টাইফয়েড টিকাকে না বলুন

 

দেশের ৫ কোটি বাচ্চাকে নাকি টাইফয়েডের টিকা দিবে। 

টাইফয়েড নিয়ে গবেষণা করছে আইসিডিডিআর,বি।
তারা একটা গবেষণা করে দেখেছে, বাংলাদেশে ১ লক্ষ  লোকের মধ্যে ৯১৩ জন টাইফয়েড আক্রান্ত হয়। তাহলে টাইফয়েড আক্রান্তের শতকরা পরিমাণ প্রায় ১%।
তারমানে- প্রাকৃতিকভাবে বছরে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় না- ৯৯%।

আবার আইসিডিডিআর,বি টাইফয়েডের টিকা নিয়ে গবেষণা করে দেখেছে-
এক ডোজ টাইফয়েডের টিকা ১৮ মাস ৮৫% শতাংশ সু-রক্ষা দেয়।
তাহলে টিকা নেয়ার পরও সু-রক্ষা দেয় না ১৫% শতাংশ।

তারমানে সমীকারণ দাড়াচ্ছে-
টিকা দিলেও টাইফয়েড হবে ১৫%।
আর না দিলে টাইফয়েড হবে- ১%

করোনার সময় প্রথমে অনেকের করোনা হয়নি,
কিন্তু টিকা দেয়ার সাথে সাথে অনেকের করোনা শুরু হয়।
এবং ক্ষেত্রে বিশেষে অনেকের কড়া লক্ষণ প্রকাশ পায়।
অনেকে হসপিটালাইজ হয়, অনেকে মারা যায়, অনেকে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় ভুগতে থাকে।

আসলে টিকা হচ্ছে ঐ রোগের জীবানুর একটি অংশ বিশেষ।
যা টিকার নামে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। 
এক্ষেত্রে রোগটি যদি খুব জটিল হয়, যা হলে মৃত্যু শতভাগ অবধারিত, কিংবা রোগটির একেবারেই চিকিৎসা নেই, সেক্ষেত্রে টিকা নেয়ার কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা আছে।

কিন্তু টাইফয়েড সেই মাত্রার কোন রোগ নয়, 
কিংবা চিকিৎসা নেই- এমন রোগও নয়।
তাহলে কোন দুঃখে আগে থেকেই আমরা সেই রোগের জীবাণুখণ্ড আমাদের শরীরে প্রবেশ করাবো ?

আমরা কিন্তু একটা কথা প্রায় বলি-
অযথা কোন ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। 
কারণ ওষুধমাত্রই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। 

কিন্তু একটা কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না-
যারা এই ওষুধগুলো তৈরী করছে কিংবা বিপনন করছে,
সেটা তাদের ব্যবসা ও অর্থ উপর্জনের মাধ্যম। 
তাই তারা চাইবে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক যেন তাদের ওষুধগুলো ব্যবহার করে।

এতে তারা ব্যবসায়ীকভাবে লাভবান হবে।
এজন্য বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অর্থ ঢেলে নিজের চাহিদা মত গবেষণা ফলাফল তৈরী করে, তারপর মিডিয়াতে টাকা দিয়ে সেটা প্রচার করে, অতঃপর সরকারকে ঘুষ দিয়ে প্রভাবিত করে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিক্রি করে অতঃপর জনগণের মধ্যে প্রয়োগ করে। 

এখানে জনগণের যতটুকু লাভ আছে, তার থেকে ঢের লাভ হচ্ছে ঔষধ কোম্পানিগুলোর।
টাইফয়ের ভ্যাকসিন কিন্তু্ ইউরোপ-আমেরিকায় দেয়া হয় না,
দেয়া হয় বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-নেপাল কিংবা আফ্রিকান দেশগুলোতে। 
এসব ভ্যাকসিনের আড়লে তাদের যে ভিন্ন কোন পরিকল্পনা নেই,
সে বিষয়ে কোন পর্যাপ্ত গবেষণাও কিন্তু হয় না।

আপনি নিজেকেই প্রশ্ন করুন-
এই যে ৫ কোটি বাচ্চার শরীরে টিকা দেয়া হবে,
এর মধ্যে বড় অংশই আগে টাইফয়েড জীবাণু এক্সপোজ হয়ে শরীরে এন্টিবডি তৈরী হয়ে আছে।, তাহলে সেই শিশুগুলোকে কেন টিকা দিতে হবে ? 

একটা বাচ্চার শরীরে  যদি এন্টিবডি আগে থেকে থাকেই তবে টিকা দেয়ার তো দরকার নেই।
তাহলে টেস্ট না করিয়ে কেন তাদের শরীরে টিকা দেয়া হবে ?

এখানেই আসলে ব্যবসা। 
গণহারে বাচ্চাদের টিকা দেয়াই বলে দেয়-
শিশু স্বার্থের তুলনায় তাদের ব্যবসা করা জরুরী।
আবার ব্যবসার পাশাপাশি, আমাদের বাচ্চাগুলোকে গিনিপিগ বা কুকুর-বিড়াল বা  ইদুরের মত ব্যবহার টিকার গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করা। গোপণ জীবাণু অস্ত্র আমাদের বাচ্চাদের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়া, যা ভবিষ্যতে হয়ত অজ্ঞাত কোন জটিলতা তৈরী করবে। 

এসব ঔষধ ব্যবসায়ী আমাদের আদরের শিশুদেরকে যে কুকুর-বিড়ালের মত ব্যবহার করছে, এটা নিয়ে কিন্তু কেউ মুখ খুলে না, কথা বলে না।

আসলে এটা আমাদেরই দোষ। আমরা ইউরোপ-আমেরিকার সাদা চামড়ারা কিছু বললেই তা ধর্মগ্রন্থের মত বিশ্বাস করি।
এটা অবশ্য তৈরী করেছে ব্রিটিশরা। তারা ২০০ বছর শাসন করে আমাদের মানসিক দাস বানিয়ে দিয়ে গেছে। এখন তাদেরকে আমরা অন্ধের মত বিশ্বাস করি।

তারা কিছু বললে তার বিপরীতে কিছু বলার চিন্তাও করতে পারি না।  এখন তারা আমাদের বাচ্চাদের কুকুর-বিড়াল আর ইদুর বানাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে বাচ্চাদের উপর এক কী সাইড ইফেক্ট, তা না জেনেই আমরা চোখ বন্ধ করে আমার আদরের বাচ্চার শরীরে অযথাই তাদের ইনজেকশন পুশ করছি, যা সত্যিই ভয়ঙ্কর।

আমি অভিভাবকদের অনুরোধ করবো,
এই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন আপনার আদরের বাচ্চার শরীরে মোটেও প্রবেশ করাবেন না। এগুলো থেকে দূরে থাকুন।

– নয়ন চ্যাটার্জি 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন