আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেছেন,
“যখন জেরুজালেমের উত্থান হবে এবং মদীনার পতন হবে, তখন আসবে মহাযুদ্ধ । ইহা হবে এমন যুদ্ধ যাতে শতকরা ৯৯ জন মৃত্যুবরণ করবে” । মহানবী (সাঃ) জেরুজালেমের উত্থান বলিতে ইসরাঈলের উত্থান অর্থাৎ ইহুদীদের উত্থানকে বুঝিয়েছেন এবং মদীনার পতন বলিতে মুসলমানদের পতনকে বুঝিয়েছেন । বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীর রাজনীতি, অর্থনীতি এমনকি ধর্মীয় বিষয়াদি ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে এখনকার দুনিয়ার রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক কোন ব্যাপারেই মুসলমানদের কোন কর্তৃত্ব নাই । সুতরাং রাসুলূল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যতবাণীকৃত সেই যুদ্ধ এখন যে-কোন মুহূর্তেই শুরু হয়ে যাবে । আর তা হবে পারমাণবিক যুদ্ধ । এই অস্ত্রের আঘাতে শতকরা ৯৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়। ফলে পৃথিবীর বিরাট একটি অংশ মানুষের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে। (সম্ভবত উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ)
দাজ্জালের হুকুমে বৃষ্টি বর্ষিত হইবেঃ
![]() |
ছবিঃ আবহাওয়া নিয়ন্ত্রনকারী হার্প প্রযুক্তি |
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প এই হার্প প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটানো বলে মনে হচ্ছে কেননা
কিছু গবেষকের মতে ১৯৯৮ সালে আফগানি স্তানে সংঘঠিত ভুমিকম্প এবং ২০০৫ সালে পাকিস্তানের কাশ্মিরে সংঘঠিত ভূমিকম্প কৃত্রিম ভাবে হয়েছিলো। এর জন্য দায়ী করা হয় রাশিয়া কে। ২০০৮ সালে পশ্চিম চীনের জেনজু শহরে এ ২০১০ সালে হাইতিতে ঘটে যাওয়া ভুমিকম্প নিয়ে বলা হয় সেসব অঞ্চলে হার্প টেকনোলজির পরীক্ষা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৫ সালে নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভুমিকম্পকেও কৃত্রিম বলে ঘোষনা দেন গবেষকেরা। তাদের মতে ভারত ও চীনকে সতর্ক করে দেবার জন্যই বলির পাঠা হিসেবে নেপালে এ ভুমিকম্প ঘটানো হয়।
[ভিডিও সংগৃহীত]
সামরিক প্রযু্ক্তি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমেরিকা এমন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে যা বলতে গেলে এটম বোমার চাইতেও শত্রু নিধনে বেশী কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে । ইহার নাম হার্প (HAARP-High Frequency Active Auroral Research Program) । অবশ্য এই প্রযুক্তি বর্তমানে রাশিয়া এবং চীনও আয়ত্ত করেছে এবং ব্যবহার করতেছে । এর মাধ্যমে হাজার মাইল দূরবর্তী এলাকার আবহাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যায় । খরা-বন্যা-টর্নেডো-ভূমিকম্প ইত্যাদি সৃষ্টির মাধ্যমে শত্রুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করা যায় । কোটি কোটি মানুষের মধ্যে নির্দিষ্ট এক বা একাধিক রোগ ছড়িয়ে দেওয়া যায়, যেমন-মৃগী, ক্যান্সার ইত্যাদি । কাজেই এখন থেকে আমেরিকায় বা আমেরিকাপন্থী কোন দেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হইলে তাকে রাশিয়ার কারসাজি বলে ধরে নিতে পারেন। আবার বিপরীতটা হলে আমেরিকার কারসাজি হিসাবে মনে করতে পারেন । অবশ্য রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কৌশলগত কারণে সাম্রাজ্যবাদীরা নিজ দেশে অথবা বন্ধুপ্রতিম দেশেও অঘটন ঘটাতে দ্বিধা করে না । আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, মহানবী (সাঃ) আবহাওয়া দাজ্জালের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন ।
সন্তানদের জন্য জাহান্নামী হইবেন নাঃ
পবিত্র কোরআনের সূরা কাহফ একটি আখেরী জামানা সংক্রান্ত সুরা । এই সূরাতে আল্লাহ একটি ঘটনা বর্ণনা করিয়াছেন, হযরত খিজির (আঃ) একটি কিশোর ছেলেকে লাঠির আঘাতে হত্যা করেন এবং তাহার পিতামাতার জন্য একটি সুসন্তানের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেন । কেননা তিনি জানতে পারছিলেন যে, ছেলেটি বড় হওয়ার পরে কাফের হইয়া যাইবে এবং তাহার ঈমানদার পিতামাতাকে হয়রানী করিবে । এই ঘটনা দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই শিক্ষা দিতেছেন যে, আখেরী জামানায় দাজ্জাল আমাদের অনেকের সন্তানকে কাফের-বেঈমান বানাইয়া ফেলবে । মনে করুন, আমাদের কাহারো সন্তানকে দাজ্জাল সমকামী বানাইয়া ফেলছে । সেক্ষেত্রে আমাদের উচিত তাহাকে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সামান্য কিছু চেষ্টা তদবির করা । ব্যর্থ হইলে আল্লাহর নিকট পুণরায় সুসন্তানের জন্য প্রার্থনা করতে হবে । যদি সন্তানের মায়ায় পড়িয়া সন্তানের পেছনে লাগিয়া থাকেন, তবে আপনার নিজেরই বেঈমান/পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
দাজ্জালের রুটির পাহাড়ঃ
মুগীরাহ্ ইবনু শুবাহ (রাযি:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দাজ্জালের ব্যাপারে নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আমার চেয়ে বেশী আর কেউ জিজ্ঞেস করেনি। আর তিনি আমাকে বলেছেন, তোমার কি প্রশ্ন? তিনি বলেন, জবাবে আমি বললাম, লোকেরা কথোপকথন করছে যে, তার সাথে রুটি ও গোশতের পর্বত এবং পানির ঝর্ণা থাকবে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা তো আল্লাহর কাছে তার তুলনায় সহজ।
[সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭২৬৯]
লোকেরা রুটির জন্য তার পেছনে পেছনে ছুটবে । সেই রুটিগুলি ভালো আটার হইবে নাকি পোঁকা ধরা পচাঁ আটার হইবে তাহাও ভাবনার বিষয় । আসলেই আমরা যে হালুয়া-রুটি খাই সেই রুটি ? নাহ ! আমরা মনে করি, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন “রুটির পাহাড়” বলিয়াছেন, তা দ্বারা তিনি রুটি স্তুপাকারে সাজিয়ে পাহাড়ের মতো উঁচু করাকে বুঝান নাই । আমরা বিষয়টিকে দেখি ভিন্ন দৃষ্টিতে । সম্ভবত হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) রুটির পাহাড় দিয়ে বুঝিয়েছেন বিশাল বিপুল ধন-সম্পদের ভান্ডার । রুটি দিয়া এখানে বুঝানো হইয়াছে বস্তুগত ধন-সম্পদ । আপনি যদি ভিন্ন মত পোষণ করেন সেটা আপনার ব্যাপার । কারণ আমরা ক্রমাগত সামনের দিকে অগ্রসর হইতেছি, দাজ্জাল অনেক ধন-সম্পদ সঞ্চয় করিবে, বিপুল ধন-সম্পদের মালিক হইবে । দাজ্জাল কি কি কলাকৌশলে এই বিপুল সম্পদের মালিক হইবে এবং পৃথিবী শাসন করিবার তাহার মিশন বাস্তবায়ন করিবে, কেননা ধন-সম্পদই হইল শক্তি- ক্ষমতা । আমার যদি সম্পদ থাকে, আমি সকলকে শাসন করিব । তাছাড়া যাদের সম্পদ নাই, তাদেরকে সহজেই দাসত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করা যাবে ।
১৯৪৪ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রানীতি তৈরী করে । তারা যা করেছে তা হইল সোনাকে মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষনা করা । তাহারা দিনার এবং দিরহামকে অর্থাৎ স্বর্নমুদ্রা এবং রৌপ্যমুদ্রাকে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। কিন্তু দিনার এবং দিরহামকে আল্লাহ তায়ালা হালাল ঘোষনা করেন । দিনারের কথা কোরআনে আছে দিরহামের কথা কোরআনে আছে । আপনি যদি কিছুকে হারাম করেন আল্লাহ যা হালাল করেছেন ইহা কি কোন পাপ ? আপনি যদি কিছুকে হালাল করেন আল্লাহ যাহাকে হারাম করিয়াছেন ইহা কি কোন পাপ ? হ্যা ইহা একটি পাপ । পবিত্র কোরআনের সুরা তাওবাহ তে আল্লাহ বলেনঃ
“তারা আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের পন্ডিত ও ধর্ম যাজকদেরকে রাব্ব বানিয়ে নিয়েছে এবং মারইয়ামের পুত্র মসীহকেও। অথচ তাদের প্রতি শুধু এই আদেশ করা হয়েছে যে, তারা শুধুমাত্র এক মা‘বূদের ইবাদাত করবে যিনি ব্যতীত ইলাহ হওয়ার যোগ্য কেহই নয়। তিনি তাদের অংশী স্থির করা হতে পবিত্র।” (সূরা আর তওবাহ, ৩১)
১৯৪৪ সালে তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা নীতির মূল ভিত্তি তৈরী করেছে যা পুরোপুরি শিরকের উপর প্রতিষ্ঠিত । কিন্তু আজ পর্যন্ত খুব কমই মিম্বরে এসব নিয়ে আলোচনা হয়।
খুব কমসংখ্যক মুফতি,ইমামগণ দাঁড়াইয়া বলেন ইহা শিরক। বাকীরা কই? একদিন তাহাদেরকে অবশ্যই এজন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করিতে হইবে ।
নারীদের সংখ্যা হইবে পুরুষদের পঞ্চাশ গুণ বেশীঃ
মহানবী (সা:) কেয়ামতের যে-সব আলামতের কথা বলিয়া গিয়াছেন তার একটি হইল
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের এমন একটি হাদীস বর্ণনা করব যা আমার পর তোমাদের নিকট আর কেউ বর্ণনা করবে না। আমি আল্লাহর রসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামাতের কিছু আলামত হল : ‘ইলম হ্রাস পাবে, অজ্ঞতার প্রসার ঘটবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে, স্ত্রীলোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, এমনকি প্রতি পঞ্চাশজন স্ত্রীলোকের জন্য মাত্র একজন পুরুষ হবে পরিচালক।
[সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮১]
পুরুষদের সংখ্যা ইতিমধ্যেই আশংকাজনকভাবে কমতে শুরু করেছে ।বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্রদের চাইতে ছাত্রীদের সংখ্যা দুই-তিনগুণ বেশী ।
মহানবী (সা:) বলিয়াছেন, একজন পুরুষকে পঞ্চাশ জন নারীকে দেখভাল করতে হইবে । তিনি বলেন নাই যে, একজন পুরুষকে পঞ্চাশ জন নারীকে বিবাহ করতে হইবে । বিবাহ সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্তই হালাল, চারের অধিক হারাম । বিশ্বনবীর (সা:) এই ভবিষ্যতবাণী বাস্তবায়িত হইতে আর বেশী দিন বাকী নাই ।
পর্ব ২ পড়ুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন