স্ত্রী দুই রকমের হয়

 

স্ত্রী দুই রকমের হয়
১। একটা বউ।
২। আরেকটা ঘেউ।

কপাল খারাপ হলে কিছু বলার নেই। আপনার গায়েবি জানাজা পড়ব সবাই মিলে। কপাল ভালো হলে একটা সোনা বউ পাবেন। এই সোনা বউকে নিয়ে কিভাবে জীবন কাটাবেন, সেই ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিতে পারি।

তাকে প্রেম শেখাবেন। ভালোবাসতে শেখাবেন। কিন্তু কিভাবে? রেঁগে গেলে তো ছোবল দিতে আসে ফোঁস করে।

রাগ নারীর অলংকার। তাকে রাগাবেন বেশি করে। যতক্ষণ ঘরে থাকবেন প্রতি মিনিটে পেছনে লেগে থাকবেন। ফ্লার্ট করবেন। মেয়েরা এগুলো বেশ পছন্দ করে। ওপরে ভাব দেখাবে বিরক্ত হচ্ছে। মেয়েদের ভেতরে এক মুখে প্রকাশ করে আরেক। রোমান্টিক মুডে চলে যাবেন। প্রথম ডেটিং করার মতো আচরণ করবেন।

তেলাপোকা আপনার জীবনকে রাঙিয়ে তুলতে পারে। তেলাপোকাকে দাম্পত্য জীবনে ব্যবহার করুন। দেখবেন নাটক কি জিনিস! টিভি লাগবে না। তেলপোকার বিনোদন এটা। আরেকটা বিনোদোন পাবেন রাগানোর সময়। এটা একটু একশন ধাঁচের হতে পারে। (বি: দ্র: বউয়ের ফ্রাই প্যানের আঘাতে আপনার মাথা ফাটলে আমি দায়ী না।)

বলছিলাম ভালোবাসা কিভাবে শেখাবেন?

তাকে কোনো পুরুষ দেখলে আপনার বুকের ভেতরে তার জন্য জ্বলুনি হয় সেটা তাকে বোঝান। কিন্তু আপনার সেটা হলে তো বোঝাবেন। আপনার নিজের দৃষ্টিই তো ঠিক নেই। সচ্চরিত্রা নারীরা নিজেদের সৌন্দর্য হেফাজত করে রাখে তার স্বামীর জন্য। দৃষ্টির হেফাজত করে এমন স্বামীর দৃষ্টি সচ্চরিত্রা নারীদের কাছে অমূল্যবান প্রাপ্তি। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রিত চোখ দুটোই সংরক্ষিত সৌন্দর্য দেখবে। উভয়ের জন্য এই সুরক্ষিত আদান-প্রদানের বিনিময়ে প্রাপ্ত সুখের মাত্রা অরক্ষিত জীবনযাপন করা দম্পতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। এই ভালোবাসার স্বাদ ৯৯% নারীই পায় না। বোঝেও না।

যার কাছে যেটার মূল্য যত বেশি, সে সেটাকে তত আগলে রাখবে। তাকে যা দেবেন তাই ফেরত পাবেন। আপনার স্ত্রী, এই ভালোবাসার মানুষটার গুরুত্ব আপনার কাছে কতটা বেশি সেই প্রমাণ পাওয়া যাবে তার ব্যাপারে আপনি কতটা খেয়াল রাখেন সেটার মাধ্যমে। বাহিরে বের হলে তাকে দেহরক্ষীর মতো নিরাপত্তা দিচ্ছেন কি না?

দেখুন, বউয়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা আপনার চোখে-মুখে ফুটে উঠবে। আপনার কথা, চলা, কাজকর্ম, দৈনন্দিন পরিকল্পনা সাজানো ইত্যাদি সবকিছুর মধ্যেই সে আপনার মাঝে তার নিজেকে খুঁজে পাবে।

আপনার চোখ দুটোকে সংযত করতে হবে। দেখুন, মেয়েরা সূক্ষ্ম বিষয়গুলো খুব সূক্ষ্মতার সাথে ধরে ফেলে। আপনি রাস্তায় বেড়িয়ে অন্য মেয়ের দিকে তাকাচ্ছেন, অন্য মেয়ের রূপ দেখে যৌ*ন সুখ পাচ্ছেন, এসব কিন্তু আপনার বউটা খুব সহজেই ধরে ফেলে––যখন সে আপনার সাথে বের হয়। সেটা আপনি ধরতে পারেন না। আপনি ভাবেন, চোখের প্রতিটি পলক কি আর সে ধরতে পারবে! দূরত্ব এভাবেই তৈরি হয়। সে আঘাত পায় হৃদয়ে।

যেগুলো ঘেউ সেগুলোকে হৃদয় নিঙড়ে দিলেও বুঝবে না। ওরা ভালোবাসা চায়ও না। পবিত্র ভালোবাসার গুরুত্ব বুঝবে তো দূরের কথা। ওটার চরিত্রেই সমস্যা। আপনি হাজার ভালোবাসলেও পর পুরুষের সাথে ঘেঁষাঘেষি করতে চাইবে, রংঢং করে কথা বলবে। এরা পর্দার ধারে-কাছেও যায় না। আপনার সামনে কোনো এক রকম থাকলেও বাহিরে বের হওয়ার সময় এমন পোশাক পরবে––শরীরের সব ভাজ দেখা যাবে।

দুশ্চরিত্র পুরুষরা যেমন নারীর শরীর দেখে যৌ*ন সুখ পায়। দুশ্চরিত্রা নারীরা তেমন নিজের শরীরটা দেখিয়ে যৌ*ন সুখ পায়। গিভ এন্ড টেক। নারী ও পুরুষ বিপরীতধর্মী সৃষ্টি। তাদের জৈবিক চাহিদাও বিপরীতধর্মী। অনেকটা খাদ্য আর খাদকের মতো।

লিখেছেনঃ কারিম শাওন

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন