খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আপনারা জানেন না, মহিলারা ইবাদত করতে চায়, কিন্তু সুযোগ পান না প্রশ্ন করার। যাই হোক, ফরজ নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া ফরজ। ওযর ছাড়া কোনো মহিলা যদি ফরজ নামাজ বসে পড়েন, নামাজ হবে না। নামাজ আদায়ই হবে না। সুন্নাত-নফল নামাজ বসে পড়লে অর্ধেক সাওয়াব হবে। কাজেই, মহিলারা অবশ্যই ফরজ নামাজ দাঁড়িয়ে পড়বেন।
আর এই উপলক্ষে আরেকটা জরুরি কথা বলি- যদিও প্রশ্ন করেননি- ফরজ নামাজ, সুন্নাত নামাজ, নফল নামাজ সকল নামাজে মহিলারা লক্ষ রাখবেন, কপালের চুল থেকে থুতনি পর্যন্ত (চুল ঢেকে রাখতে হবে) , দুই কানের মধ্যবর্তী জায়গাটুকু এবং কব্জি পর্যন্ত- এই জায়গাটুকু বাদে শরীরের কোনো অংশ যদি বেরিয়ে থাকে, অন্ধকার ঘরে যদি একাও নামাজ পড়েন, তবুও নামাজ ভেঙে যাবে। কাজেই শাড়ি পরে যে মহিলারা নামাজ পড়েন, খুব সাবধান থাকবেন, শাড়ি পরে নামাজ হয় না। শাড়ি পরে যত ভালো করেই ঢাকেন, রুকু-সিজদা করতে গেলেই খুলে যায়। শাড়ি একেবারেই অনৈসলামিক পোশাক। মহিলারা সব সময় সালোয়ার কামিজ, বড় ওড়না পরবেন অথবা বড় ম্যাক্সি নিচে পাজামা বা সায়া, উপরে ওড়না পরবেন। সব সময়। এটা সুন্নাত এবং ফরয পোশাক। আর নামাজে তো অবশ্য। এগুলো পরে নামাজ পড়বেন। মহিলা সাহাবিরা নামাযের সময় জিলবাব বা বোরকা পরে নিতেন। নামাযটা যেন সহীহ সুন্দর হয়। আর যারা শাড়ি পরেই পড়বেন, অবশ্যই শাড়ির উপরে বড় চাদর, বড় হাতাওয়ালা ব্লাউজ পরে নামাজ পড়বেন। নইলে নামায হয় না। কনুই-টনুই সব বেরিয়ে যায়। আর এই পর্দা কিন্তু শুধু নামাজে নয়।
এই পর্দা আপনি আল্লাহর সামনে নামাজে করছেন। তাহলে বাইরের বেগানা পুরুষদের সামনে কীভাবে পর্দা করতে হবে এটা আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন।
তথ্যসূত্রঃ
জিজ্ঞাসা ও জবাব (৩য় খন্ড)
- শায়খ খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ্
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন