ভূরাজনীতির গতিবিধি কোন দিকে?


 ভূরাজনীতির গতিবিধি কোন দিকে?

— কারিম শাওন


কুকি চিন দিয়ে বেনজিরের হট ইস্যুটা চাপা দেওয়া হলো।


আমার ধারণা বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর অর্ধেকটা ভারতের নিয়ন্ত্রণে। বছর দু-তিনেক আগে পুলিশের জন্য এলএমজি বা লাইট মেশিনগান কেনা হয়েছিল। থানায় থানায় বাঙ্কার বানানো হয়েছিল। পুলিশ অজুহাত দিয়েছিল–জামায়াত, হেফাজত, বিএনপি থানায় হামলা করতে পারে।


কথা হলো–জামায়াত, হেফাজত, বিএনপি নিরস্ত্র একটা দল। এই দলটাকে প্রতিহত করতে এলএমজি লাগবে কেন? ঘটনা তাহলে অন্য কিছু।


বছর খানেক আগে। র‍্যাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা করা হয়েছিল। পরে শুনেছিলাম সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগ করে এই নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল করা হয়।


ওসি প্রদীপ কর্তৃক মেজর সিনহাকে হত্যা করাটা নিছক কোনো দূর্ঘটনা না। এটা ভারতের সরাসরি সংযোগ ছিল। এরপর আবার ওসি প্রদীপকে জেলের ভাত খাওয়ানোর পেছনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মূখ্য ভূমিকা পালন করছে।


ওদিকে মাঝে মাঝে ভাসুরের দলের কিছু বড়ো বড়ো চামচার ফোন কল, নারী কেলেঙ্কারি, দূর্নীতি, অর্থপাচারের তথ্য জাদুর মতো ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে ভাসুরের পদক্ষেপ দেখে বোঝাই যায় ভাসুর এই ঘটনায় খুশি না।


ভাসুরের চামচাদের হাতে প্রায়ই ভারী অস্ত্র দেখা যায়। ওদিকে ৯০% মুসলমানদের দেশে ইফতারের সময় রোজাদারদের ওপর হামলা করা ভাসুরের কুলাঙ্গার ছাওয়াল-পাওয়ালগুলোকে ভাসুর একটা ধমক পর্যন্ত দেয়নি।


বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের পিটিয়েছে এর আগে।



এই সবগুলোকে কানেক্ট করলে হিসেব দাঁড়ায়–ভাসুরের গদির পায়া ভেঙে গেছে। সেনাবাহিনী একান্ত বাধ্য হয়ে স্রেফ সাইনবোর্ড হিসেবে ভাসুরকে ক্ষমতায় রেখেছে; কারণ, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির টালমাটাল অবস্থা।


দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হলে বহিরাগত শক্তি সহজেই ঢুকে পড়বে। দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম, শাহবাগী তথা কালচারাল এলিট, কতিপয় অলিগার্ক জন্মসূত্রে মির জাফর। এরা পশ্চিমা প্রভুদের হুকুমের গোলাম। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে নেগেটিভলি উপস্থাপন করবে। 


এবার সেনাবাহিনী যদি ভাসুরকে ক্ষমতাচ্যুত করে, তবে ১/১১ এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে ভাসুরের। সেই সময় ভাসুরের বড়ো বড়ো চামচা ও কুলাঙ্গার ছাওয়াল-পাওয়াল দিয়ে যদি কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়।


পুলিশের অর্ধেকটা ভারতের ইন্ধনে ভাসুরের পক্ষে যেতে পারে। ভারত বর্ডার দিয়ে ওর সোলজার মোবিলাইজ করতে পারে। করবে। কারণ, ভাসুর হলো ভারতের শেষ ভরসা। বিডিতে ভাসুর নাই মানে ভারত ওর সেভেন সিস্টার্স হারাবে। আবার ভারত নিজেও অখণ্ড ভারত করতে গেলে ভাসুরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। অর্থাৎ ভারত ভাসুরকে ঠিক ততদিন বিডির ক্ষমতায় রাখবে, যতদিন ভারত নিজে বিডিকে দখল না করছে।


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোরাল্যি হার্ড এন্টি ইন্ডিয়ান। এটা ভারত ভালো মতোই জানে। বিডিতে ভারতের প্রধান শত্রু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাই ভারত কখনোই চাইবে না ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে যাক। ওদিকে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে পরবর্তী ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতেই যাবে। সময়ের ব্যাপার মাত্র।


কিন্তু সমস্যা হলো–সেনাবাহিনীর একার পক্ষে ভারতকে ট্যাকল করা সম্ভব হবে না। সাধারণ বাংলাদেশি লাগবে। 

এখন বলুনতো দেখি, সেনাবাহিনী কাদেরকে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করতে পারে?

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন