মহিলা মাদ্রাসা উ'ম্মাহর জন্য অশনিসংকেত।
মেয়েদের নিরাপদ হলো গৃহ। আর ১৪-১৫ বছর বয়স হবার আগেই বিয়ে৷।
ইংরেজরা আধুনিক শিক্ষা দিয়ে, বাল্যবিবাহ আইন দিয়ে মেয়েদের বিয়ে আটকে ফেলেছে।
কওমী মাদ্রাসা গুলাও একই পথে হাটছে।
শুধু ইসলামী ফ্লেভার লাগিয়ে।
এই কঠিন ফিতনাময় পরিস্থিতে নারীদের ঘর থেকে বের করার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না।
প্রচলিত ঠুনকো যুক্তি সবাই কী খারাপ। সবাই খারাপ না। অধিকাংশ ই খারাপ অল্পসংখ্যক ছাড়া৷
উ'ম্মাহর শান হলো নারীদের গৃহ অভ্যন্তরে গুটিয়ে রাখা।
উ'ম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ( রা) এর প্রেক্ষাপট, বাস্তবতা কোনোটাই এই যুগের সাথে যায় না। আর উনি ছিলেন আমাদের মা।
আর উনার কাছে হাদীসের যে আমানত গুলা ছিলো। এগুলা পৌছিয়ে দেবার স্বার্থেই উনি হাদীস গুলা উপস্থাপন করেছেন।
কওমী মেয়ে ভালো নাকি জেনারেল ভালো এসব বেহুদা বিতর্ক তুলে লাভ নাই। নারী সব একই হেদায়েত প্রাপ্তা ছাড়া৷
আপনি বিয়ে করবেন হেদায়েত প্রাপ্তা দেখে৷ আর সর্বত্র বিবেচনায় কওমী মাদ্রাসার মেয়েরা জেনারেল থেকে নিরাপদ।
সর্বোচ্চ হলে একটা কওমী মেয়ে ব্যভিচারী হতে পারে। কিন্তু আকীদার ক্ষেত্রে অবশ্যই এগিয়ে। জেনারেল অধিকাংশ ই সেকুলার চিন্তা ভাবনায় প্রভাবিত।
যদিও জেনারেলদের মাঝে অল্পসংখ্যক ভাবধারা রাখে এই আধুনিক শিক্ষা পুরোটাই কুফুরি ও ইসলাম বিরোধী।
আর অধিকাংশ ই লালন করে বাস্তবতা হিসাবে।
এখন মোট কথা হলো জেনারেল নাকি কওমী এসব দেখার আগে দেখতে হবে ১৫ বছর অতিক্রম হবার পরেও ক্যানো মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করছে না।
দুই একটা মাদ্রাসার জন্য আপনি সব মাদ্রাসা কে খারাপ বলতে পারেন না। এসব কুযুক্তি দিয়ে একটা অধঃপতনকে বৈধতা দেওয়া হয়৷
একটা যতই ভালো মাদ্রাসা হোক ফিতনামুক্ত। এগুলা অজান্তেই ফিতনার বীজ রোপণ করে দিচ্ছে। একটা মাদ্রাসার অনুকরণেই একের পর এক মাদ্রাসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর অধিকাংশই অনিয়ন্ত্রিত গতিতে চলছে৷
খিলাফত না আসলে সমাধান হবে না। এসব উদ্ভট ব্যাখ্যা দাড় করিয়ে লাভ নেই। খিলাফত নেই বলেই কী আমরা আমাদের মা বোনদের অনিরাপদ পরিস্থিতে ঠেলে দিব?
আর নিজেদের ট্র্যাডিশনাল মাইন্ডসেট নিয়ে পড়ে থাকলে কিছু করার নেই। অধঃপতন হারিয়ে গেলে কার কি আসে যায়। খুব অল্পসংখ্যক মানুষ বুঝবে। এবং তাদের অধীনস্থ নারীদের শিকলবন্দী করবে।
লিখেছেন-আল ইন্তিফাদা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন