হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক!!!
যদিও এটা নেপালে কিন্তু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।
হাদিস-কুরআনের ইলম কম বেশি টুকটাক সবারই আছে। এটা অবশ্যই জানার কথা যে, আপনার বাচ্চাকে যদি কোনো নারী দুধ পান করায় তাহলে সে বাচ্চার মাহরাম হয়ে যাবে। এবং ঐ নারীর যত ছেলে-মেয়ে আছে তারাও মাহরাম হয়ে যাবে।
এটাও জানেন যে মাহরাম-মাহরাম বিয়ে করা হারাম।
এখানে সবচেয়ে স্পর্শকাতর যে, সমস্যাটা হবে সেটা হচ্ছে
১। ঐ বাচ্চা বা তাদের পরিবার জানতে পারবে না কার দুধ পান করিয়েছে, কোন নারী বাচ্চার মাহরাম হয়েছে।
২। কে দুধমাতা/মাহরাম জানা না থাকায় মাহরাম-মাহরাম বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকবে। অর্থাৎ সারাটা জিন্দেগী আপনি যেনা-ব্যাভিচার করে যাবেন। ফলাফল সোজা জাহান্নাম।
৩। বাচ্চার হলে জন্মাবে জারজ হয়ে। এই সন্তানগুলোর থাকবে না কোনো সৎ সাহস, আনুগত্য করবে কাফিরদের, মুসলিম নামে মাত্র হবে, কাফিরের পক্ষে হয়ে মুসলিম-ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে।
৪। জানতেও পারবেনা ইহুদি, কাফির নাকি কোনো মুসলিম নারী হতে দুধ পান করানো হয়েছে।
৫। মুক্তমনা, স্বাধীনতা চেতনা নারী এটাকে পেশা হিসেবে নিবে। আর কিছু নারী অর্থের লোভে তার নিজের বাচ্চাকে বঞ্ছিত করবে দুধ পান করানো থেকে।
৬। আর যদি কৃত্রিম হয়। অর্থাৎ মানুষের না হয়ে গরুর হয় তাহলে এতে কোনো লাভ নেই। এমন কিছু মেশানো থাকবে যেটা বাচ্চার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিবে, পরনির্ভরশীল হবে। যখন তারা যুবক-যুবতী বয়সে পৌঁছাবে তখনি বুঝতে পারবে বিগ ফার্মার উপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নাই। অর্থাৎ ঔষধ ব্যবসা তুঙ্গে!
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক অনেক ভ্রষ্ট পথ উন্মুক্ত হবে। এভাবেই পরনির্ভরশীল হয়ে একটা আনুগত্য রোবটে পরিণত হবে। এই মানুষগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে রোবটের মতো কাফিররা।
এই ধরনের ভ্রষ্ট পথে কারা পা দিবে?
যারা মুক্তমনা, স্বাধীনতা চায়, ফিগার নষ্ট হবে বলে চিল্লায়, বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে বাধ্য না ইত্যাদি। বলে বলে ক্যাচাল লাগানো মহিলাগুলোই এসব ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা ভেঙ্গে পরে ভেঁ ভেঁ করে কান্নাকাটি করবে ডানে বামে তাকিয়ে আর দেখবে মহাসমুদ্র।
বেঁচে যাবে প্রকৃত ঈমানদার নারীরা যাদেরকে রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) পথ দেখিয়ে দিয়েছে যে,
ঈমানদারগণ পাহাড়ের পাদদেশে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে পালিয়ে যাবে এক পাল বকরি আর তার দ্বীন নিয়ে, রক্ষা করবে নিজেকে এবং দ্বীনকে।
এভাবেই সূক্ষ্ম হতে সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র নিয়ে হাজির হবে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের স্বপ্নচারী ইহুদিরা। তাদের ক্রাণকর্তা মাসীহ আদ-দাজ্জালের পথকে সুগম করার জন্য, সহজ করার জন্য, দুনিয়াবাসীকে অভ্যস্ত করার জন্য।
লিখেছেনঃ নাসিম আহমাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন