ভ্যাক্সিনেশন পর্বঃ ২ (করোনা)

আগের পর্ব যারা পড়েছেন, সহজে বুঝতে পারবেন কি বুঝতে চাচ্ছি,



যেকোনো ভ্যাক্সিন নেওয়ার আগে সতর্ক হন, কার্যকারিতা,পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন।


 ভ্যাক্সিন কার্যকারিতা এবং সময়ের সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়ে অনেকেই প্রকাশ করছে। 

করোনা প্রাকৃতিক নয় মানব সৃষ্ট ভাইরাস 

এমনটাই হওয়ার কথা ছিল, তাদের এ-জেন্ডা বাস্তবায়ন করে পুরো পৃথিবী শাসন করতে হবে তো, দেখুন- 


কিছু স্ক্রীনশটগুলো দিচ্ছি দেখুন এবং বুঝুন-








শিক্ষামন্ত্রী একটা ডোজও বাদ দেননি তাহলে কেন বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন? দেখুন

র পরও কি আমরা বিশ্বাস করব না যে, করোনা জায়োনিস্টদের ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভ্যাক্সিন একটা মরণ ফাঁদ? 


দেখলেন তো ছবিগুলো তে ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর কি কি হচ্ছে...

ভ্যাকসিন নেওয়ার ৪-৮ মাসের মধ্যে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় , কোনো রোগ হলে সহজে ভালো হয় না।

এখন,

আপনাকে যদি প্রশ্ন করি প্রথম দুই ডোজ দেওয়ার পর কেন তৃতীয় ডোজ বুস্টার নিতে হবে??কি বলবেন? একবারও কি ভেবে দেখেছেন? তাছাড়া রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধে কেন করোনায় মৃত সংখ্যা নেমে শূন্য তে আসলো? যেটা তার আগে ছিল মৃত্যুর মিছিল! কেন করোনা হারিয়ে গেল?? এখানে কিছু ধরতে পারলেন কি??


আর যারা ইতিমধ্যে টিকা ভ্যাকসিন নিয়েছেন,তারা ভয় পাবেন না ভরসা রাখুন আল্লাহর উপর, তিনিই রক্ষা করবেন। 

পারলে আজওয়া খেজুর খান কেননা,


হাদিসে বর্ণিত,

সা’দ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

❝তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না।❞

[সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪৪৫]


ভ্যাক্সিনে যদি কোনো বিষ থাকে ইনশাআল্লাহ কেটে যাবে।

ভ্যাকসিন কার্যকারিতা নষ্ট করার কোনো ঔষধ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করতে পারেন। তবে ভালোভাবে যেনে নিবেন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা


 [ যাই হোক আপনি কি করবেন না করবেন এটা আপনার উপর ছেড়ে দিলাম, এগুলো শুনে আপনার কাছে হাস্যকর,উদ্ভোট,পাগলামি মনে হতে পারে। ]


আবারও বলছি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইল, উপকার আপনারি হবে

কার্টেসি- শরীফ আহম্মেদ


ছয় মাসের আগে নবজাতককে বুকের দুধ ছাড়া একফোঁটা পানিও খাওয়ানো যাবে না । 


এই কথা বলে বাচ্চাকে তাহনীক ( জন্মের পর নবজাতকের মুখে খেজুর দেওয়া , আমাদের দেশে সাধারণত মধু দেওয়া হয়) পর্যন্ত করতে দেয়না । বাচ্চার মুখে মধু দেওয়া নিয়ে এক স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে আমার কথাকাটাকাটিও হয়েছে ।


যাইহোক বলছিলাম টিকার কথা , 1974 সালে জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (Expanded Program on Immunization) চালু হয় । 


[যার সহযোগিতায় রয়েছে বিল গেটস , রক ফেলার ফাউন্ডেশন (বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ইহুদি খান্দান) 


বাংলাদেশ এ চালু হয় 1979 সালে ।  


ইপিআই কার্যক্রম চালুর পর থেকেই এতবেশি প্রচারণা চালানো হয়েছে যে , মানুষের ইয়াক্বীন হয়ে গেছে টিকা না দিলে পোলিও হবে , ধনুষ্টংকার হবে , প্রতিবন্ধী হবে এমনকি মারা যাবে । 


অথচ পঞ্চাশ বছরও হয়নি আমাদের পূর্বপুরুষেরা কোন ধরনের টিকা ছাড়াই সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল । পঞ্চাশ বছর আগে না গিয়েও আমরা জানতে পারি , কোনো ধরনের টিকা ছাড়াই মানুষের শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে । যেমন , বর্তমানে পৃথিবীতে আদিবাসী আছে 5000 প্রজাতির মত যাদের মধ্যে 100+ প্রজাতি আছে যারা আধুনিক পৃথিবীর নিয়মকানুন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। শারীরিক দিক দিয়ে আধুনিক প্রশিক্ষিত বাহিনীর মোকাবেলা করতে সক্ষম এরা। মেডিকেল সাইন্স , টিকা দূরে থাক যারা পোশাক কি তাই জানে না ।এদিকে আমাদেরকে এমনভাবে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে যে , কোন হকপন্থি আলেম কিংবা অন্য যেকেউ-ই টিকার বিরুদ্ধে বলবে আমরাই তাকে বোকা , অজ্ঞ,মুর্খ বলে গালি দেয়া শুরু করি । তাকে পচানোর যা যা লাগে তাই করি ।


এই সময়ে চিকিৎসা বলতেই আমরা বুঝি মডার্ন মেডিকেল সাইন্স অথচ , হাদিসের প্রসিদ্ধ কিতাবগুলো চিকিৎসা,রোগী দেখা .... ইত্যাদি অধ্যায়ে বিভিন্ন রোগব্যাধির আলোচনা , প্রতিষেধক রয়েছে । আমাদের মুসলিম ডাক্তার কিংবা আলেম সমাজ আমাদেরকে নববী চিকিৎসা সম্পর্কে বিষদভাবে জানায়নি অথচ , আমাদের দ্বীন শুধু কিছু প্রার্থনা,অনুষ্ঠান কিংবা আচার সর্বস্ব দ্বীন নয় বরং সব কিছুর সমাধান আছে আমাদের দ্বীনে। শারীরিক ,মানসিক , আধ্যাত্মিক সব কিছু-র পরিপূর্ণ সমাধান রয়েছে আমাদের এই দ্বীনে।


 উম্মাহর কিংবদন্তি আলেমদের লিখা ~ তিব্বুন নববী ~ সম্পর্কে আমারা জানি না , আমাদের জানানো হয়নি ।


 রুকইয়াহ করে কঠিন সব ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ সম্ভব যা আমরা জানি না কিংবা বিশ্বাসও করতে চাইনা বরং আল্লাহর কোরআনের চেয়েও যেন আমাদের ইয়াক্বীন আধুনিক মেডিকেল সাইন্স এর উপরে যা গাইবে বিশ্বাসই করে না । 


যাইহোক আমরা আসলে সুস্থ থাকতে চাই না । আমরা বরং তথাকথিত আধুনিক হতে চাই । আমরা নববী লাইফস্টাইল ছেড়ে দিয়ে পশ্চিমা লাইফস্টাইল এ অভ্যস্ত হতে চাই । সুস্থ থাকার জন্য যা যা করা উচিত তার ঠিক উল্টো টাই করে যাচ্ছি আমরা , আর মুঠভর্তি ঔষধ গিলে যাচ্ছি । আধুনিকতার নামে যা যা গ্রহন করেছি আমরা তার প্রায় সবই আমাদের সুস্থতার পথে বাঁধা সৃষ্টি করেছে । 


প্রাকৃতিক মিসওয়াক বাদ দিয়ে প্লাস্টিকের ব্রাশ , টুথপেস্ট ব্যবহার । কাঠ ,মাটি,কাঁচের পাত্র বাদ দিয়ে মেলামাইন, টিন ,স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদির ব্যবহার ।

  • টয়লেট নামক রোগব্যাধি আর দুষ্টু জ্বীন দের কারখানা ঘরের মধ্যে তৈরি করা।


  •  ইশার সালাতের আগে রাতের খাবার না খেয়ে দেরিতে খাওয়া । ইশার পরই দ্রুত না ঘুমিয়ে যেয়ে , রাত জেগে দেরিতে ঘুমোতে যাওয়া।


  • খুব ভোরে ঘুম থেকে না উঠে ,দেরিতে ঘুম থেকে উঠা।সকাল-সন্ধ্যা জিকির না করে সকালে ঘুমিয়ে সন্ধ্যায় আড্ডা মারা ।  


  • হিজামা ত্যাগ করা [ হিজামার বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছে কেউ কেউ অথচ হিজামা রাসুল সাঃ নিজে করিয়েছেন , মিরাজের রাতে ফেরেস্তারা হিজামা করাতে বলেছেন ] 


  • সিরকার বদলে , গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়া। 
  • সাপ্তাহিক ও মাসিক সিয়াম না রাখা। 
  • পেটপুরে খাওয়া ।
  • কালোজিরার ব্যবহার বাধ্যতামূলক না করা
  •  জয়তুন তেল খাওয়া ও গায়ে মাখার বদলে ক্রিম, লোশন , সানস্ক্রিন ব্যবহার করা । 
  • চামড়া বা কাঠের জুতোর বদলে প্লাস্টিকের জুতোর ব্যবহার করা । 
  • মাটি , সবুজ ঘাসের উপর খালি পায়ে না হাঁটা । 
  • কৃত্রিম আলোর স্পর্শে থাকা যা আমাদের জীবনের ছন্দ কে নষ্ট করে দিচ্ছে। 
  • মাছ, মাংস সনাতন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ না করে ফ্রিজে রাখা । 
  • ফ্রিজ , এসি, অ্যারোসল , সাবান , ডিওডোরেন্ট এর বহুল ব্যবহার। 
  • লাকড়ির চুলা ব্যবহার না করে মাইক্রোওয়েভ ওভেন , ম্যাজিক কুকার এ রান্না করা । 
  • ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেগুলো থেকে ক্ষতিকর রেডিয়েশন বের হয় , এগুলোর ব্যবহার করা 
  • ওয়াইফাই রাউটার , মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি , ব্লুটুথ সহজ কথায় ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন যা আমাদের জীবনকে আরাম দেওয়ার সাথে সাথে রোগব্যাধিও দিয়েছে। 


হারামের সয়লাব আমাদেরকে সবদিক দিয়েই অসুস্থ করে দিচ্ছে। হারাম খাবার ,হারাম মিউজিক ,হারাম সম্পর্ক ,হারাম উপার্জন, কুফুরি বাক্য শ্রবণ , কুফুরি অনুষ্ঠান দেখাও অসুস্থতার জন্য দায়ী কেননা , শারীরিক সুস্থতার সাথে আধ্যাত্মিকতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত এজন্যই রুকইয়াহ করলে জ্বীন পরীর সমস্যা থেকে মুক্তি ছাড়াও শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত হয় । 


এত লম্বা আলোচনার বিষয়বস্তু একটিই , শারীরিক সুস্থতা শুধু শারীরিক অবস্থার উপরই নির্ভরশীল নয় বরং শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই তিনটির সম্মিলিত অবস্থার উপর নির্ভরশীল আর এই তিনটি অবস্থার একমাত্র সমাধান রাসুল সাঃ এর আনিত দ্বীনুল হক্বের পরিপূর্ণ অনুসরণ । 


[এই লেখাটির উদ্দেশ্য ~তিব্বুন নববী গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা , আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিরোধিতা নয় বরং নববী চিকিৎসা ও সুন্নতি জীবনই আমাদের সুস্থতা নিশ্চিত করবে একই সাথে আধুনিক মেডিকেল সাইন্স এর পিছনে দৌড়ানো থেকে দিবে মুক্তি ~ ইনশাআল্লাহ ]


___________ 

আপডেটঃ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


শুনলাম প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রাইমারি স্কুল) গুলোতে নাকি ছোট ছোট বাচ্চাদের ক-রোনা ভ্যা-ক্সিন (টিকা) দেওয়া হবে।

তথ্যসূত্র- দেখুন

 করোনা আর নেই পৃথিবীর কোথাও,তাই ভ্যাক্সিন (টিকা) নেওয়াও প্রয়োজন নেই। এটা অবশ্যই জ্ঞানীরা বুঝবে কেন বলেছি।

যেখানে অন্যান্য মহামারীর [যেগুলো আগে হয়েছিল] ভ্যা-ক্সিন (টিকা) আবিষ্কার করতে বছরের পর বছর লাগছে (৫ বছর/৫ বছর+ সময় নিয়েছে ভ্যা-ক্সিন (টিকা) আবিষ্কার করতে ) সেখানে করোনা ভ্যাক্সিন (টিকা) ১ বছর শেষ হওয়ার পরপর আবিষ্কার করে ফেলেছে!! এটা অবশ্যই সন্দেহ করার মতো।


বিজ্ঞানীরা এটাও দাবি করেছিলেন যে, অতীতের মহামারীর তুলনায় এটা অনেকটাই ভিন্ন এবং শক্তিশালী!!! যেহেতু এমটাই দাবি করেছে এতেই বুঝা যায় ভ্যা-ক্সিন (টিকা) আবিষ্কার অনেক সময় নেওয়া কথা সেখানে তারা একবছরের মধ্যে আবিষ্কার করে ফেলেছে!!!? এমন কি অনেক ডাক্তাররাও ভ্যাক্সিনের (টিকা) বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। আমি আপনি কি ডাক্তারদের থেকেও বেশি জানি/ বুঝি?? অবশ্যই না।


এখানে রহস্য তো অবশ্যই আছেই?


ইতিমধ্যে বারবার সতর্ক করেই যাচ্ছি যে, মানবসৃষ্ট মহামারীর (করোনা চীনের তৈরি দাবি আম্রিকার) এবং ভ্যাক্সিন (টিকা) সবই ইহু-দিদের তৈরি ষড়-যন্ত্র পৃথিবীর জনসংখ্যা কমানোর বিকল্প পদ্ধতি।

 ছোট একটা কথা জানিয়ে রাখতে চাই , গুপ্ত সংগঠন ইলুমিনাতির নাম অবশ্যই শুনেছেন? তাদের উদ্দেশ্য পৃথিবীর জনসংখ্যা কমিয়ে ৫০ কোটি বা তারচেয়ে আরো বেশি কমিয়ে আনা। যাতে সম্পূর্ণ পৃথিবী শাসন সহজে করতে পারে। 


আরেকটা বিষয় লক্ষ্যে করুন ভ্যা-ক্সিন (টিকা) সফল না হওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে এক ঢিলে দুই পাখি মারার!!?

১. তাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হলো!!

২. মানুষও কমলো!

আসন্ন দিনগুলো আরো ভয়াবহ হবে,সবাই সতর্ক হোন,অন্যকেও সতর্ক করুন।


আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. Accha Ami o 2020-21 e Tika niyechilm.tarpor theke Mone hoto kmn Jani ager tulonae roga hoye gechi.besh kichu rog cepe dhorse.
    Accha ekhn ki korbo ? Amr poribar er sobai I 2 dose porjonto niye frlse .ekhn koroniyo ki ?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনারা টিকা নেওয়ার পর যে সমস্যাগুলো হচ্ছে তার চিকিৎসা নিন। পুষ্টিকর খাবার খান। আগামীতে টিকার ব্যপারে সতর্ক থাকুন।

      মুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন