তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতিঃ
গত বছরে রাশিয়া তার দেশের প্রায় ৪ কোটি নাগরিকদের ট্রেনিং করিয়েছে- ৩য় বিশ্বযুদ্ধে কিভাবে নিজেকে সেফ করে রাখবে এবং তাদের জন্য মাথাপিছু খাদ্য ও বরাদ্দ করা আছে। তলে তলে পরাশক্তি গুলো ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তাহলে আমরা অজ্ঞ থাকবো কোন ভরসায়। আমার বিশ্বাস ৭১ সালে যদি আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি থাকতো তবে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি এত ব্যাপক হতো না। তাই আরেকটি ভুল আমরা করতে চাই না।
এই পোষ্ট তাদের জন্য নয় যারা মনে করেন,
আসহাবে কাহাফগন কোনরকম প্রস্তুতি ছাড়াই কেবলমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে নগর থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। অত:পর আল্লাহই তাদের রক্ষা করেছেন।
মূসা (আ) কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই তার অনুসারীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। অত:পর আল্লাহই তাদেরকে রক্ষা করেছেন।সুতরাং যারা মনে করেন ৩য় বিশ্বযুদ্ধের জন্য এত চিন্তা, গবেষনা বা পেরেশান, প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তাহলে আপনারা বাকিটুকু পড়ে সময় নষ্ট করবেন না দয়া করে।
এই লিখা তাদের জন্য, যারা মনে করেঃ
ইউসুফ (আ:) দূর্ভীক্ষ মোকাবেলা করার জন্য ৭ বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। খাদ্য গুদামজাত করার ব্যবস্থা করেছেন।
নূহ(আ:) বিপর্যের আগেই নৌকা তৈরী করে রেখেছেন।
রাসূল (সা:) সাধ্যমত প্রস্তুতি নিয়েই বদরের ময়দানে হাজির হয়েছেন। সুতরাং আমাকেও সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিতে হবে।
একদিকে সিরিয়ায় শুরু হতে যাওয়া ৩য় বিশ্বযুদ্ধ যা ক্রমান্বয়ে সারা পৃথিবীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে আবার ভৌগলিকভাবে আমরা এমন একটি এলাকায় বসবাস করি যারা মোকাবেলা করবো গাজওয়ায়ে হিন্দ। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটাও হতে হবে এই উভয় সংকট মাথায় রেখে। প্রস্তুতিটাকে বিভিন্নভাগে ভাগ করে নিলে বুঝতে ও পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে।
ক. আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি
খ. শারিরীক প্রস্তুতি
গ. মানসিক প্রস্তুতি
ঘ. অর্থনৈতিক ও খাদ্য প্রস্তুতি।
ঙ. মূল জিহাদের প্রস্তুতি
[ নোটঃ পদক্ষেপগুলো ছবি আঁকারে নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখুন।
সংরক্ষণ (ডাউনলোড) করার লিংক https://t.me/lastera_analysis/529?single
___________
এ যুদ্ধে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ মানে অর্ধেকেরও বেশী বিলুপ্ত হবার আশংকা রয়েছে। তাই ধরে নিবেন আপনিও তাদের মধ্যে একজন। আর যদি বেঁচেও যান তবুও নিচের প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। আশা করি কল্যানের পথে ধাবিত হবেন।
ক. আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিঃ
১. মুসলিম হওয়ার জন্য কোরআন হাদীসে যে সব শর্ত বা বৈশিষ্টের কথা বলা হয়েছে তা পুরোপুরি মেনে চলার চেষ্টা করুন।
২. সকল ফরজগুলোর ব্যাপারে কঠোর যত্নবান হোন।
৩. যতটুকু সম্ভব কোরআন মুখস্থ করুন।
(নুন্যতম নামাজের জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয় সাথে সূরা কাহাফ এর ১ম ও শেষ ১০ আয়াত এবং জরুরী দোয়া সমূহ।)
৪. সকলের সাথে পাওনা, দেনা মিটিয়ে ফেলুন।
৫,ভূল ত্রুটি বা কারো সাথে ঝগড়া মনোমালিন্য থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন। বেশী করে তাওবা, ইসস্তিগফার করুন।
৬. প্রতিদিন কোরআন-হাদীস অধ্যায়ন করুন, যতটুকু সম্ভব।
৭. কোরআন, হাদীস, তাফছিরসহ গুরুত্বপূর্ন কিছু বই এর হার্ড কপি নিজের কাছে, বাড়ির সবচেয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখুন।
৮,সিনেমা, গান, নাটক, অসৎ সঙ্গ পরিহার করুন।
৯. আপনার পরিবার, নিকট আত্বীয়দের এসব ব্যাপারে সতর্ক করুন।
খ. শারীরিক প্রস্তুতিঃ
১. সব রকমের GMO food পরিত্যাগ করুন। [জেনেটিক মডিফাই খাদ্য]
২. এলোপ্যাথি/হোমিওপ্যাথি ঔষধ বর্জন করুন।
৩. ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
৪. নিয়মিত শরীরচর্চা, বিশেষ করে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি করুন।
৫.কমন রোগ যেমন গ্যাষ্টিক, ডায়াবেটিস, জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি, বমি এসবের জন্য ভেষজ ঔষধ গুলো বাড়িতে সংরক্ষন করুন।
৬. বাড়িতে টিউভওয়েল বা চাপকল বসান, সাপ্লাই পানির উপর নির্ভরতা ১০০% কমিয়ে ফেলুন।
৭. কমপক্ষে ২ বছরের জন্য সাবান, ব্যান্ডেজ, স্যাভলন, ব্লেড, সুই, সুতা, দিয়াশলাই, মোমবাতি, ব্যাটারিচালিত টর্চলাইট ও ব্যাটারি ক্রয় করে রাখুন।
৮. জ্বালানীবিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার চেষ্টা করুন।(সোলার প্যানেল)
৯. পরিবারের সবার জন্য কমপক্ষে ২টি করে রেইনকোর্ট,পর্যাপ্ত শীতের ভারী জামা ও জরুরী জামাকাপড় ক্রয় করে রাখুন। শূন্য ডিগ্রি বা মাইনাস তাপমাত্রার উপযোগী পোশাক সংগ্রহ করুন।
[রাসূলুল্লাহ ( ﷺ) বলেছেন বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তার সাথে যোগদান করো। কারণ সে আল্লাহর খলীফা মাহদী। [৩৪১৬] তথ্যসূত্রঃ দেখুন
১০.পরিবারের সকলের জন্য ফিউম মাষ্ক বা গ্যাস মাষ্ক ১ টি করে এবং ডাষ্ট মাষ্ক পর্যাপ্ত পরিমানে সংগ্রহ করে রাখুন।
১১. বসবাস করার জন্য যে কোন শহর, বন্দর ত্যাগ করুন। যত অজো পাড়া গাঁ হবে; ততই ভালো। উত্তম হবে- পাহাড়ী এলাকা ও প্রাকৃতিক ঝর্না বা অধিক বৃষ্টি হয় এমন এলাকা। বেশী জনবসতি এলাকা পরিহার করুন।(ঢাকা-চিটাগং সহ বিভাগীয় সিটির ভাই- বোনদের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইলো)। [আজকাল মানুষ টাকা-পয়সা হলে শহরে পারি জমায়, শখের বশে হলে শহরে পারি জমিয়ে বাড়ি-গাড়ী করতে পারেন,তবে শেষ জামানা সম্পর্কে হাদিস-কুরআনের এবং বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। অথচ আমরা খুবই উদাসীন এসব ব্যাপারে।
শহরের দূষিত নোংরা পরিবেশের চেয়ে গ্ৰাম/প্রাকৃতিক পরিবেশ অনেক নিরাপদ। ]
১২. যারা একত্রে বসবাস করবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন।
১৩. সকল পুরুষ সদস্য একত্রে ঘুমাতে বা কোথাও সফরে যাবেন না। গ্রুপ করে পালাক্রমে পাহারা দিন/সফরে জান।
১৪. আশেপাশের জনপদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বাইসাইকেল সংগ্রহ করুন। দ্রুত যোগাযোগ করার পদ্বতি আবিস্কার করার চেষ্টা করুন।
১৫. ক্ষুধা, তৃষ্ণা সহ্য করার অভ্যাস করুন।
১৬. মাটির নিচে ঘর তৈরী করুন, বাড়ি থেকে সহজে বের হওয়ার পথ তৈরী করে রাখুন।
এটা নিয়ে একটা পর্ব আছে, দেখুন
১৭. তাবু তৈরী করার সরন্জাম ব্যবস্থা করুন।
১৮. আপনার এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বা কর্তব্যরত ডিফেন্স বাহিনীর সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন।
১৯. পাড়ায় পাড়ায় সেচ্ছাসেবক টিম গঠন করার চেষ্টা করুন।
২০. যদি সমস্যা না হয় স্থানীয় প্রশাসন বা জন প্রতিনিধিদের কাছে বিষয়টি বুঝিয়ে অনুমতি নিয়ে নিন।
গ. মানসিক প্রস্তুতিঃ
১. এ যুদ্ধের শুরুতেই সারা পৃথিবীর ইন্টারনেট ,বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হতে পারে। ফলে, দেশে- বিদেশে থাকা আত্বীয়স্বজন, বন্দু-বান্ধব এমনকি পরিবারের কেউ যদি প্রবাসে থাকে তার সাথে চিরদিনের মতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে- তার জন্য প্রস্তুুত হোন।
২. বৈদেশীক বানিজ্য ও লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকৃত পন্য, বিদেশে উৎপাদিত জরুরী ঔষধ ও যন্ত্রপাতি আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে, আপনার কাছের মানুষজন যারা ঐ সব ঔষধের উপর ডিপেন্ডেন্ড তারা চিকিৎসা হীনতায় ভূগবে এবং ইমারজেন্সি রোগীরা এক পর্যায়ে মারা যাবে; তার জন্যও প্রস্তুুত হোন।
৩. চারিদিকে মৃত্যু, লাশ আর নানান ধরনের অঘটন শুনতে পাবেন, যা এখন কল্পনাতেও আসে না, এমন পরিস্থিতির জন্য মনকে শক্ত করুন।
৪. নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সংকট শুরু হবে..... চাল, ডাল, তেল, লবন, পেয়াজ,মরিচ ইত্যাদি। আপনার কাছে টাকা থাকবে হাজার হাজার কিন্তুু ঐ টাকার বিনিময়েও আপনি জিনিসপত্র কিনতে পারবেন না। ফলে পারিবারিক খাদ্য সংকট কিভাবে সামাল দিবেন সে চিন্তা করুন,মনকে শক্ত রাখুন। কারন এ সময় ভেঙ্গে পরলে বাকিরাও টিকতে পারবে না।
৫. হয়তো নিজ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য মারা যাবে, আহত হবে, অসুস্থ হয়ে পড়বে, নিখোঁজ হয়ে যাবে এসবের জন্যও মনকে প্রস্তুুত রাখুন। [ফিলিস্তিন, সিরিয়া... মধ্যপ্রাচ্যর আত্যাচারে স্বীকার মুসলিম দেশগুলো পরিস্থিতি দেখে নিজেকে শক্ত করুন।]
৬. এ জাতীয় যে কোন সমস্যাই আসুক না কেন আল্লাহর ইবাদত থেকে গাঁফেল হওয়া যাবে না, মনে রাখতে হবে এই দুনিয়াটাই পরীক্ষা ক্ষেত্র। এ ধরনের বিপদ-আপদ দিয়ে; আসলে আল্লাহ আমাদের যাচাই করছেন। আমরা জান্নাতের যোগ্য কি না?
৭. প্রচন্ড অভাবের তাড়নায় আপনার বাড়িতে লুটপাট হতে পারে, হিংস্র হয়ে উঠতে পারে আশেপাশের মানুষগুলো।তাই আসন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে আপনার প্রতিবেশীদের এখনি বোঝান। তাদের নিয়েই পরিকল্পনা করুন। যতটা সফল হবেন, পরবর্তীতে ততটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আত্বীয় স্বজনরাও গ্রুপভাবে বসবাস শুরু করতে পারেন।
৮. ভৌগলীকভাবে আমরা বসবাস করছি গাজওয়াতুল হিন্দের মাঝামাঝি এলাকায়। সুতরাং শত্রুপক্ষ থেকে আক্রান্ত হওয়া প্রায় নিশ্চিত, আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ করা সকল দেশে সকল ধর্মে সকল আইনেই বৈধ।সুতরাং প্রতিরোধ করার মতো মানসিক প্রস্তুতি নিন।
৯. জরুরী প্রয়োজনে তাৎক্ষনিকভাবে বাসস্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে, হিজরত করার দরকার পড়তে পারে, আবার এমনও হতে পারে অন্য এলাকা থেকে আপনার এলাকায় লোকজন নিরাপত্তা বা আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসতে পারে। সুতরাং মুহাজির বা আনসার দুটোর জন্যই আবু বকর (রা) তায়ালার মতো প্রস্তুত থাকুন।
ঘ. অর্থনৈতিক ও খাদ্যের প্রস্তুতিঃ
১. নিজের খাদ্য নিজেই উৎপাদন করুন। ধান, গম, আলু, শাকসবজি ইত্যাদি কৃষিকাজের মাধ্যমে।
২. মাছ চাষ করুন। প্রাকৃতিক পরিবেশে কোনো ফিড বা ঔষধ ব্যবহার ছাড়া।এতে কোনো শারীরিক ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।
৩. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণঃ- গবাদী পশু পালন করুন(গরু, ছাগল, ভেড়া) ইত্যাদী।
হাদীসে এসেছে হারূন ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বেশিদিন দূরে নয়, যখন বকরী হবে মানুষের উত্তম মাল, যা নিয়ে সে পাহাড়ের উপরে এবং যেখানে বৃষ্টির পানি জমে সেখানে চলে যাবে, আর নিজের দীনকে ফিতনা হতে রক্ষা করবে। [২]
[২] সূনান নাসাঈ ,হাদিস নং ৫০৩৫
৪. চাপ কল বা টিউবওয়েল মাটির অনেক গভীরে স্থাপন করুন। সাধারনত যতটুকু নীচ থেকে পানি উঠে তার চাইতে ৫০-১০০ ফুট নীচে।এ ছাড়াও নদী, পুকুর, ঝর্নার পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করার পদ্বতি জেনে নিন।
৫. পর্যাপ্ত শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখুন। যেমন, চিড়া, মুড়ি, সীম বা কুমড়ার বিচী, বাদাম, ছোলা, কিসমিস ইত্যাদি।
৬. আপনার ব্যাংক একাউন্ট, ডিপুজিট বা এ জাতীয় খাতে যতটাকা আছে তা এক মুহূর্ত ও নিরাপদ নয়। দ্রুত তুলে ফেলুন। তা দিয়ে স্বর্ন ক্রয় করুন বা গবাদী পশুতে পরিনত করুন অথবা জমি কিনে রাখুন যেখানে নিজে চাষাবাদ করতে পারবেন।
৭. বাসস্থানের আশেপাশে পর্যাপ্ত ফল গাছ রোপন করুন।
৮. বাচ্চাদেরকে এখন থেকেই চিপস, চকলেট, আইসক্রীম জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখার অভ্যাস করুন। [রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতাসহ স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর]
৯. শুকনো লাকড়ির(মাটির চুলায় যা দিয়ে রান্না করে) ব্যবস্থা করে রাখুন।
ঙ. মূল_জিহাদের প্রস্তুতিঃ
১. যুদ্ধের ময়দানে নিয়মিত গোসল করার সুযোগ থাকে না,এতে যদি আপনি গোসল না করে মানিয়ে নিতে না পারেন তাহলে, ভেঙে পরবেন। মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টা করবেন এমন পরিস্থিতিতে।
২. কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করুন, যাতে ম্যালেরিয়া বা মশার উপদ্রব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
৩. পায়ের পাতায় ভর দিয়ে হাটা চলার অভ্যাস করুন। ময়দানে পায়ের গোড়ালির চেয়ে পায়ের পাতায় ভর দিয়ে বেশি চলতে হয়।
তাই ভারি কোনো জিনিসসহ অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করুন।
৪. পানি ছাড়া শুকনো খাবার দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস করুন। আবার এতো তাড়াহুড়ো করা যাবে নয়তো গলায় আটকে মারা যেতে পারেন। তাই তাড়াহুড়ো না করে সতর্কতার সাথে খাবেন।
৫. ঠান্ডা,গরম দুই মৌসুমে মোটা ভারী কাপড় পরা এবং চামড়ার জুতা পরা ধীরে ধীরে অভ্যাস করুন।
৬. আলো ও প্রচন্ড আওয়াজেও জুতা পরে ঘুমানোর অভ্যাস করুন,যদি কানে কিছু গুজে দিয়ে হলেও ঘুমাতে হয়।
৭. প্রত্যেক জিহাদপ্রিয় মুমিনদের মা বাবা সহ পরিবারকে নির্যাতিত মুসলিম বিশ্বের অবস্থা,জিহাদে আল্লাহর সরাসরি সাহায্যের কথা এবং বিশ্বব্যাপী জিহাদ তৎপরতা সফলতা তুলে ধরে উদ্বুদ্ধ করা জরুরি। অন্যথায় পরবর্তীকালে আপনার পরিবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
৮. জিহাদের জন্য অর্থ ও কাঁচা স্বর্ণ সংগ্ৰহ করে জমা রাখতে হবে। মুজাহিদের অর্থ সংকট বেশি কারণ, কুফরিবিশ্ব তাদের সকল লেনদেনের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে,যাতে মুজাহিদরা ইন্টারন্যাশনালভাবে টাকা সংগ্রহ করতে না পারে।
এতক্ষন যেসব প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে তা কেবল বেসিক ধারনা দেওয়ার জন্য। এলাকাভেদে তার থেকে কম বেশি প্রস্তুতি নিতে হতে পারে। তাই নিজের চিন্তা দ্বারা গবেষণা করে বের করুন।
এতক্ষন যেসব প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে তা কেবল বেসিক ধারনা দেয়া হলো। এলাকাবেদে তার থেকে কম বেশী প্রস্তুতি নিতে হতে পারে। তা নিজেই চিন্তা গবেষনা করে বের করুন। সব শেষে যে কথাটি বলে রাখতে চাই, তা এখনি বলে রাখি, প্রযুক্তি ধ্বংস হবার ফলে হয়তো উপযুক্ত সময়ে জানাতে পারবো না।
মনে রাখবেন মহাযুদ্বের পরপরই দাজ্জাল বের হবে, বের হবার ২-৩ বছর আগে পৃথিবীতে অনাবৃষ্টির ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে, শেষ বছর একেবারেই খাদ্য উৎপাদন হবে না, আর সে তখন রুটির পাহাড় বা ত্রান নিয়ে হাজির হবে, ঘরে ক্ষুদার্থ স্ত্রী সন্তান রেখে সে ত্রান থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা বড়ই কঠিন পরীক্ষা, বড়ই কঠিন।
আর এ মুহূর্তে যদি ধৈর্য্য ধরতে পারেন আল্লাহ আপনাকে খাদ্যর ব্যবস্থা করে দিবেন। কেননা আল্লাহ প্রত্যোক প্রাণীর রিজিকের মালিক এবং তিনিই ব্যবস্থা করে দিবেন।
আল্লাহু আকবার
হয়তো জানা অজানা আরো বহু ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে; তাই ধৈর্য্য হারাবেন না, অচিরেই সুদিন আসছে ইনশাআল্লাহ।
যখনই কোন বিপদ আসে(মুমিনরা) বলেঃ “আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে।" (বাকারাহ ১৫৬)
হে আল্লাহ! আমাদের সকলকে রহমত এবং বরকতে ঢেকে রাখুন। আমাদেরকে পৌঁছে দিন চিরস্থায়ী জান্নাতে। আমিন।
লিখেছেনঃ নাসিম আহমাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন