সিক্রেট সোসাইটি এবং পর্দার আড়ালের বিশ্বব্যবস্থা পর্ব ২

 


একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার তা হলো- এটা কখনোই বলা যাবে না যে সকল ফ্রিম্যাশন ই ষড়যন্ত্রকারী অথবা তারা সবাই শতাব্দির গোপন জ্ঞান রাখেন। স্থাপত্য – বিষয়ক ঐতিহাসিক এবং গ্রন্থকার-গন এটা লিখেছেন যে ফ্রিম্যাশনারীর অন্তঃস্থলে (ইনার সার্কেল) অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ কাজ করছেন যারা প্রকৃতপক্ষেই শতাব্দির সেই গোপন জ্ঞান রাখেন। এবং এই কেন্দ্রের বাহিরে আছে আরো বহু বাহিঃবৃত্ত যা বিভিন্ন সিক্রেট সোসাইটি নামে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যাদের অনেকে জানেই না এর সেই অন্তঃস্থলে কারা আছেন। এই তথাকথিত ইনার সার্কেলে কারা আছে? কারাই বা এইসবা সিক্রেট সোসাইটির মূল নিয়ন্ত্রক? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে কন্সপিরেসী থিওরীস্টরা একটি সিক্রেট সোসাইটিকে নির্দিষ্ট করে


Skull and Bones তরুণ যুবকদের জন্য অনেকটা springboard এর মত যেখানে তাদের বিভিন্ন গোপন বিষয় যেমন- গোপন তত্ত্ব, অতিপ্রাকৃতিক আবিষ্কারসমূহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো যাতে তারা পূর্বনির্ধারিত এজেন্ডাগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। Skull and Bone সোসাইটির সদস্যরা বিশ্ব শাসনব্যকস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে (পর্দার আড়ালে এবং জনসম্মুখে) অদিষ্ট হওয়ার অনুপাতই সবচেয়ে বেশী।


The Skull & Cross Bones একটা প্রাচীন চিহ্ন/প্রতিক যা একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ অর্থ বা ইঙ্গিত বহন করে। এই চিহ্ন বর্তমান বিশ্বে বিপদের সতর্কবার্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি বস্তুতপক্ষে অকল্পনীয় ক্ষমতা এবং আধ্যাত্মিকতাকে ইঙ্গিত করে। সবচেয়ে অজানা সত্য হলো – Skull and Bone মৃত্যু নয় বরং জীবনের প্রতীক। মেসোআমেরিকার মায়ান থেকে ইয়োরোপ ইট্রুসকানে (from the Mayans in Mesoamerica to the Etruscans in Europe) প্রাচীন পুরোহিতগণ বিশ্বব্যাপী এই প্রতীক ব্যবহার করতেনঃ




তিন হাজার বছরেরও অধিক পূর্বে প্রাচীন ইট্রুরসকান এবং প্রাচীন মায়ান উভয় নির্মিত Skull and Bone এর ছবি।


এই চিহ্ন মানুষকে মনে করিয়ে দেয় ‘মানুষ মাত্রই মরণশীল’ এবং ‘তাকে অবশ্যই একদিন মরতে হবে’। এটা অস্থায়ী মানবজীবন এবং মৃত্যুর অবশ্যম্ভাবিতা মনে করিয়ে দেয়। মৃত্যু ভাবনা মানুষের পার্থিব আনন্দটাকে (যা সাময়ীক) ম্লান করে দিতে পারে, তবে এই ধ্যান আপন আত্নার দরজা খুলে দেয় – এটাই শাশ্বত জীবন যা প্রত্যেকের অন্তঃস্থলেই আছে।


আত্মিক উচ্চতা অর্জনের এই কৌশল বা সাধনা/শিল্প সম্পূর্ণরূপে ভোলা হয় না, বরং এটা রহস্যপূর্ণ গোষ্ঠী বা সংগঠন গুলোর মধ্যে প্রচলিত হয়ে ওঠে। যেমন- ফ্রিম্যাশন


এই চিহ্নের বিভিন্ন গুপ্ত অর্থ এবং কিভাবে এই চিহ্ন বিভিন্ন সিক্রেট সোসাইটিগুলো ব্যবহার করা শুরু করলো তা এখান থেকে বিস্তারিত জানা যাবে-


১৮৩২ খ্রীষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের Yale University-র ১৫ জন প্রবীণ Skull and Bones সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করে। তারা এমন একটা সিক্রেট সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করলো যার বিধিবিধান এবং ক্রিয়াকলাপ আজ পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। সর্বাত্মক গোপনীয়তা রাক্ষা এই সোসাইটির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঊনিশ শতকের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রায়ই Skull and Bones এর কার্যকলাপ নিয়ে খবর ছাপতো এবং অনেক সময় প্রথম পাতা জুড়ে থাকতো এই খবরগুলো। এছাড়াও Yale University ১৯৬০ সালে Skull and Bones সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করে। কিন্তু এ বিষয়টা এখনো অজানা রয়ে গেছে যে Skull and Bones এর সদস্যরা Tomb এর ভেতর কি করতো।


Yale’s campus-এ অবস্থিতি The Tomb (সমাধি) Skull and Bones এর গোষ্ঠাগার যা প্রায় জানালাশূন্য খয়রী ইট দিয়ে তৈরী তিন তলা দালান। এটা অনেকটা ভুতুড়ে বাড়ির মত যেখানে প্রায় সবসময়ই মানবশূণ্য থমথমে নিরবতা থাকতো। ১৯৬৮ সালে Ron Rosenbaum(author of secret parts fortune) Yale University থেকে স্নাতকত্ব লাভ করেন। তিনি সেই ভুতুড়ে বাড়ির আশেপাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তিনি ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তিনি Skull and Bones এর সদস্যদের মেয়েবন্ধুদের কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য সংগ্রহ করেন যাদের অনেকের সেই Tomb এর ভেতর প্রবেশাধীকার ছিলো। তারা এই Tomb (সমাধি) এর অব্যন্তরীন অবস্থার বর্ণনা দিয়েছিলো।


এর ভেতর খোপে খোপে ঝুলানো ছিলো ভিক্টোরিয়া যুগের শেষ দিকের চিত্রলেখ কল্পকাহিনী। ভারী গাঢ় আসবাবপত্র, মধ্যযুগীয় যুদ্ধোপকরণ, জন্তু-জনোয়ারের মস্তক এবং সর্বত্র মাথার খুলি এবং হাড়।


বিভিন্ন বিরবণ থেকে জানা যায় যে এই মাথার খুলি এবং হাড়গুলো কিছু বিখ্যাত মানুষের যেমন- সাবেক মার্কিন লিগা/র জা/রানে/মো। সেখানে এই মাথার খুলি এবং হাড়গুলোর পুঁজা করা হয়। Skull and Bones এর সদস্যদের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয় Tomb এর নিম্নকক্ষে। আঙ্কেল টবি নামক একজন বিশিষ্ট সদস্যের নেতৃত্বে কার্যক্রম চলতে থাকে।

এটা অনেকটা আশ্চার্যজনক যে আমেরিকার সাবেক তিন জন প্রেসিসেন্ট এই Skull and Bones এর সদস্য। William Howard Taft (27th US President); George bush (41st US President) এবং George W. Bush (43rd US President).

এছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রদুত, শিল্পপতি যেমন- William Whitney, সিআইএ এজেন্ট, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা Henry Luce. TIME Magazine প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে Henry Luce বিশ্বের বৃহত্তম, সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রকাশক হয়ে ওঠে। তার এই তৎকালীন সময়ে আমেরিকার পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে (Henry R. Luce and the Rise of the American News Media )


এভাবে বিগত দুই শতাব্দী ধরে Skull and Bones মার্কিন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে আসছে- অভিজাত শ্রেণী, প্রভাবশালী কূটনীতিক, গুপ্তচর, সুপ্রিমকোর্ট বিচারক, সিনেটর সর্বক্ষেত্রেই।


Skull and Bones এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ যে সিক্রেট সোসাইটির ইনার সার্কেলের সদস্যগণ যারা প্রকৃতপক্ষেই শতাব্দীর গোপন জ্ঞান রাখেন বলে ধারণা করা হয়, তারা এই সংস্থাকে অনেকটা যোগ্য সদস্য বা উত্তরসূরী সংগ্রহের বা তৈরীর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করেন যারা তাদের এজেন্ডাগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত চতুর এবং মেধাবী আমেরিকান এলিট বংশভুত ছাত্র বা নিকটাত্নিয়দেরই সিক্রেট সোসাইটির মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা হয়।


১৯৯৯ সালে রচিত আত্মজীবনীতে জর্জ ডাব্লিউ বুশ সিক্রেট সোসাইটির সাথে আত্নসংশ্লিষ্টতা সম্পর্কিত একটা বাক্য যোগ করেন-“My senior year (at Yale University) I joined Skull and Bones, a secret society, so secret, I can’t say anything more.”


এই সংগঠন মূলত সেই সব সমগোষ্ঠিয় বা সম-মানের মানুষদের প্রতিপালন বা প্রোমোট করে যাদের চিন্তাধারা অভিন্ন। এভাবে পরম গোপনীয়তার মধ্যে ক্ষমতাশালীরা সঙ্ঘবদ্ধ থাকে এবং এটা সর্বক্ষেত্রেই।


Yale University প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে

সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি William Howard Taft (son of a founder of the society); সাবেক প্রেসিডেন্ট George H. W. Bush; তার পুত্র George W. Bush; সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি Potter Stewart; James Jesus Angleton (mother of the Central Intelligence Agency); মার্কিন যুদ্ধ সচিব (1940-1945) Henry Stimson; এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সচিব Robert A. Lovett যার নেতৃত্বে কোরিয়ান যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিলো, অন্যমত।


এছাড়াও সেনেটর জন কেরি; Stephen A. Schwarzman ( Blackstone প্রতিষ্ঠাতা); প্রেসিডেন্ট ওবামার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান Austan Goolsbee; Morgan Stanley র সহ – প্রতিষ্ঠাতা Harold Stanley এবং FedEx এর প্রতিষ্ঠাতা Frederick W. Smith সহ আরো হাজারো গুরুত্বপূর্ণ পরিচিত মুখ।



List of Skull and Bones members

অনেকের কাছে বিষয়টা নিতান্তই হাস্যকর এবং অলীক মনে হলেও মুলত এরাই এবং এদের রক্তসম্পর্কিয়রাই বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করছে। এও দাবি করা হয় স্বাধীন আমেরিকার সকল প্রেসিডেন্টই একে অপরের রক্ষসম্পর্কীয়। এবং এই দাবির পেছনে আছে শক্ত যুক্তি এবং প্রমাণ যা মানুষের গতানুগতিক চিন্তাধারাকে বদলে দিতে পারে। 


বুশ পরিবারের বংশানুক্রম 

অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্য যে এই ব্লাডলাইন এবং এর শাখাপ্রশাখা প্রাচীন মিশরীয় ফেরাউন দের (pharaohs) সাথে সম্পর্কযুক্ত। এমনকি খ্রীষ্টপূর্ব ১৩০৩ এর রামিস-২য় (Rameses II (1295-1228 BC ) যাকে সর্বশ্রেষ্ঠ ফেরাউন বিবেচনা করা হয়।


তিনি ছিলেন তার দেশের মাস্টার আর্কিটেক্ট এবং যার নাম এবং ছবি সেখানকার প্রতিটি প্রাচীন মন্দিরে পাওয়া যাবে।


এই ব্লাডলাইন আবার মিসেছে Philip II of Macedon (382-336BC)এর সাথে যিনি ছিলেন Alexander the Great এর পিতা। Alexander একজন অত্যাচারী শাষক যিনি ৩৩ বছর বয়সে মৃতু্র পূর্বে দখল করেছিলেন গ্রীস, পারস্য, সিরিয়া, মিশর, ব্যাবিলনের সুমের প্রাক্তন জমি, এবং ভারতের মূল অঞ্চলগুলো।


Alexander ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত গ্রিক দার্শনিক Aristotle এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। (Aristotle ছিলেন Plato র ছাত্র। Plato ছিলেন Socrates এর ছাত্র)। রক্তসম্পর্ক এবং hidden advanced knowledge একাসাথে চলতে থাকে।


এই ব্লাডলাইন প্রবাহিত হতে থাকে ৫১ খ্রীষ্টাপূর্বের বিখ্যাত মিশরীয় রাণী Cleopatra (60-30BC)এর মাধ্যমে, যিনি তার গ্লেমর এবং রেমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার এবং মার্ক এন্টনি সঙ্গে ভালোবাসাজনিত বিষয়াবলির জন্য বিখ্যাত ছিলেন।


এই ব্লাডলাইন বংশানুক্রমে গিয়ে মিলেছে খ্রীষ্টপূর্ব ৭৫ এর গ্রেট হেরোদ (Herod the Great) এর সাথে (যীশু গল্পের সেই হারোদ)। তার নামের পূর্বে ‘গ্রেট’ বিশেষণ ব্যবহার করা হয় কারণ অনেকের মতে- হেরোদ একজন উন্মাদ যিনি তার নিজ পরিবার এবং বহু ইহুদি পণ্ডিত হত্যা করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বিখ্যাত- জেরুসালেম এবং এর আশেপাশে প্রকাণ্ডসব স্থাপনা নির্মান করেন এর মধ্যে জেরুসালেমের দ্বিতীয় মন্দির অন্যমত (Second Temple ) যা Herod’s Temple হিসেবেও পরিচিত।


Hasmoneans এর মাধ্যমে হেরোদ ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। যদিও হেরোদ পরিবার ধর্মান্তরিত হয়েছিলো, তবে ইহুদি সমাজের কিছু উপাদান দ্বারা তার ধর্মীয় দায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলো। যখন খ্রীষ্টপূর্ব ১৪০-১৫০ এ John Hyrcanus [ইডুমিয়া] (Idumaea- ‘the Edom of the Hebrew Bible’) দখল করলো তখন ইডুমিয়ানদের ইহুদী আইন অনুসরণ করতে হতো অন্যথা দেশত্যাগে বাধ্য করা হতো। এভাবে ইডুমিয়ানদের অধিকাংশ ইহুদীধর্ম গ্রহণ করে এবং তাদের সকলকে লিঙ্গাগ্রচর্মছেদন (সুন্নতি খতনা ) করতে হতে। অর্থাৎ ইডুমিয়ানদের পূর্ণ মৌলবাদী হতে বাধ্য করা হতো। পরবর্তীতে গ্রেড হেরোদ যিনি প্রকাশ্যে ইহুদী ধর্মানুসারী ছিলেন, তবে তার অধঃপতিত জীবনধারা তৎকালীন মানুষকে কিছুটা ধর্মীয় মৌলবাদ বিরোধী করে তোলে।


পরবর্তীতে হেরোদ তার নিজ পরিবারের বেশ কিছু সদস্যদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে যাদের মধ্যে অন্যমত তার নিজ স্ত্রী Mariamne।


হেরোদ পরবর্তী একই ব্লাডলাই (বুশ বংশানুক্রম) চলতে থাকে Roman Piso পরিবার পর্যন্ত। যারা খ্রীষ্টধর্মের বাণী বা জীবনকাহিনীগুলো লিখেন এবং যীশু (Jesus) নামে এক অবাস্তব ফিগার আবিষ্কার করেন (ডেবিড আইকের বর্ণনা মতে)।


Roman Piso পরিবারই নিউ টেস্টামেন্ট (New Testament – খৃস্টান ধর্মশাস্ত্রের দ্বিতীয় প্রধান বিভাগ এবং তারাই Jesus আবিষ্কার করেন।


The True Authorship Of The New Testament by Abelard Reuchlin (Publication Date: November 1979) এ বই থেকে Roman Piso পরিবারের যীশু ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত জানা যাবে। (বিশ্বাস/অবিশ্বাস নিজ দায়িত্বে)


খ্রীষ্টধর্মের সূচনা থেকেই আমরা ইহুদী এবং চার্চ নেতারা জানতাম যে, জনসাধারণ উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা এবং দাসদের শান্ত রাখার উদ্দেশ্যেই রোমান Piso পরিবার এই ধর্ম ইচ্ছেমত সমন্বয় করে তৈরী করেছে। আমরা জানতাম, এই করণেই ইহুদীরাই “বাছাইকরা মানুষ” এবং যে কারণে আমরা এতটা বছর সহ্য করে আছি। আমরা এই মিথ্যার চূড়ান্ত স্বাক্ষী। আমাদের পূর্বপুরুষরা এসব নিয়ে “কি করা যেতে পারে” সে সম্বন্ধে লিখেছেন গ্রন্থে।


FROM CHAPTER I (The True Authorship of the New Testament)


“The New Testament, the Church, and Christianity, were all the creation of the Calpurnius Piso (pronounced Peso w/long “E”) family (a), who were Roman aristocrats. The New Testament and all the characters in it — Jesus, all the Josephs, all the Marys, all the disciples, apostles, Paul, and John the Baptist–are all fictional.” “The Pisos created the story and the characters; they tied the story into a specific time and place in history; and they connected it with some peripheral actual people, such as the Herods, Gamaliel, the Roman procurators, etc. But Jesus and everyone involved with him were created (that is, fictional!) characters.” “In the middle of the first century of our present era, Rome’s aristocracy felt itself confronted with a growing problem. The Jewish religion was continuing to grow in numbers, adding ever more proselytes. Jews numbered more than 8,000,000, and were 10% of the population of the empire and 20% of that portion living east of Rome. (b) Approximately half or more of the Jews lived outside Palestine, of which many were descended from proselytes, male and female.” (c)


একই ব্লাডলাইনে আরো রয়েছেন রোমান সম্রাট Constantine the Great(272 – 337)। তার শাষনামলে রোমান সাম্রাজ্য খ্রীষ্টধর্ম অত্যন্ত প্রভাবশালী ধর্মে পরিণত হয় যদিও ইতিহাসবিদরা আবিষ্কার করতে পারেনি তার খ্রীষ্টধর্মের প্রতি হঠাৎ এই দূর্বলতার কারণ। তিনিই ৩২৫ খ্রীষ্টাব্দে পূর্বপুরুষদের কাহিনীগুলি উপর ভিত্তি করে খ্রীষ্টধর্মের বর্তমান রূপ দেন।


১৪শ খ্রীষ্টাব্দ। এই ব্লাডলাইনে আরো যারা আছেন তাদের মধ্যে স্পেনের রাজা King Ferdinand of Spain এবং রাণী Isabella of Castile অন্যতম। উনারা ছিলেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস (Christopher Columbus) এর পোষক। যিনি ভয়ঙ্কর স্প্যানিশ বিচারব্যবস্থার (১৪৭৮-১৮৩৪) প্ররোচক ছিলেন। যেখানে ধর্মীয় বিষয়ে কোন প্রশ্ন তোলা হলে মানুষদের নির্যাতন করা হতো, জ্বালিয়ে দেওয়া হতো।


এছাড়াও, বাইবেলের সর্বাধিক ব্যবহৃত সংস্করণ (King James Bible) অনুমোদন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন King James 1st of England (1566 – 1625)। হ্যা, উনিও জর্জ ডাব্লিউ বুশের ব্লাড লাইনের লোক। what a coincidence? তাই না? এভাবে উনারা ধর্মীয় গ্রন্ধ সংস্করণ এবং প্রচার-প্রসার ঘটিয়ে ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব জানান দেন।


এই ব্লাডলাইন স্থানান্তর হয় ফ্রান্স এবং উত্তর ইউরোপে Franks এবং Meroveus মাধ্যমে। এবং এ লাইন চলতে থাকে Merovingian গোষ্ঠির সাথে যেমন- Clovis and the Dagoberts। এই দুটো দল অভিজাত সিক্রেট সোসাইটির ( Priory of Sion and the Rennes-le-Chateau) সাথে জড়িত। Merovingian রা যীশুর (Jesus) ব্লাডলাইন- এমন দাবি করে সাম্প্রতি অনেক বইও লিখা হয়েছে।


এই ব্লাডলাইন মিলিত হয় বিখ্যাত ডি মেডিসি পরিবারের (House of Medici) সাথে। এটি একটি রাজনৈতিক এবং ব্যাংকিং পরিবার, যা পরবর্তীতে রাজকীয় পরিবারে পরিণত হয়। এই পরিবার ১৪শ শতকের শেষঅব্দি ফ্লোরেস্নের প্রজাতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা মেডিসি ব্যাংক (Medici Bank) প্রতিষ্ঠা করে যা ১৫শ শতাব্দিতে ইউরোপের সর্ববৃহৎ ব্যাংক। এভাবে তারা ফ্লোরেস্নের রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করে যদিও অফিসিয়ালী তারা সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাকতো। গোপনীয়তা রক্ষা করাটাই এদের বিরাট ধর্ম। 


মেডিসি পরিবার জন্ম দেয় চার জন পোপ-

Pope Leo X (1513–1521)

Pope Clement VII (1523–1534)

Pope Pius IV (1559–1565) এবং

Pope Leo XI (1605)


দুইজন ফ্রান্সের প্রভাবশালী রানী-

Catherine de’ Medici (1547–1559) এবং

Marie de’ Medici (1600–1610)


আধুনিক হিসাববিজ্ঞানে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির উন্নয়ন এবং আধুনিকায়ন এই পরিবার থেকেই আসে। এই পদ্ধতি সর্বপ্রথম মেডিসি পরিবারে কর্মরত হিসাবরক্ষকদের দ্বারাই ব্যবহৃত হয় যা বর্তমান বিশ্বে সর্বত্র ব্যপকহারে প্রচলিত। ক্রিস্টোফার কলম্বাসকে আমেরিকা আবিষ্কারের সময় পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলো এই মেডিসি পরিবার।



বুশ বংশানুক্রম চার্টের শেষের দিকে George Washington, John Adams, John Quincy Adams, Thomas Jefferson, Franklin Delano Roosevelt, এবং George Bush বংশানুক্রমে এসব মহৎ!! ব্যক্তিদের নাম দেখা যায়, যারা নিকট অতীতে কোন পর্যায় থেকে দায়িত্ব পালন করে গেছেন তা কারো অজানা নয়।


আরেকটু গভিরভাবে এই বংশানুক্রম লক্ষ করলে দেখা যাবে যে এ যাবৎকালের আমেরিকার কোন প্রেসিডেন্টই কিন্তু এই লাইনের বাহিরে নয়। বিষয়টা অনেকটা হাস্যকর মনে হলেও এটা চরম সত্য যে- “United States presidents are not chosen by ballot, they are chosen by blood!”


১৭৭৬ সালে আমেরিকা ইউরোপীয় রাজতন্ত্র থেকে মুক্তি লাভের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন থেকে শুরু করে জর্জ বুশ পর্যন্ত প্রত্যেকেই একই ইউরোপিয়ান পরিবারের রক্তধারণ করে। এদের মধ্যে ৩৪ জন প্রেসিডেন্টের পূর্বপুরুষ সরাসরি একব্যক্তিতে মিলে যায়, ফ্যাঙ্কের রাজা এবং পরবর্তীতে রেমান সম্রাট- গ্রেট চার্লস (Charles the Great -742 –814)। অর্থাৎ এই ৩৪ জন ইউ. এস প্রেসিডেন্টেরই আদিপিতা হলেন গ্রেট চার্লস।


ষড়যন্ত্রের ভীত যে কতটা গভীরে এবং মানবসৃষ্ট সকল বড় পরিবর্তন যে এই পূর্বনির্ধারিত ষড়যন্ত্রেরই অংশ তা হলফ করে বলা যায়।


পর্ব ১ পড়ুন


লিখেছেনঃ নাসিম আহমাদ 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন