ভারতের ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের মূল মেরুদণ্ড বাংলাদেশ। কারণ চিকেন নেক ( শিলগুড়ি করিডোর) বন্ধ হয়ে গেলে ভারত একটি বিচ্ছিন্ন দেশে পরিণত হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ভারতের চোখে জীবন মরণের সীমানা। এটা কোনো ছেলে খেলা না বাংলাদেশের ক্ষমতায় যে খুশি আসবে ভারতের সমর্থন ছাড়া।
আম্রিকার হুংকার যতই দিক ভারত তার অবস্থানে অনড় থাকবে। কারণ এটা যতটা না বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তার চাইতে বেশি ভারতের স্বার্থ জড়িত আছে৷
ভারত কখনো তার দুর্বলতা চিকেন নেক কে অরক্ষিত রেখে পরাশক্তি হতে পারবে না। এই হিসাব যারা বুঝে৷ তারা জানে আরেকটা যুদ্ধের প্রয়োজন হলেও ভারত করবে তার অস্তিত্ব হুমকি মুক্ত রাখতে।
করিডোর, ট্রানজিট, বন্দর ইত্যাদি দিয়ে ভারত অঘোষিত ভাবে তার মিলিটারি জোন কে নিরাপদ করেছে৷ বাংলাদেশের সাথে সামরিক চুক্তির উদ্দেশ্য এটাই বাংলাদেশ যদি তার হাত ছাড়া হয়ে যায়। সে বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে৷ আর হস্তক্ষেপ করাটাও তার জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। কারণ সেভেন সিস্টার অক্ষত রাখতে বাংলাদেশের বিকল্প নেই৷
আম্রিকা আওয়ামী লীগ কে উৎখাত করতে পারবে না। আর আম্রিকার মত একটা পরাশক্তি এতদিন লাগে না একটা সরকার কে মাইনাস করতে। আম্রিকা আওয়ামী লীগ কে উৎখাত মানে ভারত কে উৎখাত। আর এই সমীকরণে আটকে আছে বলেও আওয়ামী লীগ আম্রিকা কে ভয় পায় না। কারণ বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতারা জানে তার পায়ের নিচে মাটি আছে।
যা হোক যারা ভাবে আন্দোলন দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে। তাদের বলি বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হতে পারে৷ কিন্তু ভারত নীতির পরিবর্তন হবে না৷
যেই ক্ষমতায় আসুক। ভারতের প্রজেক্টে যেতেই হবে। তাই দিবা স্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন।
লিখেছেন- আল ইন্তিফাদা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন