রাষ্ট্র ও ধর্ম নিয়ে নাস্তিক,সেক্যুলারদের যত সমস্যা ও সমাধান | পর্ব ১

 


ক্ষুদ্র মানুষ হয়ে বৃহৎ একটা সমস্যার সমাধান করব বলে স্বপ্ন দেখেছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কবুল করলেই হলো।


আজকে একটু হিন্টস দিচ্ছি। পরবর্তীতে সিরিজ আকারে বিস্তারিত লিখব। অথবা বছর দেড়েক আগে এই সমস্যাটা নিয়ে যে বইটা লিখে রেখেছিলাম সম্ভব হলে ওটা প্রকাশ করাব কাউকে দিয়ে। ইনশাআল্লাহ।


দু'দিন পর পর নির্দিষ্ট একটা তর্ক উঠে আসে। হয় কোনো সেকুলারের মৃত্যুর শেষ কৃত্য নিয়ে অথবা কোনো উৎসব-পার্বনে অথবা 'মানবিক' সাহায্যের দোহাই দিয়ে।


কখনো সংস্কৃতিকে, কখনো জাতিত্বকে, কখনো মাতৃভাষাকে, কখনো জাতীয়তাকে, কখনো বাঙালিত্বকে, কখনো রাষ্ট্রকে, কখনো রাজনীতিকে, কখনো মানবতাকে, কখনো 'অসাম্প্রদায়িকতাকে' ধর্ম তথা ইসলামের বিপরীতে দাঁড় করানো হচ্ছে।


বলা হচ্ছে–ধর্মকে এক পাশে রেখে বা ব্যাক্তিগতভাবে চর্চা করে ওপরের বিষয়গুলো সার্বজনীনভাবে চর্চা করা উচিত। আরও বলা হচ্ছে–রাষ্ট্র ধর্মের প্রভাবমুক্ত থাকবে, সংস্কৃতি চর্চায় ধর্ম বাঁধা হতে পারবে না, ধর্মীয় পরিচয়ের আগে জাতিত্বের পরিচয়, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, মানবতার প্রশ্নে ধর্মীয় বিভেদ ভুলে যেতে হবে।


কী একটা প্যাচ দিল! নিশ্চিতভাবে কুপোকাত হয়ে নিশ্চুপভাবে কথাগুলোকে হজম করতে হবে। একটু নড়াচড়া করে পালটা জবাব দেওয়ার জায়গাটুকুও নেই। ধর্মকে গুরুত্বহীন করতে এটা যে খুব সূক্ষ্ম একটা চাল এতে কোনো সন্দেহ নেই।


আপনারা কী খেয়াল করেছেন, ঘুরে-ফিরে এই একই বিষয় বার বার সামনে এসে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে?


তর্কটা কখনো পহেলা বৈশাখ নামে হচ্ছে, কখনো সংস্থার নামে, কখনো কুরবানিকে ঘিরে, কখনো নারী ফুটবল দল তথা নারীর অগ্রযাত্রা নিয়ে, কখনো সংগীত চর্চার নামে, কখনো বিজ্ঞানের নামে, কখনো সমকামিতার নামে, কখনো শিক্ষা ব্যবস্থার নামে। লম্বা ফিরিস্তি। শেষ হবে না। মূলে কিন্তু ওই একটাই ভিত্তি–ধর্ম বনাম অধর্ম। অর্থাৎ ধর্ম ব্যাক্তিগতভাবে চর্চার জিনিস। পাবলিক লাইফে এটাকে টেনে আনা যাবে না।


এই তর্কটা শেষ হবে না যদি গোঁড়ায় না হাত দিই। রোগটা আদৌ ধরতে পারিনি। ফলে সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। এজন্যই বছরের পর বছর এতো লেখালেখি, এতো বয়ান, এতো সতর্কবার্তা দিয়েও একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরোনো তর্কটা শুরু হয়।


বার বার পেয়ালা ধুয়ে এনে লাভ হচ্ছে না। কারণ কলসির পানিটাই নোংরা। তাই পেয়ালাতে ঢাললে ময়লা পানিই পাচ্ছেন।


এমন না যে শুধু বাংলাদেশেই এমনটা হয়; বরং সারা বিশ্বে প্রতিটি ধর্মের মানুষ এই সমস্যাটার সম্মুখীন হচ্ছে।


যুগ-যুগ ধরে চলছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলছে। এমনকি হাজার-হাজার বছর আগের সেই গ্রিক সভ্যতায়ও (অসভ্যতা) এই তর্কটা চলমান ছিল। স্থায়ী সমাধান নেই। এই সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান কারও কাছ থেকে এসেছে আমি অন্তত দেখিনি। 


লিখেছেনঃ কারিম শাওন 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন