SSC-HSC পড়ুয়াদের প্রতি বার্তা

 

যারা এই মূহুর্তে পড়াশোনায় লিপ্ত আছেন। তারা যদি একটু ভিন্ন ভাবে নিজেকে সাজাতে চান। দুনিয়ায় হুকুমাত কায়েমের অংশীদার নিজেকে করতে চান৷
তারা এই পুঁজিবাদী সিস্টেমের শিকল ভেঙ্গে ফেলুন। আমরা চাই এমন একটা প্রজন্ম। যারা ১৭ থেকে বা তার আগে থেকেই স্বাবলম্বী হবে। সেটায় হোক অল্প রোজগার।

পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি বিয়ে করে চরিত্র হিফাজত করবে। দ্বীনি ইলম অর্জন করবে সমসাময়িক ফিতনা নিয়ে৷
এমন একটা প্রজন্ম তৈরী করতে হবে। যাদের বয়স ৩০ হলে তাদের ২/৩ টা সন্তানের মালিক হবে। ৩০ এসে যাদের দাওয়াহ কাজের আঞ্জাম থাকবে ১০ বছরের অধিক।

যাদের দাওয়াহ তে একটা এলাকায় ইসলামী প্রজন্মের উত্থান ঘটবে৷ যাদের নিরলস চেষ্টা থাকবে ইসলাম নিয়ে। যাদের পেশা থাকবে মুক্ত স্বাধীন। যাদের জন্ম নেওয়া সন্তানেরাও দ্রুত বেড়ে উঠবে উম্মাহর হাল ধরতে৷
এই প্রজন্মকে আগে থেকেই এমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে। যারা ২০ এ পা রাখার সাথেই সন্তানের মালিক হবে বা বিয়ে তে বসবে।
সিস্টেমে ছুটে চলা ৩০ বছরের এক যুবককে যদি প্রশ্ন করা হয় তোমার অর্জন কী?
সে বলবে না বিয়ে করতে পেরেছে৷ না ১০ বছর ইসলামের প্রসারে ভূমিকা রাখতে পেরেছে। না স্বাবলম্বী হতে পেরেছে।
তারা ক্যারিয়ার সিস্টেমে আবদ্ধ হয়ে ঘুরপাক খেয়ে যাচ্ছে৷

তাই এমন একটা প্রজন্ম তৈরী করতে হবে। যারা ৩০ এসে জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে।
তারা ২০ থেকেই দাওয়াহ কাজ করে গেছে টানা ১০ বছর। যাদের মুক্ত পেশায় পরিবারে ভূমিকা রেখেছে৷ যারা চরিত্র হিফাজত করে অনেক গুলো সন্তানের মালিক হয়েছে৷

৩০ শে এসেও ১৫/১৬ হাজার টাকার পেছনে ছোটাছুটি করার যুবক এই দেশ লক্ষাধিক। এরা না পারলো দ্বীনে অবদান রাখতে৷ না পারলো নিজের যৌবন উপভোগ করতে। না পারলো প্রজন্ম তৈরী করতে। না পারলো মা বাবার দায়িত্ব নিতে।
যদি এমন একটা প্রজন্ম তৈরী করা যায়। তাহলেই প্রতিটি অঞ্চল ইসলামী শক্তির দূর্গ হবে। যারা হবে আগামীর মীর নিসার আলী তিতুমীর। যারা কোনো সিস্টেমের অনুগত নয়। যারা সিস্টেম কে ভেঙে দিতে চ্যালেঞ্জ জানাবে৷ 


লিখেছেনঃ আল ইন্তিফাদা

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন