বই-পুস্তকে জেনেছি পানির অপর নাম নাকি জীবন,যা প্রতিদিন প্রয়োজন পরে। যে পানি ছাড়া একদিনের জন্য বিকল্প কিছু ভাবতেও পারি না। সেই পানি যদি হয় “ন্যানোপ্লাস্টিকের” কারখানা! তখন তো অবাক না হয়ে থাকা যায় না!
সম্প্রতি আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন এসব দাবি, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা প্লাস্টিকের বোতলের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণা করছেন।
গবেষকরা জানান, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্লাস্টিকের কণাকে বলা হয় ঔ‘ন্যানোপ্লাস্টিক’। গবেষণা বলছে, ১ লিটার প্লাস্টিকের বোতলের পানিতে (৩৩ আউন্স) কম করেও ২ লাখ ৪০ হাজার প্লাস্টিক-কণা মিশে থাকে। খালি চোখে এদের দেখা যায় না। এগুলো পানির সঙ্গে শরীরে ঢুকে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এদের দৈর্ঘ্য ১ থেকে ৫০০০ মাইক্রোমিটারের মতো। অর্থাৎ, মানুষের মাথার চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম। এতোটাই সূক্ষ্ম যে, খালি চোখে দেখা যায় না। প্লাস্টিকের বোতলের পানিতে এই সূক্ষ্ম প্লাস্টিক-কণাগুলোই মিশে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ দেখুন
__
আচ্ছা বলতে পারবেন এই প্লাস্টিক কণা কারা খাচ্ছে?
গ্ৰামের মানুষ? উঁহু না বেশিরভাগ শহরের মানুষ খাচ্ছে,আর খাচ্ছে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া মানুষগুলো। অর্থাৎ যারা ভ্রমন কিংবা কোথায় বেড়াতে যায় তারা।
এখান প্রশ্ন করতে পারেন শহরের মানুষই খায় গ্ৰামের মানুষ খায় না? উওর হলো, গ্ৰামের মানুষ খায় যখন পানি নিয়ে বের হতে ভুলে যায়, দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় তখন পানির বোতল কিনতে হয়,যেমনটা উপরে উল্লিখ করেছি। তাছাড়া গ্ৰামের মানুষ বোতলের পানির উপর নির্ভর করতে হয় না, গ্ৰামের মানুষের জন্য আছে সুমিষ্ট সুপেয় পানির টিউবওয়েল। অপরদিকে, শহরের মানুষ বোতলের পানি খেতে খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। অভ্যস্ত হয়ে গেছে বলবো না বলবো অভ্যস্ত করানো হয়েছে আধুনিক আর উন্নয়নের ভুয়া চশমা পরিয়ে।
দাজ্জাল মানুষের প্রয়োজনীয় সবকিছুতে তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিবে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে সুমিষ্ট সুপেয় পানি।
আর সেই পথটা খুব সফলভাবে তৈরি করে যাচ্ছে দাজ্জালের কিছু এজেন্টরা পানির কোম্পানির মাধ্যমে।
ধরেন আপনার হাত একটুখানি কেটে গেল এখন কি করবেন?
ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে। কিন্তু গ্ৰামে যদি এমনটা ঘটতো তাহলে যেটা হতো রাস্তা ঝুপঝাড়ের আশেপাশে পাওয়া একধরনের পাতা পাওয়া যায় তা দিয়ে রক্ত বন্ধ করা যায়।
যেখানে আপনি প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহার করে মুক্ত হচ্ছেন, সেখানে আপনাকে বাধ্য করা হচ্ছে ঔষধ প্রয়োগ এবং ডাক্তারের কাছে যেতে। ফলাফল আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে, আপনি ঝুঁকে পরছেন কৃত্রিম ঔষধের উপর। আর এটাই চায় দাজ্জালের এজেন্টরা যেন পকেট কাটতে পারে। ফলস্বরূপ দাজ্জাল আপনার দুর্বল শরীরের নিয়ন্ত্রণ নিবে অর্থাৎ যেভাবে ইচ্ছে নাচাবে,নাচতে বাধ্য ফেঁসে গেছেন।
ঠিক একইভাবে আপনাকে বাধ্য করা হচ্ছে বোতলের পানি খেতে। আপনি ধরে নিয়েছে এই সবকিছু উন্নয়ন, আধুনিকতা! ইতিমধ্যে আপনি ব্রেইন ওয়াশেড তাই ওরা আপনার পকেট কীভাবে খালি করে ফেলতেছে বুঝতেও পারছেন না। এক এক করে, চিকিৎসা, খাদ্য,শিক্ষা, পোশাক-আশাক,চলাফেরা হতে শুরু করে আপনি কি করতে পারবেন কি পারবেন না তাও নির্ধারণ করে দেওয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে....
শুধু একটু কৃত্রিম আর যান্তিক পরিবেশের বাইরে গিয়ে মুক্ত বাতাসে নিজের মষ্তিষ্ক টাকে ভাবার সুযোগ করে দেন। উওর সব মিলে যাবে।
লিখেছেনঃ নাসিম আহমাদ
[৬ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী|২৯ আষাঢ় ১৪৩১ বাংলা]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন