অ্যাডমিশনের টাইম হিসেবে কিছু জরুরী কথা (বোনদের জন্য)

 

 

(১) যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়ে একসাথে ক্লাস করে সেটাকে সহশিক্ষা বলা হয়। এসব সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া নারীদের জন্য হারাম এই ব্যাপারে এখতেলাফ নেই।

(২) যারা হারাম জেনেও পড়তে যাবেন কিংবা ভাববেন, “অ্যাডমিশন দিয়ে নিই, পরে না পড়লে দেখা যাবে” তাদের জন্য বলে রাখা ভালো আপনি একবার টিকে গেলে আপনার ফ্যামিলির এক্সপেক্টেশন বেড়ে যাবে। ছাড়তে চাইলেও সহজে ছাড়তে দেবে না।

(৩) সহশিক্ষায় পর্দার বিধানের লঙ্ঘন হয়। যারা ভাবেন বোরকা, হিজাব-নিকাব পরে সহশিক্ষায় যাবেন তাদেরও গুনাহ হবে কারণ ফ্রিমিক্সিং পুরোপুরি আটকানো এসব জায়গায় সম্ভব না, হিজাব-নিকাব মানেই পর্দা না। পর্দার বিধান আরো ব্যাপক।

নারীদের কণ্ঠেরও পর্দা থাকে যেটা কোনোভাবেই সহশিক্ষায় রক্ষা করা সম্ভব না। শ্রেণীকক্ষের পুরুষ শিক্ষকও গায়রে মাহরাম।

(৪) এটা এমন এক জায়গা যেখানে পর্দার কারণে আপনি হেনস্থা হতে পারেন। গায়রে মাহরামের সাথে যে “প্রয়োজনে” কথা বলার কথা ভাবেন, এই প্রয়োজনটা কি আপনার সৃষ্ট নাকি সেটা মাথায় রাখতে হবে। এমন ওজর গ্রহণযোগ্য কি না সেটার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই।

(৫) মাহরাম ব্যতীত ভিন্ন শহরে মাসের পর মাস পড়ে থাকা, সফর করা শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েজ এবং গর্হিত কাজ। হজ্বের জন্যও যদি মাহরাম ছাড়া সফর বৈধ না হয় তাহলে সহশিক্ষার জন্য আপনার এসব কাজ বৈধতা পাবে এমনটা ভাবার দুঃসাহসও করা উচিত না।

পরিশেষে, জ্ঞানার্জন ফরজ। তবে প্রচলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেই জ্ঞান দেয়া হয় না যেই জ্ঞান অর্জন করা আপনার জন্য ফরজ। তাই জ্ঞানার্জনের জন্য চীনে যাওয়ার মতো জাল হাদিসের প্রয়োগও এখানে করবেন না।

“পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে পড়তে গেছি” এই ওজর দেয়া কিছু মানুষ সত্য কথা বলে না, নিজের প্রবৃত্তির জন্যই যায়। এদের কিছুসংখ্যক পরিবারের চাপে গিয়ে বাহ্যিক পর্দাও বিসর্জন দেয়। বাকি সামান্য কিছু বোন পারে নিজের ঈমান আমলের ক্ষতি না করে এই কঠিন পরীক্ষা পার করতে। এক্ষেত্রে তারাও জানেন এটা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাই কাউকে এই পথে আসার জন্য বলেন না।

লেখাঃ মেরাজ হুসাইন

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন