_____[১]
পুরুষের মতো নারীকেও আয় রোজগার করতে হবে এমন অনুমতি ইসলাম দেয় নাই। তারপরও অধিকাংশ নারী পুরুষের সমকক্ষ হতে চায়, পুরুষের মতো চাকরি করতে চায় এবং করতেছে ও।
পশ্চিমা জাহান্নামের কীটগুলো এমনভাবে নারীদের ব্রেইন ওয়াশ করতে সক্ষম হয়েছে যে, এই আধুনিক যুগে নারীরা পুরুষের সাথে দাঁড়াতে পারাটা তাদের সফলতা মনে করে, পুরুষের সাথে গায়ের সাথে গাঘেঁষে চাকরি করাটা সফলতা মনে করে। পুরুষের মতো পোশাক পড়াটা সফলতা মনে করে। পুরুষের সমকক্ষ হওয়াটা নারীর স্বাধীনতা মনে করে।
অথচ ইসলাম দিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান,ঘরের রাণী হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু তারা ঘরের রাণী হতে রাজি না, বাইরের চাকরানী হওয়াটা তাদের সফলতা, জরুরী মনে করে।
নারী তুমি কি আসলেই সফল নাকি পুরুষের চক্ষুর ক্ষুদা মেটানোর পণ্য?
[৪:৩৪- প্রথমাংশ ]
পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযাত করেছেনে।
[ এই আয়াতে পুরুষদের কর্তৃত্ব ও দায়িত্বশীলতার দু'টি কারণ বলা হয়েছে। ]
আল কুরআনের এতো সুন্দর একটা আদেশ, নিষেধ, উপদেশ অমান্য করে নারী আল্লাহর অবাধ্য হচ্ছে, কাদের আনুগত্য করার জন্য?? পশ্চিমা জাহান্নামের কীটদের?
শুধু যে নারী আদেশ নিষেধ অমান্য করেছে তা নয়, কিছু সংখ্যক ব্যাতীত অধিকাংশ নারী তো নিজেকে পরপুরুষের সাথে মেলামেশায়,কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে কথা বলা, রূপ-সৌন্দর্য,নারীত্ব,কোমলত্ব, বিবেক,লজ্জা,আবেগসহ নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে।
কুরআন কী এমনটা করার অনুমতি দিয়েছে হে বোন? একবারও কি ভেবে দেখেছ???
যেখানে কুরআনে বলা আছে (৩৩:৩২) নারী পরপুরুষের সাথে কোমল/নরম কন্ঠে কথা বলবে না। অর্থাৎ কন্ঠের পর্দা করার কথা বলা হয়েছে।
[৩৩:৩৩ প্রথমাংশ ]
তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে [◉] এবং প্রাক-জাহেলী যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন/প্রকাশ করো না। [✷]
•
[◉] তোমরা ঘরে অবস্থান কর এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে যেও না। এতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, নারীদের কর্ম রাজনীতি, দুনিয়া পরিচালনা ও পরিশ্রম-উপার্জন করা নয়। বরং তাদের প্রধান কাজ হল, ঘরের চার দেওয়ালের মাঝে সুরক্ষিত থেকে গৃহকর্ম দেখাশোনা করা।
[✷] নারীদের ঘর থেকে বের হওয়ার আদব বর্ণনা করে দেওয়া হয়েছে যে, যদি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে হয়, তবে তোমরা যেন সাজসজ্জা করে বাইরে না যাও কিংবা এমনভাবে বের না হও, যাতে তোমাদের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। যেমন বেপর্দা হয়ে এমনভাবে বের না হও, যাতে তোমাদের মাথা, চেহারা, ঘাড় ও বুক ইত্যাদি পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বরং সুগন্ধি ব্যবহার না করে সাধারণ পোশাকে আবৃত হয়ে পর্দার সাথে বের হবে।
___
আজ নারী ঘর থেকেও বের হচ্ছে, জাহেলি যুগের মতো নিজেকে প্রকাশও করছে, পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেরিয়ে গেছে চাকরি জন্য।
আল্লাহর দেওয়া সুরক্ষিত আদেশ, নিষেধ অমান্য করে, সুরক্ষিত প্রাচীর ভেদ করে কার অবাধ্য হচ্ছো হে নারী? কাদের আনুগত্য করার জন্য?
৮/১০টা ছেলে চাকরি পেলে ৮/১০ টা মেয়েকে বিয়ে করবে, কিন্তু ৮/১০টা বুড়ি নারী যদি চাকরি করে ৮/১০ টা ছেলেকে বিয়ে করবে না ইতিহাস সাক্ষী। তারা চাইবে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ছেলে।
ঐ যোগ্য ছেলেটা তো এখনো বিয়ে ছাড়া নেই। তাছাড়া বুড়িকে কে বিয়ে করবে? এদের আছে টা কি স্বামীকে দেওয়ার মতো? অধিকাংশ পুরুষই করে না। যে ছেলেটা এতো পড়াশোনা,টাকা,এতো এতো সময় নষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত হলো সে ছেলে বুড়ি বিয়ে করবে না এটাই তো হওয়ার কথা ছিল।
তাছাড়া যেসব নারীরা চাকরির নামে পুরুষদের চাকরি কেড়ে নিয়ে বেকার করে রেখেছে পুরুষদের তাদেরকে কোনো বীরপুরুষ বিয়ে করবে না এটাই স্বাভাবিক,এটাই ঐ নারীর প্রাপ্য।
সে বিয়ে করবে এমন নারী যায় মধ্যে নারীত্ব,কোমলত্ব, বিবেক,লজ্জা,আবেগ আছে । যে বুড়ি তার যৌবন শেষ করেছে পরপুরুষের সাথে বিছানায় কাটিয়ে কিংবা ঘেঁষাঘেঁষি করে তাকে বিয়ে করলে সে দিবেই বা কি? তার না আছে নারীত্ব, না আছে সতীত্ব। সে তো পুরুষের ফিতরাতে নিজেকে রূপান্তরিত করে নিয়েছে।
একজন চরিত্রবান পুরুষ উপহারস্বরূপ মোহরের বিনিময়ে একজন নারী থেকে সতীত্ব পাওয়াটা তার প্রাপ্য। যে নারী তাকে সতীত্ব দিতে পারবে না তাকে বিয়ে না করাই সর্বোত্তম নয় কি?
___
• নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অধিক প্রেমময়ী, অধিক সন্তানদাত্রী রমণী বিবাহ কর। কারণ, আমি তোমাদেরকে নিয়ে কিয়ামতে অন্যান্য উম্মতের সামনে (সংখ্যাধিক্য নিয়ে) গর্ব করব।
• রাসূলুল্লাহ ﷺ কুমারী মেয়ে বিয়ে করতে বলেছে। এই কারণে যে আপনি তার সাথে আনন্দ করতে পারবেন, হাসাতে পারবেন সেও আপনার সাথে আমোদপ্রমোদ করতে পারবেন, হাসাতে পারবে।
❑ ২৫ এর পর নারীর রূপ সৌন্দর্য ক্ষয় হতে থাকে, বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে ৩০ এর পর প্রকাশ পায়, একাধিক বাচ্চা জন্ম দিতে পারে না। এমনো হয় যে নারী দেরিতে বিয়ের ফলে বন্ধা হয়ে যায়। লিটনের ফ্ল্যাটের বাচ্চা গর্ভপাত করতে এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেয়ে বন্ধা হচ্ছে, জরায়ু নষ্ট করতেছে, তাছাড়া দেরিতে বিয়ের ফলে জরায়ু ক্যানসারও হতে পারে। সোজা কথায় বয়স্ক+চাকরিজীবী মহিলা বিয়ে করা থেকে বিরত থাকুন।
যেসব মেয়েরা পড়াশোনা+অবিবাহিত চাকরি করছে দূরদূরান্তে মাহরাম আছে তাদের বিয়েকে কঠিন করুন, অর্থাৎ তাদেরকে এটা বুঝিয়ে দেন যে, পড়াশোনার নামে বিয়ে বিমুখী হওয়ার ফল এটা। তাছাড়া ঐ বয়স্ক মেয়েদের দেওয়ার মতো কিছুই নেই কেন বিয়ে করবেন আপনি???
যেসব মেয়েরা পড়াশোনার নামে মাহরাম ছাড়া ৭৭/৭৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে তাদেরকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকুন। এরা ব্যাভিচারীনি,বেশ্যা যদিও তারা পর্দা করে।
তাইই বিয়ে করুন ১৫-২২ বছর বয়সী মেয়েদের। তাদের নারীত্ব,কোমলত্ব, বিবেক,লজ্জা,আবেগ, অধিক বাচ্চা জন্ম দেওয়ার যথেষ্ট সক্ষমতা আছে।
যত কম বয়সী বিয়ে করবেন তত ভালো এবং বাচ্চা একাধিক নিতে কোনো সমস্যা হবে না। আপনার স্ত্রীর বয়স ৩০ হতে হতে ৪/৫ বাচ্চা পেয়ে যাবেন। ইনশা'আল্লাহ
[ https://www.stanfordchildrens.org/en/topic/default?id=pregnancy-over-age-30-90-P02481 ]
– মুহাম্মাদ নাছিম
______[২]
৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন।
ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক সংকট তৈরী করেছে যে। আগামী ৫ বছরে লাখ লাখ মেয়ে বিয়েহীন থাকবে৷
আর মানানসই পাত্রস্থ করতে না পেরে। আর মস্তিষ্ক বিগড়ে যাবার কারণে। এদের অধিকাংশ দাম্পত্য জীবনে বিষাক্ত থেকে যাবে।
তাদের যৌবনের চাহিদা, আবেগ,ভালোবাসা হারানোর ফলে। স্বামীর মন জয় করার পরিবর্তে স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েই সংসারে দরকষাকষি করবে৷
আর স্বামীও তাদের মাঝে আনুগত্য, কোমলত্ব,নারীত্ব না পেয়ে অসহ্য হয়ে উঠবে। তখন এই সংসার টিকানো অসম্ভব। কারণ তার স্ত্রী টা ৩০ টা বছর পুরুষের ফিতরাতে টেক্কা দিয়ে সে নিজেই পুরুষে বিবর্তিত হয়ে গেছে। তার আস্ত দেহটাই নারীর বৈশিষ্ট্য হলেও। সে মানসিক ভাবে পুরুষ।
স্বামী তাকে দৈহিক ভাবে নারী পেলেও সে মেন্টাল ভাবে পুরুষ। আর পুরুষের মতই তার স্ত্রী অনুভূতিহীন। সে স্বামীকে প্রেমের জগতে নয়। ভোগবাদের জগতেই দেখতে চায়
আল্লাহর কসম করে বলছি। এমন একটা দিন আসতে যাচ্ছে। মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যৌবন থেকে যেমন বঞ্চিত হবে। বঞ্চিত হবে সংসার থেকেও। বঞ্চিত হবে আখিরাতের মুক্তি থেকেও।
এরা একটা পর্যায়ে কট্টর নারীবাদী হয়েই দুনিয়া ত্যাগ করবে। আর এই পুঁজিবাদী সমাজের আড়ালেই দা''জ্জা'''ল তার সিংহভাগ নারী অনুসারী তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে।
এই ভোগান্তি অভিভাবক দুনিয়াতে যেমন পাবে। আখিরাতেও লাঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে যাবে৷
এটাই শেষ জামানার ভয়াবহ অন্ধকারের ফিতনা৷
______[৩]
হালাল ভাবে একটা নারীকে স্পর্শ করতে ২৮/৩০ বছর ব্যয় করে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। ভালো স্যালারি লাগবে। টেকসই জব লাগবে। মোহরানা জমাতে হবে। লোকজন খাওয়াতে হবে। এছাড়াও কতো প্রতিবন্ধকতা!
আবার একই নারীকে হারাম ভাবে স্পর্শ করতে, উপভোগ করতে মাত্র দুই দিন সময় দিলেই হবে। স্যালারি ও লাগবে না, জব ও লাগবে না। মোহরানা ও দিতে হবে না। ১৭/১৮ বছর বয়সেই ভোগ করা যাবে। তখন কেউ আপনাকে ছোট বলবে না।।
বিয়ে করতে যান। বয়স হয়নি। ক্যারিয়ার হয়নি। সেটেল হয়নি। কত অঘোষিত নিষিদ্ধ আইন।
এই সমাজ ব্যবস্থায় মুসলমানদের ঈমান রাখা হাতে যে জ্বলন্ত কয়লা রাখার মত পরিস্থিতি। বলার ভাষা নাই। এই পরিবার, এই সমাজ, এই রাষ্ট্র, এই শিক্ষা ব্যবস্থা সবই আমাদের জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিচ্ছে!
-ওয়ারাকাহ্
_____[৪] শেষ কথাঃ
যেসব নারীরা পুরুষদের প্রাপ্য চাকরির স্থানগুলো যোগ্যতা থাকার পরেও বঞ্চিত করেছে,নারী দখল করে নিয়ে পুরুষকে বেকার করেছে ভাইয়েরা আমার তাদের বিয়ে কার থেকে বিরত থাকুন। এদের বিয়ে করলেও এরা আপনার প্রাপ্য, সতীত্ব,রূপ-সৌন্দর্য,নারীত্ব,কোমলত্ব কিছুই দিতে পারবে না। বরং ভাইয়েরা দ্বীনদার চক্ষু শীতলকারিনী বিয়ে করুন।
বিকল্প ব্যবসা নেমে যান, নিজের ব্যবসায় নিজেই বস,চির স্বাধীনতা।
কথিত পশ্চিমা কু কুর আর কিছু অভিভাবকরা বলে নিজের পায়ে দাঁড়ও তারপর বিয়ে করতে পারবা অনেক সময়। হে বোন এটা ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইসলাম নারীকে বলে নাই যে বিয়ে করতে সাবলম্বী হতে হবে, সামর্থবান হতে । পুরুষকে দেওয়া হয়েছে নারীর দায়িত্ব,তাই পুরুষ সামর্থবান হলে তবেই বিয়ে করবে। তাই মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া অভিভাবকদের দায়িত্ব কর্তব্য।
হে বোন আপনি কুরআন- হাদীস খুলুন দেখুন আপনার পথ আপনি পেয়ে যাবেন।
বোনদের প্রতি বলবো উচ্চ শিক্ষিত হয়ে তো আর একজন বেকার ছেলের দায়িত্ব নিবেন না, আপনারা ১৫-২২ বয়সের মধ্যে বিয়ে করে ফেলতে চেষ্টা করেন। প্রয়োজনে অভিভাবকদের বোঝান।
অভিভাবকদের বলবো আপনার মেয়েকে হয়তো কোনো যুবক বিয়ে করতে চায় কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা ভালো না কিছু সহায়তা পেলে ব্যবসা-বাণিজ্য করে একটা আয়ের উৎস তৈরি করতে পারবে। ছেলেটা যদি ধার্মিক, দ্বীনদার, বিশ্বাসযোগ্য হয় আপনার উচিত হবে তার সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়ে উভয়কে যৌবনের তাড়নায় পাপ কাজ থেকে রক্ষা করা। বিয়েকে সহজ করা।
ইসলাম নারীকে করেছে ঘরের রাণী, অভিভাবক হিসেবে আপনার উচিত মেয়েকে ঘরের রাণী হওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া, পরপুরুষের চক্ষু খুদা মেটানো,বাইরের চাকরানী হওয়া থেকে বাঁচানো।
আল্লাহ আমাদের ভাই-বোন, অভিভাবকদের বোঝার তাওফিক দিন। আমিন।
বিকল্প ভিডিও
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন