মাইক্রোচিপ ব্রেইন ওয়াশ সতর্কতা এবং বাংলাদেশে মাইক্রোচিপ

 


মাইক্রোচিপঃ

চিকিৎসার নামে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার মাইক্রোচিপ প্রযুক্তি 


ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস (অস্টিন) আবিস্কার করেছে গ্রাফিন ইঙ্ক ট্যাটু, হেল্থ্ মনিটর ।

▶️ আল জাজিরার এই ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন অথবা,





মাইক্রোচিপ নিয়ে নেটফ্লিক্সে একটি ভিডিও রিলিজ করেছে- দেখুন অথবা, 



মাইক্রোচিপ দেখতে কেমন?

চালের দানার চেয়েও ছোট আকারের এই মাইক্রোচিপ হাত বা পায়ের চামড়ার নীচে এমনিতেই বসানো সম্ভব। এতে থাকা বারকোডে রয়েছে কম্পিউটারের সাহায্যে উদ্ধারযোগ্য তথ্য। এ তথ্য সেলুলার স্কিন স্ক্যানারের সাহায্যে পড়া যায়। এই মাইক্রোচিপের প্রস্তুতকারক কর্তৃপ জানান, এটি আপাতত: ব্যবহার ও প্রয়োগ করা হবে মানুষের ব্যবহৃত ওষুধের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া তদারকী, হৃৎপিন্ড, কিডনী, রক্ত, অ্যালার্জি, বা ডায়াবেটিস আছে এমন লোকের শরীরে স্থাপন করে তাদের দেখভাল করার কাজের জন্য। কারণ, জরুরি অবস্থায় মাইক্রোচিপের তথ্য মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। (সবই ভন্ডামি আগেই বলেছি আপনার উপরে নজরদারি বাড়ানো হবে) তাছাড়া আবু ত্বহা আদনান হাফিঃ ওনি অনেক আগেই বলেছিলেন নজরদারি বৃদ্ধি কারা হবে। এবার বুঝে নিন কি হতে যাচ্ছে?



জনবহুল ব্যস্ত ও বিশাল পৃথিবীতে কে কার খোঁজ রাখে? আপনি ব্যস্ত আছেন আপনাকে নিয়ে। অফিসের কাজে ব্যস্ত আছেন। ওদিকে আপনার বৃদ্ধা মা হার্টের রোগী হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। কি সাংঘাতিক টেনশন তাই না? যদি এমন হতো দুটো কাজ এক সঙ্গে সারতে পারতেন? অফিসে বসে থেকেও ফোনে কথা না বলেও আপনি দেখতে পারতেন আপনার মাকে! জানতে পারতেন আপনার মায়ের শরীরের সর্বশেষ খোঁজ খবর। যদি দরকার মতো প্রতিবিধানও দিতে পারতেন অফিসে বসেই। ভারী মজা হতো তাইনা।




জী হ্যা। এমনটাই আপনার প্রিয়জন যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁর অবস্থান এবং কর্মতৎপরতা,নিজ চোখেই এখন দেখতে পাবেন। সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে আপনাকে আর আশঙ্কা , উদ্বিগ্নতার মধ্যে থাকতে হবে না। ছিনতাইকারী , সন্ত্রাসীর হাত থেকে মুক্তি পেতে নগদ টাকা, ক্রেডিট কার্ড সাথে না নিয়েও সারতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় কেনাকাটা। শধু তাই নয়।




বর্তমানে প্রচলিত আপনার নিরাপত্তা , পরিচিতির জন্য যে পাসপোর্ট, আইডি কার্ড রয়েছে তা আপনার কাছে না থাকলেও চলবে। রোগীকে আর যেতে হবে না চিকিৎসকের কাছে। নিজ বাসায় নিজ বিছানায় শুয়ে থাকবেন রোগী। ওদিকে ডাক্তার নিজের চেম্বারে বসেই জেনে নেবেন তার রোগীর শারীরিক অব্স্থা। শুধু কি তাই? চিকিৎসক নিজ চেম্বারে বসেই বাসায় শুয়ে থাকা তার রোগীর প্রয়োজনীয় প্রতিবিধানও দেবেন দূর থেকেই। এ কোন ভেলকি জাদু নয় । একদমই সত্যি। দূরে বসেও মানুষের ব্যাক্তিগত খোঁজ খবর , নজরদারি র কাজটি এতদিন ছিল খুবই কঠিন। 




এ সমস্যার সহজ সমাধান এনে দিলো একটি ক্ষুদ্রাকার মাইক্রোচিপ আর সেলুলার স্কিন। যার সাহায্যে অপহৃত বা হারানো মানুষকেও তাৎনিক খুঁজে বের করা সম্ভব। 




একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই ডাক্তার রোগীর সমস্ত তথ্য পাবে। 

রোগে আক্রান্ত হবার আগেই রোগী পাবে বিশেষ সতর্ক বার্তা।


(এই বিষয়টিই বেশি বেশি প্রচার করে ব্রেইন ওয়াশ করা হবে মানুষকে, যাতে এগুলো নেওয়ার জন্য উৎসাহিত হয়)


সুইডেনে প্রায় চার হাজার মানুষ ইতোমধ্যে এ প্রযুক্তি গ্রহণ করে তাদের শরীরের চামড়ার নিচে মাইক্রোচিপ লাগিয়েছেন।


সুইডেনের এক নাগরিক বলেনঃ

‘মাইক্রোচিপটা লাগানো আছে আমার বৃদ্ধাঙ্গুলের মাথায়। আমি যদি আমার আঙ্গুল মুঠো না করি, তাহলে আপনি এটা দেখতেই পাবেন না। এটা সিরিঞ্জ দিয়ে এখানে ঢোকানো হয়েছে!




এটা আঙ্গুলে ঢোকাতে মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগে। এটা একদম আপনার চাবির ট্যাগের মতোই কাজ করে। যেভাবে আপনি আপনার গ্যারেজের দরজা খুলেন, বা অফিসে ঢোকেন, অনেকটা সেরকম।’ 




সতর্কতাঃ

কিন্তু আপনি কি জানেন এই মাইক্রোচিপের আসল রহস্য??

মাইক্রোচিপ স্থাপনে আপনি চলে যাবেন তাদের হাতের মুঠোয়! তারা নজরদারি বৃদ্ধি করবে আপনার উপরে, তাদের মতো করে চলতে বাধ্য করবে,চাইলে মেরেও ফেলতে পারবে! অবাক হওয়ার কিছু নেই,উপরেই বলেছি তারা আপনার রোগ হতে প্রতিটা পদক্ষেপ নজরে রাখবে! এককথায় আপনি রোবটে (তাদের হাতের পুতুলে) পরিনত হবেন!




গোপন কথাটি রইলো না গোপনেঃ


মাইক্রোচিপের অপব্যাবহার মানুষের জীবনে কি রকম বিরুপ প্রভাব ফেলবে? তা নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছে এখন। আমেরিকার নাগরিক স্বাধীনতা সমিতির প্রশ্ন হচ্ছে এই মাইক্রোচিপ মানুষের শরীরে গোয়েন্দার মতো বসে থেকে মানুষের নিরাপত্তা কমাবে নাকি বাড়াবে? এই চিপ ব্যবহারের ফলে কারও কি মনে হতে পারে তাকে অপরাধীর মতো সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে? যদি এমনটি হয় , তাহলে মানুষের নৈতিকতার প্রতিবন্ধক হবে এই চিপ। কারণ কোথায় আছি , কোথায় যাচ্ছি , কি করছি, এসব বিষয় প্রকাশ হয়ে যাওয়া মানেই তো মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা , নাগরিক স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকছে না। তো আমাদের মাইক্রোচিপ থেকে দূরে থাকাই অতি উত্তম হবে।



সাধু সাবধানঃ (সাবধানতা)

জীবনরক্ষাকারী ও মানুষকে অনুসরণকারী এই চিপ মানুষের মৌলিক কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হলেও অপরাধীরা এই চিপের অপব্যবহারে কসুর করবে না একথা নিশ্চিত। দূস্কৃতিকারীরা তথ্য প্রকাশ করে হীন স্বার্থে ব্যবহার করবে। আইন শৃঙ্খলারকারী কর্তৃপরে উপর পাল্টা এই মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে নজর রাখবে এবং নিজেরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে। 




 


আসলে এগুলো চিকিৎসা বলেন আর মতো অপরাধী ধরা বলেন সবই তাদের সাজানো ফাঁদ ছাড়া কিছুই না। হায়াত-মোউত এর বিষয়টিও মানুষের নিয়ন্ত্রনাধীন হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র একটা মাইক্রোচিপের কারণে!


 নাউজুবিল্লাহ মিন-জালিক। সবই নিয়ন্ত্রন হবে দুর থেকে। রোগী/ মাইক্রোচিপ স্থাপনকারী জানবেও না তার সাথে কি হচ্ছে!


এই দাজ্জালি ফিতনা যুগে সবাই সতর্ক থাকুন,অন্যকেও সতর্ক করুন।


তথ্যসূত্র দেখতে- ক্লিক করুন


বাংলাদেশে মাইক্রোচিপ 

এই প্রযুক্তি তো অনেক আগেই তৈরি করা হয়েছে, এখন কোনো একটি উপলক্ষ্য করে সবার জন্য এটির ব্যবহার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, সেই চেষ্টাই চলছে। এই শব্দগুলো বার বার আমাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে ,এগুলির ব্যবহারের ভালো ভালো দিক সম্পর্কে আমাদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে, 

আমরা যেন এগুলি স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবহার করি



এই দশ কিংবা 7 বছরে এত পরিবর্তন হবে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, 

বাংলাদেশের মানুষকে অনেক আগে থেকেই RFID চিপের গল্প শুনিয়েছে, তখন তারা বলছিলো এটি বাংলাদেশে আসতে আসতে আমাদের সময় পেরিয়ে যাবে। অনেক সময় আছে!

অথচ এখন?? নিউজ'টি পড়তে পারেন। সব কিছুই ঠিক আছে কেবল মাত্র নাম পরিবর্তন করে কার্য হাসিল করা হচ্ছে; (যেটি দেশ উন্নত করার নামে আমাদের সাথে ব্রেইন ওয়াশ করা হচ্ছে)


যেমন আমরা সবাই জানি, সকল প্রকার ব্যাংক হারাম এবং এতে সুদের কারবার হয়, 

তাহলে এখন উপায় কি আলেমদের এই ছাতার নিচে আনতে; নাম পরিবর্তন করে এখন ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক এটি হালাল এবং সুদ মুক্ত এটা সবাই ব্যবহার করতে পারেন ? 


তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী তারা কাজ করে যাচ্ছে.... আর আমরা ভাবছি আমাদের দেশ কত উন্নত হচ্ছে, হাইরে বোকা মানুষ! 

আমাদের এই ঘুম মনে হয় বড়ো কোনো ধাক্কা ছাড়া ভাঙ্গবে নাহ্।


আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন