দাজ্জালের অনুসারী নারীদের ক্যারিয়ার ভাবনা এবং বিভ্রান্তিকর স্কলার


 দা-জ্জালের অনুসারী নারীদের ক্যারিয়ার ভাবনা ও আজকে বিভ্রান্ত ইসলামি স্কলারদের অন্ধ চোখ-


যে মেয়ে গুলা ২৬/২৭ বছর বয়সে এসেও অবিবাহিত আছে, তারা তাদের যৌবন,নারীত্ব,মাতৃত্ব,কোমলত্ব,স্পৃহা,নারীর সিফাত ইত্যাদি কে স্বল্প মূল্যে দা-জ্জালের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

আমি কোনো যুক্তিতেই তাদের এই অবাধ্যতা কে মেনে নিব না। তারা যতই আফসোস করুক তারা যেমন নিজেকে বিলিন করিয়ে দিয়েছে তেমনি তার স্বামী কে ঠকিয়েছে।

আজকে ছেলেরা ২০/২২ বছরেই বিয়ের জন্য হাহাকার করে।

ছেলেদের বিয়ে আটকে থাকে ক্যারিয়ারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে। তাহলে মেয়েদের বিয়ে কেনো আটকে আছে। তারা কি ২৭/২৮ বছর অপেক্ষা করছে কোনো ছেলের দায়িত্ব নেবার জন্য। আজকে দ্বীনি সাইটে অধিকাংশ মেয়ে দেখা যায় যাদের বয়স ২৬/২৭ এর মধ্যে এবং ৩০ এর সংখ্যাটাও চোখে পড়ার মত।


এখন কথা হলো যে মেয়ের বিয়ের বয়স হয় কমপক্ষে ১৫ বছর হতে। সে কেনো ৩০ এসে বিয়ে করবে। হযরত আদম (আ) এর একাকিত্ব পূরণ করার জন্যই হযরত হাওয়া (আ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে।

নারীদের গঠন আর পুরুষের আকাশ পাতাল ব্যবধান।

পুরুষ নারী দেখলেই তার যৌবন কয়েক সেকেন্ডে প্রকম্পিত হয়৷ আর নারীর যৌবন প্রকম্পিত হয় পুরুষের ছোয়ায়।

নারীর যৌবন বয়স হলে কমতে থাকে। আর পুরুষের বাড়তে থাকে। এমন কি একটি পুরুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম।

এখন সমাজে নারী পুরুষ কে মিলিয়ে ফেলা হয়েছে এক ক্যাটাগরিতে। যার ফলে হাজার হাজার নারী যৌবনের আনন্দ হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

এক সাবেক ফেমিনিস্ট ২৭ বছরের দিকে বিয়ে করে। কথিত শিক্ষা আর ক্যারিয়ারের পিছনে ছুটে। এখন শেষ বয়সে বিয়ে করে ফ্যামিলি কে দোষারোপ করছে। তার ফ্যামিলি নাকি তাকে বিয়ে ও যৌবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেছে।


নারীদের ১৫ থেকে ২৫ এই সময় টা অধিক প্রেমময়ী সময়। এই সময়ে সে বিবাহ না করলে সে যেমন প্রকৃত প্রেম ও যৌবন থেকে বঞ্চিত হবে সাথে তার স্বামী কেও বঞ্চিত করবে। সাথে বঞ্চিত হবে এই নারীর প্রকৃত মাতৃত্ব স্বাদ। নারীদের প্রকৃত অর্জন হলো মাতৃত্ব স্বাদ। যারা এটা থেকে বঞ্চিত তারা হারে হারে টের পায়। আর রাসূল (স) বলেছেন তোমরা বিয়ে করো নির্মল জরায়ুধারী,অত্যাধিক প্রেমময়ী, অধিক সন্তান প্রসবকারী। আর আমি সেদিন উম্মতের সংখ্যাধিক্য নিয়ে গর্ব করবো।

অর্থাৎ মুসলিম নারীরা বয়সে হবে কম। তারা হবে অত্যাধিক প্রেমময়ী ও অধিক সন্তান জন্মকারী। কিন্তু আজ দা-জ্জাল এই নারীদের সমস্ত আবেগ, যৌবন,মাতৃত্ব বিনষ্ট করে দিয়েছে।

যে কম বয়সী নারী সমস্ত প্রেম ও যৌবন স্বামীর নিকট উপভোগ করার কথা। তাকে ঠেলে দিয়েছে কথিত শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের পিছনে। সে তারা প্রেম যৌবন অবৈধ জ্বিনায় প্রেমিকের কাছে উৎসর্গ করছে। আর তার অবৈধ মাতৃত্ব বিনষ্ট হচ্ছে পিল খেয়ে,এভারেশন করে,ডাস্টবিনে ফেলে।

এভাবেই দা-জ্জাল প্রেমময়ী যৌন আনন্দের বৈধ ব্যবস্থা কে ভেঙ্গে তা জ্বিনা ব্যভিচার ছড়িয়ে দিয়েছে। আর বাস্তবতা কিন্তু আমরা দেখতেই পাচ্ছি।

আর ১৮ বছরের কথিত থিওরী এমনভাবে মাথায় ঢুকেছে যার ফলে এখন ফ্যামিলি গুলা বুঝে একটা মেয়ের বুঝ জ্ঞান হয় ১৮ এর পর থেকে। তাই ২৫/২৬ তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। অথচ আমি মনে করি ১৭/১৯ হলো মেয়েদের বিয়ের শেষ সময়। এটা অতিক্রম করলেই বিপর্যয়।


আর মেয়েদের দেরিতে বিয়ে হলে তার সেক্স হরমোন ইম ব্যালান্স হতে পারে। এর ফলে নিজ লিঙ্গের (সমকামী)প্রতি যৌন আকর্ষণ কাজ করতে পারে। আর বন্ধ্যাত্বের ঝুকি তো আছেই।

আগে কেনো আমাদের মুরুব্বিরা খুব অল্পবয়সে মেয়েদের কে বিয়ে দিতো আজকে আমরা বুঝতে পারিনা। অথচ আমরা তাদের কে বলি গ্রাম্য মূর্খ।

অল্প বয়সী মেয়েদের সতীত্ব হননের আশংকা

 কম,তাদের অত্যাধিক স্বামী কল্পনা, আগত প্রেমের উৎফুল্লতা সব কিছু মিলিয়েই তারা পারফেক্ট একটা পুরুষের জন্য একটা উম্মতের প্রজন্ম বিনির্মাণের জন্য। তাই জ্ঞানপাপীর মত ট্রল করে লাভ নাই ছেলেরা কচি মেয়ে খোজে। এটা সুন্নতের সাথে ঠাট্টা। যুবকরা যে কমবয়সী মেয়ে খোজে এটা উম্মাহর ঐতিহ্য । আপনারা ক্যারিয়ারের নামে বুড়ি বানিয়ে গড়ে বসিয়ে রেখেছেন এটার জন্য অনুশোচনা দরকার।

অনেক কিছুই বলার ছিলো। পোস্ট দীর্ঘ হবার কারণে বলা যাচ্ছে না। তাই কথিত ইসলামী সেলেব্রিটিরা আপনাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য যে মোটিভেট করছে তা আপনাদের কে ধ্বংস করার জন্যই। একদিন ঠিকই এই করুণ আর্তনাদ ভেসে উঠবে। কিন্তু সেদিন কোনো কাজে আসবে না।

লিখেছেনঃ আল ইন্তিফাদা

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন