বিয়ে বিভ্রাট,দেরিতে বিয়ে করে গলার কাঁটা যেভাবে হচ্ছেন

 

যে অভিভাবক বিয়ের সময় পাত্রের ব্যাপারে কোনো স্যাক্রিফাইস নাই। পুরুষ আজীবন বেকার থাকেনা একটা সময় ইনকাম করে এটা জানার পরেও। 

সেই পরিবার কী নিজ ছেলে কে যা সামনে পাবে তাই বিয়ে করাবে?? 


পুরুষের এখন টাকা নেই কিন্তু পরে ঠিকই টাকা কাময়াইয়ের সময় আসে৷ তারপরও একটু বিবেচনা যেখানে নেই। 

সেখানে পাত্রীর রুপ,যৌবন,আবেগ সব বয়সের কারণে হারিয়ে গেছে। তা একটা সময় আর ফিরে আসবে না। এটা জেনে কি বিয়ে করতে যাবে বয়স্কদের। 


বর্তমানে অভিভাবকরা মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার নাম গন্ধ নাই। মাত্র অনার্সে ভর্তি হলো। এতো ছোট বয়সে বিয়ে!! 


তারপরে পড়ে যায় একটা ফাঁদে। স্নাতক নামক এই ফাঁদে পড়ে বয়স যখন ২৫/২৬ হয়ে যায়। 

তখন দোলাচালে আটকে যায়। এতটা সময় পড়াশোনা করে বিয়ে করে শুধু রান্না করবো! 

তাহলে এই পড়ার দাম কোথায়! 


তারপর মাথায় ঘুরে দাড়াতে হবে নিজ পায়ে। চাকরি নাও আগে। মা বাবা ফুল সাপোর্ট। 

কিন্তু তারা এটাও জানেনা অনার্স-মাস্টার্স করলেই চাকরি হয়ে যায় না। 


যখন দেখে চাকরিও হচ্ছে না। তখন পরিবার তলে তলে বলে এই অথর্বের জ্বালাতন আর সহ্য হচ্ছে না। ঘরে পড়ে আছে দামড়া একটা মেয়ে। 


তেল মেরে মেরে মোটিভেট করে করে যেই মেয়েটাকে এমন একটায় জায়গায় আনলো। পড়ে এই জায়গায় এনে তারাও বুঝে ফেলে গলার মাঝখানে বুঝি কাটা টা আটকালো। 


শুরু হয় তোড়জোড় বিয়ের৷ মেয়ের বয়স তখন ২৬/২৭/২৮/৩০ ছুই ছুই৷ ততদিনে সে অবিবাহিত খিটখিটে মহিলা। 


পাত্র ভাবে এতটা সময় পড়াশোনা করে। চাকরির জন্য ধারে ধারে ঘুরে। লাত্থি উষ্টা খেয়ে যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। 

তখন ফুটফুটে কচি মেয়ে ছাড়া বিয়েই তো সম্ভব না। 


পুঁজিবাদের বাতাসে ভাসা পরিবার তখন বুঝে ততদিনে তার মেয়ে অচল হয়ে গেছে। এখন ইচ্ছা করলেই অল্পশিক্ষিত কারো হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। ইচ্ছে করলেই যার তার কাছে দেওয়া যাবে না। 


কিন্তু ততদিনে সব শেষ। মাঝখানে মেয়েটা যৌবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে গেলো। 


এমন বয়সী মেয়ের সংখ্যা বাংলাদেশে কত?? 

এই জট কী সহজেই কেটে যাবে? 

অপেক্ষা করুন আর ২/৩ টা বছর। দেখেন বয়স্ক মেয়েরা রাস্তায় বসে থাকবে পাত্র জুটে কিনা এই অপেক্ষায়৷ 


নিজ হাতে পুরো একটা সমাজ ব্যবস্থা কে পুঁজবাদের পায়ের তলে পিষে দিলাম আমরা। এখন ইচ্ছা করলেই গলার কাটা আর ছুটানো যাবে না। 

লিখেছেনঃ WaraQah WQ 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন