পাকিস্তান, বাংলাদেশ,নব্য ক্রুসেড ব্লাক ওয়াটার ও ইসকন (ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের উপর কাফেরদের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র ফাঁস)
ইসলামী ইমরতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ পাকিস্তান। হাজারো ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই উপমহাদেশে আল্লহার জমিন পাকিস্তান। জিহাদী চেতনা আর নিউক্লিয়ার সমৃদ্ধ পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে দাজ্জালের সৈন্য ক্রুসেডার ব্লাক ওয়াটার।
সংক্ষিপ্ত আকারে জেনে নেই ব্লাক ওয়াটার কি। ব্লাক ওয়াটার আমেরিকার প্রাইভেট ভাড়াটে মিলিটারি। ল্যাটিন আমেরিকা হতে শুরু করে আফ্রিকার দরিদ্র দেশের অপরাধ প্রবণ সন্ত্রাসীদের নিয়ে গঠিত ব্লাক ওয়াটার। ব্লাক ওয়াটারের এক স্কুল আছে যা সমগ্র আমেরিকার জারজ সন্তানের দায়িত্ব নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের উগ্র ক্রুসেডার দীক্ষা দিয়ে ব্লাক ওয়াটারে ভর্তি করানো হয়৷
ব্লাক ওয়াটারের বিশ্বাস ও উদ্দেশ্যঃ ব্লাক ওয়াটার এর প্রতিষ্ঠাতা একজন উগ্র খ্রিস্টান ক্রুসেডার। ব্লাক ওয়াটারের নীতি নির্ধারকরা হলো মাল্টা এজেন্সির খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা।
সুলতান সালাউদ্দীন আউয়ূবীর সময় ক্রুসেডার যুদ্ধে খ্রিস্টান বাহিনী সম্পূর্ণরুপে পরাজিত হয়৷ তাদের শক্তি অহংকার মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় মুসলিম বাহিনী। এই পরাজয়ে ক্রুসেড বাহিনীর চরম অপমানিত হয়ে আর ইউরোপে ফিরে যায় নি। তারা ফিলিস্তিনের অদূরে মাল্টা দ্বীপে থেকে যায়৷ মাল্টায় তাদের চার্চ আছে৷ মাল্টার এই উগ্র ক্রুসেডারদের পরাজয়ের পর আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেনি, পরাজয়ের গ্লানির জন্য৷
আর তারা সংকল্প করে বসে পৃথিবী থেকে মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করে ছাড়বেই৷
এই উগ্র চেতনা হলো ব্লাক ওয়াটারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
ইরাক যুদ্ধে ব্লাক ওয়াটার পৃথিবীর জঘন্যতম গণহত্যা সংঘটিত করে। ন্যাটো বাহিনী সাধারণ ইরাকিদের হত্যা করতে পারেনি তেমন। কিন্তু ব্লাক ওয়াটার কাউকে ছাড় দেয়নি৷ মুসলমানদের রক্ত মাংস দিয়ে উৎসব করতো তারা৷ কারণ তাদের উদ্দেশ্যে হলো মুসলমান তাদের চীর শত্রু৷ আর সুলতান সালাউদ্দীন আউয়ূবীর সাথে পতনের প্রতিশোধ নিতে ওরা বদ্ধপরিকর।
এমন কি ইরাকী সন্ত্রাসীদের তাদের দলে ভর্তি করায়। অর্থ আর উচ্চ ভাতার লোভে নিজ দেশের বিরুদ্ধেই রক্তের বন্য বসিয়ে দেয় ইরাকের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা৷ নিজ দেশের মানুষ যখন ক্রুসেডারদের সাথে মিলে মীর জাফরের ভূমিকা রাখে তখন পতন আটকানো যায় না।
এবার আসি পাকিস্তানেঃ ইরাক যুদ্ধের সময় আমেরিকা পারভেজ মোশাররফ কে হুমকি দেয়-আমাদের সাথে চলে আসো, না হয় পাথর যুগে চলে যাও৷
ক্ষমতালোভী পারভেজ লেন্দুপ দর্জির মতো আমেরিকার গোলামী শুরু করে দেয়। উম্মতের শেষ স্তম্ভ ইসলামী পাকিস্তান কে ফেলে দেয় মহা বিপদের সামনে। পারভেজ মোশাররফ হয়তো ভুলে গেছে ইসলামীয়া পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি ও জনগণের জিহাদী চেতনা পাকিস্তান কে যেকোনো ক্রুসেডারদের নগ্ন থাবা থেকে রক্ষা করার জন্য অতন্দ্র প্রহরী। দুনিয়া পূজারী ক্রুসেডার পারভেজ নিজ দেশের সক্ষমতা ভুলে বসে থাকে। কারণ জিহাদী চেতনা ছাড়া কোন শাসক তার শক্তি সম্পর্কে অজ্ঞ৷ এভাবেই পারভেজ বিক্রি হয়ে যায় ক্রুসেডারদের কাছে। তালেবান খেলাফতের পতনে পারভেজ মোশাররফ এর জঘন্য ভূমিকা ভুলবেনা আফগানিস্তান।
১৮ একর ভূমি নিয়ে বেলুচিস্তানে গোপন ঘাটি গড়ে ব্লাক ওয়াটার ও এফবিআই। অনেকে ধারণা করে এখন থেকেই তালেবান খেলাফতের উপর ড্রোন হামলা চালাতো আমেরিকা। সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে এই দাজ্জালি বাহিনী ব্লাক ওয়াটার ছড়িয়ে পরে৷
পাকিস্তানের ১৫ হাজার সন্ত্রাসীদের উচ্চ ডলারের বেতন দিয়ে তাদের দলে ভর্তি করানো হয়৷ পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের দিয়েই পাকিস্তানের নির্বিচারে বোমা হামলা চালায় ব্লাক ওয়াটার। আর দাজ্জালি মিডিয়া সেই বোমা হামলা দিয়েই পাকিস্তানে আল কায়েদার উপস্তিতির মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছাড়ায়৷
এই ব্লাক ওয়াটার আফিয়া সিদ্দিকী কে গ্রেফতার করে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের হাতে তুলে দেয়। আফিয়া সিদ্দিকী বলে আমি রাউলাপিন্ডি যাওয়ার পথে আমাকে বিদেশি এজেন্সি চোখ বেধে নিয়ে যায়। আমি চোখ খুলে দেখি আমি আফগানিস্তানে,এবং আমার হাত কড়ায় লেখা মেড ইন ইউএস।
আমাকে সেখানে নেওয়ার পর ব্লাক ওয়াটারের সন্ত্রাসীরা আমার হিজাব টেনে হিচড়ে ছিড়ে ফেলে৷ আমাকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আর এসব জারজ ক্রুসেডারদের মুখের ভাষা খুব বিশ্রি। আর তাদের রক্তে মিশে আছে সুলতান সালাউদ্দীন আউয়ূবীর সাথে পতনের প্রতিশোধ নেওয়ার নির্মম চেতনা।
আবু গারিব জেলখানায় এতো নির্মম নির্যাতন হওয়ার কারণ হলো, আবু গারীব কারাগার ব্লাক ওয়াটার সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরিচালিত।
পাকিস্তানের ক্ষমতালোভী দালাল শাসক নিজ দেশের অগ্নি কন্যা আফিয়াকে তুলে দেয় ক্রুসেডারদের হাতে৷
আর ব্লাক ওয়াটার পাকিস্তান জুড়ে বিস্তার লাভ করে এই ক্ষমতালোভী শাসকদের কারণে।
পাকিস্তানের পুলিশ ব্লাক ওয়াটার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করলেও তারা কিছুদিন পর অদৃশ্য ইশারায় ছাড়া পেয়ে যায়। এবং যারা তাদের গ্রেফতার বা বাধা দেয় তাদের নির্মম পরিণতি হয়। যার ফলে মুখ খোলার সাহস কারো হয়না। সংক্ষেপ বলা হলো,বিস্তারিত জানতে চাইলে কেই আসেম ওমরের "ব্লাক ওয়াটার " বইটা পড়ে নিতে পারেন।
এবার আসি মূল কথায়-
পাকিস্তানে মিলিত হয়েছে আমেরিকার -ইজরায়েল -ভারত ত্রি শক্তি। তাদের কে বলা হয় থ্রি ঈগল। এই ত্রি শক্তির প্রধান টার্গেট এই উপমহাদেশ থেকে পাকিস্তান কে ধ্বংস করা৷ আর পাকিস্তানের কিছু হলে ভারত, বাংলাদেশের মুসলমানদের শেষ রক্ষা হবে না৷
পাকিস্তানে এই ত্রি শক্তি তাদের ভয়ংকর মিশন নিয়ে কাজ করছে।বেলুচিস্তান,সোয়াতে এদের উপস্থিতি বেশি৷ এমন কি কুলভূষণ যাদব নামে এক ভারতী র কে গ্রেফতার করেছিলো পাকিস্তান। সে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কাজের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতো।
পাকিস্তানে মসজিদ মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা হামলার পেছনের ইতিহাস দাজ্জালের মিডিয়ার কারণে কেউ জানতে পারেনা আসল ঘটনা।
এই ত্রি শক্তি পাকিস্তানে সন্ত্রাসের মূল হোতা। তারা ব্লাক ওয়াটার, মোসাদ,র, সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে দাড়ি টুপি পোশাকে৷
ভারতের মানুষের সাথে পাকিস্তানের মানুষের চেহারা মিল থাকায় এই জঘন্য কাজ 'র' করে থাকে। সন্ত্রাসীদের দাড়ি পাঞ্জাবী পোশাকে বোমা হামলা সহ যাবতীয় অপারেশন পরিচালিত হয় ত্রি শক্তির মাধ্যমে৷
এগুলো বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলা গুলো মূলত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের যুদ্ধ। আর মিডিয়া সেই সন্ত্রাসী হামলা মুসলমানদের আত্মঘাতী হামলা বলে প্রচার করে। আর আমরা হতভাগা জাতি দাজ্জালের মিডিয়ার কথা বিশ্বাস করে পাকিস্তান কে জঙ্গি রাষ্ট্র বলে গালি দেই, আফসোস।
এই উপমাহাদেশে ক্রুসেডারদের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র যে কি পাহাড় পরিমাণের মতো মুসলমানের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। আর মুসলমান ভুলে গেছে সামনে তার কি পরিণতি।
ক্রুসেডারদের সুলতান সালাউদ্দীন আউয়ূবীর সাথে পরাজয়, ভারতের হিন্দু রাজাদের পরাজয় এই ক্রুসেডারদের ত্রি শক্তি রুপ দিয়েছে ভারত উপমহাদেশে।
আমেরিকার -ইজরায়েল -ভারত এই উপমহাদেশের মুসলমানদের চীর শত্রু। যারা তাদের বন্ধু রুপে গ্রহন করবে ও তাদের বন্ধু মনে করবে, দুনিয়াতে আছে অপমান আর পরকালের জাহান্নাম অপেক্ষা করছে।
ভারতের রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা বা অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার পেছনের আসল শক্তি হলো আমেরিকার -ইজরায়েল -ভারত ত্রি ক্রুসেডার শক্তি৷ আমেরিকার -ইজরায়েল ভারত কে উত্তেজিত করছে এভাবে যে-ভারত একসময় অখণ্ড হিন্দুদের ছিলো। মুসলমানদের দখলে মন্দির ভেঙ্গে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে। এই মিথ্যা কে সত্য মনে করে ক্রুসেডারদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে ভারত।
আমেরিকার -ইজরায়েল এর উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তান কে ধ্বংস করে দাজ্জালের পথ সহজ করা, আর ভারতের লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের পতনের পর অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করা৷ এর কারণেই ত্রি শক্তি চুরমার করে দিচ্ছে পাকিস্তান কে। পাকিস্তানের নদীতে ডাম দিয়ে পানি বন্ধ করা ক্রুসেডারদের নগ্ন থাবা ভারতের মাধ্যমে করা হচ্ছে।
আর বাংলাদেশ কে যে ছেড়ে দিবে ভারত সেই চিন্তা করা জাতির মহা বোকামি।
পাকিস্তানের ব্লাক ওয়াটার যে ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশেও সে ভূমিকা পালন করবে ইসকন। ইসকন হলো ব্লাক ওয়াটারের হিন্দু ভার্সন। বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর চরম গণহত্যার আমি দেখতে পাচ্ছি। আরে বেশিদিন নয় মুসলমান।
হুশিয়ার! হুশিয়ার! হুশিয়ার
লিখেছেনঃ আল ইন্তিফাদা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন