নতুন আরেক ভাইরাস আইসা পরছে! ভাইরাসটির নাম hMPV (এইচএমপিভি)।
এসব ভাইরাস নিয়ে দুইদিন পর পর লিখতে হয় কারণ, আমারা বাঙালি। কথায় আছে, “এক কান দিয়ে ঢুকাই অন্য কান দিয়ে বের করে দেই!”
এজন্য আমরা ফ্রি ভ্যাকসিন (টিকা) পেলে দৌড়ে যাই, কখন সবার আগে নিব ভ্যাকসিন। এই বদ অভ্যাস আমাদের ছাড়তে হবে। আগে জানতে হবে ভ্যাকসিন আমার জন্য প্রয়োজন কিনা, কেন নেব এই ভ্যাকসিন,কখন প্রয়োজন পরতে পারে (আক্রান্ত নিশ্চিত হলে), কতটুকু প্রয়োজন কিংবা কেউর স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে কিনা জানতে হবে, জানতে হবে।
অতীত হতে বর্তমান এসব ভাইরাসের উপস্থিত কিছু লক্ষণ সবসময় দেখবেন। তা হচ্ছে, সর্দি, গলা ব্যাথা, জ্বর ইত্যাদি।
এগুলোর জন্যই আপনাকে ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করছে। অথচ সবগুলো সমস্যার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় ডাক্তারের কাছ থেকে ঔষধ খেয়ে থাকি,যেটা আগেও বলেছিলাম।
এই উপসর্গগুলো দেখা মাত্র হাসপাতাল/স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে বলে দিবে hMPV টিকা নেওয়ার জন্য! কিন্তু তারা কখনো বলবে না, জ্বর হয়েছে জ্বরের ঔষধ খাও,গলা ব্যাথা গলার ডাক্তারের কাছে যাও, সর্দি হলে বলবে না সর্দি নিরাময়ের ঔষধ খাও।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার টিকার পোস্টগুলোতে একটা সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রকাশিত খবরের কথা বলেছিলাম। সেটা হচ্ছে গাযযাতে বাচ্চাদের পলিও টিকা দেওয়ার জন্য হিজরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
এখন আপনি ভাবেন যারা প্রতিদিন বাচ্চা,নারী, বৃদ্ধ,যুবক অর্থাৎ সবাইকে হত্যা করতো প্রতিদিন তখন কিন্তু হিজরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজিও হয় নাই। কিংবা ফ্রি টিকা দানকারী কুফফার জাতিসংঘ এবং এনজিও কেউ কিন্তু মানবতা দেখায় নাই, এতগুলো নারী, শিশু হত্যার জন্য। অথচ এসব কুফফার সংগঠনগুলো আমাকে -আপনাকে মানবতার গল্প শিখায়, টিকার ষড়যন্ত্র আড়ালে রেখে উপকারীতার ভুয়া গল্প শুনায়!!!
এখন জায়োনিষ্টদের ষড়যন্ত্র কোথায় সেটা আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন?
তো আপনারা এই ধরনের রোগের আলামত প্রকাশ পেলে স্ব-স্ব রোগের জন্য চিকিৎসা নিন, ভালো না হলে এইচএমপিভি কিনা টেস্ট করিয়ে নিবেন, সোজা হিসাব।
আপনারা করোনা (কভিড-১৯) মহামারীর দিকে যদি দেখেন তাহলে দেখবেন, সেটাও চীন থেকে ছড়িয়েছে, এখন আবার এইচএমপিভি চীন ছড়িয়ে বলে দাবি করা হচ্ছে। অসম্ভব কিছু না,হতেও পারে। করোনা ও শীতকালে ছড়িয়েছে,এই নতুনটাও শীতকালেই!
এগুলোর হচ্ছে এজেন্ডা ২০৩০ এর নিউ ওয়ার্ল্ড ওর্ডার এবং একে অন্যের উপর আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা মাত্র। যেখানে মানুষ মেরে ৫০ কোটি বা তারচেয়ে কমিয়ে আনা হবে। কেননা জায়োনিস্টরা দেখেছে যুদ্ধ করে, বন্দুকের নল দিয়ে কোনো জাতিকে দমিয়ে রাখা যায় না।
সম্ভাবনা আছে ২৫ সালে করোনার চেয়েও বড় ধরনের লকডাউন আসতে পারে। যদি hMPV দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। এখন আপনার কি আতঙ্কিত হবেন করোনার সময়ের মতো নাকি, ঠান্ডা মাথায় সামনে অগ্ৰসর হবেন এটা একান্ত ব্যক্তিগত।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
“তোমরা যখন কোন স্থানে মহামারী র কথা জানবে সেখানে আগমন করবেন না। আর যখন কোন স্থানে অবস্থান কালে সেখানে মহামারী শুরু হয় তখন তোমরা পলায়ন করার উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বের হবে না।”
(বুখারী ৫৭৩০, মুসলিম ২২১৯)
শেষমেষ একটা কথা শহরের মানুষদের বলতেই হয়। আপনারা অনেকেই হাদিসের এই বিধান লঙ্ঘন করে শহর থেকে গ্ৰামে এসেছেন করোনার সময়ের। এই ধরনের কাজ আগামীতে না করার চেষ্টা করবেন।
আর সবচেয়ে ভালো হয় যারা শহরে ঐ সময় থাকবেন, মহামারী, লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই গ্ৰামে চলে আসবেন। করোনার সময় তো দরজা খুলে বের হতে পারছেন,এবারেরটা হয়তো তারচেয়েও কঠিন হবে।
— নাসিম আহমাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন