কোনো মেয়েকে বিয়ে না ক'রে মিস্ট্রেস বা কনকিউবাইন বানিয়ে লিভটুগেদার করাটা লম্পট পুরুষদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। ৪টা বৈধ বিয়ে নিয়ে এরা হাজারটা প্রশ্ন তোলে, কিন্তু ১৫/২০ টা অবৈধ যৌন সঙ্গিনী থাকলে এদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ-
১. যখন খুশি সম্পর্ক ভেঙে দেয়া যায়। মেয়ের অভিভাবক বা অন্য কারো কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। মেয়ের প্রতিও কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
২. ছেলের আয় অনুপাতে উপহার হিসেবে মেয়েকে মোহরানার টাকা দিতে হয় না।
৩. সংসার করে, সন্তান জন্ম দিয়ে, সেই সন্তানদেরকে লালন-পালন করে, সঠিকভাবে বড় ক'রে তোলার ঝামেলা নেই। ফলে পরিবারের পেছনে যেই অর্থ খরচ হতো সেটা বেঁচে যায়। সেই বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে নতুন কোনো মেয়েকে মিস্ট্রেস বা কনকিউবাইন বানানো যায়।
৪. যেহেতু পরস্পরের মাঝে লিখিত কোনো অঙ্গিকার নেই, সেহেতু একই সময়ে অন্যান্য মেয়েদের সাথেও লটরপটর বা হ্যাংকি-প্যাংকি করা যায়।
মেয়েরা এর ফলে চরমভাবে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ-
১. অবৈধ ছেলে সঙ্গী যদি মারা যায়, তবে আইনগতভাবে তার অর্থ-সম্পদের অংশীদার মেয়েটি হতে পারে না। ছেলের পরিবারই সম্পদের মালিক থাকে। অথচ বৈধভাবে বিবাহ হলে এমনটা হত না।
২. ছেলেটি প্রতারণা করলে বা কারণ ছাড়া সম্পর্ক ভেঙে দিলে, মিথ্যে ধর্ষণের মামলা দেয়া ছাড়া আইনানুগ তেমন কোনো ব্যবস্থা ছেলের বিরুদ্ধে মেয়েটি নিতে পারবে না। তাছাড়া পশ্চিমা বিশ্বে এসব ধর্ষণ মামলাকে এখন তেমন একটা গ্রাহ্য করা হয় না।
৩. (একজন স্ত্রীর মতো) ছেলের পরিবারের সদস্য হওয়ার মর্যাদা মেয়েটি পায় না।
৪. গর্ভে সন্তান চলে আসলে সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে ছেলের উপর কোনো চাপ প্রয়োগ করতে পারে না মেয়েটি। ফলে, হয় বাচ্চাটিকে গর্ভপাত করে মেরে ফেলতে হয়, অথবা ভূমিষ্ট হবার পর বাচ্চাটিকে রাস্তায় ফেলে দিতে হয়। আর নয়তো সেই সন্তান হয় পিতৃ পরিচয়হীন একটা জারজ সন্তান।
_____
অধ্যায়ঃ চার বধূ এক স্বামী (২)
বইঃ নারীবাদী বনাম নারীবাঁদি
লেখকঃ কারিম শাওন
প্রকাশনীঃ ফেরা প্রকাশন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন