পুরুষ থেকেই নারী ট্রান্স জেন্ডার হয়! অপরদিকে নারী থেকে পুরুষ ট্রান্স হচ্ছে না কেন? ভেবে দেখেছেন কি ?
সৃষ্টিগত ভাবে নারী পুরুষের ফিতরাত আলাদা।
একজন নারীর, নারীত্ব,কোমলত্ব, বিবেক,লজ্জা,আবেগ, চিন্তাধারা ইত্যাদির সাথে একজন পুরুষের- পুরুষত্ব,কোমলত্ব/কঠোরতা, বিবেক,লজ্জা,আবেগ, চিন্তাধারা কখনোই এক হবে না।
সৃষ্টিগত ভাবে যেমন নারী পুরুষের ফিতরাত আলাদা ঠিক তেমনই নারী পুরুষের শারীরিক গঠন আলাদা।
নারী কখনো বলতে পারবে না আমি পুরুষের মতো হবো,
পুরুষ কখনো বলতে পারবে না আমি নারীর মতো হবো।
সৃষ্টির পরিবর্তন করায় স্পষ্ট শরীয়তের বিধান লঙ্ঘন হয়। যারা সৃষ্টির পরিবর্তন করে ইসলামী শরীয়াতের বিধান অনুযায়ী বিকৃতিকারীর প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া মুসলিম, মুসলিম শাসকের উপর বর্তাবে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী এটা দায়িত্ব-কর্তব্য।
বর্তমানে পশ্চিমা স-ন্ত্রাস এনজিওর অপ-কল্যানে দেশে কিছু দাবিদার লিঙ্গ কর্তনকারীর আবির্ভাব ঘটেছে।
তাদের দাবি তারা ট্রান্স নারী! অর্থাৎ তারা পুরুষ থেকে নাকি নারী হয়েছে এটা একেবারেই অসম্ভব।
স্রষ্টার সৃষ্টিতে ট্রান্স নারী/ জেন্ডার বলতে কিছুই নেই। আছে শুধু স্বাভাবিক সৃষ্ট নারী - পুরুষ আর জন্মগত ত্রুটিতে জন্ম নেওয়া তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া। হিজড়া আর ট্রান্স জেন্ডার এক না হিজড়া হয় জন্মগত ত্রুটিতে আর ট্রান্স জেন্ডার হয় বায়োলজিক্যাল উপায়ে অর্থাৎ হরমোন আর সার্জারির মাধ্যমে। তবে আমাদের দেশে সার্জারি কার্যকর নয় যে মেশিন কেটে নারী হবে। তাছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের এসব সার্জারিতে যথেষ্ট ঝুঁকি আছে সফলতা ০℅।
মেশিন মেশিনের জায়গাতেই রয়ে গেছে। নারী দাবি করলেও তারা পুরুষ শুধু বাহিরের দিক থেকে দেখতে নারী মতো মনে হয় হরমোন প্রয়োগের আর কসমেটিক সার্জারির প্রভাবে।
এই ট্রান্স জেন্ডার আগামীতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে সমাজ এবং রাষ্ট্রে।
বিশেষ করে নারীদের উপর বেশ প্রভাব পড়বে!
নারী রূপী ট্রান্স পুরুষ নারীদের সাথে মিশবে ধর্ষন করবে ধরা পরলে বলবে আমিও নারী! তখন আপনি আইনি সহায়তা পাবেন না কারণ ইতিমধ্যে ট্রান্স জেন্ডার আইন পাস হয়ে যাবে, দ্বিতীয়ত ট্রান্স জেন্ডার দাবি করবে আমি নিজেই তো নারী! নারী হয়ে নারীকে ধর্ষণ কীভাবে করলাম? তাই বলবো নারীরা সাবধান কাউকে বান্ধবী নির্বাচন করার আগে। আমি বলবো মেলামেশায় পূর্ব পরিচিত না হলে যাওয়া দরকার নেই।
দ্বিতীয়ত প্রভাব পড়বে ছেলেদের উপর,
ছেলেরা বিয়ে করতে গিয়ে, বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পরবে।
আগে বিয়ে করতে গেলে ভাবতো সেকি একজন আসল নারী বিয়ে করছে নাকি নারী-বাদী বিয়ে করছে। এখন নারী-বাদের সাথে ট্রান্স আসছে সে হিসেবে সে কি ট্রান্স নাকি নারী-বাদী মেয়ে বিয়ের করতে যাচ্ছে তা বুঝা অনেক অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
তাই যুবকদের উচিত হবে বিয়ে হুটহাট না করে ভালো করে খোঁজখবর নেওয়া, মেয়েদের ক্ষেত্রে একই কথা।
ট্রান্স কান্ড থেকে এটা স্পষ্ট যে, এরা পুরুষ থেকে নারী সেজে নারীদের ধর্ষণ করতে চায় অর্থাৎ,
বীর সিংহীনির পবিত্র গর্ভ থেকে বীর সিংহ শাবক জন্মায় এই মুজাহিদ সিংহ শাবকরা পশ্চিমাদের সাম্রাজ্যর জন্য হুমকি। তাই তো পশ্চিমারা চাচ্ছে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হোক, ট্রান্স জারজ থেকে সিংহীনির গর্ভে জারজ জন্মাক যাতে করে পুরো পৃথিবী আধিপত্য বিস্তার করতে আর সাম্রাজ্যে গড়তে পারে। এই ট্রান্স ছাড়াও সহশিক্ষার মধ্যে অনেক আগেই অবাধ মেলামেশা সহজ করে ফেলেছে। যেনা, ব্যভিচার, অবৈধ সম্পর্ক করে বাচ্চা জন্ম দেওয়া তারপর ঐ বাচ্চা ডাস্টবিনে নয়তো অযত্ন অবহেলা বড় হয় এক জারজ সন্তান হয়ে। ট্রান্স আর হারাম রিলেশন আপনার কাছে দুইটা দুই রকম মনে হতে পারে! কিন্তু দুইটাই পশ্চিমা কর্তৃক আমদানি করা , উদ্দেশ্য লক্ষ্য একই জারজ প্রজন্ম গড়ে তোলা।
বর্তমান জেনারেশনের ছেলে মেয়েরা ট্রান্স ঘৃণা করলেও হারাম রিলেশনশিপ তাদের সফলতা মনে করে! অথচ এদের ৯৯ ভাগ ব্যার্থ হয় বিয়ে করতে! এই ৯৯ ভাগ ছেলে মেয়েরা ভালো পাত্র-পাত্রীর গলায় অপকর্ম ঢেকে। একটাকে ঘৃণা করলেও আরেকটাকে কাছে টেনে নিয়েছে বর্তমান প্রজন্ম! যাইহোক এটা স্পষ্ট যে এই দুই মিশনে কোন না কোন দিক দিয়ে পশ্চিমারা সফল।
হে বোন আপনি বলুন, আপনার কয়েক মিনিটের সুখের জন্য জন্ম নেওয়া জারজ কি একজন মু জা হি দ হতে পারবে???
কিংবা নির্দোষ বাচ্চাটা ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করার হিসেব না দিয়েই আপনি জান্নাতে চলে যেতে পারবেন???
হে বোন আপনার লক্ষ্য হওয়ার কথা ছিল পশ্চিমাদের সাম্রাজ্য ধূলোয় মিশে দিতে মু জা হি দ সিংহ শাবক জন্ম দেওয়া, কাফেরদের হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ করার।
সতর্ক হও বোন, নিজেকে গড়ে তুলো উম্মাহর সাহসী, দ্বীনদার,গায়রতবান নারী এবং আগামীর মু জা হি দের জন্মদাত্রী মা রূপে।
ট্রান্স জেন্ডার চেনার উপায়ঃ
বিজ্ঞানভিত্তিক কিছু উপায় এবং আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছি,
১. বিজ্ঞান বলে বয়ঃসন্ধিকালে অর্থাৎ ছেলে মেয়েদের সদ্য যৌবনের পদার্পন হওয়ার পর পর কন্ঠস্বর পরিবর্তন হতে থাকে। ছেলেদের কন্ঠস্বর মোটা হতে থাকে, কিছু কিছু ছেলেদের স্বর ভাঙা ভাঙা হয়ে থাকে, মেয়েদের কন্ঠস্বর চিকন হতে থাকে এবং মিষ্টভাষী, মসৃণ,কোমল কন্ঠের হয়ে থাকে।
[ এজন্যই কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, নারীরা যেন পরপুরুষের সাথে নরম কন্ঠে কথা না বলে। (৩৩:৩২) ]
২. উচ্চতা পুরুষের তুলনায় নারীর কম হয়, এই উপমহাদেশে নারীর উচ্চতা সর্বোচ্চ ৫ফুট ৪/৫ এর মধ্যে হয়ে থাকে এর বেশি তেমন নেই বেশিরভাগই ৫ ফুট ১/২/৩/৪ এর মধ্যে থাকে বা ৫ফুটের নিচে। তবে কিছু ব্যাতিক্রম আছে যা খুবই কম।
৩. নারীদের চুল চিকন এবং পাতলা হয় অপরদিকে পুরুষের চুল মোটা এবং ঘন হয়।
৪. ভ্রু নারীদের চিকন হয় পুরুষের মোটা হয়, নারীর ভ্রু পাতলা হয় পুরুষের ঘন হয় (কিছু ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম থাকতে পারে)
৫. ট্রান্স নারীদের দাড়ি থাকে পুরোপুরি রিমুভ হয় না লক্ষ করলে বুঝবেন, একরকম ছাপ থাকে যা সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে হয় না।
৬. হাঁটাচলার সময় নারী ধীরে ধীরে হাটে অপরদিকে পুরুষ নারীর চেয়ে একটু দ্রুত হাঁটে।
৭. বন্ধুদের সাথে মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করেনা এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। এখানে ছেলেদের হাত তুলনামূলক একটু শক্ত ধরনের হয় অপরদিকে মেয়েদের নরম হয়ে থাকে।
[নোট-যারা উল্টাপাল্টা ভাববেন তাদের জন্য, নারীদের চামড়ার নিচে চর্বি জমে, পুরুষের একেবারে কম থাকে তাই এই পার্থক্য হয়ে থাকে। বিস্তারিত দেখুন https://www.sciencebee.com.bd/qna/7886/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95 ]
আপাতত এই কয়েকটাই মাথায় আসছে, এইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে, খুব দ্রুত যেটার ফলাফল পাবেন সেটা হচ্ছে, ১নং পয়েন্টে। এই পয়েন্টটাই আপনাকে নিশ্চিত করে দিবে সে আসল নারী নাকি ট্রান্স।
তারপর ২,৫,৬,৭ এই পয়েন্টগুলো অনুযায়ী খুব সহজেই আপনি ধরে ফেলতে পারবেন সে নারী নাকি ট্রান্স......
____________
আল্লাহ এই মুসলিম উম্মাহর সহায় হোন, প্রতিটি মুসলিম ভূখন্ডকে পশ্চিমা ট্র্যাশদের কালো থাবা থেকে মুক্তির পথ দেখান, মুসলিম মা বোনদের গায়েবি সাহায্য করুন, পূর্নাঙ্গ দ্বীনের ছায়াতলে ফিরার পথ প্রশস্ত করে দিন। আমিন।
লিখেছেনঃ নাসিম আহমাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন