ভ্যাক্সিনেশন পর্বঃ ১ (করোনা)



“করোনার ভ্যাক্সিন নামে বিশ্বব্যাপী মরণ ফাঁদ কেন??

শুধু করোনা নয় যেকোনো ভ্যাক্সিন কেন বিশ্বব্যাপী মরণ ফাঁদ?

 ভ্যাক্সিন কেন ইহুদিদের ষড়যন্ত্র?

ভ্যাক্সিন কেন জনসংখ্যা কমানোর বিকল্প ফাঁদ?

 ভ্যাক্সিন কেন স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর?

ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর কেন মানুষ অধিকহারে মারা যাচ্ছে?

 ভ্যাক্সিন কেন ইহু-দিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে হাতিয়ার?

ভ্যাক্সিন থেকে কেন দূরে থাকবেন? 

ছবিটা লক্ষ করলে অনেককিছুই বুঝতে পারবেন


জানতে পড়ুন-

যে হারে মানুষ করোনা না থাকায় ও ভ্যাক্সিন নিচ্ছে,

টিকা/ভ্যাক্সিন নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু না লিখে থাকতে পারছিনা।


করোনা রোগটাকে অনেকেই অস্বীকার করে যেটা আমাকে অবাক করে।

আমরা কমবেশি রোগটা সম্পর্কে জানি যে,

 সাধারন জ্বর কাশি থেকে নিউমোনিয়া তৈরি করে মিল্ড হাইপোক্সিয়া থেকে সিভিয়ার এ্যাকিউট হাইপোক্সিয়া তৈরি করে শরীরে অক্সিজেন লেভেল কমিয়ে লাঞ্জ বিকল করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। 


তাকদিরে যাদের মৃত্যু ছিল তারা মারা গেছে। আমরা জানিনা ভাইরাসটা ম্যানমেইড নাকি আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি। ওয়াল্লাহু আ'লাম। 

তবে এটাকে কেন্দ্র করে ম্যানডাটরি ভ্যক্সিনেশনের দিকে হিউম্যানিটিকে ড্রাইভ করার দিকে তাকালে মনে হয় একটু সন্দেহ উদয় হয়। কেমন যেন মনে হয় বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্যই এই ভাইরাস বানিয়ে ছাড়া হয়। 

হয়ত আপনি একবারো আক্রান্ত হননি কিন্তু ভ্যাক্সিন দিতেই হবে। ধরেন কেউ একজন করোনার মধ্যে ছিল, ধরে নেয়া যাক উক্ত ব্যাক্তির শরীরের অ্যাণ্টিবডি তৈরি করে নিয়েছে, যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের ও এই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি হয়েছে, এরপরেও কিসের ভ্যাক্সিনেশন?? 

কেন নিতে হবে ভ্যাক্সিন?কেন নিলেন?


 করোনার ভ্যাক্সিনটি mRNA যে ধরনের ভ্যাক্সিন আগে কখনোই ব্যবহার হয়নি।


 তাছাড়া একটা বড় সমস্যা হচ্ছে করোনা ভাইরাস এর রূপ বার বার পরিবর্তিত হয়,শতশতবার রূপ বদলিয়েছে, তাহলে ভ্যাক্সিন কয়শত বার দিয়ে ভাইরাসকে চেনাবে? একটা ভাইরাসের বিহেভই ভাল করে না জেনে সেটার প্রতিষেধক কিভাবে বানানো সম্ভব!? 

যেখানে অন্যান্য মহামারীর ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করতে কয়েক বছর লেগে যেত,সেখানে করনার ভ্যাক্সিন একবছরের মধ্যে তৈরি করে ফেলছে! রহস্য তো আছেই গন্ধ কি পাচ্ছেন??


সবচেয়ে বড় রহস্য গন্ধ এই যে পরিবর্তনশীল ভাইরাসের ভ্যাক্সিন কিভাবে তৈরি করতেছে? 

ধরেন এ ভাইরাসের একটা ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ডেল্টা, এটার ভ্যাক্সিন দেওয়া হলো, 

দুইদিন পর ভাইরাস রূপ বদলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসলো, এটা ধরুন আরো ভয়াবহ, আগের টাইপের ভ্যাক্সিন এখন অকার্যকর। সেই সেরাম এন্টিবডি কে যে ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস চিনিয়ে দিয়েছে, পরের ভ্যারিয়েন্টের বেলায় তো সেটা করবেনা। ধরেন এটার জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া হলো। একমাস পর আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট আসলো সেটার জন্য কি তাহলে আরেকটা?? এর শেষ কোথায়!!? 

অর্থাৎ এই রোগের কথিত ভ্যাক্সিনটা বার বার ইঞ্জেকশন নেওয়ার রাস্তা খুলে দেয়। 


অনেকে এভাবে দেখছে যে ভ্যাক্সিন একটা ব্যবসায়। জ্বী না ভাই এত নিষ্পাপ দৃষ্টিতে দেখে থামাটা অনুচিত। প্রত্যেকটা তাগুতি রাষ্ট্রই ভ্যাক্সিন জনগণকে বিনামূল্যে দিচ্ছে, সুতরাং সরকারের এত কি ঠ্যাকা পড়েছে যে জাতীয় ফান্ড খালি করে জনগণকে মাগনা ইঞ্জেকশন পুশ করবে! 

এখানেই শেষ না, ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট বানিয়েছে, এটা ছাড়া সার্ভিস মিলবেনা সেই ব্যবস্থা করছে। চাকরিবাকরি করলেও বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দিতে হবে।একটা সময় আসছে যখন সব জায়গায় কিউআর স্ক্যানার থাকবে, আমি আপনি ভ্যাক্সিনেশন এর কার্ড ছাড়া কোন সেবা পাব না। ভ্যাক্সিন গ্রহনে এত বেশি চাপাচাপি করার কারন কি ভাই! এতে কল্যাণ থাকলে বল প্রয়োগের জরুরত ছিলনা। 

এটার ভ্যাক্সিন বানালে আগে তো বহু মহামারী ছিল সেসবের ভ্যাক্সিন বানাচ্ছেনা কেন। সেসবও তো মানুষ আবারো আক্রান্ত হতে পারে। আমরা তো এখন দেখছি করোনা কমে গেছে, এরপরেও সুস্থ মানুষের দেহে ভ্যাক্সিন দিতেই হবে কেন? ইহু-দিদের ভন্ডামি বাঙালি কবে বুঝবে?


ব্যপারটা এ অবস্থায় দাড়িয়েছে যে সবার গায়ে ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্যই এরকম একটা ভাইরাস ছড়ানো হয়েছিল। 

আচ্ছা বিল গেটস'কে ২০১৫ সালে বলেছিল যে একটা মহামারী লাগবে এবং তাতে এক মিলিয়নের বেশি মরবে!?

 সুতরাং ওয়াল্লাহু আ'লাম হতেই পারে এটা ছিল একটা "প্ল্যানডেমিক"।


এবার চলেন বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গে। তারা আমাদের শরীরে যে ধরনের ভ্যাক্সিন পুশ করতে চাইছে এটাকে বলে mRNA ভ্যাক্সিন।  


ছোটবেলায় পড়েছিলেন DNA ,RNA মনে পড়ে ? 

ডিএনএ সেলসমূহের ফাংশন কি হবে কিভাবে হবে সেসব নিয়ন্ত্রণ করে। RNA একদম ফার্স্ট জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল, এটা প্রোটিন গঠনের ক্ষেত্রে ডিএনএ এবং রাইবোজোম এর নিকট বার্তাবাহক এর ভূমিকায় কাজ করে। ডিএনএ থেকে তথ্য নিয়ে আরএনএ প্রোটিনে রূপান্তর করে। অর্থাৎ প্রোটিন কিভাবে বানাবে সেটার ফাংশন কি হবে সেসকল ইন্সট্রাকশন সেট RNA বহন করে। একটু ভাবুন তো যদি কোন ফরেন সিন্থেটিক সেরামে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকর mRNA দেওয়া হয় যেটা আপনার শরীরে প্রোটিন বানাবে! মানে শরীরের বেসিক ফাংশান মৌলিকভাবে চেঞ্জ করা হচ্ছে। আল্লাহ শরীরে যেই ইন্সট্রাকশন সেট দিয়ে দুনিয়াতে আমাদের পাঠাচ্ছে, সেটাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এডিট করা হচ্ছে। 

সুতরাং সৃষ্টিকে পরিবর্তন যেহেতু শয়তানি কাজ বুঝাই যাচ্ছে এখানেও সেরকমই সৃষ্টিতে সরাসরি পরিবর্তনের একটা ব্যপার আছে। যদি RNA ইন্সট্রাকশন সেটে ভাল কিছুও থাকে তাও সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ।

 করোনা ভ্যাক্সিন বানাচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান গুলো এরা একেকটা বায়োটেক কোম্পানি। জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং সহ যাবতীয় শয়তানি এরাই করে থাকে। 


আপনার একটা আঙ্গুল কেটে আলাদা হলে কি সেটা আর গজাবে? গজাবে না। ঠিক একইভাবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে বার্তাবাহক RNA শরীরে প্রবেশ করালে আপনার দেহের মৌলিক ফাংশান আজীবনের জন্য পরিবর্তিত হবে। এটা অনেকটা ডিফল্ট সেটিং টাকেই পালটে ফেলা। অর্থাৎ এমআরএনএ ভ্যাক্সিন দিলাম মানেই নিজেকে কোনদিক দিয়ে অজ্ঞাতভাবে আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ বা পরিবর্তন করে দিলাম। 


আমেরিকার সিডিসির অফিশিয়াল পেইজ থেকে কপি- "Messenger RNA (mRNA) vaccines teach our cells how to make a protein that will trigger an...."। যাই হোক ওরা বলবে এটা ভ্যাক্সিনকে ভাইরাস চিনিয়ে দিয়ে অটোইমিউন সিস্টেম বানাবে,কিন্তু সেখানে ভাইরাস চেনানোর ইন্সট্রাকশন সেট নাকি অন্য কোন কিছু সেটা কি আপনি দেখেছেন বা সুনিশ্চিত জানেন নাকি তাদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গায়ে সুঁচ ফোটাচ্ছেন? 

এই "তাদের" মানে কারা? উত্তরে তাদের আসল পরিচয় একটাই আসে, এরা হলো - কা ফি র। আল্লাহর অবাধ্য, শয়তানের অনুগত। ওরা কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এক হয়ে কাজ করছে? উত্তর হচ্ছে- আসন্ন মসীহ আদ দা জ্জা ল এর।

 WHO ওদের মসীহের অপেক্ষাতেই সততার সাথে কাজ করছে, এটা ওরই প্রতিনিধি।


 টেকসই ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কাদের? 

উত্তর- এজেন্ডা ২১ তথা জাতিসংঘের। হু কাদের অঙ্গ সংগঠন? উত্তর - জাতিসংঘের,যেটা তৈরিই হয়েছিল ইহুদিবাদি মিশন বাস্তবায়নে,যেটা দা জ্জা লেরই এজেন্ডা। তারা দুনিয়াতে জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায়। যদি আপনার বডির প্রোটিনের এক্সপাইরেশন টাইমার দিয়ে বা করাপ্ট করার ইন্সট্রাকশন এনকোড করে mRNA শরীরে ইঞ্জেক্ট করানো হয় তাহলে তো এই সাস্টেইনেবল গৌল খুব সহজে মনযোগী করা যায়। যাদের এরকম পরিকল্পনা আছে তাদের প্রোপাগান্ডায় কর্ণপাত করে শরীরে ওদের বায়োটেক কর্পোরেশন গুলোর তৈরি লিকুইড বায়ো-প্রোগ্রাম ইঞ্জেক্ট করা কি বোকামি হয়ে যায়না? 


ডিএমসির এক এমবিবিএস ডাক্তার তিনি বলেন প্রায় ৩০+ ডাক্তারকে হত্যা করে গুম করা হয় ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এতে বুঝতে পারি ওদের উদ্দেশ্য ভাল কিছু না। এজন্যই ডাকাতের বিরুদ্ধে কথা বললে যেভাবে জবান চিরতরে বন্ধ করে সেটাই করছে। ওদের নিয়ন্ত্রিন মিডিয়াতে ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যায়না। সব কন্টেন্ট ডিলিট করা হয়। সার্চ করেও কিছু পাওয়া যায়না। যেন কোথাও কেউ কিছু বলছেনা, সব কিছু স্বাভাবিক। সব সেকটর তাদের নিয়ন্ত্রণে, তাই উনারা যা বলবে সবকিছু ঠিক এবং সেটাই মানতে হবে। বিরোধিতা করা যাবেনা করলেও সেটা প্রচারও হবেনা। 


ধরে নেন, ভ্যাক্সিন খুবই উপকারী কিছু, তাহলেও এটা গ্রহন করা উচিত হবে(?) যেহেতু এটা গায়ে ঢোকানো মানেই আমাদের শরীরের কার্যপ্রক্রিয়ায় আল্লাহর সৃষ্ট মৌলিক নীতি তে হস্তক্ষেপ করে পরিবর্তন করা, পালটানো। এটা তো সুস্পষ্ট শয়তানেরই আদেশ।


আল্লাহ শয়তানের এই কাজের ব্যপারে বলেন- 

“এবং নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে পথভ্রান্ত করব, তাদেরকে কু-মন্ত্রনা দিব এবং তাদেরকে আদেশ করব যেন তারা পশুর কর্ণ ছেদন করে এবং তাদেরকে আদেশ করব আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে। যে আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শাইতানকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করে, নিশ্চয়ই সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

 ❴সূরা আন নিসা আয়াত,১১৯❵


অর্থাৎ শয়তানের অনুগত কাফিরদের মধ্যে সৃষ্টিকে পরিবর্তনের আদেশকে এক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। মডার্না যখন ভ্যাক্সিন বানায় তখন তারা কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করে যেগুলা পাঠলে অনেক রকম সন্দেহ আসবে। একটা বাক্য অনেকটা এরকম, "এই ভ্যাক্সিন গ্রহনে শরীরে নতুন ফিচার যুক্ত হবে।" আমাদের মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড পাইনিয়াল গ্ল্যান্ড কে উত্তেজিত করার শিক্ষা দেয় শয়তানের অনুসারীরা। এতে করে যেটা বোঝা যায় শয়তান জ্বীনদের মানুষের শরীরে এক্সেস সহজ করা হয়। যদি ভ্যাক্সিনে এমন কোন উপাদান থাকে যেটা একই কাজ করবে, তাহলে আসন্ন দা-জ্জালের আবির্ভাবের ফলে দা-জ্জালের কোন ফিতনায় পতিত করা সহজ হবে। এরকম কোন উদ্দেশ্য এই ভ্যাক্সিনেশন এর লক্ষ্য হওয়া অসম্ভব কিছু না।


একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন ভাইরাস মানুষের ব্যক্তিত্ব বিশ্বাস সম্পূর্নভাবে পালটে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পানি সংক্রান্ত বিশ্বাস একবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়। সুতরাং সিরিঞ্জে ভরা সেরাম শরীরে পুশ করে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কিংবা ব্যাক্তিক্ত পালটে ফেলা অসম্ভব না।

 ধরুন এমন কোন ফাংশন বহন করে যেটা আপনার বিশ্বাসে প্রভাব ফেলে, ধরুন কা-ফিররা প্ল্যান করলো সকল মানুষকে এমন ভ্যাক্সিন পুশ করা হবে যার ফলে সকল মানুষ দা-জ্জাল বের হলেই তাকে ইলাহ বলে মান্য করবে,তার অনুসারী হবে। এরকম কিছু করা অসম্ভব লাগেনা যেখানে একটা সাধারন ভাইরাস ধারনা'কে পালটে ফেলতে দেখেছি। আমরা নিশ্চিত নই ওরা কি করছে, তবে যাই করুক সেটাকে ভাল বলে মনে হয় না। 


 ধরুন আপনি ভ্যাক্সিন দিলেন। এখন কোন সমস্যাই ফিল করছেন না, কিন্তু ১০ বছরের মাথায় মারা গেলেন। আপনার সাথে সকল ভ্যাক্সিনেটেডরা টপ টপ করে মারা যেতে লাগলো। ব্যপারটা ভয়ংকর না? 


ডিপপুলেশন প্রোগ্রাম অনুযায়ী ওরা এমনটা করতেই পারে। মোটকথা ওরা কাফির, তারা আমাদের শত্রু, এরা আপনার ক্ষতিই চায়। ওরা শরীরে কিছু ভরতে চাইলে সেটা চোখ বুঝে গ্রহন করা নির্বোধ লোকের কাজ ছাড়া কিছুই নয়।

 সবচেয়ে ভাল হয় রিস্ক না নিয়ে গায়ে সুঁচই না ভরা। এতে কোভিডের সার্টিফিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়।

 যেসব বোনেরা কখনো চাকরি করবেন না,বাসার ভেতরেই গৃহিনী হিসাবে থাকবেন। তাদের ভ্যাক্সিন গ্রহনের জরুরত দেখিনা। তবে ভ্যাক্সিনেশন এর জেনুইন (কৃত্রিম/নকল) সার্টিফিকেট রাখা উত্তম। 


 করোনার মধ্যে দিয়ে এজেন্ডা একুশ জাতিসংঘ ভিত্তিক এই এজেন্ডার মূল উদ্দেশ্যই ছিল জনসংখ্যাকে কমিয়ে একটা টেকসই অবস্থায় আনা। এদের মতে জনসংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। পৃথিবী এর জন্য ভারসাম্যহীন হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীকে ভারসাম্যপূর্ণ করতেই জনসংখ্যা কমাতে হবে। এই লক্ষ্যে তারা এক যুগ আগে থেকে কিছু অদ্ভুত ভয়ংকর বার্তাযুক্ত প্রো-পাগান্ডা ভিডিও প্রকাশ করতে থাকে। এর প্রথমটিতে তারা মনুষ্যজাতির পদচিহ্নকে নিশ্চিহ্ন করার সুস্পষ্ট কথাসহ ভিডিও প্রকাশ করে।

নিচের ভিডিওটা দেখুনঃ

 

এর কিছুকাল পরে আরো একটি ক্ষুদে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে। এতেও একই ম্যাসেজ। তাতে বেশ কিছু বৃদ্ধ নরনারীরা নিজেদের দুনিয়াবি হায়াত ভালভাবে ভোগ করার কথা জানিয়ে বলে, আমরা ভাল মানের একটা জীবন কাটিয়েছি, দুনিয়ার জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে,কিছু একটা অবশ্যই করতে হবে যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটা ভাল জীবন অতিবাহিত করে। এই ভিডিও বার্তায় বোঝানো হয়, বৃদ্ধরা ভালভাবে দুনিয়াবি হায়াত ভোগ করেছে, এখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৃদ্ধদেরকে পৃথিবীর জায়গা ছেড়ে দিতে হবে কারনঃ ওভারপপুলেশন। 

দেখুন নিচের এম্বেডেড ভিডিওটিতেঃ

 

 ওদের ভিডিওবার্তাটা দেখে, বুঝেছিলাম ওরা জনগণ বিশেষ করে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় দেবার জন্য কিছু একটা অবশ্যই করবে। তবে তাদের মূল আকাঙ্ক্ষা ৯০% জনসংখ্যা নিশ্চিহ্ন করা। 

শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সে এজন্য একটা গাইডলাইন লিখিয়েছে জর্জিয়ায়, যেটাকে গাইডস্টোন অব জর্জিয়া বলে। 

এতে স্পষ্টভাষায় বর্তমান জনসংখ্যার ৯০% নিশ্চিহ্ন করে দুনিয়াকে টেকসই করার কথা উল্লেখ করা আছে। 

২০১৯ সালের শেষে আগত করোনা ভাইরাস বিশ্বে মৃত্যুহার কাদের বেশি দেখছেন? জ্বি অবশ্যই বৃদ্ধদের। তাহলে কি এই রোগটি এজেন্ডা ২১ এরই বায়োওয়েপন? 

ওয়াআল্লাহু আ'লাম। 

তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন। এটা একদম জোড় জবরদস্তি করেই দেয়া হচ্ছে,যেখানে এ রোগে মৃত্যুহার একদম কম। ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে জনগণকে। আপনি অফিসে যেতে পারবেন না,স্কুলেও যেতে পারবেন না। সামনে হয়ত সব জায়গায় Qr code scanner বসাবে ভ্যাক্সিন কার্ড ভেরিফাই করার জন্য। বেলজিয়ামে লক্ষ জনতা এই শয়তানি বুঝে পথে নেমেছে। পুলিশের সাথে দাঙ্গা হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে এসব কেউই কিছু করার সাহস করবেনা। নিচের ভিডিও ২টি দেখুন।   

ভিডিও ১



 ভিডিও ২

 

কাফিররা মানবজাতির দুশমন, এরা শয়তানের গোলাম। ফলে এদের কার্যক্রমের ব্যপারে 

সন্দেহ সংশয় রাখাই সমীচীন। এটা সাধারন কোন ভ্যাক্সিন নয়।

 করোনা বসন্ত কিংবা প্লেগের মত বিভৎস কোন রোগ না, যেটা হলে মানুষের শরীর পচে গ্যাংরিন হয়ে মাংস খুলে পড়তো। সেসব রোগের টিকাও RNA না, করোনার মত ফ্লু রোগের টিকা আরএনএ এর মত হওয়ার কোন মানে পাইনা। ধরুন একটা কম্পিউটার এর মাদারবোর্ড এর মসফেটে সমস্যা, সেখানে আপনি যদি প্রসেসর এর সকেটটা খুলে বাদ দেন, সেটা বাড়াবাড়ি। যদি এই ভ্যাক্সিন সাধারন ভ্যাক্সিনের অনুরূপ হত, আমি এর বিরুদ্ধে এত বেশি বলতাম না, কিন্তু এটা সাধারণ কিছু না। 


আপনার ফোনের ফার্মওয়্যারে যেরকম কোন সফটওয়্যার আনইন্সটল করা যায়না, তদ্রুপ এই mRNA একবার পুশ করলে সেটার ম্যাসেজ(m) বিকল করার উপায় নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি ধরনের ম্যাসেজ শরীরে পুশ করছে? হতে পারে স্টেরেলাইজেশন এর সেরাম, অর্থাৎ আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা/সন্তানজন্ম দেওয়া নস্ট করে দেবে, সহজ কথায় আর সন্তান হবেনা, রোগ হলে সহজে ভালো হবে না বা দীর্ঘমেয়াদি সময় লাগবে। হতে পারে এটা ভবিষ্যতে অন্য কোন মরণরোগ সৃষ্টিতে সহযোগী ভাইরাস বহন করে। মজার বিষয় হচ্ছে এ কথা অফিশিয়ালি বলা হয় যে ভ্যাক্সিনে সুপ্ত অবস্থায় থাকা করোনা ভাইরাস থাকে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভাইরাস চিনিয়ে দেয়ার জন্য। অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি এই রোগ নাও হয়, আপনার সুস্থ দেহে এই রোগের ভাইরাসকে টিকার মাধ্যমে প্রবেশ করানো হবে। হয়ত এই টিকা কার্যক্রমের আফটারম্যাথ দেখা যাবে আগামী ৫-১০ বছর পর। হতে পারে মানুষ গণহারে মারা যেতে থাকবে কিন্তু কোন কারন খুঁজে পাবেনা। সেদিন দেখি ভারতীয় এক ডক্টর আশংকা করেন এই ভ্যাক্সিন মানুষের ন্যাচারাল ইমিউন সিস্টেম নস্ট করে দিতে পারে। নিচের ভিডিও তে দেখুন-



যদি আল্লাহ প্রদত্ত ইমিউন সিস্টেম বিকল হয়ে যায়, তাহলে মানুষ একদম সাধারন রোগেও মারা যাবে। এই ব্যপারটাই HIV AIDS করত। সুতরাং গায়ে কি ঢোকাচ্ছেন সে ব্যপারে সাবধানতা অবলম্বন আবশ্যক। 

আশ্চর্যজনক ব্যপার হচ্ছে এই ভ্যাক্সিন একবার নয় শরীরে তিন বার(তিন ডোজ) প্রবেশ করানো হচ্ছে, যাতে তাদের উদ্দেশ্য শতভাগ পূরণ হয়। মানে প্রথম ডোজ যদি ব্যর্থ হয় দ্বিতীয় ডোজ আছে, ২য় ডোজ ব্যর্থ হলে ৩য় ডোজ আছে। বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে বৃদ্ধদেরকে! উপরে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায়ের ব্যপারে লিখেছি। টিকা গ্রহনে মৃত্যুর ঘটনা অনেক ঘটছে যা কোন মেইনস্ট্রিম মিডিয়া প্রচার করছে না,স্বাভাবিক ভাবেই করবেনা। গতকাল একটা মৃত্যুর হৃদয়বিদারক স্বজনদের আহাজারি দেখলাম।   


 তাদের ষড়যন্ত্রে পা দিবেন কিনা দিবেন না, সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার। 

আশা করি ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে ধোঁকার বিষয়াদি পরিষ্কার হয়ে গেছে।

যেকোনো ভ্যাক্সিন দেওয়ার আগে যাচাই করে নিবেন, প্রয়োজন না হলে ধারেকাছেও না দূরে থাকবেন। একটা সার্টিফিকেটের জন্য মরে যাবেন না, কৌশলে নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে নিন। 

.পর্ব ২ পড়ুন

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন