত্য, তাইলেও প্রশ্ন জাগে, অল্প বয়সে “বিয়ে” কেন ক্যান্সারের কারণ হবে? লিখলে তো লিখা উচিৎ অল্প বয়সে “সঙ্গম” কিন্তু তারা মুলত অল্প বয়সে সঙ্গমকে ইতিবাচক আর উন্নতিই মনে করে, এইটার কারণে কোনদিনই ক্যান্সার হবেনা। ক্যান্সার হবে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি মাইনা “বিয়ে” করলে!
প্রথমআলুর পরের কারণগুলো আরো হাস্যকর, একই কথা ঘুরিয়ে দুইবার লিখেছে। যেনো যেকোনো ভাবে সন্তান জন্মদান থামাইতে হবে!
১। যাঁরা ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, মালিতে নির্বিচারে শিশু ও নারীদের হত্যা করে, তাঁরা কেনো, কি উদ্দেশ্য আপনার আমার মা-বোন, শিশুদের এতো দরদের সাথে ভ্যাকসিন দিবে, উপকার করবে? কেমনে বিশ্বাস করলেন?
২। হাদিসের আলোকে বুঝা যায় রোগ হওয়ার পর চিকিৎসা নেওয়া উচিত কিন্তু এখানে রোগ না হওয়ার আগেই অগ্রীম চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে, তাহলে এটা কি করে যৌক্তিক?
৩। আমি একটি রোগের জন্য ভ্যাকসিন নিলাম কিন্তু ঐ রোগের জন্য যদি এন্টিবডি প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের মধ্যে আগে থেকেই থাকে তাহলে ভ্যাকসিনের কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না? অবশ্যই হবে।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার নিয়ে অনেক ব্যবসা, অনেক কাহিনী রয়েছে।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা তুলনামূলক সহজ। প্রাক-ক্যান্সার স্টেজ থেকে ক্যান্সার হতে প্রায় ১০ বছর সময় লাগে। তাই ৩০ বছরের পর থেকে জরায়ুর খুব সহজ একটা স্ক্রিনিং টেস্ট করা হলে প্রতিরোধ করা যায়। অর্থাৎ ৩০ বছর আগে জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন আপনারা যারা ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পরে ভ্যাক্সিন দিচ্ছেন তাদের জন্য একটা প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি, আপনি কিশোরী বয়সে টিকা দিলেন। ১০/১৫ বছর পর আপনার বয়স ৩০ হবে। এখন বলেন এত বছর পর কীভাবে সেটা রোগপ্রতিরোধ করবে? যেখানে মানুষের শরীরের ঢোকা সবকিছু প্রয়োজন শেষে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়/শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এইচপিভি ভাইরাস রিস্ক ফ্যাক্টর। এই ভাইরাস এইডস এর মত ছড়ায়। এই ভাইরাস টেস্ট করে পাওয়া গেলেও ৯০% ক্ষেত্রে ক্যান্সারে কনভার্ট হয় না।
ক্যান্সার নিয়ে বিশ্বে পলিটিক্স হয়। স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেরীতে বিয়ে, সন্তান কম নেয়া, এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের সাথে ঝুকির মাত্রা বেশী।
এরা বাংলাদেশের জরায়ু ক্যান্সারে ঝুকির কথা বলে, কিন্তু স্তন ক্যান্সারের কথা এড়িয়ে যায়। এখান থেকে বুঝা যায় ঘাপলা রয়েছে।
ওরা মানুষকে শারীরিকভাবে অক্ষম করে তুলতে চায়। মানুষকে একটা ওষুধ চক্রের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চায়। একজন অসুস্থ মানুষ তার শত্রুকে নিয়ে ভাববার ফুরসত পায় না বরং নিজেকে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে।
আর এখন এটাই হচ্ছে। আমরা এখন সবাই ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মুখাপেক্ষী এবং প্রত্যেকটা ঘর যেন এক একটা ফার্মেসী।
এবার জেনে নেওয়া যাক জরায়ুমুখ এবং স্তন ক্যান্সার কেন হয়/কাদের হয়?
জরায়ুমুখ ক্যান্সারের কেন হয়?
১। অনেকের বংশগত কারণে হতে পারে।
২। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে না তাদের হতে পারে।
৩। দেরিতে বিয়ে যাদের হয় তাদেরও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪। বাচ্চা নিতে চায় না বা বাচ্চা দেরিতে নেয়।
৫। জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আরো ২টি কারণ হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এবং স্যানেটারি ন্যাপকিন প্যাড।
৬। যারা সুস্বাস্থ্য মেনে চলে না।
৭। যারা ইসলামী পবিত্রতার বিধান,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কারণেও হতে পারে।
স্তন ক্যান্সার কাদের হয়?
১। বয়স ৫৫ বা তার বেশি।
২। পরিবার/বংশে যদি আপনার বাবা-মা, ভাইবোন, সন্তান বা অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের স্তন ক্যান্সার থাকে, তাহলে আপনি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
৩। আপনি যদি আগে রেডিয়েশন থেরাপি নিয়ে থাকেন - বিশেষ করে আপনার মাথা, ঘাড় বা বুকে - আপনার স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৪। যারা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি) ব্যবহার করেন তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
৫। দেরীতে বিয়ে, সন্তান কম নেয়া, এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের সাথে ঝুকির মাত্রা বেশী।
৬। যারা বাচ্চাকে স্তন থেকে দুধ খাওয়াতে চায় না।
ফিরে যাচ্ছি একটু পেছনে,
গত বছর (২০২৩) কি করছে জানেন? ১৪০ স্কুলে ভুয়া HPV টিকা দিয়েছে। এখন এই দায়ভার কে নিবে? যে ক্ষতি হলো এটার কি হবে? যেসব মেয়েদের দিছে তাদের স্বাস্থ্যের খবরা-খবর কি ইউনিসেফ/ WHO নিছে? না নেয় নাই মুলা ধরাই দিয়ে বুঝ দিয়ে দিছে।
আচ্ছা, কোনো ভ্যাক্সিন কিন্তু টাকা দিয়ে কিনতে হয় না! পশ্চিমা ইহুদিরা ফ্রিতে দেয়! যে পশ্চিমা পুরো পৃথিবী শোষণ করে খায় সে পশ্চিমা বিশ্ব ভ্যাক্সিন দিচ্ছে বিনামূল্যে! অবাক হওয়ার কিছু নাই,এখানেই আসল রহস্য!
জায়োনিস্ট Chronicle এ প্রকাশিত University College London এর ডক্টর Daniel Gordon কর্তৃক জায়োনিস্ট কমিউনিটির উপর research থেকে নেওয়া। কেন ওই কমিউনিটির মা এরা এই ভ্যাকসিন নিজেদের মেয়েদের নিতে দিচ্ছে না সেটা এইভাবেই উল্লেখ করলেন।
https://www.thejc.com/news/our-girls-dont-need-hpv-vaccine-j3nsz2el
তারা যেসব রিজেক্ট করতেছে সেইসব মূলা আমাদের দেশগুলোতে কেন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফ্রিতে? একবারো নিজেকে প্রশ্ন করছেন?
আচ্ছা, এত কম বয়সী মেয়ে শিশুদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হতে কখনো শুনেছেন?
অথবা এমন কোনো খবর পাইছেন যে ওমুক জায়গায় ১০-১৪ বছর বয়সী কোনো মেয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়ে মারা গেছে?
মুসলিম দেশগুলোর দিকে তাকান দেখবেন ওদের পরিকল্পনা সফল। বহুবিবাহ আর বিয়ের উপযুক্তদের সফলভাবে বিয়ে আটকে দিয়েছে, অথচ আল্লাহ বলেছেন সমতা, সুবিচার করতে পারলে ২,৩,৪ বিয়ে করতে। (৪:৩)
যখন একটা মেয়ের প্রথমবার হায়েজ হয় তার পর থেকে বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়। অভিভাবকদের উপর বাধ্যতামূলক হয় বিয়ে দিয়ে দেওয়া। অথচ তারা বিয়ে দিবে না।
কে না কে বলেছে প্রগতিশীল বানাতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। এটাই মাথায় ঢুকিয়ে নিয়েছে। এখানেও ওরা সন্দেহে বীজ রোপণ করে দিয়ে সফর হয়েছে...
যুদ্ধ লাগিয়ে জনসংখ্যা কমাতে গিয়ে নিজেদের সংখ্যাই কমিয়ে ফেলতেছে তাই দুই দিন পর পর নতুন নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে আসে। যেন তাদের নির্দিষ্ট টার্গেট হিট করতে পারে।
যারা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার সম্পর্কে জানেন তার অনেক আগেই বুঝে ফেলেছে সবই পরিকল্পিতভাবে করতেছে যে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) ২০৩০ সালের মধ্যে সবার এই টিকা নেওয়া নিশ্চিত করবে, অতএব বুঝতে পারছেন কি?
এটাই হচ্ছে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাস্তবায়নের মূল হাতিয়ার, নারীদের কম বয়সেই সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম বন্ধা বানানোর যত অপচেষ্টা আছে করতে থাকবে।
আজ তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী লাখ লাখ ১০-১৪ বয়সী মেয়ে শিক্ষার্থীদের দিবে তারপর কলেজ, ইউনিভার্সিটি তে যাবে, শেষ পর্যন্ত সবাইকে নিতে বলবে, মনে আছে করোনার কথা সবাইকে নিতে বাধ্য করেছিল।
যদি আপনি নিয়মিত করোনার খবরগুলো দেখে থাকেন তাহলে একটা খবর কি লক্ষ্য করেছেন?
২/৩ মাস পর পর করোনার নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট ঘোষণা করতো, এই নতুন নতুন ভেরিয়েন্টের জন্য নতুন নতুন ভ্যাক্সিন তৈরি করতো।
তারপর সবাইকে নিতে বাধ্য করতো, এমন ব্যক্তিও পাবেন যে কিনা ৪/৬ টার মতোও টিকা নিয়েছে, কোনো লাভ হয়েছে?
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ লাগার পর পর করোনা নিখোঁজ হয়ে গেছে, এটা নিয়ে কি একবারও ভেবেছেন? যে করোনায় হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত আর মারা যেত সেটাই কিনা বন্ধ হয়ে গেছে একটা যুদ্ধে!!!
শিক্ষামন্ত্রী ভ্যাক্সিন (করোনা) নেওয়ার পরও ২ বার আক্রান্ত হইছে- http://tinyurl.com/2979b759
ওরা দাবি করে ভ্যাক্সিন নাকি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় অথচ দেখেন ভ্যাক্সিষ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হয়েছে। মূলত ভ্যাক্সিন দেওয়ার পর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে সহজে যেকোনো রোগে আক্রান্ত হয়। রোগ সহজে ভালো হয় না।
এই সব ই মাইন্ডগেম ছাড়া আর কিছু না, সূক্ষ্ম একটা কৌশল, আমাকে আপনাকে ফাঁদে ফেলে খুব সহজেই ওরা উদ্দেশ্যর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই সফল হতে পারবেন ষড়যন্ত্রের হাত থেকে।
-Last Era Analysis
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন