ম্যাট্রিক্স আমাকে আপনাকে যেভাবে বিভ্রান্তির জালে আটকে রেখেছে


 ১ম পর্বঃ MATRIX!! WHATS THAT?? 

এখন যেই সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছি তা কতোটুক চলবে কত বড় হতে পারে আমি জানি না তবে এইটুক নিশ্চিত বলতে পারবো যে আপনাদের যা জানানোর তার ৮৫% এই টপিক এ কভার হবে অর্থাৎ এ বিষয় জানলে আপনি অনেক কিছু জেনে যাবেন। শুরু করার বলে নেই আমার উপর কেউ রাগ করলে আবার আমার কথা ভালো না লাগলে বা আপনার বিপক্ষে গেলে আমার কিছু করার নাই ধৈর্য নিয়ে আগে পড়ুন এরপর না বুঝলে সেইটা আপনার ব্যাপার।


MATRIX(ম্যাট্রিক্স) কি? এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেয়া সম্ভব না যদিও এই বিষয় বুঝা আমার জন্য সহজ কিন্তু কাউকে বুঝানো অতোটা সহজ না। যারা এই আধুনিক দুনিয়ায় জন্ম নিয়েছে তাদের ৯৯.৯৯% জনই ম্যাট্রিক্স এর ভিতর আছে শুধু তাদের বাদে যারা কিনা নিজেরাই এই ম্যাট্রিক্স কে বানিয়েছে। ম্যাট্রিক্স একটা দুনিয়া যা কিনা আসল না এর ভিতর সব নকল কিন্তু সবাই এর ভিতর বাস করছে। 

ম্যাট্রিক্স একটি দুনিয়া যা কিনা সাজানো হয়েছে আপনাকে সত্য থেকে বিভ্রান্ত করার জন্য। এই দুনিয়া বানানো হয়েছে ইচ্ছা করে আপনাকে ধোকা দেওয়ার জন্য এবং একই সময় আপনাকে প্রভাবিত করছে শয়তানি শক্তির পক্ষে অবদান রেখে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার( নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা) প্রতিষ্ঠার জন্য। ম্যাট্রিক্স একটি মানুষিক কারাগার। এইখানে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাত জন্য কিছু আইন ও কার্যক্রম চলছে যা এই কারাগারের বন্দি দাস ও দাসীরা মেনে চলছে। 


ম্যাট্রিক্স কে বুঝার জন্য সবার আগে আপনাকে বুঝতে হবে পৃথিবীতে সব সংঘাত এর মূল কি এর কারন কি? এর কারন শয়তান অর্থাৎ ইবলিস নিজে এই দুনিয়াত পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে চায় এবং সবার সামনে ইলাহ রব হিসাবে থাকতে চায় এবং পুরো মানবজাতিকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে চায়। আর এই কাজ এর জন্যই সে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী পরিবার rockfellar,Rothschild, bilderberg এর মতো ফ্যামিলিদের ও শক্তিশালী জ্বিন ও শয়তান কে ব্যাবহার করছে। আপনি যদি আসমানি কিতাবগুলো কে মেনে থাকেন এবং কুরআনকে পড়ে থাকেন তাহলে এই প্যারাতে যে কন্সেপ্ট এর কথা বলেছি তা হয়তো বুঝা সহজ হবে আপনার জন্য কিন্তু আপনার যদি দ্বীন এর সাথে সম্পর্ক না থাকে তাহলে আপনার বুঝার জন্য বলতে চাই একবার প্রশ্ন করুন তো কি কারনে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী পরিবারেরা শয়তান ও জ্বিন এর পুজা করে? আসা করি বঝতে পারবেন। এবং কি কারনে এইসব পরিবার তাদের "আলো" সারা বিশ্বে ছড়াতে চায় এবং এবং ছড়াচ্ছে? তাদের আলোটা আসলে কি?


Illuminate এর অর্থ আলোকিত সেইখান থেকেই illuminati (ইলুমিনাতি) "আলোকিতরা" এর নাম ও ধারনা আসে। লুসিফার যাকে আমরা ইবলিস বলে চিনি এই লুসিফার এর নামের অর্থ দাঁড়ায় "আলোর বাহক"। এইখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে সে নিজেকে আলো,নুর বা মূল কথা ইলাহ হিসাবে সামনে আনতে চায়। আর এইটাই সে ম্যাট্রিক্স যার কথা হাদিসে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে দাজ্জাল এর যুগ,ঈমান হারানোর যুগ,ধোকা ও শয়তানি শক্তির স্বর্ণযুগ। এইটা বলে রাখি যে পৃথিবীর সব ধর্মের মানুষের সাথে সাথে অধিকাংশ মুসলিমরাও এই ম্যাট্রিক্স এ বন্দি। মনে রাখবেন ম্যাট্রিক্স মস্তিষ্কের কারাগার। তাদের মাথাগুলো সব এই কারাগারে বন্দি। সবাই যখন এইখানে বন্ধ তাই আলেম, পন্ডিত তাদেরকেও শয়তান ছাড়ে নাই সে বিভিন্ন যুগে এইসব করেছে প্রথমে বিদআত পরে শির্ক দিয়ে ঈসা(আঃ) এর দ্বীনের অনুসারীদের আসতে আসতে কাফি*র বানায় আর সর্বশেষ ইসলাম কে শেষ করতে না পেরে এর ভিতর অসংখ্য ফিরকা ও শির্ক বিদআত প্রবেশ করিয়ে বিশাল বড় এক জনসংখ্যাকে এমন বানিয়েছে যারা যেনে না যেনে দ্বীনের নামে বাতিল বা শয়তানকেই সাহায্য করছে।


২য় পর্বঃ “MATRIX A STRONG DELUSION”

ম্যাট্রিক্স কে কিছু শতাব্দী আগে সবচেয়ে ধনী কিছু পরিবাররা মিলে তৈরি করে। তা তৈরি করা হয় আমাদের নিয়ন্ত্রণ এর জন্য আমাদের চিন্তা,ভাবনা, জীবনযাপন কে নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ এর জন্য। ম্যাট্রিক্স একটা সিস্টেম এবং এই সিস্টেম আমাদের শত্রু। ম্যাট্রিক্স এর ভিতর এ থেকেও যখন কেউ এই কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যায় তখন সে কি দেখে জানেন? এই কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যখন কেউ বাকিদেরও মুক্ত করতে চায় হোক সে মুচি,কৃষক,চোর,ডাকাত,মন্ত্রি,বন্ধু,বাপ মা ইত্যাদি যেই হোক না কেন তারা সে ব্যাক্তির শত্রু। হ্যা এই ম্যাট্রিক্স এর ভিতর থেকে যারা মুক্তি পেয়েছে তারা ম্যাট্রিক এ তাকালে সবাইকে নিজের শত্রু হিসাবে পাচ্ছে। এই সিস্টেম কে বদলানো না পর্যন্ত তারা আমাদের শত্রু হিসাবেই মানবে যদি তারা জেনে ফেলে আপনি তাদের মুক্ত করতে চান। আর কেউ কেউ তো এতোটাই নির্ভরশীল আর বিশ্বাসী এই ম্যাট্রিক্স এর উপর যে সে আপনার বিরুদ্ধে যু*দ্ধ ও আপনাকে হ*ত্যা করতে চাইবে যদি শুনে আপনি এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে এবং মানুষকে মুক্ত করতে চান।


ম্যাট্রিক্স সব যায়গায় আছে আপনার আশেপাশে সবখানে। ফোন অন করেন ভিতরে পাবেন,টিভি ছাড়েন সেইখানে পাবেন। জানালা দিয়ে রাস্তায় উঁকি দেন চতূর্দিকেই ম্যাট্রিক্স এর কারাগারের অদেখা শিক আপনাকে বন্ধ করে রেখেছ। আপনি ম্যাট্রিক কে অনুভব করতে পারবেন আপনার কর্মসংস্থান এ গেলে, টাকা নিতে বা দিতে গেলে অথবা অধিকাংশ বক্তার বক্তব্য শুনতে গেলে দ্বীন এর হোক বা দুনিয়ার। ম্যাট্রিক্স এর দুনিয়াকে পর্দা হিসাবে আপনার চোখের সামনে এনে রাখা হয়েছে যাতে সত্য থেকে অন্ধ হয়ে যান। এই সত্য যে আপনি একজন দাস/দাসী। এর বেশি কিছু না। তারা আপনাকে এবং এর আগের কিছু প্রজন্মকে দাস দাসী বানিয়ে ফেলেছে অথচ আমরা ভাবছি আমরা মুক্ত। এমন এক কারাগারে জন্ম নিয়েছেন যাকে আপনি ছুতে,দেখতে,শুনতে পান না এইটা আপনার মস্তিষ্কের কারাগার।


তারা তাদের অর্থ সম্পদ কে ব্যাবহার করছে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে আমাদের কোন জিনিসকে ভয় পাওয়া উচিত ও নিয়ন্ত্রণ করছে আমরা কি দেখি ও করি/করতে চাই। এই আধুনিক ম্যাট্রিক্স এর দুনিয়ার আগে কোন লোক যদি তার পরিবারকে খাওয়াতে চেত সে বাইরে গিয়ে শিকার করে খাবার চাইলে আনতে পারত,সে বাড়ি বানাতে চাইলে খালি ও উপযুক্ত যায়গা খুজে নিত ও সন্তানদের নিজের মতো বড় করতো ও শিক্ষা দিতে পারত। কিন্তু এখন আপনি কিছু করতে চাইলে যে টাকা লাগবে এই টাকাও ম্যাট্রিক্স এর বানানো যা কিনা তাদের নিয়ম মতো সিস্টেমে কাজ করে আপনাকে কামানো লাগবে। খাবার সেইটাই পাবেন যা তারা বাজার এ আনার অনুমতি দেয় কোনটা ভালো কোনটা খারাপ তার সিদ্ধান্ত তারাই নেয়। আপনি খালি যায়গা পেলেই বাড়ি বানাতে পারবেন না আর কারন সব যায়গা তারা কিনে রেখেছে এবং সেইটা আপনার টাকা দিয়ে কিনা লাগবে। এবং আস্তে আস্তে সব কিছুর দাম এবং জীবন এর মান এমন ভাবে সেট করেছে যে মহিলাদের ও কাজ করা লাগবে নাহলে পরিবার চলবে না। আপনার সন্তানকে বাসায় শিক্ষা দিতে পারবেন না নিজের মতো এতে আর লাভ নাই আপনাকে তাদের বানানো শিক্ষা ব্যবস্থায় দিতে হবে তাকে (যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)। আর স্বাভাবিক সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ কারিকুলাম তাদের কথা মতো বানানো হয় যাতে সংক্ষেপে এই শিক্ষা দেয়া হয় যে " তোমাকে চাকরি করতে হবে এভাবেই জীবনযাপন করা লাগবে" মানে সত্য কথায় আপনাকে প্রকৃতভাবে দাস বানিয়ে গ্র‍্যাজুয়েট করাবে। আর এই ম্যাট্রিক্স এর মালিকরা আরামে অদৃশ্য রাজার মতো থাকবে।


আপনি যদি মনে করে থাকেন যে bill gates আর jeff bezos রা সবচেয়ে ধনী তাহলে আপনি প্রোগ্রামিং বা মাইন্ড কন্ট্রোলিং এর শিকার আর শিকার হওয়াটাও স্বাভাবিক কারন আপনি ম্যাট্রিক্স এ বন্দি। রাজনীতিতে তারা ২দল কে সামনে আনে আর তারাই ক্যান্ডিডেট বানায় আর মানুষ এদের ভোট দিয়ে ভাবে তারা স্বাধীনভাবে চলছে আসলে মূল রাজা যে আড়ালে আছে তা তো জানে না। তারা তাই দেখায় যা তাদের জন্য দরকার। কোন ধরনের মুভি আর গান বাজারে আসবে তা তারা সেট করে দেয়। আপনার ডিভাইসের এর সব তথ্য তার আছে বরং এইটা বললেই ভালো যে " আপনার চেয়ে বেশি তারা আপনাকে জানে। তারা আমাদের মিথ্যা আর ধোকা খাওয়াচ্ছে যাতে আমরা আমাদের সত্যিকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে বিমুখ হয়ে থাকি। তারা আমাদের ভিতর খারাপ এর প্রতি ভালোবাসা, জুলুম আর অন্যায় এর প্রতি সহনশীলতা ও ন্যায় এর প্রতি অসহনশীলতা তৈরি করেছে। আপনার লাগে আপনার কথা,চিন্তা ইত্যাদির মূল্য আছে কোন তাদের কাছে? আপনার কি লাগে আপনি স্বাধীন? আপনাকে তারা এক স্বপ্নের দুনিয়ায় আটকে রেখেছে আর আপনি সেইটাকেই বাস্তব ভাবছেন। আপনি সব ভুল ও প্রোপাগাণ্ডাকে সত্য মানছেন। এই মিথ্যা ধোকা প্রতারণা ও স্বপ্নের দুনিয়া বা মানুষিক কারাগের হচ্ছে ম্যাট্রিক্স যার জন্য আপনি কাজ করে যাচ্ছেন।


ম্যাট্রিক্স থেকে মুক্তি চান? কতোটুক মুক্তি পাওয়া সম্ভব? এইটা পরের পর্বে বলা হবে। 


৩য় পর্বঃ CAN WE ESCAPE?

 আগের দুইটা পর্ব পড়ে থাকলে আসা করি বুঝতে পেরেছেন ম্যাট্রিক্স কি। অনেকে হয়তো আগে থেকেই মনে হতো তারা কারো দাসত্বে আছে কিন্তু ভাবতো তার নিজের কাছেই হয়তো এমনটা লাগে কিন্তু ম্যাট্রিক্স এর ব্যাপারে জানার পর সে বুঝতে পারে যে এইটা সত্যি একটা জিনিস। ম্যাট্রিক্স বানানোর মূল উদ্দেশ্যেই মানুষিক এক কারাগারে বন্দি রাখা ও আপনার চোখের সামনে থেকে আসল দুনিয়াকে ঢেকে দিয়ে ম্যাট্রিক্স এর মিথ্যা দুনিয়ার পর্দা টেনে দেয়া। এইটা থেকে বেড় হওয়ার উপায় কি? বেড় হওয়া কি সম্ভব? এইসব প্রশ্নের উত্তর আসলে একেক জনের জন্য একেক রকম।


প্রথম ধাপঃ

ম্যাট্রিক্স থেকে বেড় হওয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে আপনার এই উপলব্ধি হওয়া ও বুঝা যে ম্যাট্রিক্স আসলেই আছে ও সবাই এইখানে বন্দি। এই ধারণা আপনার মাথায় থাকলে আপনি বন্দিত্বের প্রথম ধাপ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। 


দ্বিতীয় ধাপঃ 

 এইটা বলার আগে একটা জিনিস মনে করিয়ে দিতে চাই। কুরআনে সবচেয়ে বেশি নাম এসেছে কোন নবীর? হযরত মুসা(আঃ) এর ও জাতিদের মধ্যে বানী ইসরাইলের। এই ঘটনা সবাই জানেন যে মুসা(আঃ) বানী ইসরাইলকে ফিরাউনের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে মিসর থেকে বের করে আনে। কিন্তু বিস্তারিত ইতিহাস দেখলে জানতে পারবেন যে দীর্ঘ সময়ে দাসত্ব করতে করতে বানী ইসরাইলের অবস্থা এমন হয়েছে যে তারা জেনে বুঝেও দাসত্ব থেকে বের হতে চায় না। মুসা(আঃ) যখন তাদের বলে যে উনি তাদের বের করবেন এই দাসত্ব থেকে তখন তাদের কথা এমন ছিল যে " আমরা দাসত্ব করলেও অন্তত ২বেলা খেয়ে দেয়ে আছি অযথা তোমার পাল্লায় পরে নিজের জীবনকে বিপদে ফালাবো না৷ মুসা(আঃ) যখন তাদের নিয়ে সমুদ্রের কিনারায় এসে পরে ও পিছনেই ফিরাউনের বাহিনী আসতে থাকে তখন বানী ইসরাইলের অধিকাংশই বলা শুরু করে যে "আমরা তো বলেছিলামই যে সে আমাদের বিপদে ফালাবে" কিন্তু আল্লাহ তার রাসুল মুসা(আঃ) কে সাহায্য করেন ও ফিরআউনের পতন হয়। এতো এতো সাহায্য নিজ চোখে দেখার পরও এই ইহুদি জাতি মুস(আঃ) কে কানানিদের বিরুদ্ধে জি*/হা*দ এ গিয়ে সাহায্য করতে অস্বীকার করে। যার ফলে সেই প্রজন্ম ৪০বছর শাস্তিপ্রাপ্ত হয় এবং তাদের পরে প্রজন্ম ইউশা বিন নুন(আঃ) এর নেতৃত্বে ফিলিস্তিন এ প্রবেশ করে। কুরআনে এইসব ঘটনা কেন উল্লেখ করেছে? আমরা একটু মাথা খাটালে নিজের বর্তমানের সাথে এইগুলা মিলাতে পারবো।

দ্বিতীয় ধাপটা হচ্ছে এই যে আপনি জানেন আপনি ম্যাট্রিক্স এ আটকানো কিন্তু আপনার এইটা থেকে বের হওয়ার কোন এক রাস্তা খুজা লাগবেই৷ বানী ইসরাইলের মতো যদি আপনিও নিজ থেকে বের হতে না চান তাহলে আপনাকে কেউ জোর করে বের করতে পারবে না।


তৃতীয় ধাপঃ

১. নিজের ক্ষমতা আর শক্তিকে কোন অথরিটির কাছে বিক্রি করে দিবেন না। যেমনঃ ভোট, নেতা ইত্যাদির কথায় ও সিস্টেমকে মেনে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিবেন না কারন এই সিস্টেম কিন্তু বানানোই হয়েছে তাদের লাভের জন্য আপনার না


২. আপনি যেইখান থেকে খবর ও তথ্য সংগ্রহ করেন বা দেখেন সেই সোর্স(সূত্র) টা বিশুদ্ধ হতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এখন এইটা অনেক কঠিন তাই এই কাজ করবেন যে একটা খবর কেই বিভিন্ন ধরনের সাইট থেকে পড়বেন। পক্ষে বিপক্ষে, পশ্চিম পূর্ব সবদিকের সূত্র মিলিয়ে চেক করলে অনেকটা সত্য খবর ই পাবেন তবে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার চেয়ে ওয়েবসাইটের নিউজ এ আরও সহজে সঠিক তথ্য পাবেন।


৩.বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কে প্রশ্ন করুন। এই ব্যবস্থা আসলে কি এবং এর ভবিষ্যৎ কি তা নিয়ে ভাবুন। মানুষকে যে তারা কিছু অর্থের বিনিময়ে দাস বানিয়ে রেখেছে সেইটা দেখুন এবং এর বিপরীত কি করা যায় তা ভাবুন। ব্যবসা করলে সবচেয়ে ভালো।


৪. অযথা বস্তুবাদীতা ছাড়ুন। আমি বলছি না কিছু দামী কিনবেন না বা এমন তবে একটা জিনিস খেয়াল করেন। বাজারে সবচেয়ে নতুন ও দামী ফোন আমি কিনতে পারবো এবং তা আমাদের কাজেও দিবে এবং আমি কিনলামও ঠিক আছে সমস্যা নেই। কিন্তু দুইদিন পর একই জিনিস হালকা মডিফাই করে তারা বিক্রি করছে আর আমি যদি শুধু এই কারনেই কিনি এইটা তাহলে আমি উল্টো এই ম্যাট্রিক্স এর প্রোডাক্ট এ পরিনত হবে মানে তারা আমাকে দিয়ে তাদের ফায়দা নিচ্ছে আর আমিও সব দিয়ে দিচ্ছি তাদের।


৫. নিজের শরীরের কি প্রবেশ করাচ্ছেন তার দিকে খেয়াল রাখবেন। নিউট্রিশন বা খাদ্য অভ্যাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। একটা কথা আছে যে "YOU ARE WHAT YOU EAT"। এই ম্যাট্রিক্স এর ভিতর কমোন একটা জিনিস দেখা যায় যায় যে সুগার বা চিনিওয়ালা খাবার অনেক বেশি মানুষ খায় যার কারনে অযথা অসুখ ও ঝামেলায় পরা লাগে+ শারীরিক ভাবে আনফিট হলে ম্যাট্রিক এর ই লাভ।


আরও সংক্ষেপে বলে রাখি ম্যাট্রিক্স নিয়ে যারাই ঘাটাঘাটি করেছে বা এর থেকে বের হতে পেরেছে তারা বলেছে

escaping the matrix requires 8 freedom


1. Financial freedom

2.physical freedom

3.Nutritional freedom

4. social freedom

5.mental freedom

6.environmental freedom

7.individual freedom

8.intellectual freedom 


৪র্থ পর্বঃ [MATRIX AND ITS TRAPS:school, College, University and other so called educational institutes]


ভিডিওটি ৮-৯মাস আগের।


এইখানে সে বলছে,

 " আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা হলো খালি পড় পড় পড় কিন্তু করার কিছু না করতে বলে না পড়তে বলে। এর জন্যই কলেজ ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার পর ছেলে মেয়েরা কিছুই করতে পারে না এইটা সময়ের অপচয়। আমি নিজে ভার্সিটি যাই নাই দুনিয়াতে যতো ধনী বা সফল লোকদের জানি বা দেখেছি অধিকাংশই এই শিক্ষা ব্যবস্থায় যায় নাই। আমার কাছে ৪বছর নাই ভার্সিটিকে দেয়ার জন্য আর তারা আমাকে পুরানো বা অকার্যকর জিনিস শিখাবে যেইখানে কিনা ফ্রিতে ইনটারনেট এ আমি শিখতে পারি৷ আর এমন মানুষ( শিক্ষক) আমাকে টাকা কামানো শিখাচ্ছে যার নিজের ই তেমন টাকা নাই। হ্যা আমি জানি এমন কিছু কাজ বা প্রফেশন আছে যার জন্য ভার্সিটি যাওয়া লাগে যেমন: ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি আমি তাদের কথা বলছি না আমি এভারেজ সবার কথা বলছি যারা ইনকাম এর চিন্তায় পড়ে। তাই আমি যদি কিছু শিখতে চাই তাহলে তার কাছে যাবো যে সেই কাজটা নিজে করে। এমন কারো কাছে যাবো না যে এই ব্যাপারে পড়েছে কিন্তু করা না। যেমন আমি পিয়ানো বাজানো শিখতে চাইলে তার কাছে যাবো যে এইটা বাজায়, তার কাছে যাবো না যে এইটা নিয়ে শুধু পড়েছে"


এইটা ছিল এন্ড্রু টেট এর কথা এইবার বাস্তবে মিলান তো সে একটা কথাও ভুল বলেছে কিনা?? বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা যত দিন যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রী এক কথায় STUPID এ পরিনত হচ্ছে। এর জীবনে চলার বেসিক জিনিসটাও বুঝে না। দুনিয়ায় কই কি হয় এরা জানে না,ইতিহাস, রাজনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে কোন জ্ঞানই নাই। আচ্ছা সব বাদ দিলাম আপনি ভর্তি হয়েছেন এই শিক্ষা ব্যবস্থায় যাতে বড় হয়ে কামাই করতে পারেন ঠিক না? তাহলে এতো বড় সংখ্যায় ছেলে মেয়ে বেকার কেন? ৩০ পার হয়ে যায় বেচারা ইনকাম করতে পারে না। আর যা করে তা হচ্ছে কর্পোরেট বস দের গোলামি যার দিন শেষে মাথায় হাজারটা চাপ আর চিন্তা নিয়ে ফিরে এবং মাস শেষে এমন ইনকাম যেইটা দিয়ে বেচারা পরিবার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তার বিপরীতে এমন ছেলে যে কিনা এই শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ে নাই সে ব্যাবসা করে ওই শিক্ষিত ডিগ্রিওলায়া চাকরিজীবির চেয়ে বেশি কামায়।


এখন আপনি বলবেন টাকা কি সব আমরা এই শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছি শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন এর জন্য.... আচ্ছা তাহলে বলেন তো কি কি শিখেছেন? বাস্তভ জীবনে প্রয়োগ করা যায় এমন কি কি শিখেছেন?

এইবার মূল কথায় আসি। শুনেন ইউরোপে আমেরিকাতে যখন প্রচুর কারখানা, ফ্যাক্টরি, ককর্পোরেট অফিস গড়ে উঠেছে তখন ১-২% ধনী যারা বিশ্বে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছে রেখেছে এরা পরিকল্পনা করে যে আমাদের এতো এতো অফিস কারখানা কিন্তু এইগুলার জন্য শ্রমিক তো লাগবে চাকর লাগবে এতো শ্রমিক ও চাকর পাবো কই? তখন তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এমন সিলেবাস ও শিক্ষানীতি বানায় যেইখান থেকে যেই পড়ালেখা করবে সেই তাদের company তে চাকরি করতে চাইবে। এর জন্যই তো সারা জীবন ১০,২০,৫০ লাখ টাকা দিয়ে পড়ালেখা করে ছেলে মেয়ে ১ লাখ টাকা কামানোর লাইন পায় না এরপর সে ৩০-৪০হাজার এর জব নেয়। অথচ যে এই matrix এর ব্যাপারে জানে সে ১০লাখ টাকা ইনভেস্ট করে এতোদিন এ সেট হয়ে গিয়েছে

আরো অনেকিছু লিখা উচিত এই বিষয়ে যাই হোক কথাকে নিজের উপর আক্রমণ হিসাবে নিয়েন না আমি যা সত্য তাই বলেছি চিন্তা করুন একবার। এরা আপনার সময়, মেধা, স্বাস্থ্য সব কেড়ে নিচ্ছে আর দিন শেষে আপনাকে তাদের দাসে পরিনত করছে। 

✍️ — আহমেত খান

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন