তথাকথিত এনিমেল রাইটস্ এক্টিভিজম করা সংস্থাগুলোর মধ্যে PETA সবার ওপরে। ছবিটা দেখুন। আবেগকে পুঁজি করা হচ্ছে।
তাদের মূল বক্তব্য হলো–জীব হয়ে আরেকটা জীবকে মেরে খাওয়া অমানবিক। ওদেরও প্রাণ আছে। আমরা প্রাণী জগতের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান হওয়ায় অন্য প্রাণীদের ওপর অন্যায় করছি। আমরা সবাই একই জগতের জীব।
কথাগুলো শুনতে খুব ইতিবাচক মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে হীন কিছু উদ্দেশ্য।
মানুষ কি খাবে?
এই মতবাদে বিশ্বাসীরা নিজেদেরকে ভেজিটেরিয়ান বা ভিগান বলে পরিচয় দেয়। অর্থাৎ তারা কেবল উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্য খায়।
তাদের কেউ কেউ গরুর দুধ, মধু, ডিম পর্যন্ত খায় না। কারণ, দুধ বাছুরের খাবার। মধু মৌমাছির খাবার। ডিম খেলে পাখির পরবর্তী প্রজন্ম আসতে পারবে না।
জগদীশ চন্দ্র বসু যখন উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে আবিষ্কার করলেব, তখন ভিগানরা একটু বেকায়দায় পড়ে গেল। তাদেরতো এখন মাটি খাওয়া লাগবে।
এরপর তারা কৌশলে নিজেদের বক্তব্যকে একটু ঘুরিয়ে বলল–উদ্ভিদের নার্ভাস সিস্টেম বা অনুভূতি শক্তি নেই। উদ্ভিদকে কাটলে ব্যথা অনুভব করে না। তাই উদ্ভিদ খাওয়া যাবে।
অথচ তর্কটা ছিল প্রাণ হত্যা নিয়ে। তাছাড়া শস্য ও ফল খেয়েও কিন্তু তারা উদ্ভিদের পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংস করছে।
খাদ্য শৃঙ্খলঃ
তারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে যাচ্ছে। প্রকৃতিতে একটা প্রাণী আরেকটা প্রাণীকে মেরে খাচ্ছে কিংবা মরে যাওয়ার পর খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে।
প্রাকৃতিক পরিবেশের বাস্তুসংস্থানে প্রাণীরা খাদ্যের জন্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যেমনঃ ঘাসফড়িং ঘাস খায়, ঘাসফড়িংকে খায় ব্যাঙ, ব্যাঙকে খায় সাপ, সাপকে খায় ইগল, ইগল মরে গেলে ব্যাকটেরিয়া ইগলকে খায়। আবার যেমনঃ হরিণ ঘাস খায়, হরিণকে খায় বাঘ বা সিংহ বা মানুষ।
মানুষ মরে গেলে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, পোকামাকড়, ম্যাগোট, ইঁদুর, শেয়াল ইত্যাদির খাদ্যে পরিণত হয়। এমনকি মানবজাতিও বিভিন্ন প্রাণী, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করছে।
উদ্ভিদও ব্যথা অনুভব করেঃ
সম্প্রতি জার্মানির University of Bonn এর Institute for Applied Physics এর গবেষকদের একটি দল গবেষণা করে দেখেছেন যে, গাছের ফুল বা পাতা ছেঁড়া হলে গাছ ব্যথা পেয়ে কান্না করে।
মানুষের শ্রবণক্ষমতা ২০ থেকে ২০০০০ হার্টজ (Hz) পর্যন্ত। এর বেশি বা কম হার্টজের শব্দ মানুষ শুনতে পারে না। তাই এই পরীক্ষা করতে গবেষকরা লেজার-পাওয়ারড মাইক্রোফোন দিয়ে একটি ডিভাইস তৈরি করেন। গাছকে আঘাত করা হলে গাছ ইথেলিন নামক এক প্রকার গ্যাস নির্গত করে। পরবর্তী সময়ে সেই গ্যাস একটি বেলজারে সংরক্ষণ করার পর একটা টিউবের মাধ্যমে গ্যাসগুলো ওই ডিভাইসের মধ্যে প্রবেশ করানো হলে একপ্রকার শব্দ-তরঙ্গের উৎপত্তি হয়। মাইক্রোফোন দিয়ে সেই শব্দ-তরঙ্গকে গ্রহণ করা হয়। Frank Kühnemann নামে গবেষক দলের একজন বলেন— ‘গাছ যত বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, মাইক্রোফোনে আমরা তত উচ্চতর সংকেত পাই।’
ব্যাকটেরিয়াও একটা প্রাণী
তারা প্রতিনিয়ত জীব হত্যা করছে।
আমাদের চারপাশে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ব্যাকটেরিয়া নেই। ১ গ্রাম মাটিতে প্রায় ৪ কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর ১ মিলিলিটার পরিষ্কার পানিতে প্রায় ১০ লাখ ব্যাকটেরিয়া থাকে। এমনকি মানুষের মুখ পরিষ্কার থাকা অবস্থায় প্রতিটা দাঁতের মধ্যে ১ হাজার থেকে ১০ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর মুখ অপরিষ্কার থাকা অবস্থায় প্রতিটা দাঁতে ১০ কোটি-১০০ কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে।
তারা দাঁত মাজে, গোসল করে, কাপড় ধোয়, ঘর ও টয়লেট পরিষ্কার করে, হাঁটা চলা করে প্রতিদিন কত কোটি ব্যাকটেরিয়া মারে?
অথচ নার্ভাস সিস্টেম ছাড়াও ব্যাকটেরিয়া অনুভূতি আছে।
২০১৭ সালে University of Colorado Boulder— এর বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, ব্যাকটেরিয়ার মতো অতি ক্ষুদ্র একটা প্রাণী নার্ভাস সিস্টেম না থাকা সত্ত্বেও ব্যথা অনুভব করতে পারে। Proceedings of the National Academy of Sciences জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। E. coli নামক ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে এক বিশেষ প্রকারের জিন প্রবেশ করিয়ে ফলাফল পাওয়া যায় যে, অন্যান্য প্রাণীরা তাদের পরিবেশকে যে পদ্ধতিতে অনুভব করে, ব্যাকটেরিয়াও ঠিক একই পদ্ধতিতে তাদের পরিবেশকে অনুভব করে।
তারা মশা-মাছি-তেলাপোকা-উইপোকা মারে, ফসল রক্ষা করতে ইঁদুর মারে, কিটনাশক ব্যবহার করে, সাপ ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণী মারে। আর করোনা ভাইরাসকে তো তারা গোষ্ঠী সহ বিতাড়িত করেছিল ২০২০ সালে।
_____
ভিগানিজম = চাঁদাবাজিজম
ভিগান সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর পুরো বিশ্বে Animal Testing করার জন্য প্রায় ১১৫ মিলিয়ন বা ১১.৫ কোটি প্রাণী হত্যা করা হয়। এসব প্রাণীর তালিকায় রয়েছে ইঁদুর, খরগোশ, মাছ, গিনিপিগ, হ্যামস্টার, ব্যাঙ, কুকুর, বিড়াল, পাখি, শিম্পাঞ্জি, বানর ইত্যাদি।
Animal Testing হলো, কোনো কোম্পানিকে নতুন কোনো প্রসাধনী-সামগ্রী বা ওষধ বাজারজাত করার পূর্বে তাদের গবেষণাগের পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। নতুন যে প্রসাধনী-সামগ্রী বা ওষধ তৈরি করা হচ্ছে, সেটা কতটুকু কার্যকর, মানুষ সেটা ব্যবহার করলে কোনো ক্ষতি হবে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রাণীদের ওপর সেগুলো প্রয়োগ করে আগে পরীক্ষা করা হয়।
এখন যদি কোনো কোম্পানি বলে, আগামীকাল থেকে এসব প্রাণী দিয়ে গবেষণা করা বন্ধ করে দেবে তারা। তখন আপনি নিজেই সেই কোম্পানির ওষধ বা প্রসাধনী-সামগ্রী কেনা বন্ধ করে দেবেন। কারণ, প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা চালালে এসব পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা বেশি থাকে। ফলে মানুষ নিশ্চিন্তে পণ্যটি ব্যবহার করে। উপরন্তু আমেরিকা, চীন, জাপান ও ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোতে প্রাণীদের ওপর এমন পরীক্ষা করাটা বাধ্যতামূলক। ১৯৩৭ সালে পরীক্ষাহীন একটি ওষধ বাজারে ছাড়া হলে সেই ওষধ সেবন করে প্রায় ১০০ জন মারা যাওয়ার পর ১৯৩৮ সালে আমেরিকা আইন পাস করে নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করে দেয়।
এই ভিগানদের ব্যবসাটা ঠিক এখানেই। যেহেতু তারা সাধারণ মানুষের আবেগকে পুঁজি করে ব্যবসা করে, সেহেতু নির্দিষ্ট এক বা দুইটা কোম্পানিকে টার্গেট করে অসুস্থ প্রাণীদের ছবি সাধারণ মানুষকে দেখিয়ে উক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। ফলে উক্ত কোম্পানির পণ্য বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে কোম্পানিগুলো এই ভিগান সংস্থাগুলোর সাথে অর্থের বিনিময়ে সমঝোতা করে; যেন প্রচারণা না চালায়। একই উপায়ে আন্ডার দ্য টেবিল অন্যান্য কোম্পানিকে থ্রেট করে অর্থ আদায় করে। আমার কথার প্রমাণ পেতে কোনো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লাগবে না। শুধু খুঁজে দেখুন, বড়ো বড়ো কয়টা কসমেটিক ও ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে ভিগানবাদিরা প্রচারণা চালিয়েছে।
এটা বিনা পুঁজিতে ব্যবসা। অনেকটা ডাকাতি বা চাঁদাবাজির মতো। সাংবাদিকরা যেমনটা করে। টাকা দাও। নয়তো তোমার দূর্নীতি ফাঁস করে দেব। ভিগানদের পুঁজি হচ্ছে গর্দভ টাইপের কিছু টিন এইজার পোলাপান–যারা আবেগের বশে বিনামূল্যে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে।
আবেগ বিক্রি করে খায়ঃ
প্রথমে রাস্তা থেকে কোনো অসুস্থ কুকুর বা বিড়াল তুলে আনবে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেবে। বলবে এই অসহায় প্রাণীর খাদ্য, চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। আবেগী বা নরম মানসিকতার কেউ না কেউ সেই দায়িত্ব নেবে।
প্রাণীটা থাকবে ভিগান ব্যবসায়ীদের কোনো সেইফ হোমে। দায়িত্ব নেওয়া ব্যক্তি ওই নির্দিষ্ট প্রাণীর জন্য প্রতি মাসে টাকা দেবে। অর্থাৎ সে ডোনার। অনেকটা এতিম ছেলে-মেয়ের দায়িত্ব নেওয়ার মতো।
নিজেদের ভিগান দাবি করা, প্রাণীদের অসহায়ত্ব দেখিয়ে মানুষের আবেগকে পুঁজি করা এই তরুণ-তরুণীদের মূল লক্ষ্য থাকে একটা এনিমেল সেইফ হোম তৈরি করে নিজের ক্যারীয়ার দাঁড় করানো। মাথায় বুদ্ধি আছে। চাকরীর প্রতিযোগিতার বাজারে একটু কৌশলী না হলে কি চলে!
এই ভিগান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে। ২০০৮ সালে Center for Consumer Freedom (CCF) -এর এক অনুসন্ধানে ধরা খেয়ে PETA নিজেই স্বীকার করেছে যে–বিভিন্ন ভিগান সংস্থাগুলোর সেইফ হোমে রাখা প্রায় ৯৮% প্রাণীকেই একসময় হত্যা করে ফেলা হয়। ২০১১ সালে PETA নিজেই হত্যা করে ৯৫% প্রাণী।
অর্থাৎ লেনদেনে সচ্ছতা নেই। ওই যে কুমির ও শেয়ালের গল্পটার মতো। কুমির ওর বাচ্চাগুলোকে শেয়ালের কাছে পড়তে পাঠিয়েছিল। মাঝে মাঝে বাচ্চাগুলোকে এসে দেখে যেত। শেয়াল প্রথম প্রথম মা কুমিরের সামনে সবগুলো বাচ্চাকে একসাথে এনে হাজির করত। শেয়াল একসময় এক এক করে কুমিরের বাচ্চাগুলো খাওয়া শুরু করে। শেষমেশ একটা বাচ্চা অবশিষ্ট থাকে। কুমির যখন ওর বাচ্চাগুলোকে দেখতে আসল, তখন শেয়ালটা একটা বাচ্চা এনে দেখাল। একটু পর বাচ্চাটা নিয়ে ঘরের ভেতরে গিয়ে আরেকটা বাচ্চা দেখাল। এভাবে কয়েকবার করল। অর্থাৎ একই বাচ্চা সে কয়েকবার দেখিয়েছে।
আমাদেরকে সতর্ক হতে হবেঃ
এই মতবাদ আমাদের সমাজে এখনো সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে জোর চেষ্টা চলছে। স্কুল জীবনেই এদের কিছু তৎপরতা দেখেছি। এদের টার্গেট টিন এইজের ছেলে-মেয়েরা। বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে এদের তৎপরতা বেশি।
এদের স্লোগানগুলোও খুব ভয়ানক। পরিবার বিধ্বংসী। এটা নিয়ে পশ্চিমেও বেশ বিতর্কিত এই ভিগানবাদীরা। ছোটো বয়সের ছেলে-মেয়েদের কোমল হৃদয়কে এরা পিতামাতার বিরুদ্ধে বিষিয়ে তোলে। প্রাণীদের অসহায়ত্বের ছবি দেখালে যে কারো মনই বিগলিত হবে। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে আমরা কেন যেতে পারবা না সেটা প্রথম পর্বেই উল্লেখ করেছি।
এরা এই টিন এইজারদের টার্গেট করে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন চালায়। প্রথমে প্রাণী হত্যার ছবি দেখায়। এরপর স্লোগানগুলো প্রচার করে। এদের স্লোগানগুলো দেখুন।
"Your Daddy Kills Animals"
"Your Mommy Kills Animals"
"Holocust on Your Plate"
"Are Animals the New Slaves?"
ক্যাম্পেইন চালাতে এমন এমন আর্টিফিশিয়াল ফুড তৈরি করবে, এমন এমন ছবি আঁকবে, যেটা দেখলে মনে হবে খাবারের জন্য প্রাণী হত্যা করাটা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম একটা কাজ। এদের ক্যাম্পেইনের সব কিছু এখানে তুলে ধরার সম্ভব না। চাইলে গুগল বা ইউটিউব থেকে এদের এক্টিভিটি দেখে নিতে পারেন।
হীন উদ্দেশ্যঃ
এই মতবাদে বিশ্বাসীদের প্রায় সবাই-ই নাস্তিক। সৃষ্টিকর্তার প্রাকৃতিক নিয়মের ওপর হস্তক্ষেপ করে এরা।
কিন্তু ভয়ানক বিষয় হচ্ছে, আপনার সন্তানকে নিয়ে এদের হীন উদ্দেশ্যটা। আপনার টিন এইজ সন্তান যখন ভিগানবাদীদের কথায় প্রভাবিত হবে এবং দেখতে পাবে– ইসলামে প্রাণী হত্যা করা নিষেধ তো নয়-ই; বরং বিশেষ একটা দিনে পশু কুরবানী করাটা একটা ইবাদাত। বড়ো ইবাদাত।
তখন সে চেতন বা অবচেতন মনে ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে থাকবে। ধীরে ধীরে ইসলামকে ঘৃণা করা শুরু করবে। সে বিবর্তনবাদকে বিশ্বাস করবে। সে বলবে–আমরা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে এসেছি।
অথচ পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
"যে সব সৌন্দর্য-শোভামন্ডিত বস্তু ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কে তা হারাম করল?"
(সুরা আল-আরাফ : আয়াত ৩২)
"আল্লাহ– যিনি তোমাদের জন্য গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কতকগুলোর উপর আরোহণ করতে পার, আর কতকগুলো থেকে আহার করতে পার। ওগুলোতে তোমাদের জন্য আছে বহু উপকার। তোমরা তোমাদের অন্তরে যে প্রয়োজনবোধ কর, যাতে ওগুলোর দ্বারা তা মিটাতে পার।"
(সুরা গাফির : আয়াত ৭৯-৮০)
"পৃথিবীর সবকিছু তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন।"
(আল-বাকারা : আয়াত ২৯)
একসময় নাস্তিক হয়ে যাবে। আর একজন নাস্তিক বেপরোয়া হয়। যা খুশি তা করতে পারে। কারণ, নাস্তিকরা কোনো বিচার দিবসের আশংকা করে না।
লিখেছেনঃ কারিম শাওন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন