বয়কট শুরু হওয়া উচিত বাংলাদেশের ভেতর থেকে। হিন্দুদের দোকান থেকে কোনো কিছু কিনবেন না।
কতজন একমত হবেন আমার সাথে?
কাফেরের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা ঈমান সংশ্লিষ্ট বিষয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার প্রতি, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এটা করা উচিত এবং সব সময় করা উচিত।
বাদ দিতে চাইলে ভারত তথা হিন্দুদের নাটকের সিরিয়াল, মুভি, অভিনেতা, গান, পোশাক, সংস্কৃতি সবই বাদ দিতে হবে। পুরো বিষবৃক্ষ গোড়া থেকে উপড়ে না ফেলে ছোটোখাটো কয়েকটা পণ্য বয়কট নিয়ে হৈ-হুল্লোড় করাটা ছেলেখেলা ছাড়া আর কিছুই না।
আসলে আমি এসব বয়কট-ফয়কটের পক্ষেও না। আবার বিপক্ষেও না। কারণ?
১/ এগুলো সাময়িকভাবে কিছু এটেনশন ক্রিয়েট করে স্রেফ। দীর্ঘমমেয়াদী কোনো সুফল হয় না। এ জন্যই কুরআন ও হাদিসে কাফেরদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার তালিকায় বয়কট নামক কোনো কিছুকে রাখা হয়নি।
২/ যারা বয়কট করছে, তাদের উদ্দেশ্য গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আপনারা ইসলামপন্থী। তবুও যদি ওদের গনতন্ত্র নামক ময়লার ঝুঁড়িটা কাঁধে বহন করতে চান তো সেটা আপনাদের ব্যক্তিগত কাজ বলে বিবেচিত হবে। ইসলামের খেদমত করছেন ভাবলে ভুল করবেন।
৩/ ভারতের নিজের বিশাল বাজার আছে। মধ্যপ্রাচ্যও ভারতের অনেক বড়ো একটা বাজার। ইউরোপ, আমেরিকারর বাজারের কথা বাদই দিলাম। তাই পাগলের সুখ মনে মনে। এসব বয়কটে ভারতের একটা লোমও ছেঁড়া যাবে না।
৪/ দেশি পণ্যের দাম ভাসুরের চামচা শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা বাড়াবে। এরপর ভারত থেকে আমদানী করে ওই পণ্যের দাম কমানো হবে। তখন জনগণই জীবিকা নির্বাহ করতে ভারতের আমদানী করার পণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকবে।
- কোন কাজটা কখন করবেন সেটা না বুঝলে সমস্যা। হয়েছে ক্যান্সার। অথচ চিকিৎসা নিচ্ছেন মাথা ব্যথার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না নিলে নিশ্চিত মৃত্যু। সময় তো আর থেমে থাকে না। যেকোনো বড়ো কাজ করার আগে নির্দিষ্ট সময়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন কিসের প্রস্তুতি?
তার আগে আপনাদের বড়ো একটা দুঃসংবাদ দিই।
ভারত ২০২২ সালের জুনে 'অগ্নিপথ স্কিম' নামে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর (সেনা, নৌ, বিমান) জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই স্কিমের সারসংক্ষেপ হলো– ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সী ভারতীয় সৈনিক পদে যোগদানকারীদের চাকরীর মেয়াদ ৪ বছর। ছয় মাস ট্রেইনিং। বাকি ৩.৫ বছর এক্টিভ সার্ভিস। এরপর রিটায়ার্ড। রিটায়ার্ড করা সৈনিকরা পূর্ণ মেয়াদে চাকরীর জন্য পুনরায় আবেদন করতে পারবে। তবে তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর শুধু ২৫% সৈনিককে পূর্ণ মেয়াদে চাকরী দেওয়া হবে। বাকি ৭৫% সৈনিককে অবসর নিতেই হবে। তারা কোনো সরকারী পেনশন পাবে না। তবে এককালীন ১১.৭১ লাখ রুপি পাবে।
বলতে পারেন এখানে দুঃসংবাদ কোথায় পেলাম? নিজের ঘিলু খাটিয়ে ভাবুন।
দুঃসংবাদটা কি এখনো যদি না বুঝে থাকেন পড়ুন
আপনাদের এখন কি করা উচিত, আর আপনারা করছেনটা কি! হিন্দুত্ববাদীরা সূক্ষ্ম কৌশলে ওদের সাধারণ হিন্দুদের সামরিকভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলছে। আর ওরা আপনাদের ব্যস্ত রেখেছে বয়কট নামক নিরামিষ টাইপের আন্দোলন দিয়ে। ছোটো ইস্যু দিয়ে বড়ো ইস্যু ধামাচাপা দিচ্ছে।
গাজাবাসীর পরিণতি হবে আপনাদের। প্রতিরোধ করারও সময়-সুযোগ পাবেন না। কারণ, যখন প্রস্তুতি নেওয়ার সময়, তখন আপনারা ভুল কাজের পেছনে সময় ব্যয় করেছেন। একদিন আফসোস করবেন আর বুক চাপড়াবেন। চোখের সামনে যখন ফুটফুটে সন্তান, স্ত্রী, পিতা-মাতাকে নিহত হতে দেখবেন, সেদিন আপনাদের হুশ ফিরবে।
ভারত এই মুহুর্তে আমাদের সাথে যেই আচরণ করছে তার পালটা জবাবে আমরা নরম সুর তুলেছি। ওরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, বিচারিক কাঠামো, রাষ্ট্রব্যবস্থা ইত্যাদি সব জায়গা দিয়ে আমাদেরকে চেপে ধরেছে। আর আমরা বলছি বয়কট। থাপ্পড়ের জবাব থাপ্পড়। রক্তের বদলা রক্ত।
বেশি কিছু বলব না। আকারে ইঙ্গিতে বুঝে নিতে হবে। কুমিরের সামনে দিয়ে মোকাবেলা করলে নিহত হবেন। কুমিরের চোয়াল ভিষণ রকমের শক্ত। এক কামড়ে হাড়-গোড় গুঁড়ো গুঁড়ো করে দেবে। মাথার ওপরে চেপে বসলে কুমির কিছুই করতে পারবে না। কুমিরের মাথা খুঁজুন। আঘাত করুন।
লিখেছেনঃ কারিম শাওন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন