কাগজের মুদ্রা যে কারণে হারাম



আপনাকে আধুনিক মুদ্রা ব্যবস্থায় বলা হচ্ছে কাগজ একটা কারেন্সি। এটা স্বর্ণের অনুরূপ ছাপানো হয়েছে। 

বিশ্বে যখন স্বর্ণ মুদ্রা ছিলো। তখন আম্রিকা ঘোষণা দিলো সব স্বর্ণ ব্যাংকে মজুদ থাকবে। আর তার সম-পরিমাণ টাকার কারেন্সি বাজারে ছাড়া হবে। 

যেই কথা সেই কাজ। 


কিন্তু বেশিদিন লাগেনি তাদের নিখুঁত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে৷ তারা স্বর্ণের চাইতেও দশগুণ টাকা ছাপিয়েছে। 

যখন এত পরিমাণের ডলার ইউরোপ সহ নানা দেশে গেলো। তখন নানা দেশ যখন এই ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণ চাইলো। 

তখন বাধলো বিপত্তি৷ কারণ যেই পরিমাণে ডলার ছাপানো হয়েছে ঐ পরিমাণ স্বর্ণ রিজার্ভ নেই আমেরিকা


তখন তারা সিদ্ধান্তে পৌছালো ডলারের বিনিময়ে পেট্রোল দিবে। তখন তারা জোর করেই মধ্য প্রাচ্যের পেট্রোল গুলা ঐ দেশ গুলা কে দিতে থাকলো ডলারের বিনিময়ে। তখন পেট্রোল একটা কারেন্সির ভূমিকা রাখে৷ আর এই কারেন্সিটাই পেট্রো ডলার নামে পরিচিত। 


আমেরিকা অস্ত্রের জোরে তার ছাপানো কাগজ গুলাও টাকায় পরিণত হয়ে যায় 


কিন্তু বাংলাদেশের তো এমন ক্ষমতা নেই৷ 

তাহলে বাংলাদেশ কি পারবে কাগজ কে টাকায় পরিণত করতে৷ 

এখন ধরুন বাংলাদেশের ১০ কেজি স্বর্ণ আছে জনগণের মাঝে৷ সব স্বর্ণ ব্যাংকে জমা দিয়ে তার পরিবর্তে এর অনুরুপ কাগজের কারেন্সি দেওয়া হলো। 


মনে করুন ১০ কেজি স্বর্ণের দাম ১ লাখ টাকা। মানে প্রতি কেজি স্বর্ণের দাম ১০ হাজার টাকা৷ এখন কেন্দ্রিয় ব্যাংক ১ লাখ টাকা ছাপালো। 

কিন্তু ধীরে ধীরে কেন্দ্রিয় ব্যাংক অতিরিক্ত কাগজ ছাপাতে থাকলো। 


যখন অতিরিক্ত আরো ৪ লাখ টাকা ছাপালো৷ তখন ১০ কেজি স্বর্ণের দাম হয়ে গেলো ৫ লাখ টাকা৷ 

কেজি হয়ে গেছে ৫০ হাজার টাকা। 


তার মানে যারা স্বর্ণের বিপরীতে টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছিলো। মনে করুন ২০০৮ সালে কেউ ৫০ হাজার টাকা জমা রেখেছিলো। তখন ৫০ হাজার টাকা ৫ কেজি স্বর্ণের দাম ছিলো। 

কিন্তু এখন অতিরিক্ত টাকা ছাপানোর ফলে সে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মাত্র ১ কেজি স্বর্ণ পাবে। 

সে অজান্তেই ৪ কেজি স্বর্ণ থেকে বঞ্চিত হলো। 


আরো সহজে বলি ২০০০ সালের আগে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণ এক ভরি পাওয়া যেতো। এখন যেটা ৯০+ টাকায় পরিণত হয়েছে৷ 

এভাবেই অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে এরা মানুষের সম্পদ গুলা নিয়ে যাচ্ছে। 


আপনি ২০০০ সালে ব্যাংকে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ভরি স্বর্ণ পেতেন। এখন ২৩ সালে পাবেন ১ ভরি স্বর্ণ। আপনি ভাবতেও পারবেন না ২ ভরি স্বর্ণ ওরা কিভাবে হাতিয়ে নিলো। তাহলে যারা ২০০০ হাজার সালে ৯০ হাজার টাকা রেখেছিলো। ঐ টাকার মান এখন ২০ হাজার টাকা৷ 


তো যারা সরকারি পেনশনে টাকা রাখবেন। তাদের হাতে এই মূলা ধরিয়ে দেওয়া হবে। তাই মজুদ রাখুন স্বর্ণ। কেননা স্বর্ণ কেয়ামতের আগ পর্যন্ত বেচাকেনা হবে। 


-আল ইন্তিফাদা

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন