জন্মনিয়ন্ত্রন পিল আত্ববিধ্বংসী এক মারণাস্ত্র


বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে। মুসলিম দেশে এ দিবসে অনুষ্ঠান হয় জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতিকে উতসাহিত করতে। কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রনের ক্ষতিকর দিক তারা বলেনা।


পরিবার পরিকল্পনার সাথে যে বিষয়ের সম্পর্ক রয়েছে তার নাম ‘নিয়ন্ত্রণ’। আরেকটু সহজ করে বললে, “জন্ম নিয়ন্ত্রণ”। এর জন্য রয়েছে “ক্যাফেটেরিয়া অফ চয়েস”। মানে নিয়ন্ত্রণের একগুচ্ছ পদ্ধতি। সেখান থেকে জেনে বুঝে নিজেদের পছন্দ মত পদ্ধতি বেছে নেয়া। 


তো যেসব পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো হল- পিল, ফোম, ট্যবলেট, নরপ্লান্ট, ইনজেকশন, লাইগেশন (টিউবেকটমি), কপারটি, ভ্যাসেকটমি (for male), কনডম (for male), আইইউডি, ল্যাম (LAM)।


পরিসংখ্যান বলছে,  বাংলাদেশে শতকরা ৫৬ ভাগ দম্পতি জন্ম নিরোধের জন্য খাবার বড়ি ব্যবহার করেন।এই পিলের বিজ্ঞাপনে বলা হয় “স্বল্প মাত্রার” জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল যা সম্পূর্ন “পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন!”


এই যে বলা হয়ে থাকে স্বল্প মাত্রার জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল। এবার আমার জানার জায়গা টা হলো, সাধারণ মাত্রাটা কত? আর “পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন” হলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে? 

______


কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা জন্ম বিরতিকরণ পিল তৈরি হয় এসট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরোন নামক দুই ধরনের হরমোন দ্বারা। এসস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন সমন্বিত পিল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এসস্ট্রোজেন সব সময়ই রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এসস্ট্রোজেন মায়ের দুধের পরিমান কমিয়ে দেয়, ফলে শিশু খেতে পায় না। 


এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রন পিল- বমি বমি ভাব, বমি হওয়া

মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা, স্তনে ব্যাথা,বিষণ্ণতা,চুল পড়ে যাওয়া,যৌন শক্তি কমে যাওয়া- মাসিকের সময় পেট ব্যাথা হওয়া,পেট কামড়ানো। পায়ের গোশত পেশিতে যন্ত্রণাদায়ক খিল। অনিয়মিত রজঃস্রাব, সাদা স্রাব

যোনি ও যোনি মুখে ক্যানডিরার আক্রমণ। ওজন বেড়ে যাওয়া। চর্বি বেড়ে যাওয়া। প্যানক্রিয়াটাইটিস, গলব্লাডার স্টোন।গ্লাইকোসুরিয়া, উচ্চ রক্ত চাপ

রক্তনালি তে রক্তের জমাট বেঁধে যাওয়া।জরায়ুতে ফাইব্রয়েড নামক টিউমার হওয়া।স্তনের ক্যান্সার 


পিল খাওয়ার প্রভাবঃ

মেদ বাড়িয়ে শরীর ভারি ও অসাড় করে দেয় । বেশি দিন ধরে খেতে থাকলে একটা পর্যায়ে শরীরে সারাক্ষণ ক্লান্ত অনুভূত হয়। প্রতিনিয়ত খাওয়ার প্রভাবে মেয়েদের জরায়ুর আকার ছোট হয় ।

 মেয়েদের মাথা ঝিমঝিমানির বড় কারণ নিয়মিত এসব পিল সেবন । নিয়মিত ৫ বছরের বেশি সময় খেতে থাকলে পরবর্তীতে মেয়েদের সন্তান ধারণে অক্ষমতা দেখা দেয়। এসব পিল বেশি বেশি খাওয়ায় মাঝে মাঝে ঘুম থেকে ওঠার পর মেয়েরা শরীরে চলাফেরার মতো শক্তিও হারিয়ে ফেলে। নিয়মিত ও দীর্ঘদিন জন্ম বিরতিকরন পিল খেলে সার্ভাইকাল ক্যান্সার সহ স্তন ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।


 এই জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়ার পর গর্ভধারণে দেরি হয়। এইচআইভি/এইডস সহ যৌন সংক্রামক অসুখ প্রতিরোধে কোনো কার্যকরী ভূমিকা রাখে না।তাই জন্মনিয়ত্রন পদ্ধতি বর্জন করুন, সুস্থ্য থাকুন। 



জন্মনিয়ন্ত্রন পিল/বড়ি খাওয়ার অপকারিতাঃ

বেশির ভাগ মেয়েই জন্মনিয়ন্ত্রন পিল খায়।

 জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য পিল খাওয়া মেয়েদের কাছে

একটি সাধারন ব্যাপার, তাছাড়া মাসিক ঠিক করার

জন্য ও অনেক সময় অবিবাহিতা মেয়েরা পিল খায়। কিন্তু এই পিল সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব কম। একজন মেয়ের জন্য পিল কখনোই ভাল কিছু না বরং 

একটা মেয়ের জীবনকে ধিরে ধিরে শেষ করতে 

এই পিলই যথেষ্ট।


কি কি সমস্যা হতে পারে পিল খেলেঃ

হার্ট হ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৩৫ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের কখনোই পিল খাওয়া উচিত না কারণ এতে হার্ট এট্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


পিলে লেভেনোগ্যাস্ট্রেল ও ৩০ মিলিগ্রাম ইস্ট্রোজেন থাকে, যেসব মেয়েদের মাইগ্রেন থাকে তারা যদি পিল

কন্টিনিউ করে তাহলে তাঁদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি

থাকে। আর মাথা ব্যথা কমবে না।


 উচ্চ রক্তচাপের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল 

পিল সেবন। যারা বেশি পিল খায় তাদের ভেনাস

থ্রোম্বোএম্বলিসম নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশি মাথা ব্যথা হয়।হতাশার একটি কারণ ও হল অতিরিক্ত পিল খাওয়া।


 খিটখিটে মেজাজ ও দেখা যায় পিল খাওয়ার কারণে।

বমি বমি ভাব এবং বমি হয়, ব্রেস্টে অনেক ব্যথা হয়,সাদা স্রাব হয়,জরায়ু সিস্ট ও জরায়ু টিউমারও হতে পারে। স্তন ও জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

পিল খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যায়। ১ বছরের বেশি পিল খেলে তাদের গ্লুকোমা হয়। দীর্ঘদিন পিল খেলে ধীরে ধীরে একটি মেয়ে জটিল রোগের দিকে ধাবিত হয়। 


সুতরাং যত কম পিল খাওয়া যায় একটা মেয়ের

জন্য তা ততই মঙ্গলজনক। নিয়মিত না খেয়ে কিছু

দিন গ্যাপ(দুই তিন মাস) রেখে রেখে খেতে পারেন,যদি আপনার বেশি প্রয়োজন মনে হয়।

তবে না খাওয়াটাই উত্তম।


লিখেছেনঃ রোকসানা ইয়াসমিন রোকেয়া  



[ বিঃদ্রঃ দাজ্জালের এজেন্টরা চাইবে আপনি কম বাচ্চা নেন অথবা,একটাও না নেন। যাতে করে ইহুদিদের স্বপ্নের নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার স্থাপন করে পুরো পৃথিবী শাসন করতে কোনো বাঁধা না থাকে। 


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অধিক প্রেমময়ী, অধিক সন্তানদাত্রী রমণী বিবাহ কর। কারণ, আমি তোমাদেরকে নিয়ে কিয়ামতে অন্যান্য উম্মতের সামনে (সংখ্যাধিক্য নিয়ে) গর্ব করব।

[আবূ দাঊদ ২০৫২, নাসাঈ ৩২২৭, মিশকাত ৩০৯১, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৩ ৮৩] 


আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কুরআনে বলেছেন, প্রত্যেক প্রাণীকে রিযিক দান করেন।

আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র কুরআনে বলেছেন, ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন।


অতএব প্রিয় বোনেরা বুঝতে পারতেছেন একটা সুসন্তান,সিংহ শাবক পশ্চিমা ইহুদিদের জন্য কতটা ভয়ের কারণ। 


তাই বলবো, বোন রিযিক আল্লাহ দিয়ে থাকেন,রিযিকের কথা বলে বাচ্চা নেওয়া থেকে দূরে থাকবেন না। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া মাত্রই যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন। 

আর হে জন্মনিয়ন্ত্রণ কোনো সমাধান নয় এতে আপনার শারীরিক যেমন ক্ষতি হবে তেমনি জরায়ুতে জটিল সমস্যার শুরু হবে। শুধু জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ না, আপনি যেই ঔষধ খান না কেন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিবেন। 

Last Era Analysis

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন