মেয়েদের জন্য টেইলার্সে কাপড় বানাতে দেয়া উচিত নয়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, কাপড়ের মাপ দিতে হয় গাইরে মাহরাম পুরুষদের কাছে। আর কাপড় সেলাইও করে পুরুষরা। তাই একজন আত্মমর্যাদাবোধ নারী কখনোই গাইরে মাহরাম পুরুষের কাছে তার দেহের মাপ প্রকাশ করতে পারেন না। এতে পর্দারও খেলাফ হয়।
.
১. এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম হলো, নিজে ঘরে বসে সেলাই করা। এভাবে কাপড় বানানো নিজের জন্যও ভালো। মনমতো কাপড় তৈরি করা যায়। খরচও বেশি লাগে না। আবার প্রচুর ভিড়ের মধ্যে কাপড় বানাতেও দেরি হয় না। নিজের ইচ্ছামতো বাসায় বসে নিজের কাপড় বানালেই হয়।
২. তবে কেউ যদি সেলাইয়ের কাজ না পারেন, তাহলে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে সেলাইয়ের কাজ পারে এমন নারীদের দিয়েও কাপড় তৈরি করতে পারেন। অনেক নারীই এভাবে কাপড় সেলাই করেন।
.
তবে একান্তই যদি এই দুই পদ্ধতির কোনো পদ্ধতিতেই কাপড় বানানো সম্ভব না হয়, তাহলে প্রচলিত টেইলার্সে কাপড় বানানো যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষ তার কাপড়ের মাপ নিয়ে টেইলার্সে দেবেন। অথবা আগের কোনো পোশাকের হুবহু মাপ দিয়ে আসবেন।
.
তবে এখন কোথাও কোথাও শুধু লেডিস টেইলার্স পাওয়া যায়। যেখানে মাপ নেয়া থেকে শুরু করে কারিগর পর্যন্ত সবাই নারী। অর্থাৎ সেখানে পর্দার খেলাফ হওয়ার কোনো শঙ্কা থাকে না। এসব টেইলার্সে চাইলে কাপড় বানানো যায়। তবে এসব টেইলার্সেও একটি সমস্যা হলো, কাপড় বানিয়ে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ধরুন এলাকার কারও সাথে আপনার পরিচয় রয়েছে এবং টেইলার্সের লোকদের সাথেও আপনাদের পরিচয় রয়েছে,
এরপর সেই লোক যখন টেইলার্সে কাপড় বানাতে যাবেন, তখন টেইলার্সের লোকেরা কথায় কথায় বলেও ফেলতে পারে যে, অমুক তো তার স্ত্রীর জন্য এখানে কাপড় বানান সব সময়। কিছু দিন আগেও একটা বানাতে দিয়ে গেছেন, ওই যে দেখেন, ওটা ঝুলতেছে। তখন আপনার সেই পরিচিত লোক ঝুলন্ত কাপড় দেখলেই ঠাহর করতে পারবেন যে, আপনার স্ত্রী মোটা না কি চিকন। সে লম্বা না কি খাটো। অর্থাৎ অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপনি আপনার স্ত্রীর আকার-আকৃতি অন্যের কাছে প্রকাশ করে দিলেন। তাই সেসব লেডিস টেইলার্সে কাপড় বানাতে হলে আগে তাদের কঠোরভাবে শর্ত দিয়ে নেবেন যে, তারা যেন আপনার কাপড় ঝুলিয়ে না রাখে।
_______________
বই : পর্দা গাইডলাইন
লেখক : তানজীল আরেফীন আদনান
উমেদ প্রকাশ থেকে প্রকাশিত
[পৃষ্ঠা নং : ১৩৪ থেকে]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন