“স্বপ্ন যখন পশ্চাত্য ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস”



ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া যুবক-যুবতীরা আমেরিকাকে ঈশ্বরের ন্যায় পূজা করে। হ্যা, যে বাক্যটি পড়ছেন তা আসলেই সত্যি। বেশিরভাগ যুবক-যুবতীই অনার্স শেষ করে কিংবা অনার্সের শুরুতেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকে। কিছু একটা বলে দেখেন আমেরিকার ব্যাপারে তারপর দেখবেন তারা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসবে আপনার কথার জবাব দিতে! কথাগুলো অমূলক মনে হচ্ছে? না ভাই, এগুলো চিরন্তন সত্য কথা।


মিডিয়া আমেরিকাকে এমনভাবে প্রকাশ করে যেন আমেরিকা একটা ধুয়া তুলসীপাতা, ভাজা মাছটাও উলটিয়ে খেতে পারে না! আদতে কি তাই? তাহলে আফগানিস্তানে দিনের পর দিন নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ কারা চালিয়েছে? কারা নারীদেরকে ধর্ষণ করেছে? এসবের ব্যাপারে জানতে চান সরলমনা ইউনিভার্সিটির যুবক-যুবতীদের কাছে, দেখবেন বলবে— ভাই, অহেতুক ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আমিতো শুধু পড়ালেখা করতে যাবো!


জিজ্ঞেস করেন আমেরিকার সেনানিবাসে নারীদের সাথে কি ঘটে! জিজ্ঞেস করেন কি ঘটেছিলো আফগানিস্তানের মুসলিমদের সাথে! ও হ্যা, তখন তো আবার দোষারোপটা নিজের মুসলিম ভাইদের ঘাড়েই পৌছিয়ে দিবে, বলবে—এরা উ|গ্রপন্থী! আর তুমি মুনাফিক সেজে আমেরিকার পূজা করে সাধুপন্থী? ইউনিভার্সিটির যুবক-যুবতীদের আমেরিকা পূজা দেখলে মাঝে মাঝে অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছা করে কিন্তু তাও চুপ থাকি কিছু কারণে!


মিডিয়া সফল। তারা যা চেয়েছিলো তাই করতে পেরেছে। আমেরিকা আজ ভদ্র, নম্র, কিচ্ছু বোঝে না মাছুম বাচ্চা! বাঙালির ইউনিভার্সিটির যুবক-যুবতীরাও আমেরিকাকে পূজা করে, ভালোই তো সমস্যা কি! সারাদিন সবকিছু নিয়ে রিসার্চ করা যায়, কিন্তু সত্য ঘাটতে রিসার্চ করার সময় এসব তথাকথিত যুবক-যুবতীদের নেই।


আমরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবো, শিক্ষিত সমাজ গড়ে নিজের মুসলিম ভাইকে উ|গ্রবাদী বলে কা|ফেরদের হাতে তুলে দিবো অন্যথায় নিজেই তাদের কাছে বিক্রি হয়ে যাবো! আজ এ পর্যন্তই, পাঠকরা বিরক্তিবোধ করতে পারে! কারণ তিক্ত কথা হজম হতে আবার সময় লাগে।


- মামুনুর রশিদ রাফাত

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন