ইউটিউবার যেভাবে সমাজে ইউটিউমার সৃষ্টি করছে

 


ফেনীতে একজন ইউটিউবারের আগমনে সেখানকার তরুণ প্রজন্ম হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। এতে আমাদের অনেকের চোখ কপালে উঠে গেছে।


অথচ এই বাস্তবতা আমরা টের পেয়েছি বহু আগেই। আলিম ও মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা তরুণদের 'ভাষা' বুঝতে না পারা এবং কার্যকরী পন্থায় তাদেরকে রিচ করতে না পারার ফলাফল এটা। মসজিদে তরুণদের আনাগোনা দেখে আমরা যারা ভাবছি, দ্বীন বুঝি প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে, এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।


আপনাকে প্রজন্মের 'পার্টস' বুঝতে হবে।

এই প্রজন্ম নামাজ পড়ে, আবার রিলেশানও করে। হুজুরদের ওয়াজ শোনে, আবার টিকটকও বাদ দেয় না। সুদখোর বলে গালি দেয়, আবার বিভিন্ন 'সেভিংস' একাউন্টও খোলে। বোরকা পরে কলেজে যায়, এক ডজন প্রেমও করে।


এদের প্রয়োজন 'সোহবত' আর 'স্বচ্ছ ইলম'। দু-চার ঘন্টা ওয়াজ করে এদেরকে পরিবর্তন করার স্বপ্ন দেখা বাদ দিন। ওয়াজ এরাও পারে। এদেরকে কাছে টেনে সময় দিন। প্রতিটি মহল্লা মসজিদে, মাদরাসাগুলোতে এদের ইলম শেখার ব্যবস্থা করুন। আলিমদের সংশ্রব পেতে সাপ্তাহিক ইসলাহি প্রোগ্রাম করুন। প্রত্যেক যুবককে পার্সোনাল কিছু সময় দিন। পরিচিত হোন, সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।


~ উস্তাদ আবুল হাসানাত কাসিম হাফিযাহুল্লাহ

_________ 


 ঘটনাটি ঘটেছে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ এ। 

এখান থেকে স্পষ্ট যে আমরা আমার মুখে মুখে ইসলাম বলে কি লাভ হচ্ছে? আমাদের নফস ঠিক রাখতে পারি না! আমাদের সবাইকে আল্লাহ সেলিব্রিটি নামক অন্ধকার পথে থেকে সঠিক পথে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন