পর্ব ৩ঃ খাজারিয়দের ইতিহাস ও কারেন্সিওয়ার

ছবিতে খাজারিয়দের তৈরি world government 


খাজারিয়ান মাফিয়া , বিশ্বের বৃহত্তম অপরাধ সিন্ডিকেট। যে খাজারিয়ানরা তাদের ব্যাবিলনীয় মানি-ম্যাজিক স্থাপন করেছিল ।

বর্তমান খাজারিয়ানরা জানে যে এটি গোপনীয়তা ব্যতীত পরিচালনা করতে বা অস্তিত্ব রাখতে পারবে না এবং তাই ইতিহাসের বইগুলি থেকে এদের ইতিহাসকে পুরোপুরি অনুপস্থিত রাখার জন্য এরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে যাতে নাগরিকরা এদের সম্পর্কে জানতে না পারে ।


আমি এই নিবন্ধে খাজারিয়দের এই হারিয়ে যাওয়া, গোপন ইতিহাস এবং তাদের বৃহত্ত আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধ সিন্ডিকেটকে পুনরুত্থান করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি অতি অতি সংক্ষিপ্তভাবে। কারন এটা এত বিশাল একটি গল্প যে এটি লিখতে গেলে একটি বড়সড় বই লিখতে হবে।


খাজারদের এই গোপন ইতিহাসটির পুনর্গঠন করা অত্যন্ত কঠিন এবং বিপজ্জনক কাজ, সুতরাং দয়া করে কোনও ছোটখাটো ভুল বা ত্রুটিগুলি ক্ষমা করুন যা অনিচ্ছাকৃত ।


২০১৪ সালের ১লা ডিসেম্বরে সিরিয়ার দামেস্কে কাউন্টার টেররিজম এবং ধর্মীয় উগ্রতা বিষয়ক কনফারেন্সে ১ম বারের মত গবেষকরা এ বিষয়ে উম্মুক্তভাবে আলোচনা করেন। এবং সারা বিশ্ব শিউরে উঠে। যদিও আমি এবিষয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে জানতাম। তবে এতদিন সেটা গোপন রেখেছিলাম। কেন গোপন রেখেছিলাম সেটা এই লেখা পড়লেই বুঝে যাবেন।

100-800 খ্রিস্টাব্দ – খাজারিয়ায় (এখনকার জর্জিয়া) একটি অবিশ্বাস্যভাবে দুর্বৃত্ত সমাজের উত্থানঃ

খাজারিয়ানরা এমন এক জাতিরূপে বিকশিত হয়েছিল, যেখানে একজন দুষ্ট রাজা শাসিত ছিল, যারা প্রাচীন ব্যাবিলনীয় কালোযাদু জানত, এই সময়ে, খাজারিয়ানদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো তাদের চোর, খুনি, রাস্তা ডাকাত হিসাবে চিহ্নিত করেছিল।

খাজারদের একপাশে ছিল মুসলিম পারসিয়ান এবং আরেক পাশে ছিল খৃষ্টান রাশিয়া। যখনই কোন ব্যবসায়ীরা পারস্য থেকে রাশিয়া কিংবা রাশিয়া থেকে পারস্য ভ্রমন করত খাজারের ভিতর দিয়ে এরা সবাইকেই খুন করে লুটপাট করত অনেকটা আমাদের উপমহাদেশের ঠগী দের মতই। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল আশে পাশের সবগুলি দেশ।


৭৪৮ খ্রিস্টাব্দ - রাশিয়ান ততকালীন জার শেষমেশ খাজার আক্রমন করে উপায় না পেয়ে কারন অনেকবার তাদেরকে আল্টিমেটাম দেয়ার পরেও তারা তাঁদের লুটপাট থামায়নি। রাশিয়ার ব্যপক আক্রমনে পর্যুদস্ত হয়ে খাজারিয়ান রাজা গ্রেফতার হলোে রাশিয়ানরা তাঁকে ধরে রাশিয়ায় জারের কাছে নিয়ে যায়। জার তাঁকে ৩ টা অপশন দেন প্রান বাচানোর জন্য ।

তাকে আব্রাহামিক তিনটি ধর্মের যে কোন একটি কে বেছে নিতে হবে এবং শয়তানের উপাসনা, কালো যাদু পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং এটিকে তার সরকারী রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে গড়ে তুলতে হবে এবং সমস্ত খাজারিয়ান নাগরিককে এটি অনুশীলন করার প্রয়োজন হবে এবং সমস্ত খাজারিয়ান বাচ্চাকে সামাজিকীকরণ করতে হবে ।

খাজারিয়ান রাজা এক্ষেত্রে কৌশল আবলম্বন করে, সে চিন্তা করে দেখে তার একপাশে মুসলিম দেশ ইরান এবং আরেকপাশে খৃষ্টান দেশ রাশিয়া যারা দুটোই তাঁদের শত্রু।

সে ভেবে চিন্তে ইহুদি ধর্মকে বেছে নিয়েছিল এবং রাশিয়ার জারের নেতৃত্বাধীন দেশগুলির আশেপাশের সংঘবদ্ধ দেশগুলির দ্বারা আবশ্যকীয় প্রয়োজনীয়তার মধ্যে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 

তাঁর চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও খাজারিয়ান রাজা এবং তাঁর অভ্যন্তরীণ জনগন প্রাচীন ব্যাবিলনীয় কালো-যাদুকে অনুশীলন করে চলেছিল, যা গোপন শয়তানবাদ নামে পরিচিত। এই গোপন শয়তানিজমে শিশুদের “রক্তক্ষরণ" করার পরে, তাদের রক্ত ​​পান করা এবং তাদের হার্ট খাওয়ার জাদু অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত।

জাদু অনুষ্ঠানগুলির গভীর অন্ধকার রহস্যটি ছিল যে এগুলি সমস্তই প্রাচীন BAAL উপাসনার উপর ভিত্তি করে ছিল, যা আউল বা পেঁচার পূজা হিসাবেও পরিচিত। 

রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন জাতিগুলির সংঘবদ্ধতাকে বোকা বানাতে খাজারিয়ান রাজা এই লুসিফেরিয়ান ব্ল্যাক-ম্যাজিক অনুশীলনকে ইহুদী ধর্মের সাথে মিশ্রিত করেছিলেন এবং একটি গোপন শয়তান-সংকর ধর্ম তৈরি করেছিলেন, যা ব্যাবিলনীয় তালমুডিজম নামে পরিচিত। 

এটি খাজারিয়াকে জাতীয় ধর্ম হিসাবে গড়ে তুলেছিল এবং একই খারাপকেই লালন করেছিল যা দিয়ে খাজারিয়া আগে পরিচিত ছিল।

দুঃখের বিষয়, খাজারিয়ানরা তাদের দুরাচরণের পথ অব্যাহত রেখেছিল, খাজারিয়া দিয়ে আশেপাশের ভ্রমণকারী থেকে তাদেরকে ছিনতাই ও হত্যা করা অব্যাহত রেখেছিল।

খাজারিয়ান ডাকাতরা প্রায়শই এই দর্শনার্থীদের হত্যার পরে তাদের পরিচয় অনুধাবন করার চেষ্টা করত, এবং তাদের ছদ্মবেশ নিয়ে মিথ্যা পরিচয়ের মালিক হয়ে যেত - এটা এমন একটি রীতি যা তারা এখনও অবধি চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের শিশু-বলি অনুষ্ঠানগুলির সাথে, যা আসলে প্রাচীন বাল উপাসনা।

প্রায় ১,২০০ খ্রিস্টাব্দে, রাশিয়ানরা তাদের জনগণের বিরুদ্ধে খাজারিয় অপরাধ বন্ধ করার জন্য খজারিয়াকে ঘিরে একদল জাতির নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং এটি আক্রমণ করেছিল, কারন তারা আশেপাশের দেশগুলি থেকে তাদের বাচ্চাদের অপহরন করে তাদেরকে বাল দেবতার উদ্দেশ্যে বলি ও রক্তদানের অনুষ্ঠান করত। 

খাজারিয়ান রাজা এবং তার অপরাধী ও হত্যাকারীদের অভ্যন্তরীণ আদালত প্রতিবেশী দেশগুলি দ্বারা খাজারিয়ান মাফিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেছিল।

খাজারিয় নেতাদের একটি উন্নত গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ছিল যার মাধ্যমে তারা পূর্বেই সতর্কতা পেয়েছিল এবং খাজারিয়া থেকে পশ্চিমে ইউরোপীয় দেশগুলিতে পালিয়ে যায়, সেই সাথে তারা তাদের সাথে করে বিপুল পরিমান সোনা ও রূপা নিয়ে যায়। 

তারা নতুন পরিচয় নিয়ে সাধারন জীবন যাপন শুরু করে এবং পুনরায় নতুন করে গোষ্ঠী স্থাপন করে। গোপনে তারা তাদের শয়তানী সন্তানের রক্ত ​​এবং বলিদানের অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছিল এবং বাল তাদের আশ্বস্ত করেছিল যে যদি তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে যায় যতক্ষণ তারা তাদের রক্তক্ষরণ এবং বলীর অনুষ্ঠান চালিয়ে যাবে ত্যাগ স্বীকার করবে ততক্ষণ শয়তান তাদেরকে পুরো বিশ্ব এবং তার সমস্ত ধন সম্পদ দেবে।

খাজারিয় রাজা এবং তার মাফিয়ারক রাশিয়ার এবং আশেপাশের দেশগুলির বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী প্রতিশোধের পরিকল্পনা করেছিল যারা খজারিয়ায় আক্রমণ করেছিল এবং তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছিল।

খাজারিয়ান মাফিয়ারা তার বহিস্কার হওয়ার কয়েকশো বছর পর ইংল্যান্ড আক্রমণ করে। তাদের আক্রমণ সফল করার জন্য, তারা কিং চার্লসকে হত্যা করার জন্য অলিভার ক্রমওয়েলকে নিয়োগ দিয়েছিল এবং ইংল্যান্ডকে আবার ব্যাংকিংয়ের জন্য নিরাপদ করেছিল। 

এর ফলে ইংরেজ সিভিল ওয়ার শুরু হয়েছিল যা প্রায় এক দশক ধরে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে রাজপরিবারের নিয়ন্ত্রণহীনতা ঘটেছিল তাদের ভিতর শত শত প্রকৃত ইংরেজী আভিজাত্য ছিল। 

এভাবেই লন্ডন শহরটি ইউরোপের ব্যাংকিং রাজধানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূচনা করেছিল।

খাজারিয়ান মাফিয়ারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা সারা পৃথিবীর ব্যাংকিং সিস্টেম ছিনতাই করবে। এবং সেটা প্রতিস্থাপন করবে তাদের উদ্ভাবিত ব্যাবিলনীয় ব্ল্যাক-ম্যাজিক বা ব্যাবিলনীয় মানি-ম্যাজিক এবং সুদ দিয়ে। তারা বলত এটা নাকি বাল তাদের শিখিয়েছে বহু শিশু বলি দেয়ার পর।


এই ব্যাবিলনের মানি-ম্যাজিক স্বর্ণ ও রৌপ্য আমানতের জন্য কাগজের credit certificate বিকল্পের সাথে জড়িত ছিল, যাতে ভ্রমণকারীরা গোল্ড বা সিলভার জমা দিয়ে credit certificate নিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বা আরেক দেশে গিয়ে সেই credit certificate জমা দিয়ে একটি খরচ বা সুদ দিয়ে সেই স্থান থেকে তারা জমাকৃত সোনা বা রুপা তুলে নিতে পারত। এতে চুরি যাবার বা হারিয়ে যাবার ঝামেলা ছিল না বলে এই ব্যবস্থা ভালই জনপ্রিয়তা লাভ করল বেশ দ্রুতই।


খুব তাড়াতাড়িই খাজারিয়ানরা জার্মানীতে ঢুকে পড়ে এবং জার্মানীতে ইংল্যান্ডে যা করেছিল সেভাবেই নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেয় ছোট একটি গ্রুপ তৈরী করে, নাম দেয় the Bauers । এবং এখানেও তারা তাঁদের শয়তানের পুজা চালিয়ে যায় । এবং আরো কিছুদিন পর তারা নিজেদের নাম আবার বদল কবে রাখে “রথচাইল্ড” ।


রথচাইল্ডের ৫ ছেলে ছিল যারা ইউরোপিয়ান ব্যাংকিং এবং ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং সিস্টেম পুরোটাই নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় নানা ধরনের covert operation এবং false report তৈরীর মাধ্যমে। 

যার ভিতর উল্লেখযোগ্য ছিল নেপোলিয়ন বৃটিশদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করছে। যেটা ছিল উল্টো। এই ভুয়া খবরের ফলে বৃটিশ এলিটদের আতঙ্কিত করে তাঁদের কাছ থেকে পানির দামে শেয়ার ও জমি হস্তগত করে পুরো ইংল্যান্ডের ফিনান্সিয়াল সিস্টেমের একক নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়।

রথচাইল্ডরা এবার private fiat banking system প্রতিষ্ঠা করে বা কাগজের নোট ছাপাতে থাকে কোন সোনা রুপার বিকল্প ছাড়াই। একেবারে শুন্য থেকে। তারা বৃটিশদের এই কাগজের নোট ব্যবহারে বাধ্য করে উচ্চ সুদে লোনের মাধ্যমে। 


এবং শর্ত জুড়ে দেয় তাঁদের কাগজের নোট দিয়েই সুদ শোধ দিতে হবে। এতে যা হলো সেটা হচ্ছে ধরা যাক তারা টাকা ছাপাত ১০০ টাকা তারপর পুরোটাই লোন দিত এখন সুদ সহ যখন ফেরত দিতে যাবে ঋণগ্ৰহীতা তখন দেখা গেল বাজারে আছেই ১০০ টাকা কারন তারা ছাপিয়েছেই ১০০ টাকা, তাহলোে সুদের অতিরিক্ত নোট কোথা থেকে পাবে? তখন ব্যাংক আবার সুদের বাড়তি টাকা ছাপিয়ে আবার ঋনগ্রহিতাকেই ঋণ দিত। 

এভাবেই ঋনগ্রহিতাকে ঋণের জালে আটকিয়ে ফেলত। এটাকে তারা বলত এই সিস্টেম নাকি তাদের দেবতা বাল শিখিয়ে দিয়েছে অগনিত শিশু বলিদানের বিনিময়ে।

এভাবেই কিছুদিনের ভেতরেই তারা ইংল্যান্ডের বড় বড় সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং বৃটিশ রয়েল ফ্যামিলির নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়।


কথিত আছে তারা নাকি বৃটিশ রয়েল ফ্যামিলির নিয়ন্ত্রন নেয়ার জন্য হত্যা এবং মেম্বারদের সাথে সেক্সুয়াল রিলেশন করে নিজেদের বংশধারা তাদের ভিতর প্রবেশ করায় যাতে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী তাদের রক্তের হয়। যেহেতু তারা নিজেদেরকে বাল বা শয়তান এর উত্তরসুরী ভাবত সেহেতু তারা সে সব রাজা বা সংস্থার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগত যারা ইশ্বরের নামে রাজত্ব পরিচালনা করত।

 তারা নিজেদের লোকদেরকে ওই সব প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করাত যাতে তারা নিজেরা সেফ থাকতে পারে এবং তাদেঁর শয়তানের উপাসনা বা বলীদানের কাজ যাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারে।

১৬০০ সালে তারা একজন বৃটিশ রয়েলকে খুন করে এবং তার স্থানে নিজেদের লোক ঢোকায়। ১৭০০ সালে তারা ফ্রেঞ্চ রয়েলকে খুন করে। 


১ম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগে তারা অষ্ট্রিয়ান আর্চডিউক ফার্দিনান্দকে খুন করে ১ম বিশ্বযুদ্ধের সুচনা করে। ১৯১৭ সালে তারা নিজেদের মিলিটারী প্রতিষ্ঠা করে এবং বলশেভিক বিপ্লবের নামে রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ করে পুরো রাশিয়া হাইজ্যাক করে । 

অনেকে এটা কমিউনিষ্ট বিপ্লব বলে জানে। তারা জারকে সপরিবারে খুন করে ঠান্ডা মাথায় এবং তারা মেয়েকে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে মারে এবং রাশিয়া থেকে সমস্ত সোনা, রুপা এবং অন্যান্য মুল্যবান সামগ্রী লুঠ করে। 

২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে তারা আবার অষ্ট্রিয়ান এবং জার্মান রয়েলদের খুন করে এবং চাইনিজ রয়েল এবং জাপানি রয়েলদের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রিত করে দেয়।

খাজারিয়ানরা তীব্র ঘৃনা পোষন করে যারা বাল বাদে ভিন্ন কোন ইশ্বরকে বিশ্বাস করে। বাল নাকি তাদের উদ্বুদ্ধ করত সেই সব রাজা বা রয়েলদেরকে খুন করতে যারা বাল বাদে ভীন্ন কাউকে উপাসনা করত এবং তারা এমনভাবে তাদের ক্ষমতাচুত করত যাতে তারা আর কখনোই ক্ষমতায় ফিরে না আসে। একই ভাবে তারা পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের মত আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের পিছনেও অনেক গোপন মিশন পরিচালনা করেছে।

যদি তারা কোনকারনে তাদের মিশনে ফেল করত তখন তারা প্রেসিডেন্টদের খুন করত যেমন ম্যাককিনলি, লিংকন এবং জনএফ কেনেডি। রথচাইল্ডরা তাদের পথের কাটা হয়ে দাড়ায় এমন কোন শক্তি বা সংগঠনকে বা কোন ব্যাক্তিকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলত। যারাই তাদের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে তারাই ইতিহাস হয়ে গেছে।

রথচাইল্ডরা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ড্রাগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলল। 

এবং গোপনে পুরো বৃটিশ এম্পায়ারকে চালনা করা শুরু করল। তারা অদ্ভুত এক ফাঁদ পাতল চীনের বিরুদ্ধে। বৃটিশরা যত সোনা এবং রুপা চীনকে দিয়েছিল সিল্ক এবং মশলার বিনিময়ে তা তারা পুনরুদ্ধার করার সংকল্প করল। কিন্তু সেটা বৃটিশ জনগন বা বৃটিশ রয়েলদের জন্য নয় বরং তাঁদের নিজেদের জন্য ।

তারা তাঁদের গোয়েন্দাদের সুত্রে জানতে পেরেছিল তুরস্কের ওপিয়াম বা হেরোইনের গুনাগুন সম্পর্কে। তারা গোপনে এটা তুরস্কের কাছ থেকে কিনে এবং চীনে বিক্রি শুরু করল।

কোটি কোটি চীনের জনগনকে নেশাগ্রস্থ করে হেরোইনের বিনিময়ে সোনা আর রুপা হস্তগত করল যা তারা সিল্ক আর মশলা বিক্রী করে পেয়েছিল।

কিন্তু এই সোনা রুপার কিছুই বৃটিশরা পেল না মালিক হয়ে গেল রথচাইল্ডরা। চীনে এই নেশা এমন সর্বগ্রাসী পর্যায়ে পৌছেছিল যে চীন সরকার দুই বার যুদ্ধ করেছিল এটা থামানোর জন্য। এটা ইতিহাসে পরিচিত বক্সার রেবেলিয়ন বা ওপিয়াম যুদ্ধ নামে।


অপিয়ামের ব্যাবসাতে রথচাইল্ডের এত বিপুল পরিমান লাভ হলো যে তারা নিজেরাই নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ল এত সহজে টাকা কামানোর ধান্ধায়। 

রথচাইল্ডরা আমেরিকান কলোনী প্রতিষ্ঠার পিছনে ফোর্স হিসেবে কাজ করেছিল হাডসন বে কোম্পানি এবং অন্যান্য কোম্পানী গঠন করে। রেড ইন্ডিয়ানদের গনহারে জেনোসাইডের পিছনে রথচাইল্ডরাই ছিল যাতে তারা natural resource কোন ঝামেলা ছাড়াই হস্তগত করতে পারে। 

সহজ সরল রেড ইন্ডিয়ানদেরকে বিনামু্ল্যে কম্বল দেয়ার নাম করে কম্বলের ভিতর গুটি বসন্তের রোগবীজ ছড়িয়ে দিয়েছিল যাতে প্রায় ১০ লাখের উপর আদিবাসী মারা যায়। তাছাড়া তারা এমনভাবে গনহারে বাইসন মেরেছিল যাতে রেড ইন্ডিয়ানরা খাবার সংকটে পড়ে এবং বাধ্য হয়ে তাদের কাছে আসতে হয়।

তারা একই পলিসি নিয়েছিল ওয়েষ্ট ইন্ডিজ বা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে। জ্বী ঠিক ধরেছেন ইষ্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানী তাদেরই ছিল। এবং একইভাবে তারা তখনকার বিশ্বের সবথেকে ধনী এলাকা বাংলার দখল নিয়ে জেনোসাইড চালিয়েছিল।

১৮৭৬ সালের সিস্টেমেটিক দুর্ভিক্ষে বাংলায় তারা প্রায় ১ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটায় যা ছিল বাংলার মোট জনসংখ্যার ৩ ভাগের এক ভাগ। 

বৃটিশ এক সাংবাদিক লিখেছিলেন মুর্শিদাবাদ এবং ঢাকার রাস্তায় কোন মানুষ ছিল না শুধু মানুষের কংকাল পড়ে থাকত এবং কুকুর আর শকুনের ভিড় লেগে থাকত। এবং ১৯৪৩ সালে আবারো সিস্টেমেটিক দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষের হত্যা করে ।

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার পতন হলোে তারা বাংলা থেকে যে পরিমান সম্পদ লুঠ করেছিল তাই দিয়েই পরের বছরেই ১৭৫৮ সালে ইংল্যান্ডে ইউরোপের প্রথম শিল্প বিপ্লবের সুচনা করে তারা।

এরপর রথচাইল্ডরা অর্গানাইজভাবে দাস কেনা বেচাতে মনোযোগ দেয়। তারা আফ্রিকা থেকে কালোদের কিডন্যাপ করে আমেরিকা এবং অন্যান্য অঞ্চলে বিক্রি করতে শুরু করল। 

তাদের কাছে দাসরা ছিল জানোয়ার। জাহাজের খোলেই তাদের অনেকে মারা যেত। যারা এ বিষয়ে মুভি কিংবা বই পড়েছেন তারা অবগত আছেন। দেখা গেছে ১৮০০ সালে আমেরিকায় যত দাস মালিক ছিল তার ৯৫ ভাগ ছিল আশকেনাজী ইহুদী বা খাজারিয়ান ইহুদী।

রথচাইল্ড ব্যাংকাররা খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলল যুদ্ধ খুবই ভাল ব্যবসা অল্প সময়ে পয়সা ডাবল করা জন্য। তারা দুই পক্ষকেই লোন দেয়া শুরু করল। কিন্তু লোনের সুদ এবং আসল আদায় করার জন্য তারা ট্যাক্স আইন পাশ করত যাতে লোন শোধ দিতে বাধ্য হয়। 

এখনো দেখবেন বিশ্বব্যাংক তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সরকারগুলোকে জালানী বিদ্যুৎ এবং বিভিন্ন সেবা খাতগুলোতে অতিরিক্ত কর ধার্য করার জন্য চাপ দেয় যেকারনে দেখবেন কোন দেশেই জালানীর দাম বাড়লে সেটা আর কমাতে পারে না কোন সরকার।

যখন রথচাইল্ডরা আমেরিকান রেভুলেশনে হেরে গেল তখন তারা রাশিয়ার জারকে দায়ী করল বৃটিশ যুদ্ধজাহাযকে আটকে দেয়ার জন্য। 

তারা একটি কঠিন শপথ নিলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নির্মম প্রতিশোধ নেয়ার। রাশিয়ার উপরে আগে থেকেই রাগ ছিল খাজারিয়া থেকে তাদেরকে উচ্ছেদের কারনে।

রথচাইল্ড এবং বৃটিশদের তখন ধ্যানজ্ঞান হয়ে দাঁড়াল কিভাবে তারা আমেরিকায় একটি private central bank প্রতিষ্ঠা করবে যেটা তাদের আবিস্কৃত Babylonian money magic বা Fiat monetrary system অনুযায়ী চলবে।

রথচাইল্ডরা ১৮১২ সালে আবারো চেষ্টা করে আমেরিকাকে হস্তগত করার কিন্তু এবারো তারা ব্যর্থ হয় রাশিয়ানদের কারনে। তারা আবারো ভয়ঙ্কর শপথ নেয় রাশিয়া এবং আমেরিকা দুই দেশকেই ছিনতাই করার এবং তাঁদের কে উচিত শিক্ষা দেবার।

তারা তাদের উদ্ভাবিত private bank সেটআপ করার চেষ্টা করলে president Andrew Jackson তাদের চেষ্টায় বাধা দেন এবং তাঁদেরকে শয়তানের চেলা বলে তাড়িয়ে দেন।

সবশেষে ১৯১৩ সালে তারা আমেরিকায় তাঁদের শয়তানি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সুযোগ লাভ করে। তারা কংগ্রেস মেম্বার এবং অন্যান্যদের যেভাবেই হোক কিনে ফেলে ঘুষ দিয়ে কিংবা ভিন্ন কোন উপায়ে এবং অসংবিধানিক Federal Reserve Act পাশ করে। 

অনেকেই জেনে ভীমরি খাবেন যে Federal reserve bank আমেরিকান সরকারী প্রতিষ্ঠান নয় বরং প্রাইভেট।

এরপর রথচাইল্ডরা আরো একধাপ এগিয়ে অনৈতিক করপ্রথা চাপিয়ে দেয় আমেরিকান জনগনের উপর যাতে তাঁদের উপর আরো বেশী নিয়ন্ত্রন এবং আরো বেশী মুনাফা লাভ করতে পারে। 

অনেকেই জানেন না যে আমেরিকান ডলারের মালিক আসলে আমেরিকান সরকার নয় বরং রথচাইল্ডের federal reserve bank. আমেরিকান সরকার মাত্র ৩ % ডলার ছাপাতে পারে এবং বাকি ৯৭% ডলার federal reserve bank ছাপায়। 

তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, “আমাকে একটি দেশের মানি সাপ্লাই নিয়ন্ত্রন করতে দাও, আমি পরোয়া করিনা কোন দল বা কে ক্ষমতায় এলো বা গেলো।“

এ কারনেই দেখবেন যে দল বা প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় আসুক না কেন আমেরিকার যুদ্ধে যাওয়া বন্ধ হয় না। কারন বাজেট প্রণয়ন করতে গেলে আমেরিকাকে federal reserve bank এর কাছ থেকে ডলার ধার করতে হয় কিন্তু শোধ দেবার সময় সব সময়ই তা ঘাটতিতে থাকে অতিরিক্ত ভোগ ব্যয়ের কারনে। তাছাড়াও প্রতিটা দল এবং তাদের নেতারা কেনা গোলাম ছাড়া কিছুনা। 

যুদ্ধ করে লুটপাট করা ছাড়া আমেরিকার কোন উপায়ই নেই। আপনাদের একটা ছোট উদাহরন দিচ্ছি তাতেই বুঝে যাবেন।

আমেরিকানদের অবস্থা কতটুকু ভয়াবহ। একটি সাধারন ছাত্রকে পড়াশোনা চালাতে গেলে তাঁকে লোন নিতেই হবে নতুবা সে কোন প্রতিষ্ঠানে সুযোগই পাবেনা ভর্তির পড়াশোনা চালানোর উচ্চ মুল্যের কারনে। 

দেখা গেছে ৬০ বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু সেই স্টুডেন্ট অবস্থায় নেয়া লোনের টাকা তখনো শোধ দিয়ে যাচ্ছে। এবং এটা এখন অতি সাধারন ঘটনা।

 গত সপ্তাহে টোটাল বকেয়া স্টুডেন্ট লোন পৌছেছে ১,৭৬৪,৮৪১,৮০১,৩৪৮ ডলারে। সিস্টেমটা এরকম যে আপনাকে জন্ম নিলেই লোন নিতে হবে এবং সারাজীবন কলুর বলদের মত খেটে সেই লোনের সুদ পরিশোধ করতে করতে কবরে যেতে হবে। 

যে কারনে জরিপে দেখা গেছে শুধু লোন শোধ দেয়ার সুবিধার জন্য আমেরিকান মিডল ক্লাস এবং লোয়ার মিডল ক্লাস ফ্যামিলির ছেলেমেয়েরা সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় বিপুল পরিমানে। এতে করে মিলিটারী ইন্ডাষ্ট্রিরও লাভ হয় তাদের যুদ্ধে যাওয়ার লোকেরও অভাব হয় না কখনো।

এরাও প্রশ্ন করে না কেন যুদ্ধে যাচ্ছে বা কার জন্য যাচ্ছে, আমেরিকান স্বার্থে নাকি অন্য কারো স্বার্থে, কারন তারা নিজেরাই প্রাথমিক শিকার। অথচ আমেরিকা প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৪০ বিলিয়ন ডলার আমেরিকান জনগনের ট্যাক্সের টাকা দান করে থাকে, যে টাকা দিয়ে ইসরায়েলীরা ফ্রি চিকিৎসা, ফ্রি এডুকেশন এবং আবাসন সুবিধা পেয়ে থাকে অথচ শুধু লসএঞ্জেলসেই ১০ লাখ আমেরিকান রাস্তায় ঘুমায়। 

অনেকে ভাবে আমেরিকা ইসরাইলকে চালায় কিন্তু বাস্তব হলো আমেরিকানরা ইসরাইলের দাস। আর এটাই সত্যি। একজন সৎ খাজারিয়ান ইহুদী হেরল্ড ওয়ালেস রোজেনথালের আসল কথাটা বলেছিলেন, তিনি বলেছিলেন,

“আমাদের ক্ষমতা সুসংহত হয়েছে যেদিন আমরা federal reserve bank establish করেছিলাম। Federal reserve system আমাদের plan কে সুন্দর পরিনীতি দিয়েছে। সবাই ভাবে এটা Government property কিন্তু আসলে এটা আমাদের নিজেদের। একদম শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল সোনা আর রূপাকে আমাদের উদ্ভাভিত তুচ্ছ কাগজের নোট দ্বারা প্রতিস্থাপন করা। আমরা ইহুদিরা আমেরিকান জনগনকে একটার পর একটা ইস্যু দিয়ে ব্যস্ত রাখি, তারপর আমরা দুই পক্ষকেই পিছন থেকে গোপনে সহযোগীতা করি যাতে ইস্যুগুলো জীবন্ত থাকে এবং কনফিউশন তৈরী করে, এতে আমেরিকানদের নজর ওই সব বিষয়েই আটকে থাকে যতক্ষন আমরা তা চাই। তারা বুঝতেও পারেনা এই সবকিছুর পিছনে আসলে কি এবং কারা কাজ করে। আমরা আমেরিকানদের নিয়ে খেলি খেলনার মত যেভাবে একটা বিড়াল একটি ইদুরকে নিয়ে খেলে।”

“বলা বাহুল্য এর ঠিক একমাসের মাথায় তিনি খুন হন।

ডেমোক্রেট বা রিপাবলিকান থেকে কেউ মনোনয়নই পাবে না যদি না তারা ইসরাইলের প্রতি অনুগত না থাকে । যে কারনে বার্নি সান্ডার্স জো বাইডেনের তুলনায় অনেক যোগ্য এবং জনপ্রিয় হলোেও সে নমিনেশন পায়নি কারন সে ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে কথা বলত বলে। আর বাইডেন হলো একজন স্বস্বীকৃত জায়োনিস্ট। 

যাই হোক এর ফলে খাজারিয়ান ইহুদিদের পক্ষে এটা খুব সহজ হয়ে গেল কাউকে নির্বাচিত করা যাকে তারা নিজেদের কাজে লাগাতে পারবে কারন যখন আপনি একটা দেশের মানি সাপ্লাই নিয়ন্ত্রন এবং প্রডিউস করতে পারবেন তখন আপনি যাকে খুশী তাকে কিনে নিতে পারবেন। 

একই সময়ে তারা অবৈধ কর প্রথা চালু করল এবং কিছু কংগ্রেস সদস্যকে কিনে তাঁদেরকে দিয়ে Internal revenue service approve করাল যেটা তাদের private tax collection agency হিসেবে কাজ করে যেটা পুয়ের্টো রিকোতে নিবন্ধন কৃত।


কিছুদিন পর তারা Federal Bireau of Investigation (FBI) প্রতিষ্ঠা করে যার কাজ মূলত ব্যাংকারদের সমস্ত অনৈতিক, অবৈধ, গোপন কাজকে পাহারা দেয়া এবং তাদের শিশু বলিদান, পেডোফাইল নেটওয়ার্ককে সমস্ত ঝামেলা থেকে নির্বিঘ্ন রাখা এবং সাথে covert operation তো আছেই। বলা বাহুল্য যে Liberty of Congress অনুযায়ী অফিসিয়ালি FBI এর অস্তিত্ব থাকারই কথা নয় কিন্তু বিস্ময়করভাবে এটা বহাল তবিয়তে আছে।

George Washington এদের সম্পর্কে বলেছিলেন,

“They ( The Jews ) work more effectviley against us than the enemie’s armies. They are hundred times more dangerous to out liberties and the great cause we are engaged in…it is much to be lamented that each state, long ago, has not hunted them down as pest to society and the greatest enemies we have to the happiness to America.”

১৮৭১ সালে গৃহযুদ্ধের ফলে আমেরিকান ট্রেজারী দেউলিয়া হয়ে যায় । কারন গৃহযুদ্ধটা লাগানোই হয়েছিল যাতে তাই ঘটে। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আমেরিকাকে কিনতে ব্যাংকাররা আমেরিকায় হামলে পড়ে যার ভিতর রথচাইল্ডরা ছিল অন্যতম। 

৪১ তম কংগ্রেসকে বাধ্য করা হয় কালো আইন পাশ করতে, এবং আমেরিকা সেই থেকে একটি দেশ থেকে কর্পোরেশনে পরিনত হয়। এমনকি অনেক আমেরিকানও এ বিষয়ে পুরোপুরি জানে না বা বোঝে না যে আমেরিকা আসলে একটা দেশের পরিচয়ে কর্পোরেশন। 

আমেরিকান রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয় ঠিকই কিন্তু তারা কাজ করে ব্যাংকারদের জন্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতিও কমবেশী একইরকম। যে কারনে আমরা দেখি, “যে যায় লংকায় সেই হয় রাবন”। 


বিশ্বাস হচ্ছেনা তাই না? হবে বিশ্বাস শুধু না দৃঢ় বিশ্বাস হবে যখন লেখাটা শেষ হবে। তবে এ বিষয়ে আপনারা চাইলে মাইকেল রিভেরোর সাড়া জাগানো বই, All wars are bankers wars বইটা পড়ে দেখতে পারেন।

আমেরিকান প্রেসিডেন্ট উইড্র উইলসন ১৯১৯ সালে বলেছিলেন,

“I am the most unhappy man. I have inwittingly ruined my country. A great industrial nation is now controlled by its system of credit. We are no longer a government by free opinion, no longer a government by conviction and the vote of the majority. But a government of by the opinion and duress of a small group of dominant men.”

এরপর খাজারিয়ান ইহুদিরা ১৯১৭ সালে বলশেভিক বিপ্লবের নামে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আজন্ম লালন করা, খাজারিয়া ধ্বংসের পর থেকে অপেক্ষায় থাকা চরম প্রতিশোধ গ্রহন করে যা অনেকে কমিউনিস্ট বিপ্লব নামে জানেন। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রতিশোধের সবথেকে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের সুচনা করে। সমস্ত পরিকল্পনা এবং কৌশল অবলম্বন করে এবং একাজে অর্থের যোগান দেয় তাদেরই স্থাপন করা central bank।

 সে সময়কার নথিতে দেখা যায় Jackob Schiff ৪০ বিলিয়ন ডলারের উপর money transfer করেছিল New York থেকে।

অনেকেই জানেন কিনা জানিনা কিন্তু কার্ল মার্ক্সের পিতা ছিলেন ইহুদি রাব্বী। এই অতি সুপরিকল্পিত ইতিহাসের সবথেকে নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের নেপথ্যের খলনায়করা ছিল খাজারিয়ান ইহুদি বা আশকেনাজি জু। ৬৬ মিলিয়ন নিরীহ রাশিয়ান খৃষ্টানকে কচুকাটা করে ১৯১৭ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত। রেপ, নির্যাতন, নারী-শিশু খুন কোনকিছুই বাদ যায়নি।

নোবেল বিজয়ী আলেকজান্ডার সোলঝেনেষ্টিন বলেন, “ইহুদীদের ছাড়া কোন বলশেভিক বিপ্লব বলে কিছুই ঘটত না। 

রক্তপিপাসু ইহুদী টেরোরিষ্টরা ৬৬ মিলিয়ন রাশিয়ানকে খুন করে ১৯১৮ থেকে ১৯৫৭ সালের ভিতর।“তিনি আরো বলেন, “আপনাদের বুঝতে হবে, যারা যে সব বিপ্লবী বলশেভিক বিপ্লবের নামে পুরো রাশিয়াকে গিলে খেয়েছিল তারা কেউই রাশিয়ান ছিলনা। তারা ছিল বাইরের এবং তাঁর রাশিয়াকে ঘৃনা করত, রাশিয়ান খৃষ্টানদের ঘৃনা করত। 

তারা ছিল চরম রেসিস্ট এবং রেসিজমের চূড়ান্ত নিদর্শন হিসেবে তারা ঠান্ডা মাথায় মানব ইতিহাসের সবথেকে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের নেতৃত্ব দেয় যা কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। এটা বাস্তবতা যে পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ এই নিষ্ঠুর ঘটনার ব্যাপারে জানে না। এতে প্রমানিত হয় যে পৃথিবীর মিডিয়াকেও তারাই নিয়ন্ত্রন করে।“

হিটলার বলেছিলেন, “ক্যাপিটালিজম এবং বলশেভিকজম ইহুদীদের একই আন্তর্জাতিক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।“

এবং আমি যতই এ বিষয়ে গভীরে গেছি ততই হিটলারের একথার বাস্তবতা উপলব্ধি করেছি।

জুইশ রেড আর্মির প্রতিষ্ঠাতা লিয়ন ট্রটস্কির কাছে ১৯২১ সালে পশ্চিম ইউরোপিয়ানরা দুর্ভিক্ষে সাহায্যের আবেদন পাঠালে তিনি বলেছিলেন, “তোমরা ক্ষুধার্ত? এখনো তো তোমরা দুর্ভিক্ষ কাকে বলে তা জানোই না ! যখন তোমাদের নারীরা ক্ষুধায় তাঁদের নিজেদের বাচ্চাদের কেটে খাবে সেদিন আমার কাছে এসে বলবে যে তোমরা দুর্ভিক্ষে পড়েছ”।

জুইশ বলশেভিকের হত্যাযজ্ঞের আরেক নেতা লাজার কাগানোভিচ বিখ্যাত রাশিয়ান ক্যাথেড্রালের ভিতর দাড়িয়ে দম্ভভরে বলেছিল, “Mother Russia is cast down. We have ripped away her skirt”

এ বিষয়ে একটি মুভি এখনো ইউটিউবে গেলে দেখতে পাবেন। The Checkist । এবং নেট search দিয়ে খুজতে পারেন “Red Terror” অথবা “Bolshevik Cheka”।

এবার রথচাইল্ডরা মনোযোগ দিল জুডাইজম বা ইহুদী ধর্মের প্রতি। তারা একটা মাস্টার প্লান করল সব ইহুদীদের মস্তিস্ক ধোলাই এবং জুডাইজমকে পুরোপুরি তাঁদের মত করে নিয়ন্ত্রন করার। তারা অনেক আগেই নিজেরাই তালমুদ লিখেছিল যেটা ব্যবলনিয়ান তালমুদ বা লুসিফারিজম বা Satanism নামে অধিক পরিচিত। তারা তাদের উদ্ভাবিত এই নতুন ধর্মমতকে ইহুদীদের সব স্তরে অধিক প্রচার এবং প্রচলনের ব্যবস্থা করল। তালমুদে তারা লিখেছিল শুধু ইহুদীরাই হলো মানুষ এবং বাকি জেন্টাইল বা অইহুদীরা সবাই মানুষের চেহারায় আসলে জানোয়ার। 

জেন্টাইলদের তারা নতুন নাম দিল “গয়”। ইহুদীরা হলো God chosen people এবং ইশ্বর কতৃক অধিকার বলে শুধু তারাই বাকি সবার উপর প্রভুত্বের অধিকার প্রাপ্ত। ইহুদীরা হলো বাগানের মালিক এবং জেন্টাইলরা হলো সেই বাগানের মালি। ইহুদীদের বিরোধীতা করার মানেই হলো ইশ্বরের বিরোধিতার করা এবং জেন্টাইলদের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানকে হত্যা করা জায়েজ সে কারনে যদি দরকার হয়। ইহুদীরা জেন্টাইলদের সাথে সুদের কারবার করবে কিন্তু ইহুদিদের সাথে তারা বিনাসুদে কারবার করবে। আর ইসা ((আঃ)) এর ব্যপারে যে সব বাজে কথা তারা লিখেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না বলে আমি এখানে উল্লেখ করলাম না । আপনারা ইচ্ছা করলে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে জেনে নিবেন।

এছাড়াও যাতে সব ইহুদীরা তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকে সেকারনে তাঁদেরকে বিপুল পরিমান টাকা, পজিশন, ক্ষমতা এবং সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া অব্যাহত রাখল। এভাবেই কয়েক দশকের ভিতর তারা জুডাইজমকে পুরোপুরি ছিনতাই করে সবাইকে তালমুদিজমে দীক্ষিত করে ফেলল। এবং নয়া ইহুদীবাদ বা ইহুদী জাতীয়তাবাদ বা জায়োনিজমের উত্থান ঘটাল। 

এবং ইহুদীদের পুরোপুরি রেসিষ্ট বানাতে সক্ষম হয়ে গেল। মগজধোলাইয়ের শিকার সাধারন ইহুদীরা ভাবতে থাকল তারাই পৃথিবীর ভাগ্যনিয়ন্তা। অনেকে ভেবে থাকেন বা জানেন ইসরাইলের সৃষ্টি হয়েছে ১৯৪৮ সালে।


কিন্তু সত্যটা হলো ১৯১৭ সালে বৃটেনের রানীর কাছ থেকে রথচাইল্ড ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের জন্য ততকালীন বৃটিশ কলোনী প্যালেষ্টাইনের জমি বুঝে নেয়। যেটা ইতিহাসে Belford declaration নামে পরিচিত। এবং রথচাইল্ডরাই হলো ইসরাইলের মালিক। এটি একটি অতি দীর্ঘ এবং সুপরিকল্পনার ফসল। অনেকে ভেবে থাকেন যে শুধু ইসরাইল প্রতিষ্ঠার করার জন্য তারা দু দুটি বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়েছে। কিন্তু এটাই একমাত্র সত্য নয় বরং অর্ধ সত্য ।

রথচাইল্ডে বা BAAL এর উপাসকদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার শীর্ষে আরোহন করা, সেটা তারা করেছিল তাঁদের উদ্ভাবিত ব্যবলনিয়ান মানি ম্যাজিক ব্যাংকিং সিস্টেম দিয়ে। তাঁদের দ্বিতীয় লক্ষ্য ছিল আব্রাহামিক রিলিজিয়নকে ধ্বংস করা। 

কারন শুধু আব্রাহামিক রিলিজিয়নই তাদের জন্য হুমকি । কারন এই রিলিজিয়নটাই তাদের সুদ ভীত্তিক সিস্টমের বিরুদ্ধে এবং তাদের সমস্ত শয়তানি কাজকর্মের বিরুদ্ধে। সেকারনে তাঁদের প্রথম শিকার ছিল জুডাইজম এবং ইহুদীরা, দ্বিতীয় শিকার ছিল অর্থডক্স খৃষ্টান এবং তাঁতের পাওয়ার হাউজ রাশিয়া। তৃতীয় শিকার হলো মুসলিম এবং ইসলাম। 

প্রথম দুইটার কথা আপনাদের অল্প বিস্তর বলেছি কিন্তু ইসলাম বা মুসলিমদের ভিতর কি কি করেছে তার বলিনি।

এখন আমি এটা যখনই বলব তখন আপনাদের আর বিশ্বাস হবে না আমার কথা। এ বিষয়ে বিস্তারিত না বললে আপনারা আমার কল্লা কাটার ফতোয়া দেবেন সেকারনে এটা আরো পরে বিস্তারিত বলব। তবে এখন এটুকু জানিয়ে রাখি যে আব্রাহামিক রিলিজিয়নের ৩ টি পবিত্র স্থানই এখন তাঁদের দখলে। মক্কা, মদিনা এবং জেরুসালেম। এবং এটা আজ থেকে না বরং ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই। একারনে তারা ওসমানী খেলাফত ভেঙেছিল এবং ৪২টা ছোট ছোট রাষ্ট্র তৈরী করেছিল। তাঁর ভিতর একটি হলো হেজাজ দখল করে সৌদি আরব এবং ফিলিস্তিন দখল করে ইসরাইল। অবাক হচ্ছেন তাই না? আপনি ভাবছেন সৌদি আরব তো মুসলিম দেশ ! না ভাই সৌদি আরব কোন মুসলিম দেশ না ওটা রথচাইল্ডের বানানো ওয়াহাবী দেশ। যেভাবে তারা জায়োনিষ্ট ইসরাইল বানিয়েছে জুডাইজমের বদলে ঠিক সেরকমভাবেই তারা সৌদী আরব বানিয়েছিল সৌদ নামের কিছু মরু ডাকাত দিয়ে সুন্নীজমের চেহারায় ওয়াহাবিজম দিয়ে। যাই হোক পরে আসছি এ বিষয়ে। তাদের কার্যকলাপ মানুষের কল্পনাকেও হার মানাতে বাধ্য। যে কারনে আমি ১ম পর্বেই বলেছিলাম এটা আসলে দুটো শক্তির লড়াই। শুরু থেকেই তাই ছিল এবং আজিবন তাই থাকবে। আপনি যদি ঘটনার পিছনের ঘটনা না জানেন তাহলোে যা ঘটছে বা ঘটবে তার কিছুই আপনি বুঝবেন না।

যাই হোক আগের কথায় ফিরে আসি। ২য় পর্বে বলেছিলাম freemason দের কথা। জায়োনিস্ট রা এই freemason দের মূল জ্ঞান কে কাজে লাগানো শুরু করেছিল অনেক আগে থেকেই । আমি বলেছিলাম নিকোলা টেসলাকেও এরাই গবেষণার ব্যপারে অর্থের যোগান দিয়েছিল এবং তাঁর সমস্ত নথি গায়ের করে দিয়েছিল। জগতসেরা বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছিল কপর্দকহীন নি:সঙ্গ অবস্থায় জরাজীর্ন ছোট একটা হোটেল কক্ষে। এর freemason দের দিয়ে ইসরাইলের সমস্ত অফিস আদালত তৈরী করিয়েছে তাদের সিম্বল ইউজ করে। পেন্টাগন কিংবা Apple এর হেডঅফিসের ডিজাইনটাও তাদের তৈরী।


আপনারা Dan Brown সাড়া জাগানো সিরিজগুলো পড়ে দেখতে পারেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখা আছে ।বাংলাতে অনুবাদগুলো পাবেন।

যাই হোক এদের কার্যকলাপ যাই করে তাই এবা সেখানে সিম্বল ইউজ করেই করে থাকে। যদি আপনার সিম্বলগুলোর ব্যাপারে ধারনা থাকে তাহলোে আপনি পরিস্কার চোখেই দেখতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন যেটা অন্যরা ধরতেই পারবে না কিংবা বললেও এর গুরুত্ব বুঝতে পারবেনা। আপনাদের বলেছিলাম যে করোনা পূর্বপরিকল্পিত script এর অংশ অনেকেই হেসেছেন। অথচ আমি অন্তত এটা জানতাম ২০০৩ সাল থেকে। আপনারাও জানতেন যদি আপনারা এদের বিষয়ে ঘাটাঘাটি করতেন। যারা ২০১২ সালের অলিম্পিক উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠান ভাল করে খেয়াল করে দেখেছেন তারা আজ থেকে ৮ বছর আগেই জেনেছেন। পুরো অনুষ্ঠানেই ছিল সিম্বলের ছড়াছড়ি। করোনা কিভাবে আসবে কিভাবে সবকিছু বদলে যাবে কিভাবে বাচ্চাদের টেক কেয়ার করা হবে সব বিস্তারিত দেয়া ছিল সেখানে। ষ্টেডিয়ামের বাইরে বিশাল সাইজের একটা human DNA sculpture রাখা ছিল। you tube এ এখনো ভিডিওটা পাবেন দেখে নিতে পারেন। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করেছিল slumdog millionair এর অস্কার উইনার পরিচালক ড্যানি বয়েল।

যে নিজেও একজন ইলুমিনাতি মেম্বার। এবং বিল গেটস এর খুব ঘনিষ্ট। খেয়াল করে দেখবেন বিল গেটস অনেকদিন ধরেই তার গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের মানুষজনের ভিতর ভ্যাকসিন দিয়ে বেড়াচ্ছিল। মানুষ ভাবছে করোনা হলো সমস্যা আসলে উল্টা। এদের পলিসি হলো একটা problem create করো তারপর সেটা চারিদিকে ছড়িয়ে দাও, মানুষ যখন অতিষ্ট হয়ে যাবে কোন উপায় না দেখে তখন তুমি যা চাইছিলে তাই নিয়ে এসো সমাধান হিসেবে। দেখবে মানুষ তখন হুমড়ি খেয়ে পড়বে। কিন্তু তুমি যদি এমনি এমনি চাইতে তাহলোে তারা কখনোই সেটা নেবেনা। এর অর্থ হলো vaccine টাই হলো আসল টার্গেট, ভাইরাস নয়।

করোনা হলো সিনথেটিক ভাইরাস। মানে ল্যাবরেটরিতে বানানো অন্যান্য ভাইরাসের মতই। আপনার AIDS কিংবা ইবোলার নাম শুনেছেন সবগুলোই ছিল Laboratory তে বানানো। Ebola আফ্রিকাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে এসেছিল। প্রতি ১০০ জনে ২৭ জন মারা গিয়েছিল। যার vaccine এখনো বানায়নি কিংবা বাজারে ছাড়েনি।

গাদ্দাফি বলেছিলেন,

তারা নিজেরাই ভাইরাস বানায় আবার নিজেরাই তার vaccine আগেই বানিয়ে রাখে, কিন্তু বাজারে ছাড়ে যখন তারা মনে করে সেটা তাঁদের উপযুক্ত সময়।

করোনার কিলিং রেট মাত্র ১.৪ % অথচ Ebola র কিলিং রেট ২৭%। কিন্তু করোনা এত কম কিলিং রেট নিয়েও বিশ্বব্যাপি যে পরিমান আতঙ্ক ছড়িয়েছে তা নজিরবিহীন এবং যুক্তিহীন। কারন তারা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য মিডিয়াকে ব্যরহার করেছে এবং WHO কে দিয়ে সরকারগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করে লকডাউন দিয়েছে। দেশে দেশে অর্থনীতির বারোটা বাজানোর জন্য। কেন? এক ঢিলে তিন পাখি মারছে তারা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে আসবো আবার।


শুধু এখন জেনে রাখুন তারা NWO বা New World Order এর দিকে অনেকখানি এগিয়ে গেল। NWO হলো তাঁদের একটি Dream Project। যেখানে শুধু সারা বিশ্ব একটি Government এর নিয়ন্ত্রনে থাকবে এবং একটি মাত্র Word Digital currency থাকবে এবং একটি মাত্র World Religion থাকবে।

প্রেসিডেন্ট রিগ্যান থেকে শুরু করে আমেরিকান প্রতিটি প্রেসিডেন্ট NWO এর কথা তাঁদের কোন না কোন ভাষণে উল্লেখ করেছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ১৯৮৯ সালে একটি বই লেখা হয়েছিল কিন্তু তখন মানুষজন বই পড়ে হাসাহাসি করেছিল।

কিন্তু ৩০ বছর পরে সেই বইয়ের প্রায় সব বক্তব্য হুবহু সত্য প্রতিয়মান হচ্ছে। বই টার নাম হলো The New World Order by A. Ralph Epperson. পড়ে দেখে মিলিয়ে নিতে পারেন। আমিও এই সিরিজ লেখার ফাঁকে আগামীতে কি ঘটতে যাচ্ছে তার একটা ধারনা দিয়ে দেব।

The New World Order PDF- https://tinyurl.com/5atrs9m6

অথবা, https://files.fm/u/b8z6f7tx96


যাইহোক ১৯ শতকের রথচাইল্ডে ফিরে যাই। এসময়ই তারা পুরো পৃথিবীর নিয়ন্ত্রন নেয়ার পক্ষে সবথেকে ভাল সময় পার করছিল। উইনষ্টন চার্চিল সেই ১৯২০ সালের ফেব্রুয়ারীর ৮ তারিখে বলেন. World order হলো জুইশ। তিনি যা বলেছিলেন তা হুবহু তুলে দিলাম,

”The movement among the jews ( The revolution in Russia) is not new. From the days of Spartacus-weishauft (founder of illuminatti ) to those of Carl Marx ( founder of communism ) and down to Trotosky ( founder of Red Army ), Bela kun ( founder of Hungarian Soviet Republic), Rosa Luxemburg ( Revolutionery against German empire and promoter Weimer republic) and Ema Goldman ( founder of Anarchist political philosophy in America and Europe ), This wold wide conspiracy for the overthrow of civilization and reconstitution of society on the basis of arresred development, of envious malevolence, and impossible equality has been sreadily growing. It played a definitely recognizable part in the tragedy of French Revolution. It has been the main spring of every subversive movement during the 19th century.”


আপনারা যদি এ কথাগুলো গভীরভাবে অনুধাবন করে থাকেন তাহলোে খেয়াল করে দেখবেন যে কোন আন্দোলন বা বিপ্লবের পিছনে আপনি খাজারিয়ান বা জায়োনিস্ট দের হাত খুজে পাবেন।


সেটা হোক Arab Spring বা Hong Kong unrest । যে আন্দোলনগুলো মিডিয়া কাভারেজ পাবে ধরে নেবেন তার পিছনে জায়োনিস্ট রা আছে। তবে ১০০ ভাগ সবগুলো নয়। কিছু সুত্র আছে যেগুলো অনুধাবন করলে চেনা সহজ হয়ে যায়। যাই হোক জায়োনিস্ট রা ১৯ শতকের শুরু থেকেই ইহুদীদের ভিতর এক ধরনের ভীতি false propaganda প্রচার করা শুরু করল যে, জেন্টাইলরা ইহুদীদেরকে হিংসা করে এবং তারা মনে মনে ইহুদীদের গনহত্যা করার মতলব আটছে। এটা তারা করল ইহুদি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটানোর জন্য যেটাকে আমরা জায়োনিজম বলি। আর ইহুদীরা বরাবরই আল্লাহর আজাবপ্রাপ্তদের ভিতর অন্তর্ভুক্ত ছিল তাঁদের কুটকাচালী এবং অহঙ্কারের কারনে। তারা বহুবার বহু genocide এর শিকার হয়েছে। রোমানরা তাঁদের দাস বানিয়েছিল। ইরাকের অগ্নিউপাসক বুখতে নসর পুরো জেরুজালেম মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল এবং লাখ লাখ ইহুদীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল। এবং মানব ইতিহাসে ইহুদিরাই একমাত্র জাতি যারা তাদের নিজের ভুমি থেকে সমুলে উৎখাত হয়েছে। ইতিহাসে এরকম একটি ঘটনাও নেই। তারা দুইহাজার বছর ধরে বিভীন্ন দেশে বসবাস করেছে কিন্তু ইসরাইল প্রতিষ্ঠার আগে তাদের নিজভুমিতে ফিরতে পারেনি।

এমনকি ইউরোপেও তারা ১৬ শতকে genocide শিকার হয়েছিল। তো স্বভাবতই তারা আতঙ্কিত হয়েছিল ধীরে ধীরে যে আবারো সেরকম কিছু ঘটতে পারে। রথচাইল্ডরা সেই সুযোগটাই নিয়েছিল। তাঁদের ভিতর জাতিয়তাবোধ এবং রেসিজম আরো উগ্র করেছিল তালমুদ। ধীরে ধীরে খাজারিয়ানরা তো বটেই আসল জুডাইজম অনুসরন করা আসল ইহুদিরাও তালমুদের ভক্ত হয়ে পড়ল। খেয়াল রাখবেন আমি দুই ধরনের ইহুদীর কথা বলছি কিন্তু। এটা মাথায় রাখা জরুরী।

আপনার যদি খেয়াল করে থাকেন তাহলোে দেখবেন ভারতের বিজেপি বা আরএসএস ঠিক এই কাজটাই করে সফল হচ্ছে। যদিও তারা ৮০ ভাগ হিন্দুর দেশে বসবাস করে কিন্তু তাদের প্রচারের মুল সুর হলো “হিন্দু খতরে মে হ্যায়” মানে হিন্দুরা বিপদে আছে। এ ক্ষেত্রে বিজেপির কাল্পনিক শত্রু মুসলিম এবং ইসলাম।

তারা হিন্দুদের জন্য কিংবা দেশের জন্য কিছু না করলেও মুসলিমদের বিপদে ফেলে, মুসলিমদের হামলা করে, নাজেহাল করে সমর্থন টিকিয়ে রাখছে। আর মগজধোলাইয়ের জন্য ২৪ ঘন্টা ৭ দিন দালাল মিডিয়াকে নিয়োজিত রেখেছে। জায়োনিজমের সাথে যেমন জুডাইজমের কোন সম্পর্ক নেই তেমনি হিন্দুইজমের সাথেও সনাতন ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই তেমনি ওয়াহাবিজমের সাথে সুন্নীইজম বা ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।

এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক কিন্তু ধর্মের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যাতে অধিকসংখ্যক মানুষকে রেসিজমে উদ্বুদ্ধ করা যায়। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মরে। ধর্মের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা আসে এবং সময় সুযোগ বুঝে ধর্মকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিলেও মানুষের কিছু আসে যায়না কারন তারা ধর্মের নামে হানাহানিতে বিরক্ত হয়ে যায় ততদিনে এবং আরেকটি হলো একটা রেস কে আরেকটি রেস দ্বারা ভাগ করা যায়। কারন জায়োনিস্টদের মুলনীতিগুলোর ভিতর একটি নীতি হলো “ভাগ কর শাসন কর” নীতি। আর রেস ওয়ারের থেকে কার্যকর ভয়াবহ সলুশন আর হয়না। রেসিজম এবং ঘৃনা এমন এক জিনিস যা শুরু হয় অজ্ঞতা দিয়ে তারপর শুরু হয় ভয় দিয়ে তারপর শেষ হয় ধ্বংস এবং ভায়োলেন্স দিয়ে। যা হোক এই উপমহাদেশের ব্যাপারে আরো পরে আসা যাবে।

যাইহোক খাজারিয়ারনা এভাবে পুরো জুডাইজমকে ছিনতাই করে তালমুদে ডুবিয়ে দেয় ইহুদীদের। মুলত তারা তালমুদের নামে শয়তানিজমকেই promote করতে শুরু করে কিন্তু জুডাইজমের নামে। যাতে সময় এবং সুযোগ বুঝে ইহুদী এবং জুডাইজমকে কুরবানি করে তাদের একচ্ছত্র Satanism কে বিশ্বময় প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এক্ষেত্রে ইহুদী জাতি কিংবা জুডাইজমকে শুধু বড়ে হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। তারা পরিকল্পনা করে রেখেছে ইহুদীদের তারা BAAL এর তরে দুই দফায় বলী দেবে।

১ম দফা হলোো হিটলারের মাধ্যমে ৩ লাখের মত ইহুদী হত্যা করে । এই হিসাব রেডক্রসের অফিসিয়াল তালিকা এবং পোল্যান্ডের সরকারী হিসাব অনুযায়ী। জায়োনিস্ট রা হরহামেশা বলে বেড়ায় ৬০ লাখ ইহুদী genocide এর কথা সেটা পুরোটাই ধাপ্পাবাজি। আপনাদের চোখ কপালে উঠে গেছে নিশ্চিত যে কেমনে ইহুদীরা হিটলারকে দিয়ে আবার ইহুদীদেরকেই মারলো? সে কথায় আসছি পরে।

২য় দফা বলি এখনো দেয়নি তবে দেবে সামনে। এবং এটাই হবে ইহুদীদের শেষ যাত্রা। এবং এর ভিতর দিয়ে New World order প্রতিষ্ঠা করবে তারা। ইসরাইলের প্রতি পৃথিবীর মানুষের ঘৃনা বাড়তে বাড়তে এমন একটি স্থানে পৌছিয়ে যাবে তখন পৃথিবীর মানুষ চাইবে যেকোন উপায়েই হোক ইসরাইলের ধ্বংস। রেস ওয়ারের চুড়ান্ত ফয়সালা হবে তখন। একই সাথে অন্যান্য রেস এবং ধর্মেরও চুড়ান্ত কবর না হলোেও সেটা আর হুমকি হয়ে দাড়ানোর মত শক্তি অবশিষ্ট থাকবেনা।

এটা জানা জরুরী যে ১ম বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের পর Germany র নিয়ন্ত্রন পুরোপুরি ইহুদীদের কব্জায় চলে যায়। সেখানে তারা একটা শূন্যতা সৃষ্টি করে Fascism এর উত্থানের এবং তারা হিটলারকে নেতৃত্বের স্থানে নিয়ে আসে একটা কাউন্টার force হিসেবে রাশিয়ান বলশেভিকদের বিরুদ্ধে। তখনকার Germany র অবস্থা কেমন ছিল তারা একটি ছোট বর্ণনা দেয়া প্রয়োজন।

ইহুদীরা ছিল মাত্র ২% ৬ কোটি জার্মানদের ভিতর অথচ তারা ৫০% মিডিয়া, সারাদেশের ৭০% জাজকে নিয়ন্ত্রন করত। সিনেমা, নাটক, সাহিত্য সব কিছুতে তারাই ছিল নেতৃত্বে। আজ যেমন আমরা বৃটেন অথবা আমেরিকায় বা ফ্রান্সে ইহুদীদের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখি তার থেকেও বেশী প্রভাব ছিল তাঁদের তখনকার জামানীতে। ১৮৭০ থেকে ১৯২০ সালের ভিতর তারা একের পর এক ব্যাংক কেলেঙ্কারীর জন্ম দেয় এবং বিপুল পরিমান জার্মান সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসে পড়ে। তাদের না ছিল কাজ না ছিল আয়।

বিশ্বের ১ম Homosexual Theater ওপেন করে বার্লিনে তারা ১৯২০ সালে, ১ম অশ্লীল থিয়েটার চালু করে ১৮৯০ এ।

যতরকম উদ্ভট যৌন বিকৃতি আছে তা তাঁর মডার্ন আর্ট, কালচারের নামে প্রমোট করতে থাকে ইহুদী বুদ্ধিজীবিদের দ্বারা। এমনকি তারা বিভীন্ন ধর্ম এবং তাদের নবীদের নিয়ে উদ্ভট এবং কুরুচিকর সংবাদ এবং কৌতুক, নাটক, লেখালেখি চালাত যা সাধারন জার্মানদের ভিতর তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল যার ফলেই আসলে হিটলারের উত্থান সহজ হয়ে যায়। বলা বাহুল্য এগুলো সবই ছিল পরিকল্পিত যাতে একজন হিটলারকে তারা জন্ম দিতে পারে।

আজ ফ্রান্সে মহানবীর কার্টুন নিয়ে যা হচ্ছে সেটা একই পরিকল্পনার অংশ। এবং মুসলিমরা বা তথাকথিত ইসলামী দল (সবাই না_) গুলো না বুঝেই কিংবা তাঁদের পরিকল্পনামাফিক যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে সেটাও তাদেরই পরিকল্পনার অংশই। সবই ৩, ৬. ৯ এর খেলা। যা হোক এই লেখা যত এগোবে ততই আপনারা পরিস্কার বুঝতে পারবেন এখন বলেও লাভ নেই। মানতেও চাইবেন না।

আপনাদের বিশ্বাস হবেনা তবু এটাই সত্য যে ২য় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারকে অস্ত্র কেনার জন্য লোন দিয়েছিল ইহুদী Deausche Bank এবং এ তালিকায় বৃটিশ, সুইস, আমেরিকান ব্যংকও ছিল।

যাদের ৯৫% ছিল ইহুদিদের এবং তারা পুরো যুদ্ধের সময় হিটলারকে খরচ যুগিয়েছে। আবার হিটলারের সামরিক সরঞ্জাম এবং মিলীটারী পোষাক, থালাবাটি পর্যন্ত সাপ্লাই করেছিল ৮ টি আমেরিকান প্রতিষ্ঠান তাঁদের ভিতর Ford, General Motors, DOW Chemical, Metro Goldayn Mayer, CoCa CoLa, George W, Bush এব দাদার Brown Brothers Company, Wool Worth , Alcoa, International Business Machine অন্যতম। 

শুধু তাইনা যে Bank গুলো হিটলারকে লোন দিয়েছিল যুদ্ধের আগুন জালানোর জন্য আবার সেই Bank গুলোই আবার আমেরিকার এবং ইংল্যান্ডকে লোন দিয়েছিল হিটলারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য।

কি বুঝলেন? যুদ্ধ হলো তাদের সবথেকে বড় ব্যাবসা। তারা দুই পক্ষকেই লোন দেয় এবং মুনাফাও হয় কয়েকগুন। যুদ্ধে পরাজিত যে দল হবে সেও সুদ দিতে বাধ্য থাকবে জনগনের উপর অতিরিক্ত কর বসিয়ে আর যে জিতবে সেও দেবে তার লুঠের অংশ সুদ হিসেবে নগদে।

বাংলাদেশে বসে যে সব তথাকথিক ইসলামি দল এবং মানুষ রাতদিন ফেসবুকে রোহিঙ্গাদের জায়গা দেয়ার দাবীতে সরকার ফেলে দেবার হুমকি ধামকি দিয়েছিল তাদের চিনে রাখুন। সেই রোহিঙ্গাদের জন্যই বাংলাদেশকে মিয়ানমারের সাথে লড়াইয়ে নামতে হবে। মিয়ানমারের কোন ক্ষতি হবেনা কারন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীই সব। সে দেশের জনগন আমাদের মত ছোট দেশে থাকে না আর তাদের আরাকান হারালেই বা কি আর না হারালেই বা কি। মাথাব্যাথা তাঁদের সেনাবাহিনীর তাদের না।


কিন্তু আমাদের অর্থনীতির দফা রফা হয়ে যাবে একটা যুদ্ধে জড়ালে। এবং তারপরের অবস্থা হবে আরো করুন। পৃথিবীর যে অংশেই ঝামেলা বাধুক না কেন তার পিছনে জায়োনিস্ট দের হাত আছে অস্ত্র বিক্রি এবং লোনের ফাঁদে আটকানোর জন্য। রোহিঙ্গা আসার পর থেকে গত কয়েক বছরের মিয়ানমার আর বাংলাদেশের অস্ত্র কেনার একটা তালিকা করে টাকার হিসাবটা বের করেন তাহলোেই বুঝবেন ফায়দা কার হচ্ছে। আর এর জের টানতে হচ্ছে সাধারন জনগনকে কর দিয়ে।

আপনাদের মনে হয় বিভিন্ন দেশ আর ব্যাংকগুলো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রোহিঙ্গাদের পিছনে খরচ করছে এমনি এমনি? এত দয়া তাঁদের? আপনাদের ভাগ্য ভাল যে আপনারা শেখ হাসিনার মত একজন ঝানু খেলোয়াড় পেয়েছেন নাহলোে এতদিন কবেই ফাঁদে পা দিয়ে মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে যেত বাংলাদেশ।

শুধু তাই না কথিত আছে কিছু Nazi Concentration camp এর আইডিয়াও নাকি জায়োনিস্টদের মাথা থেকেই এসেছিল। যদিও এর প্রমান আমার কাছে নেই এই মুহুর্তে তবে আশা করি পেয়ে যাব সামনে কোন এক সময়। তবে এর সহায়ক হিসেবে কিছু ঘটনার উল্লেখ করলে বিষয়টা খোলাসা হবে।


Holocaust শব্দ যেটা জায়োনিস্টরা হরহামেশা ব্যবহার করে থাকে মানুষের sympathy নেয়ার জন্য সেটা সর্বপ্রথম ব্যবহার করেছিলেন ইহুদি কমিউনিজমের পিতা Karl Marx ১৮৫৬ সালে Marx peoples paper ১৬ই এপ্রিলে। তিনি বলেছিলেন,

The classes and the races are too weak to master the new conditions of life must give away. They must perish in the revelutionery HOLOCAUST.”

১৯৩৬ সালের বিশ্ব জায়োনিস্ট কনফারেন্সে Chaim Weizman ( যিনি পরবর্তীতে ইসরাইলের ১ম প্রধানমন্ত্রী হন) বলেন,

only two million will survive the upcoming holocaust but they will be ready for life in Palestine.

খেয়াল করে দেখবেন তিনি ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সাড়ে তিনবছর আগে ইহুদী Holocasut বা গনহত্যার কথা উল্লেখ করছেন। এবং বলছেন যে বাকি বেচে যাওয়া ২০ লাখ ইহুদীরা ফিলিস্তিনে বসবাস করবে অথচ তারা বলে বেড়ায় ইসরাইল প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ১৯৪৭ সালে।

এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন কেন তারা নিজেরা ইহুদি হয়ে ইহুদি জেনোসাইডের পরিকল্পনা করল। সমস্যা হলো আমরা বাঙালীরা আবেগ দিয়ে সবকিছু দেখার চেষ্টা করি যুক্তি দিয়েও না আবার মাথা ঘামিয়েও না। আগেই বলেছিলাম তারা আসলে ইহুদি নয়। তারা হলো খাজারিয়ান এবং BAAL বা শয়তানের উপাসক।

এবং তাদের পরিকল্পনার বাস্তবায়নে তারা সবকিছু করেছে এবং করছে এবং করবে। তাদর আরো যেসব ভয়ংকর প্লান আছে। সেগুলো যদি বলি তাহলোে আর আপনাদের অবিশ্বাস থাকবে না যে আসলেই তারা শয়তানের উপাসক। এবং তারা এটা বলে কয়েই করবে এবং করছে। কারন এখন তারা এতটাই শক্তিশালী হয়ে গেছে যে তাদের বিরুদ্ধে দাড়ানোর মত কোন শক্তি আর খুব একটা অবশিষ্ট নেই। সে কথায় পরে আসছি।

বেলফোর ডিক্লারেশনের কথা বলেছিলাম যেটা ১৯১৭ সালে বৃটেন রথচাইল্ডের নামে প্যালেস্টাইনের জমি লিখে দিয়েছিল যেটা পরে ইসরাইল নামে পরিচিত পাবে। এটা হবে শুধুই ইহুদি দের আবাস যদিও তাঁদের পরিকল্পনা আরো গভীর। যাইহোক যখন তারা এটা পেল তখন ইউরোপে ইহুদীদের রমরমা অবস্থা চলছিল সেটা আগেই বলেছি। ইউরোপের সমস্ত পাওয়ারের মালিক ছিল ইহুদিরাই। তারা তাঁদের এসব রমরমা অবস্থান ফেলে প্যালেস্টাইনে ফেরত যাওয়ার মত বোকা ছিল না। যেতেও তাঁর চায়নি শত প্রলোভনেও।

karl Marx এর কথা অনুযায়ী তারা নতুন সিস্টেমের সাথে মানিয়ে নেওয়ার যোগ্য ছিলনা অতএব তাঁদেরকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে হবে। এতে জায়োনিস্ট দের অসম্ভব ফায়দা হয়েছিল। ২ /৩ লাখ ইহুদিদের মৃত্যুকে তারা ফুলিয়ে ফাপিয়ে ৬০ লাখ বানিয়েছে তার উপর ভুয়া কাহিনী গল্প লিখে পৃথিবীর সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে সেসব কাহিনী অধিভুক্ত করে এবং হিটলারকে ভিলেন বানিয়ে মানুষের সহানুভুতি কুড়িয়েছে এবং ইসরাইল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন এবং গ্রহনযোগ্য করেছে মানুষের কাছে। তাঁদের যুক্তি অনুযায়ী ইহুদিরা হিটলারের আক্রোশের শিকার হয়ে সব হারিয়েছে তাহলোে তারা যাবে কোথায় তাঁদের জন্য বরাদ্দকৃত ইশ্বরের পূন্যভুমি ছাড়া?

তারা ভুলেও উল্লেখ করেনা তাহলোে বেলফোর ডিক্লারেশন কিভাবে ১৯১৭ সালে পাশ হলো? যদি জেনোসাইডের কারনেই ইসরাইল প্রতিষ্ঠা পায় তাহলোে তো সেটা ১৯১৭ সালে পাশ হবার কথা না। এরকম কিছু কেউ বলার চেষ্টা করলেই তাকে এন্টিসেমেটিক এর ট্যাগ লাগায়ে দেয় তারা। এরপর তার কবরে যাওয়া পর্যন্ত নিস্তার নেই তার। তারা প্যালেস্টাইনকে Nazi Camp বানিয়ে ইতিহাসের জঘন্যতম অত্যাচার প্রতিদিন চালিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু এব্যাপারে কথা উঠালেই তাঁকে এন্টিসেমেটিক বলে নাজেহাল করে ছাড়বে। অথচ এরা নিজেরাই সেমেটিক না বরং ফিলিস্তিনিরাই হলো আসল সেমেটিক। এ ব্যাপারে John Hopkins University genetic reaserch ফলাফল চমকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তারা প্যালেস্টাইনে বসবাসরত ইহুদিদের DNA টেষ্ট করে দেখেছেন ইহুদীদের শতকরা ৯৭.৫ ভাগ Ancient Hebrew DNA বহন করে না এবং তারা প্যালেস্টাইনের সাথে কোনভাবেই রক্ত দ্বারা বা ভুমি দ্বারা লিংকড না।

আবার ৮০% প্যালেস্টাইন মুসলিমের DNA ancient Hebrew এর সাথে Match করে এবং এতে প্রতিয়মান হয় যে তারাই আসল সেমেটিক এবং তারাই আসল Hebrew । কিন্তু বিশ্বব্যাপী তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকে সকল মিডিয়া এবং রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তারা এই মিথ্যাকেই জায়েজ করে তুলছে। তারা আসলে ইসরাইল নাম দিয়ে সেই পুরাতন খাজারিয়াকেই প্রতিষ্ঠা করেছে। এবং BAAL এর পাশাপাশি তারা আদি ব্যাবিলনের দেবী আইসিসের হারানো সাম্রাজ্য উদ্ধার বা প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে আছে।

কিন্তু এক্ষেত্রে তারা ইহুদিদের বোঝাচ্ছে তারা আসলে কিং ডেভিডের সাম্রাজ্য পুনরুত্থান করছে। যেটা এখন অনেকে greater Israel project নামে জানে। কিং ডেভিড বা দাউদ ((আঃ)) সাম্রাজ্য ছিল ইরান থেকে প্যালেস্টাইন পর্যন্ত। এই কারনে ইসরাইলের পতাকাতে তারা ডেভিডের স্টার চিহ্ন ব্যরহার করে। আজ হোক আর কাল হোক তারা ইরান থেকে ইসরাইল পর্যন্ত যতগুলি দেশ আছে সবগুলোই কব্জা করবে greater Israel project বা কিং ডেভিডের সাম্রাজ্য উদ্ধার বা দেবী আইসিস এর সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করার জন্য।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর খাজারিয়ানরা নতুন করে কোল্ড ওয়ার বা ঠান্ডা যুদ্ধের সুচনা করল এবং কোল্ড ওয়ারের অজুহাতে হিটলারের বিজ্ঞানী যারা মাইন্ড কন্ট্রোল টেকনিক আবিস্কার করেছিল এবং যারা বন্দীদেরকে গিনিপিগ বানিয়ে তাঁদের উপর বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ভাইরাসের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতো তাঁদেরকে আমেরিকাতে নিয়ে গেল বিচারের সম্মুখীন করার বদলে এটাকে তারা নাম দিয়েছিল অপারেশন পেপারক্লিপ।

এদেরকে তারা আমেরিকাতে বড় বড় ওষুধ কোম্পানীতে উচ্চ বেতনে গবেষণায় নিযুক্ত করল এবং সারা বিশ্বব্যাপী কোল্ড ওয়ারের ধুয়া তুলে এক অবিশ্বাস্য গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলল। যথারীতি এখানেও তারা দুটি পক্ষ তৈরী করে নিল তাঁদের পুরাতন থিওরী অনুযায়ী। একটি হলো কমিউনিস্ট রাশিয়া এবং আরেকটি হলো ক্যাপিটালিষ্ট আমেরিকা।


এই নতুন মেরুকরণের ফলে তারা আরো সাহসী হয়ে আমেরিকান অর্থ ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করল বিভিন্ন উপায়ে, তাঁর ভিতর আমেরিকান চার্চ থেকে শুরু করে ফ্রিম্যাসনদের সংঘ (বিশেষ করে স্কটিশ রাইট এবং ইয়র্ক রাইট উল্লেখযোগ্য) ইউএস মিলিটারী, ইউএস গোয়েন্দা, অধিকাংশ ডিফেন্স কনট্রাকটর, ইউএস জুডিশিয়ারী, অধিকাংশ ষ্টেট সরকার. ইউএসজি এবং সবগুলো রাজনৈতিক দল তো অবশ্যই।

তারা এবার প্রাণপন চেষ্টা চালাতে থাকল যাতে ফ্রিম্যাসনদের উপরের সারীর নেতা, এবং কংগ্রেস সদস্য, হলোিউড স্টার, ডিরেক্টর, প্রডিউসার, মিউজিক স্টার, বড় ব্যবসায়ীদেরকে তাঁদের শিশু বলিদান এবং শয়তানের উপাসনা এবং শিশু যৌনতায় অভ্যস্ত করতে লাগল।

এর বিনিময়ে তারা তাঁদেরকে বিপুল পরিমান অর্থ, বড় বড় পদ, বিশ্বব্যাপী খ্যাতি, সম্মান, অভাবনীয় ক্যারিয়ার এবং রাজনৈতিক নেতাদের ইলেকশনের বা মনোনয়নের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে লাগল। এবং যারা তাঁদের ফাঁদে একবার পা দেয় তাঁদের আর ফিরে আসার কোন রাস্তা তারা রাখেনা। যারা তাঁদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাঁদের অপঘাতে মৃত্যু অবধারিত লিখন। এবং তারা পুরো আমেরিকাকেই ছিনতাই করে ফেলে এবং ইচ্ছার দাস বানিয়ে ফেলে।

আমেরিকার হয়ে যায় ভাড়াটে গুন্ডা যাকে দিয়ে সে দেশে দেশে সরকার উৎখাত এবং যুদ্ধ পরিচালনা করে পিছন থেকে। ইসরায়েলের স্বার্থে তাদেরকে দিয়ে মিডলইষ্টে যুদ্ধ বাধিয়ে রেখেছে যতদিন না সবগুলো দেশ ধ্বংশ করে তারা কিং ডেভিডের সাম্রাজ্য বা দেবী আইসিসের সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা না করতে পারছে। যখন কাজ শেষ হবে তখন তারা আমেরিকাকেও ইতিহাসের সবথেকে নিষ্ঠুর উপায়ে ধ্বংস করবে। সে ডিজাইনও তারা করে রেখেছে।


১৯৯০ সালের একটি ভিডিও টেপ ফাঁস হয় যেখানে আজকের ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলছেন, “আমেরিকা হলো আমাদের সোনালী গাভী এবং আমরা তাঁকে চুষে ছিবড়ে বানাব, তাঁরপর আমরা তাঁকে টুকরো টুকরো করে কাটবো ততক্ষন যতক্ষন তার কিছু অবশিষ্ট থাকে এবং শেষে সেগুলো বেচব যা আমরা এতদিন ধরে আমেরিকাকে বানিয়েছিলাম আমাদের সেবা করার জন্য। এটাই আমরা করে থাকি সে সব দেশগুলোকে যাদের আমরা ঘৃনা করি, তাঁদের আমরা ধীরে ধীরে ধ্বংস করি।“

তারা আমেরিকান জনগনকে mind control করার জন্য হিটলারের বিজ্ঞানীদের দিয়ে যে সব কাজ করেছে তার ফিরিস্তি দিতে গেলে এ লেখা আর শেষ হবেনা, সেকারনে দুই একটা জিনিস উল্লেখ করছি।

তারা আমেরিকার এডুকেশন সিস্টেম কে তাঁদের মত করে বানিয়েছে আর এটা তারা এই উপমহাদেশেও করেছে এবং মুসলিমদের সাথেও করেছে সে বিষয়ে পরে বলব। পানিতে তারা ফ্লোরাইড মেশায় যাতে আমেরিকানরা আই কিউ লেভেল কম থাকে বা বোকা হয়ে থাকে। ফ্লোরাইড এক ধরনের বিষ এটা হিটলারের বিজ্ঞানীরা নাজি বন্দী শিবিরগুলোতে বন্দীদের উপর প্রয়োগ করে সফলতা লাভ করেছিল। এটা যেটা করে আমাদের মস্তিস্কের পিটুইটারী গ্লান্ড বা আমরা যেটাকে তৃতীয় নয়ন বলে থাকে স্পিরিচুয়াল জগতে ঢোকার পথ যেটা সেটাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।


তারা মেডিকেল এডুকেশনে ডাক্তারদের শেখাল ফ্লোরাইড আসলে দাঁতের সুরক্ষায় ভাল কাজ করে। এবার তারা টুথপেষ্টে ফ্লোরাইড মেশানো শুরু করল। আমাদের দাঁতের সাথে মস্তিস্কের কানেকশন একেবারে সরাসরি। প্রতিটি দাঁতের সাথে সুক্ষ সুতার মত নার্ভগুলো ব্রেইনের সাথে কানেক্টেড। এ কারনে তৃতীয় নয়ন বা পিটুইটারী গ্লান্ডের সাথে দাঁতের খুবই ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন,

“উম্মতের জন্য দুইটা জিনিস ফরয করলাম না উম্মতের কষ্ট হবে বলে, একটি হলোো তাহাজ্জুদের নামায এবং আরেকটি হলো মেসওয়াক।“

মেসওয়াক এতই গুরুত্ব রাখে। কেন রাখে সেটা তো বললাম। আপনার নিজেরা চাক্ষুস প্রমান হাতে নাতেই পাবেন যদি আজ থেকে আপনারা টুথপেষ্ট বাদ দিয়ে মেসওয়াক শুরু করেন।

১২০ দিনের মাথায় যে পরিবর্তন আপনারা নিজেদের ভিতর দেখতে পাবেন তার জন্য আপনারা আমাকে পরে ধন্যবাদ দিয়েন। এজন্য হাদিসে বলা হয়েছে মেসওয়াক করে সালাত পড়লে সে সালাতের মর্তবা ৭০ গুন বৃদ্ধি পায়। মর্তবা বলতে এখানে আপনার সংযোগ বা স্পিরিচুয়াল উচ্চতা বোঝানো হয়েছে। যাদের পড়া মুখস্ত হয় না স্বরন শক্তি কম তারাও জাদুকরী ফল লাভ করবেন এটাতে ১০০ %। কিন্তু শর্ত হলো সুন্নত মেনে মেসওয়াক করতে হবে। যারা অবিশ্বাস করছেন তারাও করে দেখতে পারেন ফলাফল হাতে নাতে পেয়ে যাবেন।

যাই হোক তারা এটাতে মানে ওষুধ গবেষণা এবং মানব শরীরে তার প্রভাবের জ্ঞানে এতদুর এগিয়ে গেছে যে সব কথা যদি বলতেও যাই তাহলোে বিশ্বাস তো করবেনই না বরং আজগুবি মনে হবে এবং যাদের বিশ্বাস হবে তারা আবার ভয় পেয়ে যাবেন সে কারনে সেগুলো আর আলোচনা করলাম না।


তবে দুদিন আগে ইসরাইলি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে যে তারা এমন একটি বিষয় জানতে পেরেছেন যেটা দিয়ে মানব ডিএনএ hack করা সম্ভব। এবং এটি একটি মারাত্নক প্রভাব ফেলবে মানব শরীরে। আমেরিকান বিজ্ঞানীরাও এই কথা তে সায় জানিয়েছেন। তারা এও বলেছেন এটি যদি কোন খারাপ লোকের হাতে চলে যায় তাহলোে জিনোম সিকোয়েন্সকে বদলে দিতে পারে যে কারনে তারা চিন্তিত। মানে সোজা বাংলায় বলতে গেলে কেউ যদি সেটা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়ে থাকে তাহলোে সেটা কোন না কোন ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ঢোকানোর ব্যবস্খা করবে। তারমানে আমরা হয়ে যাব বেগুন, আলু, পটল, পেপের মত জিএমও (GMO) প্রোডাক্ট।

[ GMO- “Genetically Modified Organism” ]


আর এর প্রভাব শুধু আমাদের নয় আমাদের আগামী সন্তানরাও বহন করবে এবং তাঁদের সন্তানরাও এবং এর কোন প্রতিষোধক আপনি পাবেননা।


যেমন AIDS বা EBOLA ভাইরাসের ওষুধ নেই এটা তাঁর থেকেও মারাত্নক হুমকি। অনেকে বলছে করোনা ছাড়ার পিছনে আসলে এই vaccine কে পুশ করানোই আসল উদ্দেশ্য ছিল। আমি এটা আপনাদেরকে বিশ্বাসও করতে বলছিনা আবার অবিশ্বাসও করতে বলছিনা । বিল গেটস আইটি স্পেশালিষ্ট হয়েও যখন গত ১০ বছর ধরে WHO এর সবথেকে বড় ডোনার এবং সে vaccine vaccine করে চেচিয়ে বেড়াচ্ছে দুনিয়াভর তখন সন্দেহ এমনিতেই দৃঢ় হয়।

যখন সে নিজেই ইলুমিনাতির একজন মেম্বার। যাই হোক আপনারা আপনাদের মত এ বিষয়ে research করে নিয়েন সেটাই ভাল। গত শতাব্দী ছিল physics এর আর এই শতাব্দী হলোো Bio Technology এবং Genetic Engineering এর। এখন আপনাদের ভিতর প্রশ্ন জাগতে পারে এভাবে মানুষকে ধ্বংস করে কি লাভ বা কেনই বা করবে। সেই প্রশ্নের উত্তরটাই লিখছি আমি সিরিজ আকারে বিশদ ভাবে। কেন?

আপনারা এক ফাঁকে Georgia Guidestone গুগলে search করে দেখে নিতে পারেন।

ছবিঃ Georgia Guidestone (উইকিপিডিয়া)

কে বা কারা আমেরিকার Georgia তে ১৮০ টন ওজনের পাথর স্থাপন করে সেখানে ৪ টি ভাষায় ( ব্যবলনিয়ান, গ্রীক, সংস্কৃত, মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিকস) ১০ টি নির্দেশিকা পাথরে খোদাই করে লিখে রেখেছে। তার ভিতর একটি হলোো পৃথিবীকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই পৃথিবীর জনসংখ্যা ৫০ কোটির ভিতর রাখা লাগবে।

তারমানে এখন পৃথিবীতে মানুষ আছে ৮০০ কোটি , তাহলোে ৭৫০ কোটি মানুষকে যেকোনো উপায়েই হোক উধাও করতে হবে। যে ভাষাগুলোতে লেখা হয়েছে বোঝাই যায় সেগুলো এই খাজারিয়ানরা ছাড়া কারো কাজ না। এবং এটা NWO বা New World Order এর একটি এজেন্ডা। যেটাকে বলা হচ্ছে ডিপপুলেশন এজেন্ডা। এবং এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তারা বহুদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে।


এখন আপনারা এটাকে conspiracy theory বলে উড়িয়ে উল্টো করে ঘুমিয়ে পড়েন সেটা আপনাদের বিষয়। তবে জেনে রাখেন যখন জন এফ কেনেডিকে খুন করা হয় তখন যারা এ বিষয়ে সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা খাজারিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিল এবং সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাদের এর সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছিল, সিআইএ তাঁদেরকে conspiracy theorist বলে সাধারন মানুষদের মনোযোগ ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দিত। এই term টা সিআইএ এর আবিস্কার।


যাই হোক আগের কথায় ফিরে আসি, খাজারিয়ানরা ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই মেডিকেল এসোসিয়েশনগুলো এবং ওষুধ কোম্পানীগুলো কন্ট্রোল করা শুরু করে তাঁদের সুবিশাল এজেন্ডা বাস্তবায়নে। এবং তারা আমেরিকান মিডিয়াগুলো কিনে ফেলে ৬ টি বড় কোম্পানীর নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়। মুলত সারা বিশ্বের সব জনপ্রিয় মিডিয়া হাউজগুলোকে কোন না কোনভাবে এই ৬ টি মিডিয়া কোম্পানী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।

মিডিয়া হলো Mind control এর মুল হাতিয়ার বলা চলে। শুধু মাত্র মিডিয়াকে ব্যবহার করেই তারা সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে ১১ মিলিয়ন নিরাপরাধ মুসলিম হত্যা, ১০ লাখ মুসলিমকে মিডলইষ্ট থেকে বাস্তুচ্যুত করেও তারা নিজেদের ভিকটিম বলে জাহির করে বেড়ায় এবং পৃথিবীর মগজধোলাইয়ের শিকার মানুষ তাই বিশ্বাস করে। তারা কোন এক জায়গায় false flag অপারেশন করে নিজেরাই নিজেদের তৈরী ওয়াহাবি সালাফি তথাকথিত মুসলিম জঙ্গীদের দিয়ে তারপর এটাকে বারবার বারবার পুনঃপুনঃ প্রচার করে তারা ঘৃনা উসকে দিয়ে হামলা করে নিরীহদের উপর।

কেন ইরাকে হামলা করা হলো WMD বা ওয়েপন অফ মাস ডিষ্ট্রাকশনের ভুয়া অজুহাত তুলে? কারনটা পরে বলব, আপনারা চিন্তা করতে থাকেন।

আমি যে অশুভ শক্তিটির কথা বলেছিলাম ১ম পর্বে এই খাজারিয়ানরা হলো সেই অশুভ শক্তির প্রধান বাহন। পৃথিবীর এমন কোন বড় সংস্থা বা সরকার বা দেশ নেই যাদের ভিতর তারা নিজেদের লোক ঢুকিয়ে রাখেনি। আপনারা কিছুটা হলোেও বুঝেছেন এদের ক্ষমতা এবং প্রতিপত্তি সম্পর্কে। মুলত এই বস্তুজগতের এবং এই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রন এখন পুরোপুরি তাদের হাতে। এবং তারা চুড়ান্ত বিজয়ের দ্বারে এক পা অলরেডী দিয়ে ফেলেছে শুধু আরেকটি পা দিলেই সেটি পুরোপুরি হয়ে যাবে। এবং তারা একটি মাত্র মহাঅস্ত্র দিয়ে দীর্ঘ দিনের অক্লান্ত চেস্টার ফলে এই স্থানে পৌছতে পেরেছে।

সেই মহাঅস্ত্র কি আপনার এতক্ষনে বুঝে গেছেন সেটা হলো কারেন্সি। আমি আগেই বলেছিলাম এদের দুটি Target একটি হলো সবার উপর প্রভুত্ব করা এবং আরেকটি হলো এই লক্ষ্যে পৌছুনোর জন্য যে সব বাধা আছে তাঁকে এমনভাবে ধ্বংস করা যাতে তা কখনোই আর হুমকি হয়ে না দাঁড়াতে না পারে। ১ম পর্বে বলেছিলাম বিশ্বে শুধুমাত্র ৩টি দেশ বাকি আছে এদের আওতার বাইরে। এখন বলছি দেশ ৩ টির নাম। ইরান, কিউবা এবং উত্তর কোরিয়া । বলতে পারবেন কেন এই ৩ টি দেশ বাইরে আছে? আর কেনই বা এই দেশগুলোর উপর গত চার দশকের উপর অবরোধ চাপানো আছে যাতে এরা পর্যুদস্ত হয়ে হাটুমুড়ে বসে? ভাবুন। দেখি এই লেখাটা কতটুকু গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন আপনারা ।

এই পর্বটাও একটু তাড়াহুড়া করেই দিতে হলো ইনবক্সে আপনাদের ক্রমাগত তাগাদার ফলে। আমার লেখা বিশ্বাস করতে হবে এমনটি বলিনা কিন্তু ভাবতে বলি, গবেষণা করতে বলি, তাতে আপনারা নিজেরাও এমন কিছু আবিস্কার করবেন যেটা হয়ত আমিও জানিনা।


আগের পর্বে কিছু কমেন্ট পড়ে হেসেছি। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেছেন অবৈজ্ঞানীক। কিন্তু আপনারা যেটা জানেননা সেটা হলো বিজ্ঞান এখনো তার শিশুকাল পেরোতে পারেনি। টেসলা বলেছিলেন ফিজিকাল এনটিটি বাদ দিয়ে যেদিন বিজ্ঞান ননফিজিকাল এনটিটি সম্পর্কে গবেষণা শুরু করেছে সেদিন থেকে বিজ্ঞান একলাফে কয়েকশ বছর এগিয়েছে।

কিন্তু তবুও বিজ্ঞান এখনো কৈশোরেও পৌছাতে পারেনি। তাহলে কিভাবে সে স্পিরিচুয়ালিটি বা ননফিজিকাল এনটিটিকে ব্যাখা করবে? বিজ্ঞান তো সেখানে পুরোপুরি অন্ধ। তাই বলা হয় বিজ্ঞানের যেখানে শেষ সেখান থেকে স্পিরিচুয়ালিটির শুরু। বিজ্ঞানের ব্যার্থতা দিয়ে আপনি এ বিষয়ের গভীরতা মাপতে গিয়ে হতাশ হয়ে এটাকে বাতিল করতেই পারেন সেটা আপনার নিজের আহাম্মকি।


আবার আজকের নিবন্ধ পড়ে যদি কারো মনে প্রশ্ন জাগে তবে ধৈর্য্য ধরেন যেটা ১ম পর্বে আগেই বলেছি, পরবর্তী পর্বগুলোতে উত্তর এমনিতেই পেয়ে যাবেন। পরের পর্বগুলোতে আমি এমন সব বিষয়ের অবতারনা করব যা না আপনারা কখনো শুনেছেন, না ভেবেছেন।


এ পর্যন্ত হয়তো অনেকেই আমার লেখার সাথে ছিলেন, কেউ কেউ হয়ত পছন্দও করে থাকবেন তবে আগামীতে সেটা আর হবেনা। কারন আগামীতে যা বলব তা আপনাদের এতদিনকার বিশ্বাসের ভিত নাড়িয়ে দেবে এবং আপনাদের ভিতর খুব অল্প সংখ্যকই সেই চরম সত্য মেনে নিতে পারবেন এবং বাকিরা আমাকে গালমন্দ করবেন।


এটাই বাস্তবতা। তবে আপনাদের অন্ধ বিশ্বাসকে ধ্বংস করার যথেষ্ঠ প্রমান এবং দলিল সেখানে থাকবে, বাকিটা আপনাদের নিজেদের হজম ক্ষমতার উপর নির্ভর করবে কতটুক নিতে পারবেন বা পারবেন না। আমার কাজ জানানো বাকিটা আপনাদের উপর। এটা শেষ সময় তাই কোন গোপন কিছু এমনিতেও আর গোপন থাকবেনা। সত্যের ধর্ম অনুযায়ী সত্য উম্মুক্ত হয়ে যাবে আর মিথ্যার ধর্ম অনুযায়ী মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।


১ম নিচের ছবিতে তাঁদের তৈরী বর্তমান world government দেখতে পারছেন এবং একদম নীচের সারিতে আপনাদের অবস্থান।

২য় নিচের ছবিটা হলো BAAL এর যার বিভিন্ন সিম্বল বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সংস্থায় ইউজ করা হয়ে থাকে যার একটি হলো WHO এবং ছবির বামে রয়েছে BAAL এর মুর্তি।




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন