এটা এমনই একটা শব্দ যেটা আ'মেরিকার বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট, রাজনৈতিক নেতা সামরিক প্রধান, অভিজাত ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের মুখে একাধিক বার শোনা গিয়েছে!!
নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার হচ্ছে গোটা বিশ্বকে একটি অভিন্ন জাতি ও অভিন্ন ধর্মতে পরিণত করার মহা পরিকল্পনা । নতুন এই বিশ্ব ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয় কয়েকশ বছর আগে। এখন এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে। বর্তমান জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন হচ্ছে ঐ পরিকল্পনার বড় ধরণের সাফল্য।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সেই পরিকল্পনারই ফল বলেই অনেকে মনে করেন। বিশেষ করে ২য় বি'শ্বযুদ্ধের পর মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে, ফলে তারা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠায় স্বস্তি পায়। জা'তিসংঘ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবকটি রাষ্ট্রকে আয়ত্তে আনা হয়। ঠিক একই ভাবে ৩য় বি'শ্ব'যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে শান্তি স্থাপনের নাম করে O'ne Wo'rld Gove'rnment বা Ne'w Wo'rld Ord'er প্রতিষ্ঠা করা হবে। একটি সভায় ডেভিড রকফেলার বলেছিলেন: "আমরা একটি বিশ্বব্যাপী রূপান্তরের শেষপ্রান্তে, এখন আমদের শুধু একটি major crisis দরকার যাতে সমস্ত জাতি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার গ্রহণ করে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নি'কসন তাঁর “ভিক্টরি উইদাউট ওয়ার” নামক গ্রন্থে লিখেছেন, ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমেরিকা সমগ্র বিশ্বের শাসকে পরিণত হবে এবং এই বিজয় তারা যুদ্ধ ছাড়াই অর্জন করবে। তারপর মাসিহ (দা'জ্জা'ল) নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে নিবেন। যেন উল্লেখিত সন পর্যন্ত মাসিহর সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়ে যাবে আর আমেরিকার দায়িত্ব এসব ব্যবস্থাপনাকে সম্পন্ন করা পর্যন্ত। তারপর মাসিহ রাজ্য পরিচালনা করবে।
⚠️এখন প্রশ্ন হচ্ছে নি'উ ওয়া'র্ল্ড অ'র্ডার টা কি ?
নি'উ ওয়া'র্ল্ড অর্ডা'র হচ্ছে একটি আ'ন্ত'র্জাতিক শাসনব্যবস্থা বা জীবন্যবস্থা যেখানে একজন অনির্বাচিত রাজা বা সরকার প্রধান (দা'জ্জাল) সমগ্র পৃথিবীকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে পরিচালনা করবেন। নতুন এই পৃথিবী এক শাসক, এক ধর্ম, এক মুদ্রা, এক আর্মি ও এক আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। নতুন এই বিশ্ব ব্যবস্থায় সকল ব্যক্তিদেরই নিয়ন্ত্রণ করা হবে, হোক সে ঢাকা কিংবা নিওয়র্কের। তাদের অন্যতম সিম্বল হচ্ছে "All Seeing Eye" কোন কিছুই তাদের আড়ালে হতে পারবে না। সবার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, অধিকার, খাদ্য, পানি, বিবাহ, সন্তান, বাসস্থান, স্বাধীনতা, মুক্তমত এবং অর্থনীতি সহ সকল কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হবে অনেকটা ঈশ্বরের মত করে।
⚠️নি'উ ওয়া'র্ল্ড অ'র্ডার এর উ'দ্দেশ্য ?
নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমগ্র বিশ্বকে দাসত্বে আবদ্ধ করে রাখা। সারা বিশ্বে কয়েক হাজার গুপ্ত সংস্থা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এদের লক্ষ্য হচ্ছে পৃথিবী থেকে সমস্ত ধরণের সরকার উচ্ছেদ করা, সকল প্রকার ব্যক্তিগত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, স্বদেশপ্রেম ধ্বংস করা, পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করা, সকল প্রকার ধর্মের বিনাশ করা এবং একটি One World Government তৈরি করা।
নতুন এই বিশ্ব ব্যবস্থার নাগরিক হতে হলে শয়তান কে ঈশ্বর হিসেবে মানতে হবে। David Spangler, Director of Planetary Initiative, United Nations stated that "No one will enter the New World Order unless he or she will make a pledge to worship Lucifer". শ'য়তান সমগ্র বিশ্বকে তার প্রতিনিধির মাধ্যমে শাসন করতে চাই। যারা এই শাসনব্যবস্থা মেনে নিবে তাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে আর যারা মানবে না তাদেরকে খাদ্য, পানি, অর্থনৈতিক অবরোধ ও যুদ্ধের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
⚠️নি'উ ওয়া'র্ল্ড অর্ডার কিভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব ?
নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারকে যদি ১০ টি ধাপে ভাগ করা হয় তাহলে বলব এর ৯ টি ধাপই সম্পন্ন হয়ে গেছে। তারা Secularism(ধর্মনিরপেক্ষতা),
Communism (সাম্যবাদ),
Humanism (মানবধর্ম),
Atheism(নাস্তিকতা),
Materialism(বস্তুবাদ) ...
ব্যবহার করে ধর্ম কে মানবতা ও বিজ্ঞানের শত্রু বানিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে যৌ'নতা, নগ্নতা, স'মকামিতা ও নৈতিক অধঃপতন ঘটানো হয়েছে। তারা সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্রের নামে ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে, তারা একটা একক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছে এখন নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাস্তবায়নের জন্য এখন শুধুমাত্র একটি crisis দরকার যাতে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শান্তি স্থাপনের নামে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাস্তবায়ন করা যায়। অন্য ধর্ম গুলো যেমন খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্ম NWO এর কাছে আগেই পরাজিত হয়েছে, এখন তাদের পথের একমাত্র বাধা হচ্ছে ইসলাম।
⚠️নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার কি সফল হবে?
২য় বিশ্বযুদ্ধে ৮ কোটি লোক হত্যা করা হয়েছিলো। তারা এখন আরেকটা বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে কমপক্ষে ২০০ কোটি লোক হত্যা করতে চাই, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারে জনসংখ্যা সীমিত রাখা হবে। প্রযুক্তির কল্যাণ আর অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তারা সফলকাম হবে। যদি বাংলাদেশের দিকে তাকায় তাহলে দেখা যাবে, বাংলাদেশ সেকুলার হয়ে গেছে, বায়োমেট্রিক ফেসবুক টুইটারের মাধ্যমে সবার উপর নজর রাখা হচ্ছে, মাইন্ড কন্ট্রোলের মাধ্যমে তাদের ব্রেইন কে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে যৌনতা ছড়ানো হয়েছে, সবাইকে বস্তুবাদী করে ইলিউসনের মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় তাদের পরাজিত করে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাস্তবায়ন খুব সহজ হয়ে গেছে।
⚠️আমাদের করনিয়?
আলকোরআন এবং হাদিসের অনেক যায়গাই দা দজ্জা'ল ও শ'য়তান ফিতনা সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করা হয়েছে। দা'জ্জালের ফিতনা কতটা ভয়াবহ একটি বিষয় দ্বারাই তার অনুমান করা যায় যে, স্বয়ং নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এবং তিনি যখন সাহাবাগনের সম্মুখে এই ফিতনার আলোচনা করতেন, তখন তাদের মুখে ভয়ের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেত। প্রশ্ন হল, দা'জ্জালের ফিতনায় সেই বিষয়টি কোনটি, যেটি সাহাবা কেরামকে সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল? সেটি কি ভয়াবহ যুদ্ধ, নাকি মৃত্যু? কিন্তু সাহাবা কেরামগন এ বিষ্যগুলোকে ভয় পাওয়ার মতো মানুষ ছিলেন না। সেই বিষয়টি হল, দা'জ্জালের ধোঁকা এবং প্রতারণা। সে সময়টি এত ভয়াবহ হবে যে, বাস্তব অবস্থাটা আসলে কি তা বোঝাই সম্ভব হবে না। মানুষকে বিভ্রান্তকারী নেতার ছড়াছড়ি থাকবে। অপপ্রচারের অবস্থা এই হবে যে, মূহুর্তের মধ্যে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে পৃথিবীর কোনায় কোনায় পৌছিয়ে দেওয়া হবে। মানবতার শত্রুকে মুক্তিদাতা আর মুক্তিদাতাকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করা হবে। নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার ইহুদিদের শত বছরের মহা পরিকল্পনার ফল। আল্লাহ সুবহানা তাআলা বলেনঃ
এবং কা'ফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী।
(সুরা আল ইমরান আয়াত ৫৪)
তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে।
(সুরা তওবা আয়াত ৩২)
আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রী'ষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহু'দীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।
(সুরা আল হাজ্জ আয়াত ৪০)
যু'দ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।
(সুরা তওবা আয়াত ১৪)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন