ম্যাট্রিক্স এমন এক বন্দিশালা যে আপনি শারিরীক ভাবে দেখতে মুক্ত মনে হলেও আপনি চিন্তাগত ভাবে ওদের কাছে বন্দি। আপনাকে ম্যাট্রিক্স সরাসরি বন্দি না করলেও সিস্টেমে আপনাকে বন্দি করেছে।
পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই ম্যাট্রিক্স জালের বিস্তার। তবে ম্যাট্রিক্সের নির্মম শিকার হয়েছে জাপান।
ম্যাট্রিক্স জাপান কে এমনভাবে আক্রান্ত করেছে যে। সেটা জাপানের কর্মে অক্ষম নাগরিকরা হারে হারে টের পাচ্ছে৷
ওদের না পরিবার না আছে স্ত্রী সন্তান। না বৃদ্ধকালে সেবা।
জাপানি মেয়েরা বিয়ে করে না। অধিকাংশ ই ক্যারিয়ার ঠিক রাখতে লিভ টুগেদার করে৷ বিয়ে করলেও বাচ্চা নেয় না। বাচ্চা নেওয়ার সময় কোথায়। যেখানে স্বামীর সাথে একসাথে খাবার খাওয়ার সময় পর্যন্ত নেই।
ওরা স্বামীর সাথে সময় দেয় না। সারাদিন কর্পোরেট জগতে ব্যস্ত থাকে ।
আর এজন্য জাপানে সবচেয়ে বেশি সেক্স ডল ব্যবহার হয়৷ জাপানি পুরুষের স্ত্রী হলো কৃত্রিম সেক্স ডল ( পুতুল) ।
পরিবার প্রথা এমন ভাবে ভেঙেছে যে সন্তান জানে না তার মা বাবা কোথায় আছে।।
স্ত্রী জানে না তার স্বামী কোথায় কিভাবে আছে।
জাপানি বৃদ্ধরা নিজ গৃহে মরে থাকলেও কেউ জানেও না। মরে পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ালে জাপানের মর্গ কোম্পানি পঁচা লাশ দূরে ফেলে দিয়ে আসে।
শেষ জীবনে এমন মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পেতে মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা লোকজন গুলা জাপানের বন জঙ্গলে আত্মহত্যা করে৷
অথচ আপনি উপরে দেখছেন জাপান কত সুখি। এত আধুনিকতার মাঝেও এরা কিভাবে বন্দি হয়ে গেলো। কি এক অদৃশ্য সিস্টেম তাদের বন্দি করেছে৷ বলুন তো।
ম্যাট্রিক্স ১৬ কোটি জাপানি কে এমন ভাবে বন্দি করেছে যে। ইতিহাসে আর কোনো জাতি এমনভাবে বন্দি হয়নি৷
ম্যাট্রিক্স এমন এক বন্দিশালা যে৷ মানুষ জানেও না সে যে বন্দি।
এজন্য শেষ জামানায় খিযির (আ.) এর অন্তর্দৃষ্টি ছাড়া ম্যাট্রিক্স বুঝবেন না।
এই যে স্কুল কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বের হচ্ছে৷ আপনি যখন ম্যাট্রিক্স বুঝবেন৷ তখন এই ঝাঁকে ঝাঁকে শিক্ষার্থীদের দেখলে আপনি বুঝবেন এরা স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে থেকে বের হচ্ছে না৷ এরা বের হচ্ছে অদৃশ্য জেল খানা থেকে৷
এদের অর্ধেক জীবন যাচ্ছে ম্যাট্রিক্স এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে৷ বাকি অর্ধেক জীবন যাবে ম্যাট্রিক্স কর্পোরেটে৷
লিখেছেনঃ থার্থ আই এনালাইসিস
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন